Ajker Patrika

এই নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২২, ১৪: ৫১
এই নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ: রিজভী

এই নির্বাচন কমিশনও যে সরকারের আজ্ঞাবহ, ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তা প্রমাণিত হলো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে রিজভী এসব কথা বলেন। চা-শ্রমিকদের দাবিকৃত দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরি, আবাসন, খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ মৌলিক অধিকারের দাবিতে আন্দোলন ও কর্মবিরতির প্রতি সংহতি জানিয়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

এমন ঘোষণায় নির্বাচন কমিশনকে কড়া সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার বিদেশিদের কাছে সহযোগিতা চাইছে। সেটা আবারও গতকাল প্রমাণ করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথমেই আমরা বলেছি, এই সরকার যেখানে যাকে নিয়োগ করবে, তাদের অন্তর ছাত্রলীগের-যুবলীগের। যুবলীগ, ছাত্রলীগের অন্তর থাকার কারণে গণভবন থেকে যে নির্দেশনা আসবে, তার বাইরে তারা যাবে না। আমরা বলেছি, এই নির্বাচন কমিশন শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ। সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা এই নির্বাচন কমিশনের নেই। সেটা তিনি নিজেই আবার প্রমাণ করলেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিনি যে সংলাপ করেছিলেন, সেখানে অধিকাংশ দল ইভিএমের বিপক্ষে কথা বলেছিলাম। কিন্তু গতকাল তিনি বললেন, ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার হবে। তাহলে কিসের জন্য এই সংলাপ?’

এদিকে চা-শ্রমিকদের দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরি দাবির প্রতি সংহতি জানান রিজভী। পাশাপাশি শ্রমিকদের দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবি বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

রিজভী বলেন, ‘শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের গুরুদায়িত্ব আছে। কিন্তু সরকারের এখানে কোনো গুরুদায়িত্ব দেখতে পাচ্ছি না। এই মুহূর্তে ১২০ টাকা একজন শ্রমিক মজুরি পায়। অন্য সবকিছু বাদ দিলেও খাদ্যের যে দাম, তাতে এই টাকা দিয়ে কি পেট ভরে খাওয়ার সুযোগ আছে? আগে বলত গরিব মানুষ ভর্তা-ভাজি দিয়ে ভাত খায়। এখন ভর্তা-ভাজির দাম অনেক। ভর্তা করতে মরিচ লাগে, তার দাম আকাশ ছুঁই ছুঁই করছে। এখন বলতে হবে, কোনো রকম লবণ দিয়ে ভাত খায়। কিন্তু সেই ভাত কেনারও সামর্থ্য নেই।’

রিজভী বলেন, ‘এই সরকার যে তাবেদার সরকার, নতজানু সরকার, অন্য দেশের মুখাপেক্ষী, এগুলো আমাদের নতুন করে আর বলতে হচ্ছে না। বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা প্রমাণ করে দিচ্ছে তারা কাদের সরকার। কারণ ওরা তো জনগণের কাছে যেতে পারবে না। এত অবিচার, এত অন্যায়, এত গুম-খুন। জনগণের কাছে তারা যাবে কী করে? জনগণের মধ্যে ওনাদের কোনো ভিত্তি নাই। এ জন্য ওরা বিদেশে ভিত্তি তৈরি করছে। দেশের স্বার্থ বিক্রি করে দিয়ে নিজেদের ক্ষমতায় থাকার স্বার্থে বিদেশের কাছে ধরনা দিচ্ছে।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মাঝেমধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। নিজেদের স্বার্থে দেশের নিরাপত্তা বিদেশের কাছে বিক্রি করে দেওয়াকে কী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে? ওরা আসলে মিথ্যার চেতনায় বিশ্বাস করে। মিথ্যার চেতনাকে ঢাকা দেওয়ার জন্যই তারা মুক্তিযুদ্ধে চেতনার কথা বলে।’

উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, ‘আয়নাঘরের কথা শুনেছেন না? আয়নাঘর এখন ভূতের ঘর, আতঙ্কের ঘর হিসেবে সারা দেশের মানুষের মুখে মুখে। আমরা যারা বিরোধী দলের রাজনীতি করি, সরকারের অন্যায়-অবিচার-গুম-খুনের সমালোচনা করি, তারা আতঙ্কে থাকি। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের ধরে নিয়ে অত্যাচার করা হয়। নির্যাতন করা হয়, নির্যাতনের মাত্রা বীভৎস। এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে আয়নাঘর হওয়ার কথা ছিল না। এই ঘরে তো বিরোধীদলীয় নেতাদের নিয়ে অত্যাচার করার কথা ছিল না।’ 

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হ‌ুমায়ূন ইসলাম, শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

এনআইডির তথ্য ফাঁস করে ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ জিয়াউলের বিরুদ্ধে

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন এম এ জি ওসমানীসহ ৮ জন

কনের বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে হৃদ্‌রোগে বরের মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত