নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণানুষ্ঠানে বক্তারা অভিযোগ করেছেন, গত বছরের জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে টালবাহানা চলছে। অপরাধীদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাঁদের বিচার ও পুনর্বাসনের দাবি পুনরায় জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন।
আজ বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে আয়োজিত ‘চির উন্নত মম শির’ শীর্ষক স্মরণানুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। শহীদ আবু সাঈদসহ অন্য শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজনের শুরুতে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদ পরিবারের সদস্য, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিরা। এরপর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শহীদ শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফের বাবা নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শহীদ গোলাম নাফিজের বাবা গোলাম রহমান। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী এতে সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
স্মৃতিচারণ পর্বে শহীদ পরিবারের সদস্যরা আবেগঘন বক্তব্যে শহীদদের জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হয়নি।
শহীদ আহনাফের বাবা নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এক বছরেও বিচার হয়নি। আমরা চাই অবিলম্বে এই গণহত্যার বিচার হোক, জুলাই সনদ ঘোষণা করা হোক।’
শহীদ নাফিসের পিতা গোলাম রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। এখনো আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা অবহেলিত। শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন করতে হচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের সংগঠক অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেন, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, আহত ও শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন—এই প্রশ্নে লড়াই হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এখন প্রতিযোগিতা চলছে পদ-পদবি নিয়ে। সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে সংগঠিত শক্তি গড়ে তুলতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে সালমান সিদ্দিকী বলেন, শহীদদের স্বপ্নপূরণ ও বিচার আদায়ের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে তিনি গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং সরকার কর্তৃক যথাযথ নিরাপত্তার অভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভাশীষ চাকমা, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের অর্থ সম্পাদক স্কাইয়া ইসলাম, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সংগঠক নাঈম উদ্দীন প্রমুখ।
‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণানুষ্ঠানে বক্তারা অভিযোগ করেছেন, গত বছরের জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে টালবাহানা চলছে। অপরাধীদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাঁদের বিচার ও পুনর্বাসনের দাবি পুনরায় জোরালোভাবে তুলে ধরেছেন।
আজ বুধবার (১৬ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে আয়োজিত ‘চির উন্নত মম শির’ শীর্ষক স্মরণানুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। শহীদ আবু সাঈদসহ অন্য শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজনের শুরুতে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শহীদ পরিবারের সদস্য, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিরা। এরপর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শহীদ শাফিক উদ্দিন আহমেদ আহনাফের বাবা নাসির উদ্দিন আহমেদ ও শহীদ গোলাম নাফিজের বাবা গোলাম রহমান। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী এতে সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
স্মৃতিচারণ পর্বে শহীদ পরিবারের সদস্যরা আবেগঘন বক্তব্যে শহীদদের জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হয়নি।
শহীদ আহনাফের বাবা নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এক বছরেও বিচার হয়নি। আমরা চাই অবিলম্বে এই গণহত্যার বিচার হোক, জুলাই সনদ ঘোষণা করা হোক।’
শহীদ নাফিসের পিতা গোলাম রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। এখনো আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা অবহেলিত। শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলন করতে হচ্ছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের সংগঠক অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেন, ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, আহত ও শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন—এই প্রশ্নে লড়াই হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এখন প্রতিযোগিতা চলছে পদ-পদবি নিয়ে। সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে সংগঠিত শক্তি গড়ে তুলতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে সালমান সিদ্দিকী বলেন, শহীদদের স্বপ্নপূরণ ও বিচার আদায়ের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে তিনি গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং সরকার কর্তৃক যথাযথ নিরাপত্তার অভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভাশীষ চাকমা, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের অর্থ সম্পাদক স্কাইয়া ইসলাম, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের সংগঠক নাঈম উদ্দীন প্রমুখ।
জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। গতকাল বুধবার এই হামলার প্রতিবাদে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বিক্ষোভ ও ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। এসব কর্মসূচির কারণে কোথাও
৬ ঘণ্টা আগেআগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর সব কটি থানার সামনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রধান সমন্বয়কারী আকরাম হোসাইন বলেন, ‘গোপালগঞ্জসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের যে সন্ত্রাসীরা আছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। আগামীকাল রাজধানীর সকল থানার স
৯ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে গিয়ে হামলার মুখে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যানে (এপিসি) করে সেখান থেকে বের হন। পরে তাঁরা সাঁজোয়া যানে করেই গোপালগঞ্জ থেকে বের হতে পেরেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে আজ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার পর দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমরা যদি এখান থেকে বেঁচে ফিরি, তাহলে মুজিববাদের কবর রচনা করেই ফিরব, নাহয় ফিরব না।’
১২ ঘণ্টা আগে