নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল অলি আহমদ (অব.) বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবার ভারত থেকে দুই কলসি পানি নিয়ে এসেছেন, এটাই বাংলাদেশের অর্জন। বিগত নির্বাচনগুলোর আগে ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনা নির্বাচনে তাদের সমর্থনের আশ্বাস নিয়ে আসতেন। কিন্তু এবার তিনি সেই নিশ্চয়তা পাননি।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন কর্নেল অলি। এলডিপির আয়োজনে এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে কর্নেল অলি বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলাম, সেই স্বাধীন দেশ এখন আর নেই ৷ আমরা আইয়ুব খান টিক্কা খানকে বলতাম স্বৈরাচার, এখন সে রকম স্বৈরতান্ত্রিক সরকার চলছে ৷ বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রক্রিয়া চলছে ৷ যে কোনো দিন তারা একটা রূপরেখা দেবে ৷ এই রূপরেখার সঙ্গে আমরা একমত।’
কর্নেল অলি আরও বলেন, ‘২০০৯ সালের পর থেকে সরকার বিরোধী দলের মিটিং মিছিল নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে এসেছে। বঙ্গবন্ধু বাকশাল কায়েম করেছিল সংসদে বসে। আর বর্তমান সরকার কোথাও না বসেই বাকশাল কায়েম করে ফেলেছে ৷ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো কথা বলা যায় না৷ প্রেসক্লাব ছাড়া বিরোধী দলগুলো কোথাও গিয়ে মিটিং করতে পারে না৷ পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। রাজনীতিবিদরা এর জন্য দায়ী।’
কর্নেল অলি জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর তিন মাস যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকে তারপরেও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। কারণ বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সব জায়গায় আওয়ামী লীগের লোক বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ কিয়ামতের আগ পর্যন্ত কখনো ৫০ টির বেশি আসন পাবে না বলেও দাবি করেন তিনি।
সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে খালি হাতে ফিরেছেন। কুশিয়ারার পানি এনেছেন, ১৫৬ কিউসেক। তা দিয়ে কতটুকু জমি চাষ হবে? তিস্তার কথা তুলতেই পারেননি। এর বাইরে উনি কিছু পাননি ৷’
মান্নার অভিযোগ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে গিয়ে নির্বাচনে সাহায্য চেয়েছেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। প্রধানমন্ত্রীও একই আশায় ভারতে গেছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। মান্না বলেন, ‘এইবার প্রথম আওয়ামী লীগ সরকার বুঝতে পেরেছে, পৃথিবীতে তার কোনো বন্ধু নাই। ভারতের একজন পূর্ণমন্ত্রীও প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাননি। উপমন্ত্রী অভ্যর্থনা জানাবার পরেও আমাদের প্রধানমন্ত্রী এয়ারপোর্টে নেচেছেন।’
মান্না বলেন, ‘মিয়ানমার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে সীমান্তে গুলি ছোড়ে, মর্টার ছোড়ে ৷ তারপরেও সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা করতে চায়, তাহলে আমাদের সঙ্গে নয় কেন?’
সভায় সঞ্চালনা করেন এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ। বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। গত ৫২ বছরে এত বড় হতাশাজনক পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়নি। এক বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার যদি ক্ষমতা ছাড়ে তখন অর্থনৈতিক সংকট মেটানো কঠিন হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশে গুম কমেছে বলে জানান বক্তারা। তারা মনে করেন পরিস্থিতির এই বদলে সরকার বিচলিত হয়ে পড়েছে। হামলা মামলা দিয়ে বিরোধীদের দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে ৷
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল অলি আহমদ (অব.) বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবার ভারত থেকে দুই কলসি পানি নিয়ে এসেছেন, এটাই বাংলাদেশের অর্জন। বিগত নির্বাচনগুলোর আগে ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনা নির্বাচনে তাদের সমর্থনের আশ্বাস নিয়ে আসতেন। কিন্তু এবার তিনি সেই নিশ্চয়তা পাননি।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন কর্নেল অলি। এলডিপির আয়োজনে এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে কর্নেল অলি বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলাম, সেই স্বাধীন দেশ এখন আর নেই ৷ আমরা আইয়ুব খান টিক্কা খানকে বলতাম স্বৈরাচার, এখন সে রকম স্বৈরতান্ত্রিক সরকার চলছে ৷ বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রক্রিয়া চলছে ৷ যে কোনো দিন তারা একটা রূপরেখা দেবে ৷ এই রূপরেখার সঙ্গে আমরা একমত।’
কর্নেল অলি আরও বলেন, ‘২০০৯ সালের পর থেকে সরকার বিরোধী দলের মিটিং মিছিল নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে এসেছে। বঙ্গবন্ধু বাকশাল কায়েম করেছিল সংসদে বসে। আর বর্তমান সরকার কোথাও না বসেই বাকশাল কায়েম করে ফেলেছে ৷ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো কথা বলা যায় না৷ প্রেসক্লাব ছাড়া বিরোধী দলগুলো কোথাও গিয়ে মিটিং করতে পারে না৷ পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। রাজনীতিবিদরা এর জন্য দায়ী।’
কর্নেল অলি জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর তিন মাস যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকে তারপরেও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। কারণ বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সব জায়গায় আওয়ামী লীগের লোক বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ কিয়ামতের আগ পর্যন্ত কখনো ৫০ টির বেশি আসন পাবে না বলেও দাবি করেন তিনি।
সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে খালি হাতে ফিরেছেন। কুশিয়ারার পানি এনেছেন, ১৫৬ কিউসেক। তা দিয়ে কতটুকু জমি চাষ হবে? তিস্তার কথা তুলতেই পারেননি। এর বাইরে উনি কিছু পাননি ৷’
মান্নার অভিযোগ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে গিয়ে নির্বাচনে সাহায্য চেয়েছেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। প্রধানমন্ত্রীও একই আশায় ভারতে গেছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। মান্না বলেন, ‘এইবার প্রথম আওয়ামী লীগ সরকার বুঝতে পেরেছে, পৃথিবীতে তার কোনো বন্ধু নাই। ভারতের একজন পূর্ণমন্ত্রীও প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাননি। উপমন্ত্রী অভ্যর্থনা জানাবার পরেও আমাদের প্রধানমন্ত্রী এয়ারপোর্টে নেচেছেন।’
মান্না বলেন, ‘মিয়ানমার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে সীমান্তে গুলি ছোড়ে, মর্টার ছোড়ে ৷ তারপরেও সরকার মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা করতে চায়, তাহলে আমাদের সঙ্গে নয় কেন?’
সভায় সঞ্চালনা করেন এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ। বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট চলছে। গত ৫২ বছরে এত বড় হতাশাজনক পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়নি। এক বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার যদি ক্ষমতা ছাড়ে তখন অর্থনৈতিক সংকট মেটানো কঠিন হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশে গুম কমেছে বলে জানান বক্তারা। তারা মনে করেন পরিস্থিতির এই বদলে সরকার বিচলিত হয়ে পড়েছে। হামলা মামলা দিয়ে বিরোধীদের দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে ৷
বাংলাদেশের জনগণ যে পরিবর্তনের আশায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, সেই পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, যারা নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করছে, প্রয়োজনে তাদেরও রুখে দেওয়া হবে।
৪ ঘণ্টা আগেশফিকুর রহমান বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের সংস্কৃতি নয়, চাঁদাবাজি আমাদের সংস্কৃতি নয়, দখলদারি আমাদের সংস্কৃতি নয়। যে দল তার কর্মীদের এভাবে গড়ে তুলতে পেরেছে, সেই দলের হাতে দেশ এলে ইনশা আল্লাহ দেশ গড়ে তুলতে পারবে। যে দল তার কর্মীদের সামাল দিতে পারছে না বা পারবে না, সে দলের হাতে বাংলাদেশের একজন মানুষও নিরাপদ
১ দিন আগেনাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। আমাদের লড়াই মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদ বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে শুরু করেছিলাম। আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। সেই লড়াই এখনো শেষ হয়নি। কারণ, আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ পাইনি। জনগণের পাশে আমাদের আবারও দাঁড়াতে হবে। এলাকায় এলাকায় যে দুর্বৃত্তায়নের
১ দিন আগে‘আমরা খবর পাচ্ছি, যাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে চান, তাঁদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। ওপরে আল্লাহ, নিচে মাটি, জালিমের শাসনের কবর হয়েছে। এনসিপির কোনো নেতা-কর্মীর দিকে চোখ তুলে তাকাবেন না। আমরা গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য একটি রাজনৈতিক দল। আরেকটি রাজনৈতিক দলকে সহযোগিতা করব। কিন্তু পরশ্রীকাতরতা ও হিংসার রাজনীত
১ দিন আগে