Ajker Patrika

যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে: মির্জা ফখরুল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬: ১৮
যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে: মির্জা ফখরুল 

বিএনপি অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারও সংলাপের ভিত্তিতে এই রূপরেখা খুব দ্রুত চূড়ান্ত করে উত্থাপত করা হবে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল। এ সময় তিনি বলেন, ‘যুগপৎ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।’ 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান মির্জা ফখরুল। 

বিএনপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার ব্যাপারে কাজ করছে এবং দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পরিপ্রেক্ষিতে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অতি দ্রুত চূড়ান্ত রূপরেখা আপনাদের সামনে প্রকাশ করব। আমরা যুগপৎ আন্দোলন করব। সব দলের প্রতি আমাদের আহ্বানও তাই। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।’ তবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। 

নির্বাচনের পর আন্দোলনকারী দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে ক্ষত সৃষ্টি করেছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে এককভাবে কেউ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। সবাই একত্রিত হয়ে যৌথ আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে পারি, তাই এই চিন্তাটা করেছি।’

সোমবার বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল। এ ছাড়া সভায় গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্ত সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন তিনি। 

জ্বালানির সংকটে কয়েকটি ডিজেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকলেও চারটি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে উদ্বেগ ও ক্ষোভ জানান তিনি। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিলের আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ক্যাপাসিটি চার্জ যা আসবে, তা ভাগ করে খেয়ে ফেলা ছাড়া কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধির আর কোনো কারণ নেই।’ 

স্থায়ী কমিটির সভায় ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুল ৷ তিনি বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য যখন অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলছে, তখন গুটি কয়েক ব্যবসায়ীকে মুনাফা পাইয়ে দেওয়ার জন্য অনৈতিকভাবে ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।’ এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। 

নির্বাচনকালীন সহিংসতা চিরতরে বন্ধ করার জন্য একমাত্র পথ নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান চালু করা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকে বলেন, সংবিধান বদল করা যাবে না, সংবিধান বদল করেই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান আনা হয়েছিল। আবার আপনারাই সংবিধান বদল করে এটা বন্ধ করেছিলেন।’

সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেই পুলিশকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আবারও গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। হামলা করছে আওয়ামী লীগ, পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দিচ্ছে বিএনপির বিরুদ্ধে। পুলিশের ভূমিকা নির্ভর করবে সরকারের ওপর।’ 

নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কোনো সরকারই বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনি উল্লেখ করে অনেকে দমননীতি নিয়ে মির্জা ফখরুল জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে ইতিমধ্যে দমননীতি গ্রহণ করেছে। তবে দেশে সরকারের বিরুদ্ধে গণজোয়ার শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পর্যায়েও বড় বড় মিছিল হচ্ছে। এদের সঙ্গে নিয়েই জনগণের যে দাবি সেই দাবি আদায় করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত