Ajker Patrika

আমার বিরুদ্ধে ১১১টি মামলা হয়েছে, ১১ বার জেলে গিয়েছি: মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০০: ২০
ঠাকুরগাঁও সদরে বিএনপির গণসংযোগ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঠাকুরগাঁও সদরে বিএনপির গণসংযোগ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ১১১টি মামলা হয়েছে। নানা ধরনের অবাস্তব অভিযোগ আনা হয়েছে। ময়লার গাড়ি পোড়ানো, বোমা হামলার মতো অভিযোগও আছে। আমি ১১ বার জেলে গিয়েছি। প্রায় তিন বছর কারাবন্দী ছিলাম।’

আজ মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও সদরের মোলানি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপির গণসংযোগ কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। তিনি জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছয় বছর বন্দী ছিলেন। এর মধ্যে দুই বছর ছিলেন একেবারে অন্ধকার কক্ষে।

বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ বছর রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়েছে ও অনেক নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখতে চেয়েছে, কিন্তু জনগণ কখনো অন্যায় মেনে নেয়নি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শুধু মামলা আর নির্যাতনের মধ্য দিয়েই ১৫ বছর পার হয়েছে। কিন্তু তাতেও তারা আমাদের দমাতে পারেনি। সারা দেশে মানুষ এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আজও সোচ্চার। সরকার একটি আয়নাঘর নামের বন্দিশালা তৈরি করেছিল, যেখানে রাজনৈতিক বিরোধীদের দিনের পর দিন, এমনকি বছরের পর বছর বন্দী রাখা হতো। জাতিসংঘের এক পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, এই ধরনের গুমের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৭০০। আমাদের দলের অনেক নেতা সেই নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন।’

সাবেক সেনা কর্মকর্তা আবদুল্লা হিল আমান আজমীর প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি একজন মেধাবী সেনা কর্মকর্তা ছিলেন, যাকে আট বছর আয়নাঘরে আটকে রাখা হয়। আজও অনেকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমাদের নেতা ইলিয়াস আলীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁর বাসার সামনে থেকে, সেই থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ মেলেনি।’

আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রায় ২৬ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চাকরি ও ব্যবসা পেতে হলেও দলীয় পরিচয় দেখা হয়েছে। বিএনপি সমর্থকদের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য করা হয়েছে।’

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘২০১৪ সালের পর দেশে আর কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। আজ যারা ১৮-২০ বছর বয়সী, তারা জীবনে একবারও ভোট দিতে পারেনি। এবার একটি সুযোগ এসেছে, আমরা যেন সবাই মিলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারি।’

সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দেশকে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের প্রস্তাবিত সংস্কারের লক্ষ্যও তাই—কোনো বিভেদ নয়, ঐক্যের বাংলাদেশ গড়া।’

গণসংযোগ কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সহসভাপতি সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, যুগ্ম সম্পাদক পয়গাম আলীসহ দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত