নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের প্রক্রিয়া সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মতো অন্যান্য সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়েও আমাদের অবস্থান পরিষ্কার—এসব বিধানকে সংবিধানে সন্নিবেশ করতে হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৮তম দিনশেষে এ কথা বলেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগের বিধি সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যকে ঐতিহাসিক বলে মনে করে এনসিপি।
আখতার হোসেন বলেন, ‘বহুদিন ধরে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। অতীতে ফ্যাসিবাদী পদ্ধতিতে আইন করে একচেটিয়াভাবে রাষ্ট্রপতিকে নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। আজ আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, এ প্রক্রিয়া আর একক সিদ্ধান্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।’
আখতার হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির মনোনীত একজন আপিল বিভাগের বিচারপতির সমন্বয়ে একটি পাঁচ সদস্যের সিলেকশন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে এবং রাষ্ট্রপতি সেই নাম অনুযায়ী নিয়োগ দিতে বাধ্য থাকবেন।
আখতার বলেন, রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার এখানে কেবল আনুষ্ঠানিক। কোনো নিজস্ব মতামতের সুযোগ রাখা হয়নি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের জবাবদিহির বিষয়টি নিয়েও আজকের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। আগে কমিশনারদের আচরণ বা ব্যর্থতার জন্য জবাবদিহির কোনো আইনগত কাঠামো ছিল না। আজকের বৈঠকে সেই ঘাটতি পূরণে একটি নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাবে ঐকমত্য হয়েছে।
এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, শুরুতে ৯ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল বা এনসিসির প্রস্তাব ছিল। তবে পরে সেটি বাদ দিয়ে এখন নিয়োগ কমিটিভিত্তিক প্রস্তাবনায় আলোচনা হচ্ছে। তিনি জানান, আজকের বৈঠকে কেবল নির্বাচন কমিশন নিয়োগ নিয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়েছে। তবে সরকারি কর্মকমিশন, মহা হিসাবনিরীক্ষক, দুর্নীতি দমন কমিশন ও ন্যায়পাল—এই চার প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে এখনো মতানৈক্য রয়েছে।
বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি চায় এসব প্রতিষ্ঠান আইন দ্বারা পরিচালিত হোক, সংবিধানে না আনলেও চলবে। কিন্তু আইন খুব সহজেই বাতিল বা পরিবর্তনযোগ্য। তাই আমরা বলেছি, যদি নিয়োগ কমিটির কাঠামো সংবিধানে যুক্ত না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে যেকোনো সরকার এককভাবে আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা বদলে ফেলতে পারবে। এটি সংস্কারপ্রক্রিয়াকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।’
সংলাপের ভবিষ্যৎ গতিপথ নিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ প্রণয়ন করা সম্ভব, যদি রাজনৈতিক দলগুলো মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাবগুলোতে পিছু হটতে না চায়। কিন্তু যদি সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করার চেষ্টা হয়, তাহলে এনসিপি এই প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জনপ্রশাসন, পুলিশ, স্থানীয় সরকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। অথচ এই তিনটি অঙ্গ ছাড়া কোনো সংস্কারই টেকসই হবে না। আমরা আজ প্রস্তাব দিয়েছি, যাতে এই বিষয়গুলো আলোচনার এজেন্ডায় আনা হয়।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা চাই না সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো আর দলীয়করণের শিকার হোক। যেকোনো নিয়োগ যেন দলীয় স্বার্থের বদলে জাতীয় স্বার্থে হয়, সে জন্য সাংবিধানিক সুরক্ষা প্রয়োজন। আমরা সংবিধানেই নিয়োগ কমিটি সন্নিবেশ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের প্রক্রিয়া সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের মতো অন্যান্য সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়েও আমাদের অবস্থান পরিষ্কার—এসব বিধানকে সংবিধানে সন্নিবেশ করতে হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৮তম দিনশেষে এ কথা বলেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগের বিধি সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যকে ঐতিহাসিক বলে মনে করে এনসিপি।
আখতার হোসেন বলেন, ‘বহুদিন ধরে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। অতীতে ফ্যাসিবাদী পদ্ধতিতে আইন করে একচেটিয়াভাবে রাষ্ট্রপতিকে নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। আজ আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, এ প্রক্রিয়া আর একক সিদ্ধান্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না।’
আখতার হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির মনোনীত একজন আপিল বিভাগের বিচারপতির সমন্বয়ে একটি পাঁচ সদস্যের সিলেকশন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে এবং রাষ্ট্রপতি সেই নাম অনুযায়ী নিয়োগ দিতে বাধ্য থাকবেন।
আখতার বলেন, রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার এখানে কেবল আনুষ্ঠানিক। কোনো নিজস্ব মতামতের সুযোগ রাখা হয়নি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের জবাবদিহির বিষয়টি নিয়েও আজকের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। আগে কমিশনারদের আচরণ বা ব্যর্থতার জন্য জবাবদিহির কোনো আইনগত কাঠামো ছিল না। আজকের বৈঠকে সেই ঘাটতি পূরণে একটি নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাবে ঐকমত্য হয়েছে।
এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, শুরুতে ৯ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল বা এনসিসির প্রস্তাব ছিল। তবে পরে সেটি বাদ দিয়ে এখন নিয়োগ কমিটিভিত্তিক প্রস্তাবনায় আলোচনা হচ্ছে। তিনি জানান, আজকের বৈঠকে কেবল নির্বাচন কমিশন নিয়োগ নিয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়েছে। তবে সরকারি কর্মকমিশন, মহা হিসাবনিরীক্ষক, দুর্নীতি দমন কমিশন ও ন্যায়পাল—এই চার প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে এখনো মতানৈক্য রয়েছে।
বিএনপির অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি চায় এসব প্রতিষ্ঠান আইন দ্বারা পরিচালিত হোক, সংবিধানে না আনলেও চলবে। কিন্তু আইন খুব সহজেই বাতিল বা পরিবর্তনযোগ্য। তাই আমরা বলেছি, যদি নিয়োগ কমিটির কাঠামো সংবিধানে যুক্ত না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে যেকোনো সরকার এককভাবে আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা বদলে ফেলতে পারবে। এটি সংস্কারপ্রক্রিয়াকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।’
সংলাপের ভবিষ্যৎ গতিপথ নিয়ে আখতার হোসেন বলেন, ‘জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ প্রণয়ন করা সম্ভব, যদি রাজনৈতিক দলগুলো মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাবগুলোতে পিছু হটতে না চায়। কিন্তু যদি সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করার চেষ্টা হয়, তাহলে এনসিপি এই প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জনপ্রশাসন, পুলিশ, স্থানীয় সরকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। অথচ এই তিনটি অঙ্গ ছাড়া কোনো সংস্কারই টেকসই হবে না। আমরা আজ প্রস্তাব দিয়েছি, যাতে এই বিষয়গুলো আলোচনার এজেন্ডায় আনা হয়।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা চাই না সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো আর দলীয়করণের শিকার হোক। যেকোনো নিয়োগ যেন দলীয় স্বার্থের বদলে জাতীয় স্বার্থে হয়, সে জন্য সাংবিধানিক সুরক্ষা প্রয়োজন। আমরা সংবিধানেই নিয়োগ কমিটি সন্নিবেশ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আগামী বছরের প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনিবার্য। তবে কোনো অপরিপক্ব বা প্রহসনের নির্বাচন জনগণ আর মেনে নেবে না। নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও পেশিশক্তি ও কালোটাকামুক্ত। প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে এই নির্বাচনও ব্যর্থ হবে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার
৪ ঘণ্টা আগেগণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আগামী ৫ আগস্ট বা এর পরবর্তী দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জনগণ আশা করে। তিনি মনে করেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ
৫ ঘণ্টা আগেবর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নানা দিক থেকে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ১৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগেবজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘সরকার যখন খুব বিপদে পড়ে, আর সামলাতে পারছে না, টালমাটাল অবস্থা এবং মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে, তখন রাজনৈতিক দলগুলোকে ডাকে। তারা দেখাতে চায় যে, এরা সবাই আমার সঙ্গে আছে। আমরা এই সরকারকে সমর্থন করেছি ঠিক, কিন্তু অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী কোনো কাজ করলে আমরা এই...
৫ ঘণ্টা আগে