নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা। গতকাল বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সোনালি সংসদ মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
ইতিমধ্যে এই মন্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নিজ পছন্দের নেতার জন্য দলের প্রধানদের ঘেরাও করে রাখার ঘোষণায় সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে।
লুৎফর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘শাহ আলমের (নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী) জন্য আমরা নমিনেশন আনব। প্রয়োজনে আমরা আত্মাহুতি দেব কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে। তারেক রহমান, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির মহাসচিবকে ঘেরাও করব। বিএনপির সর্বোচ্চ মহলকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, ফতুল্লাকে নিয়ে যদি কোনো ষড়যন্ত্র করা হয়, তাহলে কাউকে ছাড়া হবে না।’
লুৎফর রহমান বলেন, ‘এখানে কোনো জোট চলবে না। এই খেলা আর খেলবেন না। ধানের শীষ ছাড়া ফতুল্লায় কিছু চলবে না। ফতুল্লার জনগণের আবেগ, আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। ফতুল্লার মানুষদের প্রিয় নেতা শাহ আলমকে বাদ দিয়ে এখানে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া মানেই জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’
তাঁর এমন মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে। অনেকেই মন্তব্য করেন এই বার্তা দিয়ে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে অসন্তোষ এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে না মানার প্রবণতা প্রকাশ পেয়েছে। সেই সঙ্গে পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিলে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে দাঁড়িয়ে যেতে পারেন নেতা-কর্মীরা সেই বার্তাও পরিষ্কার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ বলেন, ‘এইটা কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য হয়নি। এই ধরনের বক্তব্য অনভিপ্রেত। কী আর বলব, একে পাগলের প্রলাপ বলা হয়। নেতা-কর্মীদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, তাঁরা যেন সংযত ও সতর্ক হয়ে কথাবার্তা বলেন। দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে এমন কোনো কথা বলা উচিত নয়, যা নিয়ে দলের ভেতর বিতর্ক তৈরি হয়।’
নিজের মন্তব্যটি সঠিক হয়নি স্বীকার করে লুৎফর রহমান খোকা বলেন, ‘মন্তব্যটি স্লিপ অব টাং বলতে পারেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রায় ৮০ ভাগ ভোটার বিএনপির। এখানে যদি জোটের অন্য কাউকে দেওয়া হয়, তাহলে সেটা ভোটারদের জন্য কষ্টদায়ক। বিষয়টি কেন্দ্রকে বোঝাতে গিয়ে একটু বেশি বলে ফেলেছি। এটা আমার ঠিক হয়নি। দলের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য আমার আছে। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন আমার থাকবে। যেটা বলে ফেলেছি, তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি প্রবীণ রাজনীতিবিদ, আশা করছি আমাদের নেতা-কর্মীরা এবং দলের কেন্দ্র বিষয়টি সহজভাবে দেখবেন।’
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে শাহ আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর কাছে পরাজিত হন শাহ আলম। পরবর্তীকালে ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসন ছেড়ে দেওয়া হয় জোটের অংশীদার জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাশেমীর কাছে। তিনিও পাস করতে পারেননি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা। গতকাল বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সোনালি সংসদ মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
ইতিমধ্যে এই মন্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নিজ পছন্দের নেতার জন্য দলের প্রধানদের ঘেরাও করে রাখার ঘোষণায় সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে।
লুৎফর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘শাহ আলমের (নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী) জন্য আমরা নমিনেশন আনব। প্রয়োজনে আমরা আত্মাহুতি দেব কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে। তারেক রহমান, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির মহাসচিবকে ঘেরাও করব। বিএনপির সর্বোচ্চ মহলকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, ফতুল্লাকে নিয়ে যদি কোনো ষড়যন্ত্র করা হয়, তাহলে কাউকে ছাড়া হবে না।’
লুৎফর রহমান বলেন, ‘এখানে কোনো জোট চলবে না। এই খেলা আর খেলবেন না। ধানের শীষ ছাড়া ফতুল্লায় কিছু চলবে না। ফতুল্লার জনগণের আবেগ, আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। ফতুল্লার মানুষদের প্রিয় নেতা শাহ আলমকে বাদ দিয়ে এখানে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া মানেই জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’
তাঁর এমন মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে। অনেকেই মন্তব্য করেন এই বার্তা দিয়ে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে অসন্তোষ এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে না মানার প্রবণতা প্রকাশ পেয়েছে। সেই সঙ্গে পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিলে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে দাঁড়িয়ে যেতে পারেন নেতা-কর্মীরা সেই বার্তাও পরিষ্কার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ বলেন, ‘এইটা কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য হয়নি। এই ধরনের বক্তব্য অনভিপ্রেত। কী আর বলব, একে পাগলের প্রলাপ বলা হয়। নেতা-কর্মীদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, তাঁরা যেন সংযত ও সতর্ক হয়ে কথাবার্তা বলেন। দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে এমন কোনো কথা বলা উচিত নয়, যা নিয়ে দলের ভেতর বিতর্ক তৈরি হয়।’
নিজের মন্তব্যটি সঠিক হয়নি স্বীকার করে লুৎফর রহমান খোকা বলেন, ‘মন্তব্যটি স্লিপ অব টাং বলতে পারেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রায় ৮০ ভাগ ভোটার বিএনপির। এখানে যদি জোটের অন্য কাউকে দেওয়া হয়, তাহলে সেটা ভোটারদের জন্য কষ্টদায়ক। বিষয়টি কেন্দ্রকে বোঝাতে গিয়ে একটু বেশি বলে ফেলেছি। এটা আমার ঠিক হয়নি। দলের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য আমার আছে। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন আমার থাকবে। যেটা বলে ফেলেছি, তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি প্রবীণ রাজনীতিবিদ, আশা করছি আমাদের নেতা-কর্মীরা এবং দলের কেন্দ্র বিষয়টি সহজভাবে দেখবেন।’
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে শাহ আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর কাছে পরাজিত হন শাহ আলম। পরবর্তীকালে ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসন ছেড়ে দেওয়া হয় জোটের অংশীদার জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাশেমীর কাছে। তিনিও পাস করতে পারেননি।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা। গতকাল বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সোনালি সংসদ মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
ইতিমধ্যে এই মন্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নিজ পছন্দের নেতার জন্য দলের প্রধানদের ঘেরাও করে রাখার ঘোষণায় সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে।
লুৎফর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘শাহ আলমের (নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী) জন্য আমরা নমিনেশন আনব। প্রয়োজনে আমরা আত্মাহুতি দেব কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে। তারেক রহমান, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির মহাসচিবকে ঘেরাও করব। বিএনপির সর্বোচ্চ মহলকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, ফতুল্লাকে নিয়ে যদি কোনো ষড়যন্ত্র করা হয়, তাহলে কাউকে ছাড়া হবে না।’
লুৎফর রহমান বলেন, ‘এখানে কোনো জোট চলবে না। এই খেলা আর খেলবেন না। ধানের শীষ ছাড়া ফতুল্লায় কিছু চলবে না। ফতুল্লার জনগণের আবেগ, আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। ফতুল্লার মানুষদের প্রিয় নেতা শাহ আলমকে বাদ দিয়ে এখানে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া মানেই জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’
তাঁর এমন মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে। অনেকেই মন্তব্য করেন এই বার্তা দিয়ে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে অসন্তোষ এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে না মানার প্রবণতা প্রকাশ পেয়েছে। সেই সঙ্গে পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিলে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে দাঁড়িয়ে যেতে পারেন নেতা-কর্মীরা সেই বার্তাও পরিষ্কার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ বলেন, ‘এইটা কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য হয়নি। এই ধরনের বক্তব্য অনভিপ্রেত। কী আর বলব, একে পাগলের প্রলাপ বলা হয়। নেতা-কর্মীদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, তাঁরা যেন সংযত ও সতর্ক হয়ে কথাবার্তা বলেন। দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে এমন কোনো কথা বলা উচিত নয়, যা নিয়ে দলের ভেতর বিতর্ক তৈরি হয়।’
নিজের মন্তব্যটি সঠিক হয়নি স্বীকার করে লুৎফর রহমান খোকা বলেন, ‘মন্তব্যটি স্লিপ অব টাং বলতে পারেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রায় ৮০ ভাগ ভোটার বিএনপির। এখানে যদি জোটের অন্য কাউকে দেওয়া হয়, তাহলে সেটা ভোটারদের জন্য কষ্টদায়ক। বিষয়টি কেন্দ্রকে বোঝাতে গিয়ে একটু বেশি বলে ফেলেছি। এটা আমার ঠিক হয়নি। দলের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য আমার আছে। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন আমার থাকবে। যেটা বলে ফেলেছি, তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি প্রবীণ রাজনীতিবিদ, আশা করছি আমাদের নেতা-কর্মীরা এবং দলের কেন্দ্র বিষয়টি সহজভাবে দেখবেন।’
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে শাহ আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর কাছে পরাজিত হন শাহ আলম। পরবর্তীকালে ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসন ছেড়ে দেওয়া হয় জোটের অংশীদার জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাশেমীর কাছে। তিনিও পাস করতে পারেননি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা। গতকাল বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সোনালি সংসদ মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
ইতিমধ্যে এই মন্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নিজ পছন্দের নেতার জন্য দলের প্রধানদের ঘেরাও করে রাখার ঘোষণায় সমালোচনা ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে।
লুৎফর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘শাহ আলমের (নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী) জন্য আমরা নমিনেশন আনব। প্রয়োজনে আমরা আত্মাহুতি দেব কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে। তারেক রহমান, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির মহাসচিবকে ঘেরাও করব। বিএনপির সর্বোচ্চ মহলকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, ফতুল্লাকে নিয়ে যদি কোনো ষড়যন্ত্র করা হয়, তাহলে কাউকে ছাড়া হবে না।’
লুৎফর রহমান বলেন, ‘এখানে কোনো জোট চলবে না। এই খেলা আর খেলবেন না। ধানের শীষ ছাড়া ফতুল্লায় কিছু চলবে না। ফতুল্লার জনগণের আবেগ, আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। ফতুল্লার মানুষদের প্রিয় নেতা শাহ আলমকে বাদ দিয়ে এখানে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া মানেই জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।’
তাঁর এমন মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে। অনেকেই মন্তব্য করেন এই বার্তা দিয়ে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে অসন্তোষ এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে না মানার প্রবণতা প্রকাশ পেয়েছে। সেই সঙ্গে পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন না দিলে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে দাঁড়িয়ে যেতে পারেন নেতা-কর্মীরা সেই বার্তাও পরিষ্কার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ বলেন, ‘এইটা কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য হয়নি। এই ধরনের বক্তব্য অনভিপ্রেত। কী আর বলব, একে পাগলের প্রলাপ বলা হয়। নেতা-কর্মীদের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, তাঁরা যেন সংযত ও সতর্ক হয়ে কথাবার্তা বলেন। দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে এমন কোনো কথা বলা উচিত নয়, যা নিয়ে দলের ভেতর বিতর্ক তৈরি হয়।’
নিজের মন্তব্যটি সঠিক হয়নি স্বীকার করে লুৎফর রহমান খোকা বলেন, ‘মন্তব্যটি স্লিপ অব টাং বলতে পারেন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রায় ৮০ ভাগ ভোটার বিএনপির। এখানে যদি জোটের অন্য কাউকে দেওয়া হয়, তাহলে সেটা ভোটারদের জন্য কষ্টদায়ক। বিষয়টি কেন্দ্রকে বোঝাতে গিয়ে একটু বেশি বলে ফেলেছি। এটা আমার ঠিক হয়নি। দলের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য আমার আছে। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ সমর্থন আমার থাকবে। যেটা বলে ফেলেছি, তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি প্রবীণ রাজনীতিবিদ, আশা করছি আমাদের নেতা-কর্মীরা এবং দলের কেন্দ্র বিষয়টি সহজভাবে দেখবেন।’
২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে শাহ আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর কাছে পরাজিত হন শাহ আলম। পরবর্তীকালে ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসন ছেড়ে দেওয়া হয় জোটের অংশীদার জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি মনির হোসেন কাশেমীর কাছে। তিনিও পাস করতে পারেননি।

অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্ব
৪০ মিনিট আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ‘অথর্ব’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি সংহতি জানিয়ে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মাহফুজ বলেন, ‘আজকে বিচার চলমান আছে একদিকে, আরেক দিকে আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে এই দেশ থেকে বেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নেবেন, ভারত থেকে আপনারা বাংলাদেশে সন্ত্রাস করার উসকানি দেবেন এবং সন্ত্রাস চালাবেন; আমার ভাইয়ের ওপর গুলি চালাবেন, আমরা এটা বরদাশত করব না। এখানে, বাংলাদেশে, ভারতের ও ভিনদেশিদের যারা স্বার্থ রক্ষা করবে, তাদের নিরাপদে থাকতে দেওয়া যাবে না। আমরা যদি নিরাপদে না থাকি, এই দেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদে থাকতে পারবে না— এটা হচ্ছে বেসিক কন্ডিশন।’
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত বছর জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ হন মাহফুজ আলম। তাঁকে গণ-অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ আখ্যা দিয়েছেন ড. ইউনূস। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সম্প্রতি তিনি পদত্যাগ করেছেন।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী আমাদের যে লড়াই করার কথা ছিল, সেই লড়াইয়ে আমরা পরাস্ত হয়েছি। এ কারণেই আজকে আমাদের মধ্য থেকে একজন জুলাইয়ের বীর শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’
মাহফুজ বলেন, ‘আমাদের হাতে ৫ আগস্টের পরে যখন এই মুজিববাদীদের, এই আওয়ামী লীগ, এই ১৪-দলীয় সন্ত্রাসীদের প্রতিটি বাড়ি চুরমার করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল, সেদিন আমরা নিজেদের সংবরণ করেছিলাম বলে আজকে তারা এ সাহস করতে পারছে। আমরা ক্ষমা করে যদি ভুল করে থাকি, তাহলে আমরা প্রতিজ্ঞা করব, আমরা আর ক্ষমা করব না।’
মাহফুজ আরও বলেন, ‘আমরা প্রথম দিকে বলেছিলাম যে, মুজিববাদের মূল উৎপাটন করতে হবে। কিন্তু মুজিববাদের শিকড় এমন গভীরে প্রোথিত বাংলাদেশে যে, একে কালচারালি, ইন্টেলেকচুয়ালি, পলিটিক্যালি সকল অর্থেই মোকাবিলা করার যে শক্তি-সামর্থ্য, এই শক্তি-সামর্থ্য অর্জনের চেষ্টা অথবা লড়াইয়ের দিকে এগোনোর চেষ্টা আমরা খুব কমই দেখেছি। এই ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার একটা উদ্যোগ। এর বাইরে আমরা খুব কমই উদ্যোগ দেখেছি।’
মাহফুজ আলম আরও বলেন, ৭২-এর সংবিধানের ভিত্তিতে যেই মুজিববাদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, যে মুজিববাদের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের লাশ ফেলা হয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদকে বজায় রাখার জন্য এখানে কালচারাল অ্যাকটিভিস্টদের থেকে শুরু করে, এখানের বুদ্ধিজীবীদের থেকে শুরু করে, শিক্ষকদের থেকে শুরু করে, আইন অঙ্গনের লোকদের সবাইকে কবজা করে ফেলা হয়েছে।
‘ভিনদেশি অ্যাসেটরা হাদিকে মারার যুক্তি উৎপাদন’ করেছে দাবি করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাকে (হাদি) যখন মারা হয়েছে, তখন সবগুলো নীরব হয়ে বসে রয়েছে। কোনো কথা নেই, সবাই নাটক করতেছে আমাদের সঙ্গে।’
সাবেক এ তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, আমরা এই দেশের ভেতরের রাজনৈতিক লড়াইকে, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে এই দেশের ভেতরে মোকাবিলা করব। আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই যে, যদি এই দেশের লড়াই দেশের বাইরে যায়, তাহলে এই দেশের মুক্তির লড়াইও এই দেশের বাইরে যাবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি সংহতি জানিয়ে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মাহফুজ বলেন, ‘আজকে বিচার চলমান আছে একদিকে, আরেক দিকে আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে এই দেশ থেকে বেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নেবেন, ভারত থেকে আপনারা বাংলাদেশে সন্ত্রাস করার উসকানি দেবেন এবং সন্ত্রাস চালাবেন; আমার ভাইয়ের ওপর গুলি চালাবেন, আমরা এটা বরদাশত করব না। এখানে, বাংলাদেশে, ভারতের ও ভিনদেশিদের যারা স্বার্থ রক্ষা করবে, তাদের নিরাপদে থাকতে দেওয়া যাবে না। আমরা যদি নিরাপদে না থাকি, এই দেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদে থাকতে পারবে না— এটা হচ্ছে বেসিক কন্ডিশন।’
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত বছর জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ হন মাহফুজ আলম। তাঁকে গণ-অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ আখ্যা দিয়েছেন ড. ইউনূস। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সম্প্রতি তিনি পদত্যাগ করেছেন।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী আমাদের যে লড়াই করার কথা ছিল, সেই লড়াইয়ে আমরা পরাস্ত হয়েছি। এ কারণেই আজকে আমাদের মধ্য থেকে একজন জুলাইয়ের বীর শরিফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।’
মাহফুজ বলেন, ‘আমাদের হাতে ৫ আগস্টের পরে যখন এই মুজিববাদীদের, এই আওয়ামী লীগ, এই ১৪-দলীয় সন্ত্রাসীদের প্রতিটি বাড়ি চুরমার করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল, সেদিন আমরা নিজেদের সংবরণ করেছিলাম বলে আজকে তারা এ সাহস করতে পারছে। আমরা ক্ষমা করে যদি ভুল করে থাকি, তাহলে আমরা প্রতিজ্ঞা করব, আমরা আর ক্ষমা করব না।’
মাহফুজ আরও বলেন, ‘আমরা প্রথম দিকে বলেছিলাম যে, মুজিববাদের মূল উৎপাটন করতে হবে। কিন্তু মুজিববাদের শিকড় এমন গভীরে প্রোথিত বাংলাদেশে যে, একে কালচারালি, ইন্টেলেকচুয়ালি, পলিটিক্যালি সকল অর্থেই মোকাবিলা করার যে শক্তি-সামর্থ্য, এই শক্তি-সামর্থ্য অর্জনের চেষ্টা অথবা লড়াইয়ের দিকে এগোনোর চেষ্টা আমরা খুব কমই দেখেছি। এই ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার একটা উদ্যোগ। এর বাইরে আমরা খুব কমই উদ্যোগ দেখেছি।’
মাহফুজ আলম আরও বলেন, ৭২-এর সংবিধানের ভিত্তিতে যেই মুজিববাদ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, যে মুজিববাদের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের লাশ ফেলা হয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদকে বজায় রাখার জন্য এখানে কালচারাল অ্যাকটিভিস্টদের থেকে শুরু করে, এখানের বুদ্ধিজীবীদের থেকে শুরু করে, শিক্ষকদের থেকে শুরু করে, আইন অঙ্গনের লোকদের সবাইকে কবজা করে ফেলা হয়েছে।
‘ভিনদেশি অ্যাসেটরা হাদিকে মারার যুক্তি উৎপাদন’ করেছে দাবি করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘তাকে (হাদি) যখন মারা হয়েছে, তখন সবগুলো নীরব হয়ে বসে রয়েছে। কোনো কথা নেই, সবাই নাটক করতেছে আমাদের সঙ্গে।’
সাবেক এ তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, আমরা এই দেশের ভেতরের রাজনৈতিক লড়াইকে, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে এই দেশের ভেতরে মোকাবিলা করব। আমরা হুঁশিয়ার করে দিতে চাই যে, যদি এই দেশের লড়াই দেশের বাইরে যায়, তাহলে এই দেশের মুক্তির লড়াইও এই দেশের বাইরে যাবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা। গতকাল বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সোনালি সংসদ মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ
২৪ জুলাই ২০২৫
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ‘অথর্ব’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির আমির এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘যার যেখানে অবদান, সেটিকে কোনোভাবেই খাটো করা সমীচীন হবে না। যার যার অবদানকে স্বীকৃতি দিলে এ দেশে জ্ঞানী ও বীরদের জন্ম হবে। আর যদি অবদানকে অস্বীকার করা হয়, জ্ঞানের আত্মহত্যা হবে এবং এ দেশে মায়ের কোলে আর কোনো বীরের জন্ম হবে না। এ জন্য আমরা আমাদের বীরদের আজীবন শ্রদ্ধা করে যাব।’
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জামায়াত আমির বলেন, ‘এখন রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। দেশকে ভুলে গিয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলকানা কোনো চিন্তা করলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে চাই না। অতীত একটি গতিশীল জাতির পরিচয় কখনো বহন করে না। আমরা নিজেদের এই জাতিকে বিভক্ত দেখতে চাই না। আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি দেখতে চাই।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘আমাদের জাতির ওপরে বাহির থেকে কেউ এসে খবরদারি করুক, আমরা এটিও চাই না। কেউ দাদাগিরি করুক, এটা আমরা বরদাশত করব না।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সরকার শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য সরকারকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমরা এটাও চাই না, তরুণ বিপ্লবীরা আহত হবে এবং মৃত্যুর দরজায় চলে যাবে। তারপরে সরকার নড়েচড়ে বসবে, এটাও আমরা চাই না। বরং এ রকম দুঃসাহস যাতে কেউ না দেখাতে পারে, এ ব্যাপারে সরকারকে তার দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে।’
হাদি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে জাতি আহত হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রধান হাদি সম্পর্কে যে বক্তব্য রেখেছেন, এই বক্তব্য আমিসহ সবাইকে আহত করেছে। এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা উনাকে দিতে হবে। জাতির মনে আপনি যে দুঃখ সৃষ্টি করেছেন, এই দুঃখ দূর করার দায়িত্ব আপনার। আপনার এই বক্তব্য জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘আজকে অনেকের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। আমরা তাদেরকে অনুরোধ করব— আপনারা পদত্যাগ নয়; বরং দায়িত্ব পালনের যোগ্য, এটা প্রমাণ করুন। যদি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে মনে রাখবেন, ৫ আগস্ট বারবার ফিরে আসবে।’
জাতি একটি স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ দেখার জন্য মুখিয়ে আছে জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘যাঁরা জাতিকে ভয়ভীতি ও বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদীদের নতুন করে তোয়াজ করে আবারও ফিরিয়ে আনতে চান, আপনারা চিহ্নিত হয়ে গেছেন। আপনারা এত দিন বর্ণচোরা ছিলেন, এখন আপনাদের রূপ প্রকাশ পেয়েছে। নিজেদের সংশোধন করুন, অনুতপ্ত হন, ক্ষমা চান এবং এই অপকর্ম থেকে বিরত থাকুন।’
বিএনপির উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের কোনো কোনো রাজনৈতিক বন্ধু সংগঠন ঘোষণা করেছে— তারা যদি ক্ষমতায় যায়, তাহলে আগামীতে সবাইকে নিয়ে দেশ গড়বে। কিন্তু, কোনো কোনো দলকে তারা নিবে না। আর আমরা যদি ক্ষমতায় যেতে পারি, তাহলে কাউকে বাদ না দিয়ে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ব। আমরা সরকারে আসার জন্য তাদেরকেও আহ্বান জানাব। আমরা চাই, সবাই তার নিজ নিজ জায়গা থেকে সর্বোচ্চ অবদান রাখুক।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘যাঁরা আমাদের সঙ্গে আসবেন, তাঁদের প্রকাশ্যে অঙ্গীকার করতে হবে যে, আপনারা নিজেরা দুর্নীতি করবেন না এবং কোনো ধরনের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবেন না। কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তি বিচার বিভাগের ওপর কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। জাতির প্রত্যাশা পূরণে সংস্কারের জন্য এ পর্যন্ত যত প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, তাঁরা এই সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সহযোগী হবেন। এই তিন বিষয়ে যাঁরা একমত হবেন, তাঁদের জন্য আমাদের দরজা খোলা থাকবে।’
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম, রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির আমির এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘যার যেখানে অবদান, সেটিকে কোনোভাবেই খাটো করা সমীচীন হবে না। যার যার অবদানকে স্বীকৃতি দিলে এ দেশে জ্ঞানী ও বীরদের জন্ম হবে। আর যদি অবদানকে অস্বীকার করা হয়, জ্ঞানের আত্মহত্যা হবে এবং এ দেশে মায়ের কোলে আর কোনো বীরের জন্ম হবে না। এ জন্য আমরা আমাদের বীরদের আজীবন শ্রদ্ধা করে যাব।’
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে জামায়াত আমির বলেন, ‘এখন রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। দেশকে ভুলে গিয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলকানা কোনো চিন্তা করলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে চাই না। অতীত একটি গতিশীল জাতির পরিচয় কখনো বহন করে না। আমরা নিজেদের এই জাতিকে বিভক্ত দেখতে চাই না। আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি দেখতে চাই।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘আমাদের জাতির ওপরে বাহির থেকে কেউ এসে খবরদারি করুক, আমরা এটিও চাই না। কেউ দাদাগিরি করুক, এটা আমরা বরদাশত করব না।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সরকার শরিফ ওসমান হাদির চিকিৎসার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য সরকারকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমরা এটাও চাই না, তরুণ বিপ্লবীরা আহত হবে এবং মৃত্যুর দরজায় চলে যাবে। তারপরে সরকার নড়েচড়ে বসবে, এটাও আমরা চাই না। বরং এ রকম দুঃসাহস যাতে কেউ না দেখাতে পারে, এ ব্যাপারে সরকারকে তার দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে।’
হাদি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে জাতি আহত হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রধান হাদি সম্পর্কে যে বক্তব্য রেখেছেন, এই বক্তব্য আমিসহ সবাইকে আহত করেছে। এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা উনাকে দিতে হবে। জাতির মনে আপনি যে দুঃখ সৃষ্টি করেছেন, এই দুঃখ দূর করার দায়িত্ব আপনার। আপনার এই বক্তব্য জাতির সামনে স্পষ্ট করতে হবে।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘আজকে অনেকের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। আমরা তাদেরকে অনুরোধ করব— আপনারা পদত্যাগ নয়; বরং দায়িত্ব পালনের যোগ্য, এটা প্রমাণ করুন। যদি প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে মনে রাখবেন, ৫ আগস্ট বারবার ফিরে আসবে।’
জাতি একটি স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ দেখার জন্য মুখিয়ে আছে জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘যাঁরা জাতিকে ভয়ভীতি ও বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদীদের নতুন করে তোয়াজ করে আবারও ফিরিয়ে আনতে চান, আপনারা চিহ্নিত হয়ে গেছেন। আপনারা এত দিন বর্ণচোরা ছিলেন, এখন আপনাদের রূপ প্রকাশ পেয়েছে। নিজেদের সংশোধন করুন, অনুতপ্ত হন, ক্ষমা চান এবং এই অপকর্ম থেকে বিরত থাকুন।’
বিএনপির উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের কোনো কোনো রাজনৈতিক বন্ধু সংগঠন ঘোষণা করেছে— তারা যদি ক্ষমতায় যায়, তাহলে আগামীতে সবাইকে নিয়ে দেশ গড়বে। কিন্তু, কোনো কোনো দলকে তারা নিবে না। আর আমরা যদি ক্ষমতায় যেতে পারি, তাহলে কাউকে বাদ না দিয়ে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ব। আমরা সরকারে আসার জন্য তাদেরকেও আহ্বান জানাব। আমরা চাই, সবাই তার নিজ নিজ জায়গা থেকে সর্বোচ্চ অবদান রাখুক।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘যাঁরা আমাদের সঙ্গে আসবেন, তাঁদের প্রকাশ্যে অঙ্গীকার করতে হবে যে, আপনারা নিজেরা দুর্নীতি করবেন না এবং কোনো ধরনের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবেন না। কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তি বিচার বিভাগের ওপর কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। জাতির প্রত্যাশা পূরণে সংস্কারের জন্য এ পর্যন্ত যত প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, তাঁরা এই সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সহযোগী হবেন। এই তিন বিষয়ে যাঁরা একমত হবেন, তাঁদের জন্য আমাদের দরজা খোলা থাকবে।’
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম, রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা। গতকাল বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সোনালি সংসদ মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ
২৪ জুলাই ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্ব
৪০ মিনিট আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ‘অথর্ব’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ‘অথর্ব’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ওসমান হাদি ভাইয়ের ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) এই দায়িত্বে থাকতে পারেন না। আমরা আশা করব, অবিলম্বে তিনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) তাঁর এই বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন। তাঁর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না, এই প্রশ্ন আমরা ছয় মাস ধরে করে যাচ্ছি।’
এনসিপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ চাই। কিন্তু এই অথর্ব নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন হওয়া সম্ভব বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নৈতিকভাবে এই দায়িত্বে থাকতে পারেন না। ৫ আগস্টের পর মামলা-বাণিজ্য করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক হয়নি।
নাহিদ বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাকে বিরোধী দল দমনে ব্যবহার করা হয়েছে। তারা গুম-খুন করেছে দক্ষতার সঙ্গে। কিন্তু এখন খুনিকে ধরতে পারে না। ডিপ-স্টেট নিয়ে কথা বলতে হবে। একাত্তর সাল থেকে প্রতিরোধ শুরু হয়েছিল, এখনো চলছে। কাল (বিজয় দিবসে) উৎসব করতে নয়, প্রতিরোধ যাত্রা করব।’
এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘ভারত যদি মনে করে, আগের মতো হস্তক্ষেপ করবে, নির্বাচনে কারচুপি করবে; সেটি আমরা ভুল প্রমাণ করব। ভারতকে এটি মাথায় রাখতে হবে। ভারতকে সাবধান থাকতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্মান ও মর্যাদার সম্পর্ক রাখতে হবে।’
সমাবেশে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘শুধু হাদির প্রয়োজনে নয়, বাংলাদেশের প্রয়োজনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ভারতের দালালদের হাতে তুলে দেব না। শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় জড়িত সব খুনিকে হস্তান্তর করতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ‘অথর্ব’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ওসমান হাদি ভাইয়ের ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে সিইসি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) এই দায়িত্বে থাকতে পারেন না। আমরা আশা করব, অবিলম্বে তিনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) তাঁর এই বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন। তাঁর অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না, এই প্রশ্ন আমরা ছয় মাস ধরে করে যাচ্ছি।’
এনসিপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ চাই। কিন্তু এই অথর্ব নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন হওয়া সম্ভব বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নৈতিকভাবে এই দায়িত্বে থাকতে পারেন না। ৫ আগস্টের পর মামলা-বাণিজ্য করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক হয়নি।
নাহিদ বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাকে বিরোধী দল দমনে ব্যবহার করা হয়েছে। তারা গুম-খুন করেছে দক্ষতার সঙ্গে। কিন্তু এখন খুনিকে ধরতে পারে না। ডিপ-স্টেট নিয়ে কথা বলতে হবে। একাত্তর সাল থেকে প্রতিরোধ শুরু হয়েছিল, এখনো চলছে। কাল (বিজয় দিবসে) উৎসব করতে নয়, প্রতিরোধ যাত্রা করব।’
এনসিপির আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘ভারত যদি মনে করে, আগের মতো হস্তক্ষেপ করবে, নির্বাচনে কারচুপি করবে; সেটি আমরা ভুল প্রমাণ করব। ভারতকে এটি মাথায় রাখতে হবে। ভারতকে সাবধান থাকতে হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্মান ও মর্যাদার সম্পর্ক রাখতে হবে।’
সমাবেশে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘শুধু হাদির প্রয়োজনে নয়, বাংলাদেশের প্রয়োজনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ভারতের দালালদের হাতে তুলে দেব না। শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় জড়িত সব খুনিকে হস্তান্তর করতে হবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা। গতকাল বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সোনালি সংসদ মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ
২৪ জুলাই ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্ব
৪০ মিনিট আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
২ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই। গণতন্ত্রের পক্ষের সাহসী সন্তান ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনা, এটা কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রের অংশ।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
একই সঙ্গে যথাসময়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিলে নিজে থেকে সব ধরনের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলারও অভয় দিয়েছেন তিনি।
দলীয় নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে প্রমাণিত হয়েছে, ২০২৪ সালে প্রমাণিত হয়েছে, ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর, ৯০-এ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন—প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে প্রমাণিত হয়েছে, জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে জনতার বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। আমি দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে, নগরে, বাজারে, মহল্লায়, অলিগলিতে, রাজপথে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিলে আমিও আপনাদের সঙ্গে থাকব।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বিজয়ের ক্ষণে আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, যারা স্বাধীনতাপ্রিয় গণতন্ত্রকামী জনগণকে ভয় দেখাতে চায়, তারা অবশ্যই ব্যর্থ হবে। ভয়ের কোনো কারণ নেই। মানুষের জয়-পরাজয়, জীবন-মৃত্যু সবকিছু আল্লাহর হাতে নির্ধারিত। আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে আমরা যদি সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকি, ষড়যন্ত্রকারীরা অবশ্যই পিছু হটতে বাধ্য হবে।’
‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কেবল একটি অভিজ্ঞতা অর্জনের নির্বাচন নয়’—এমন মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অতীতের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচন জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ। এবারের নির্বাচনের সঙ্গে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষা জড়িত। এবারের নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত আছে বাংলাদেশের স্বার্থ এবং সম্ভাবনার প্রশ্ন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সাক্ষী, কারণে-অকারণে শর্তের পর শর্ত জুড়ে দিয়ে, নানা অজুহাতে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী একটি চক্র নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে বারবার নানা রকম বিঘ্ন সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখনো চলছে ক্ষেত্রবিশেষে। সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই। গণতন্ত্রের পক্ষের সাহসী সন্তান ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনা, এটা কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রের অংশ।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যদি ব্যর্থ করা যায়, কারা তাহলে খুশি হবে? নির্বাচন ছাড়াই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বহাল রাখা গেলে কারা লাভবান হবে? দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে কাদের লাভ? এসব প্রশ্নের জবাবের মধ্যেই হাদির ঘাতকেরা লুকিয়ে আছে। স্বাধীনতাপ্রিয় গণতন্ত্রকামী জনগণের শত্রুরা ঘাপটি মেরে আছে এসব প্রশ্নের উত্তরে।’
তারেক রহমান আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেশি-বিদেশি অপশক্তি এখনো সক্রিয় রয়েছে। সময়ের সঙ্গে ষড়যন্ত্রকারীদের রূপ-রং, চেহারা হয়তো পাল্টেছে, কিন্তু চরিত্র একদমই পাল্টায়নি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘একটি দল মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে তাদের দলীয় ইতিহাসে পরিণত করেছিল। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এখন আবার মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত একটি চক্র বিজয়ের নতুন ইতিহাস রচনার অপচেষ্টা করছে। পরাজিত চক্রকে মোকাবিলায় প্রতিশোধ-প্রতিহিংসার বদলে বিজয়ের সফলতা প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বনির্ভরসমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই হোক এবারের বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।’

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই। গণতন্ত্রের পক্ষের সাহসী সন্তান ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনা, এটা কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রের অংশ।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
একই সঙ্গে যথাসময়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিলে নিজে থেকে সব ধরনের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলারও অভয় দিয়েছেন তিনি।
দলীয় নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে প্রমাণিত হয়েছে, ২০২৪ সালে প্রমাণিত হয়েছে, ১৯৭৫-এর ৭ নভেম্বর, ৯০-এ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন—প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে প্রমাণিত হয়েছে, জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে জনতার বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। আমি দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে, নগরে, বাজারে, মহল্লায়, অলিগলিতে, রাজপথে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিলে আমিও আপনাদের সঙ্গে থাকব।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বিজয়ের ক্ষণে আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, যারা স্বাধীনতাপ্রিয় গণতন্ত্রকামী জনগণকে ভয় দেখাতে চায়, তারা অবশ্যই ব্যর্থ হবে। ভয়ের কোনো কারণ নেই। মানুষের জয়-পরাজয়, জীবন-মৃত্যু সবকিছু আল্লাহর হাতে নির্ধারিত। আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে আমরা যদি সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকি, ষড়যন্ত্রকারীরা অবশ্যই পিছু হটতে বাধ্য হবে।’
‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কেবল একটি অভিজ্ঞতা অর্জনের নির্বাচন নয়’—এমন মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, অতীতের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচন জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ। এবারের নির্বাচনের সঙ্গে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষা জড়িত। এবারের নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত আছে বাংলাদেশের স্বার্থ এবং সম্ভাবনার প্রশ্ন।
তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সাক্ষী, কারণে-অকারণে শর্তের পর শর্ত জুড়ে দিয়ে, নানা অজুহাতে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী একটি চক্র নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে বারবার নানা রকম বিঘ্ন সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখনো চলছে ক্ষেত্রবিশেষে। সব বাধা পেরিয়ে শেষপর্যন্ত নির্বাচন কমিশন জনগণের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ঘোষণা করেছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই। গণতন্ত্রের পক্ষের সাহসী সন্তান ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনা, এটা কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রের অংশ।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে যদি ব্যর্থ করা যায়, কারা তাহলে খুশি হবে? নির্বাচন ছাড়াই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে বহাল রাখা গেলে কারা লাভবান হবে? দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে কাদের লাভ? এসব প্রশ্নের জবাবের মধ্যেই হাদির ঘাতকেরা লুকিয়ে আছে। স্বাধীনতাপ্রিয় গণতন্ত্রকামী জনগণের শত্রুরা ঘাপটি মেরে আছে এসব প্রশ্নের উত্তরে।’
তারেক রহমান আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে দেশি-বিদেশি অপশক্তি এখনো সক্রিয় রয়েছে। সময়ের সঙ্গে ষড়যন্ত্রকারীদের রূপ-রং, চেহারা হয়তো পাল্টেছে, কিন্তু চরিত্র একদমই পাল্টায়নি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘একটি দল মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে তাদের দলীয় ইতিহাসে পরিণত করেছিল। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এখন আবার মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত একটি চক্র বিজয়ের নতুন ইতিহাস রচনার অপচেষ্টা করছে। পরাজিত চক্রকে মোকাবিলায় প্রতিশোধ-প্রতিহিংসার বদলে বিজয়ের সফলতা প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বনির্ভরসমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই হোক এবারের বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান খোকা। গতকাল বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সোনালি সংসদ মাঠে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অনুষ
২৪ জুলাই ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য বিদায়ী তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘খুবই খুবই সংকটময় পরিস্থিতি সামনে, আমাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না। একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই। কারণ, অনেক হয়েছে, অনেক ধৈর্য হয়েছে।’ আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সর্ব
৪০ মিনিট আগে
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২৪ শুধু আমাদের ইতিহাসেরই অংশ নয়, বরং এটি আমাদের কলিজার অংশ। এই ২৪-কে সম্মান করলেই বাংলাদেশ ও জাতিকে সম্মান করা হবে। আমরা ৭১-কে যেভাবে সম্মান করব, তেমনিভাবে ২৪-কেও সম্মান করব।’
২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ‘অথর্ব’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে