নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পূজা উৎসব নিয়ে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ক্ষেত্রে কোনো ‘অপকর্ম’, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও দলীয় ‘চেতনাবিরোধী’ কর্মকাণ্ডের প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ শুক্রবার ঢাকায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
৪ অক্টোবর কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে পূজার প্রস্তুতি সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য বাহার ‘মদমুক্ত পূজা’ করার ঘোষণাসহ বেশ কিছু তির্যক মন্তব করেন। তা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; নিন্দা জানায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এর প্রতিবাদে কুমিল্লায় ঐক্য পরিষদের মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার ঘটনাও ঘটে।
আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকেরা ঘটনা নিয়ে দলের প্রতিক্রিয়া জানতে চান।
জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বিষয়টি (নিয়ে) ওয়াকিবহাল। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নিজেই অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে খোঁজখবর নিয়েছেন। আমাদের দল থেকে গোটা ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
কাদের আরও বলেন, দলের কেউ ‘অপকর্ম’ করে থাকলে, ‘অর্পিত দায়িত্ব’ পালনে ব্যর্থ হলে এবং ‘আওয়ামী লীগের শাশ্বতকালের চেতনার’ বিরুদ্ধে কোনো কাজ করে থাকলে তা অবশ্যই ‘ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের’ আওতায় পড়বে।
বিএনপির দেওয়া আলটিমেটাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি হবে ১০ ডিসেম্বরের মতো। ওই দিন তারা গিয়েছিল গোলাপবাগ গরুর হাটে, এবার কোথায় যাবে সেটা সময় বলে দেবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বেগম জিয়া দেশ চালাবেন বলে দম্ভোক্তি করেছিল বিএনপি। ১০ ডিসেম্বরের মতো ২৮ অক্টোবরও তাদের একই পরিণতি হবে। শুধু চিন্তা করছি কোথায় গিয়ে খাদে পড়বে। ১০ ডিসেম্বর গোলাপবাগের গরুর হাটের খাদে পড়েছিল, এটা কোথায় যায় সেটা দেখার অপেক্ষায়।’
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে কুমিল্লা সদর আসনের (কুমিল্লা-৬) সংসদ সদস্য বাহারের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা বাহার হিন্দু নাগরিকদের উদ্দেশে বলছেন, ‘প্রবলেম কিন্তু আমরা না, আপনারাও কিছু প্রবলেম ক্রিয়েট করেন। সারা রাত তো মদ খেয়ে নাচে, তারপর সকালবেলা... খোলামেলা কইলাম আপনাদের। এইটা বন্ধ করতে হবে আপনাদের। আমার কথা খারাপ লাগলেও আমি একটু বাস্তব কথাটা কইছি, নাকি? একজন অস্বীকার করেন যে আমার কথা মিথ্যা।’
বাহার আরও বলেন, ‘আপনারা মদমুক্ত পূজা করেন, তাইলে এত মণ্ডপ হবে না। ... এইটা এত মণ্ডপ হবে না, আমি একটা বাস্তব কথা কইলাম ভিতরেরটা কইলাম।’ এর প্রতিবাদে সভায় হইচই শুরু হয়, থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় বাহার তখন বলেন, ‘শুধুমাত্র মদ খাওয়ার জন্য আলগা আলগা ...।
‘আমরা কুমিল্লা থেকে শুরু করি যে আমরা মাদকমুক্ত পূজা করব। পূজায় তো সকল মেয়েরা ঘর থেক বাইর হয়, বের হয় না? সবাই যায় তারা যদি ফ্রি না মুভ করতে পারে, তাহলে আপনারা পূজা করে লাভটা কি? এই জন্য একটা জিনিস কন্ট্রোল করেন আপনারা, দেখবেন অনেক কিছু কন্ট্রোল হয়ে যাইব।’
পূজা উৎসব নিয়ে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ক্ষেত্রে কোনো ‘অপকর্ম’, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও দলীয় ‘চেতনাবিরোধী’ কর্মকাণ্ডের প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ শুক্রবার ঢাকায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
৪ অক্টোবর কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে পূজার প্রস্তুতি সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য বাহার ‘মদমুক্ত পূজা’ করার ঘোষণাসহ বেশ কিছু তির্যক মন্তব করেন। তা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; নিন্দা জানায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এর প্রতিবাদে কুমিল্লায় ঐক্য পরিষদের মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার ঘটনাও ঘটে।
আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকেরা ঘটনা নিয়ে দলের প্রতিক্রিয়া জানতে চান।
জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বিষয়টি (নিয়ে) ওয়াকিবহাল। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নিজেই অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে খোঁজখবর নিয়েছেন। আমাদের দল থেকে গোটা ব্যাপারটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
কাদের আরও বলেন, দলের কেউ ‘অপকর্ম’ করে থাকলে, ‘অর্পিত দায়িত্ব’ পালনে ব্যর্থ হলে এবং ‘আওয়ামী লীগের শাশ্বতকালের চেতনার’ বিরুদ্ধে কোনো কাজ করে থাকলে তা অবশ্যই ‘ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের’ আওতায় পড়বে।
বিএনপির দেওয়া আলটিমেটাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘২৮ অক্টোবর বিএনপির পরিণতি হবে ১০ ডিসেম্বরের মতো। ওই দিন তারা গিয়েছিল গোলাপবাগ গরুর হাটে, এবার কোথায় যাবে সেটা সময় বলে দেবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বেগম জিয়া দেশ চালাবেন বলে দম্ভোক্তি করেছিল বিএনপি। ১০ ডিসেম্বরের মতো ২৮ অক্টোবরও তাদের একই পরিণতি হবে। শুধু চিন্তা করছি কোথায় গিয়ে খাদে পড়বে। ১০ ডিসেম্বর গোলাপবাগের গরুর হাটের খাদে পড়েছিল, এটা কোথায় যায় সেটা দেখার অপেক্ষায়।’
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে কুমিল্লা সদর আসনের (কুমিল্লা-৬) সংসদ সদস্য বাহারের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা বাহার হিন্দু নাগরিকদের উদ্দেশে বলছেন, ‘প্রবলেম কিন্তু আমরা না, আপনারাও কিছু প্রবলেম ক্রিয়েট করেন। সারা রাত তো মদ খেয়ে নাচে, তারপর সকালবেলা... খোলামেলা কইলাম আপনাদের। এইটা বন্ধ করতে হবে আপনাদের। আমার কথা খারাপ লাগলেও আমি একটু বাস্তব কথাটা কইছি, নাকি? একজন অস্বীকার করেন যে আমার কথা মিথ্যা।’
বাহার আরও বলেন, ‘আপনারা মদমুক্ত পূজা করেন, তাইলে এত মণ্ডপ হবে না। ... এইটা এত মণ্ডপ হবে না, আমি একটা বাস্তব কথা কইলাম ভিতরেরটা কইলাম।’ এর প্রতিবাদে সভায় হইচই শুরু হয়, থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় বাহার তখন বলেন, ‘শুধুমাত্র মদ খাওয়ার জন্য আলগা আলগা ...।
‘আমরা কুমিল্লা থেকে শুরু করি যে আমরা মাদকমুক্ত পূজা করব। পূজায় তো সকল মেয়েরা ঘর থেক বাইর হয়, বের হয় না? সবাই যায় তারা যদি ফ্রি না মুভ করতে পারে, তাহলে আপনারা পূজা করে লাভটা কি? এই জন্য একটা জিনিস কন্ট্রোল করেন আপনারা, দেখবেন অনেক কিছু কন্ট্রোল হয়ে যাইব।’
নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘এখনো গণতন্ত্র নাগালের বাইরে। আমরা চাই বিশ্বাস করতে যে নির্বাচন হবে, তবে ভোট গণনার আগে পর্যন্ত তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যায়।’
২ ঘণ্টা আগেচিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আছেন স্ত্রী বিলকিস আখতার হোসেন ও ছোট ছেলে খন্দকার মারুফ হোসেন।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রস্তাবে পাঠ্যক্রম, শিক্ষানীতি, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, উচ্চশিক্ষা, ছাত্র সংসদ, মাদ্রাসা শিক্ষা, দক্ষতা, মূল্যায়ন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ এবং বিবিধ বিষয়ে মোট ৩০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেশামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। আমরা একটা অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। ইসির কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। একটি দ্বন্দ্বময়, রাজনৈতিক টালমাটাল সময় পার করছে বাংলাদেশ। আশা করি, এর মধ্যেই কমিশন নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন করবে।’
১৯ ঘণ্টা আগে