Ajker Patrika

সংস্কারের সংলাপে ডাক না পেলেও ইসির আমন্ত্রণের আশায় জাপা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ২০: ৪৬
শামীম হায়দার পাটোয়ারী। ফাইল ছবি
শামীম হায়দার পাটোয়ারী। ফাইল ছবি

সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় ডাক না পেলেও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে আমন্ত্রণ পাওয়ার আশা করছেন জাতীয় পার্টির জি এম কাদের অংশের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই আশার কথা তুলে ধরেন।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। আমরা একটা অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। ইসির কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। একটি দ্বন্দ্বময়, রাজনৈতিক টালমাটাল সময় পার করছে বাংলাদেশ। আশা করি, এর মধ্যেই কমিশন নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন করবে।’

সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরবে—এ প্রত্যাশা রেখে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, ‘সিইসির কাছে আমাদের কনসার্নগুলো জানিয়েছি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, কমিশন সুষ্ঠু ভোটের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। সীমাবদ্ধতা থাকলেও কমিশন চেষ্টার ক্রুটি রাখবে বলে আমাদের মনে হচ্ছে না।’

অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘পুরোপুরি নিরপেক্ষ’ মনে করছেন না শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তবে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ জায়গা থেকে জাপাসহ সব দলকে সংলাপে ডাকবে বলে আশা করেন তিনি।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা সরকারকে পুরোপুরি নিরপেক্ষ মনে করি না। তবে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ দেখতে চাই। সব নিবন্ধিত দলকে কমিশন ডাকবে, কথা বলবে। আমরা ইসির ক্লায়েন্ট। আমরা জনগণের প্রতিনিধি।’

জাপার এ নেতা বলেন, ইসির দায়িত্ব সব নিবন্ধিত দলকে ডাকা। তাদের কনসার্ন শোনা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। এটি খুব দুরূহ কাজ। এটি ইসিকেই করতে হবে। আর ইসিকে সরকার ও দলগুলোকে সহায়তা করতে হবে। দলগুলোর সহযোগিতা ছাড়া লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না। ইসি একা পারবে না।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে গত তিন নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে ‘অযোগ্য’ ঘোষণার দাবি উঠেছে।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শামীম হায়দার বলেন, ‘বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামী অংশ নিয়েছিল ওইসব ভোটে। স্থানীয় নির্বাচনে জামায়াতের নেতারা অংশ নিয়ে এখনো জনপ্রতিনিধি আছেন। পরে তারা জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়নি। জাতীয় পার্টিকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই। ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য কাউকে অযোগ্য ঘোষণা করা যেতে পারে না। এটা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।’

এ ধরনের দাবি প্রত্যাহার করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে বাইরে রেখে সম্প্রতি কাউন্সিল করে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ দলটির চেয়ারম্যান ও রুহুল আমিন হাওলাদার মহাসচিব নির্বাচিত হন। এরই মধ্যে জাপার এই অংশ নির্বাচন কমিশনে চিঠিও দিয়েছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পাটোয়ারী বলেন, ‘গত ২৮ জুন কাউন্সিল করাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। সে দ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সিনিয়র কিছু নেতা জি এম কাদেরকে ছাড়াই কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নেন। পরে তাঁদের রেজল্যুশনের মাধ্যমে বহিষ্কার করা হয়। ওই চিঠি চ্যালেঞ্জ করে তাঁরা মামলা করেন। তবে তাঁদের বহিষ্কার এখনো কার্যকর আছে।’

শামীম হায়দার আরও বলেন, ‘চেয়ারম্যান ছাড়া কোনো কাউন্সিল হতে পারে না। এটা গঠনতন্ত্রে রয়েছে। একটি কাউন্সিল তথাকথিতভাবে করা হয়। এটা বৈধ কাউন্সিল হতে পারে না। এগুলো বিব্রতকর। জি এম কাদের ছাড়া অন্য কারও লাঙ্গল পাওয়ার সুযোগ নেই। গঠনতন্ত্রে অন্য কারও চেয়ারম্যান হওয়ার সুযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোরপূর্বক অপুর স্বীকারোক্তি নিয়েছেন বিএনপির ইশরাক, এনসিপির ব্যবস্থা করা সংবাদ সম্মেলনে দাবি স্ত্রীর

‘মিরপুরের উইকেটের পাশে পুঁইশাক বের হচ্ছে, এত বছর হয়নি কেন’

ভোররাতে হাঁসের মাংস খেতে ৩০০ ফুটে যান আসিফ মাহমুদ, না পেয়ে যান ওয়েস্টিনে

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ভুলভাবে কথা বলেছেন: প্রেস সচিব

নীলা মার্কেটের হাঁসের মাংস নাকি ওয়েস্টিনের—কোনটি সেরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত