Ajker Patrika

দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিবারের জিম্মায় শাওন ও সাবা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮: ২৭
মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবা। ছবি: সংগৃহীত
মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবা। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটক অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবাকে ডিবি হেফাজতে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, কিছু কিছু বিষয়ে ভুল বুঝতে পেরে তাঁরা সংশোধনের সুযোগ চেয়েছেন। পরে নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, বিকেল ৪টার দিকে মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়ার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেহের আফরোজ এবং একই দিন মধ্যরাতে অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে আটক করে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। তখন ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবসময়ই সরব ছিলেন অভিনেত্রী শাওন ও সাবা। অভিনয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পোস্টের পাশাপাশি রাজনীতি নিয়েও ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট করতেন তাঁরা।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর প্রকাশ্যে আসে হোয়াটসঅ্যাপের ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের স্ক্রিনশট। অভিযোগ, এই গ্রুপে যুক্ত হয়ে শোবিজের একদল শিল্পী অবস্থান নিয়েছিলেন বিগত সরকারের (শেখ হাসিনা) পক্ষে। সেই দলে অভিনেত্রী সোহানা সাবাও ছিলেন বলে গুঞ্জন ওঠে।

এ নিয়ে শোবিজ থেকে শুরু করে সামাজিকমাধ্যমে হয় তুমুল সমালোচনা। অনেকেই আবার এই গ্রুপে থাকা শিল্পীদের বয়কট করার আহ্বানও জানান। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি সাবা।

অপরদিকে মেহের আফরোজ শাওন একাধারে অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, পরিচালক ও স্থপতি। তিনি প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী। তাঁর বাবা মোহাম্মাদ আলী ও মা তহুরা আলী। তহুরা আলী আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ছিলেন। শাওনের গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার নরুন্দিতে। গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের পক্ষে ও সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি নিয়মিত পোস্ট দিয়ে আসছিলেন।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পদত্যাগ করিনি, সরকার গঠন পর্যন্ত এনসিপির সঙ্গেই থাকব: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়কের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন—এমন গুঞ্জনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতভর সয়লাব ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এনসিপির ‘সূত্রকে’ উদ্ধৃত করে খবরও প্রকাশ করে।

তবে এনসিপি থেকে পদত্যাগের যে গুঞ্জন রটেছে, তাকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেছেন, ‘পদত্যাগের বিষয়টি গুজব। আমি এনসিপির সঙ্গেই আছি। সরকার গঠন পর্যন্ত এনসিপির সঙ্গেই থাকব।’

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে এনসিপির ঢাকা মহানগরীর সমন্বয় সভায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন—এমন গুঞ্জন গতকাল রাতে ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে দাবি করা হয়, তিনি দলের মুখ্য সমন্বয়কের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে এরই মধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এসব প্রতিবেদনে এনসিপির ‘একটি সূত্র’-কেও উদ্ধৃত করা হয়।

এরপর রাত ২টার দিকে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে নাসীরুদ্দীনের পদত্যাগের খবরের সত্যতা অস্বীকার করা হয়।

তাতে বলা হয়, ‘নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আমাদের সঙ্গেই আছেন। তিনি কিছুদিন আগেও নির্বাচন কমিশনে পার্টি নিবন্ধনসংক্রান্ত কাজে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে তিনি বিভিন্ন উইংয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর পদত্যাগের বিষয়টি কিংবা দল থেকে অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।’

পদত্যাগের গুঞ্জনের বিষয়ে নাসীরুদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতের মধ্যে একটা গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ধরনের অপসাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। অনেকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নামে ভুল জায়গায় মিসাইল ছুড়ে থাকে। সত্যিকার অর্থে, আমাদের যেটা প্রয়োজন, আগের আমলে দুর্নীতির যে ধারাবাহিকতা ছিল, বর্তমানেও সচিবালয় থেকে শুরু করে আমলাতন্ত্র—সবাই মিলে একই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। কোথায় দুর্নীতি হচ্ছে, মিলিটারি-পুলিশে যে সংস্কারগুলো রয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের যে রিপোর্ট এসেছে, সেখানে কোথায় ব্যত্যয় হয়েছে, সেগুলো নিয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করা উচিত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাষ্ট্রপতিকে বিশ্বাস করি না, প্রধান উপদেষ্টাকেই আদেশ জারি করতে হবে: এ টি এম মাসুম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ শুক্রবার রাজধানীর রামপুরায় একরামুন্নেসা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ শুক্রবার রাজধানীর রামপুরায় একরামুন্নেসা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম বলেছেন, ‘জুলাই সনদ শুধু স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, প্রধান উপদেষ্টাকে এর জন্য একটি আদেশ জারি করতে হবে। সাধারণত বাংলাদেশের আইনে প্রেসিডেন্ট আদেশ জারি করেন। আইনের যদি কোনো সুযোগ থাকে, তাহলে আমরা বলতে চাই, প্রধান উপদেষ্টাকেই সেই সুযোগ নিয়ে আদেশ জারি করতে হবে। কারণ, প্রেসিডেন্টকে আমরা বিশ্বাস করি না, এটা হাসিনার নিয়োগ করা প্রেসিডেন্ট। তাঁর কোনো আদেশ আমরা মানি না।’

আজ শুক্রবার রাজধানীর রামপুরায় একরামুন্নেসা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের রামপুরা থানা শাখা আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন, সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত, ফ্যাসিস্ট সরকারের গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমানসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজন করা হয় সমাবেশটি।

এ টি এম মাসুম বলেন, ‘আমরা বলেছি, নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্পন্ন করতে হবে। একটা বড় দল একসঙ্গে নির্বাচনের দিন গণভোট ও নির্বাচন করতে চায়, তারা মনে হয় যেন অতীত ভুলে গেছে। বাংলাদেশে একটি জাতীয় নির্বাচন হলে সকাল ৮টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইলেকশন চলে। তাহলে একটা কাজ যদি এত সময় যায়, গণভোটও যদি একই দিনে করে, তাহলে কি এক দিনে নির্বাচন হবে? এখানে একটা গোলযোগ তৈরি হবে। প্রার্থীরা তাদের পাস করার জন্য থাকবে, গণভোট নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা থাকবে না। ফলে গণভোট এ দেশের জনগণের যে চাওয়া-পাওয়া, সেটা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীর অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাসুম বলেন, ‘বর্তমান সভ্যতা নারীদের পুরুষ বানিয়ে স্বাধীনতা দিয়েছে। ইসলাম নারীদের নারী রেখে যে স্বাধীনতা দিয়েছে, ওটাই সম্মানজনক। আমরা বিষয়টি সামনে বিবেচনায় রাখব। নারীদের আমরা মর্যাদার সর্বোচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করব। তাদের জন্য সবকিছুই শালীনতা বজায় রেখে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করব।’ জামায়াত ইসলামী ক্ষমতায় গেলে দেশে অমুসলিমদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত হবে বলেও জানান তিনি।

এ ছাড়া জামায়াত ক্ষমতায় গেলে আইন সংস্কার করার প্রতিশ্রুতিও দেন এ নেতা। তিনি বলেন, ‘এখনো ব্রিটিশ আমলের পুরোনো আইনের ভিত্তিতে চলছে বাংলাদেশ। রাষ্ট্র, সংবিধান, বিভিন্ন আইনকানুনকে একটি স্বাধীন দেশের উপযোগী করে আমরা রচনা করব এবং সেভাবে আমরা ভূমিকা পালন করব।’

জামায়াতের রামপুরা থানা উত্তরের আমির ফজলে আহমেদ ফজলুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মো. নাজিম উদ্দিন মোল্লা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নাসীর পাটওয়ারীর পদত্যাগের গুঞ্জন, ‘সঠিক নয়’ বলছে এনসিপি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৮: ৫১
এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পদত্যাগ নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। কয়েকটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, তিনি দলের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে ইতিমধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এসব প্রতিবেদনে এনসিপির ‘একটি সূত্রের’ বরাতও দেওয়া হয়।

তবে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সংবাদের সত্যতা অস্বীকার করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আমাদের সাথেই আছেন। তিনি কিছুদিন আগেও নির্বাচন কমিশনে পার্টি নিবন্ধন-সংক্রান্ত কাজে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে তিনি বিভিন্ন উইংয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। তার পদত্যাগের বিষয়টি কিংবা দল থেকে অব্যাহতি নেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।’

এর আগে রাতেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে যে দুই সপ্তাহ আগে এনসিপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন পাটওয়ারী। যদিও দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখনো সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেনি।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পদসংক্রান্ত জটিলতার কারণেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি দলে এসে নির্বাচন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নিতে আগ্রহী। বর্তমানে ওই পদে আছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। আসিফের এই প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনানুষ্ঠানিক সমর্থন থাকায় নাসীরুদ্দীন মনঃক্ষুণ্ন হয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাপা ও আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না: জি এম কাদের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ২৫
জি এম কাদের। ফাইল ছবি
জি এম কাদের। ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টি ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কাকরাইলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন জি এম কাদের।

আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়াতকে নিয়ে এ সরকার নির্বাচন করার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘এখন নির্বাচন করতে গেলে কী হবে? কোনো নির্বাচন হবে না। যে নির্বাচনের জন্য আমরা শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিবাদ বলি, তাঁর বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিয়েছিলাম। এই সরকার একই কাজ করছে এবং মনে হয়, একটা ঐকমত্য কমিশন করেছে। যেখানে দেশের অর্ধেক লোককে বাদ দিয়ে ঐক্য করার চেষ্টা চলছে।’

আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বাদ দিতে পারে না বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে বাদ দিতে হলে তাদের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করতে হবে। যারা খারাপ করেছে, তাদেরকে বাদ দিতে পারেন। কিন্তু দলকে কীভাবে বাদ দিতে পারেন বিচার ছাড়া?’

সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বললে জাপাকে নানা রকম ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে দাবি করেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, দেশের মানুষ তাদেরকে ক্ষমা করবে না। শেখ হাসিনাকে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান সমর্থন দিয়েছিল। সমস্ত প্রতিষ্ঠান নিজের কবজায় করেও রাখতে পারেনি। দেশের মানুষ তাদেরকে লাথি দিয়ে ফেলে দিয়েছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ না দাবি করে জি এম কাদের বলেন, তাদের একটা দল আছে। এই সরকার দেশে গৃহযুদ্ধ বাধাতে চায় দাবি করে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে কখনো এত খারাপ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল না।

জাতীয় পার্টির নিষিদ্ধের দাবিতে জামায়াতের চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, তারা বলছে, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি হলো মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। জাতীয় পার্টি থাকলে তো তারা থার্ড পার্টি হতে পারবে না। সেই কারণে জাতীয় পার্টিকে বাদ দেওয়ার কথা বলছে।

বাংলাদেশে আজ গভীর সংকটে দাবি করে জি এম কাদের বলেন, আজকে দেশে কোনো বিনিয়োগ হচ্ছে না। যাঁরা ছোটখাটো ব্যবসা করতেন, সেটাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ বেকার হচ্ছেন।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো এত খারাপ ছিল না বলেও মন্তব্য করেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘কোনো কিছুর নিরাপত্তা নেই। মানুষের জীবনের যেমন নিরাপত্তা নেই, তেমনি বাড়িঘর, ব্যবসা-বাণিজ্য কোনো কিছুর নিরাপত্তা নেই। মানুষের বাড়িঘর লুটপাট করে নিচ্ছে। মহিলাদের অসম্মান করা হচ্ছে। আমরা যা খবর পাচ্ছি, প্রতিদিন খুন হচ্ছে মানুষ।’

দেশ দুর্ভিক্ষের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলেও দাবি করেন জাপার এ নেতা। তিনি বলেন, টিসিবির ট্রাকে যতজনের মালামাল থাকে, তারচেয়ে ১০ গুণ বেশি মানুষ সেখানে বসে থাকছেন।

জাপা মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, জাতীয় ঐকমত্যের অভাব দেশে বিভাজন তৈরি করছে। বর্তমান সরকার আগামী নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তাদের দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে শামীম হায়দার পাটোয়ারী আরও বলেন, সুষ্ঠু ভোটের জন্য দরকার নির্দলীয় বা সর্বদলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

এ সময় জাতীয় পার্টিকে ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহতের ঘোষণা দেন মহাসচিব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত