নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, নির্বাচন ভারতীয় অ্যাজেন্ডা—এই কথা বলে জনগণের ঐক্যে ফাটল ধরানো ভারতের পারপাসকে সার্ভ করবে। ভারতের আধিপত্য কিংবা তার সহযোগী আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট নেতৃত্ব যারা স্টিমরোলার চালিয়েছে, তাদের পুনর্বাসন করার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
আজ রোববার (১ জুন) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রথম নির্বাহী সমন্বয়কারী আবদুস সালামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ‘অবিলম্বে বিচার-সংস্কার-নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করো’ শীর্ষক আলোচনা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আরেকটি সমস্যা দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে তার নিজের প্রয়োজনে নির্বাচন দরকার। ভারতের কোনো মিডিয়া, কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বাংলাদেশের নির্বাচন চাইল। এ দেশের নির্বাচনের দাবি করা ভারতের ইচ্ছা অনুযায়ী হচ্ছে বলে অনেকের মনে করা, এই ধরনের প্রচার করা অত্যন্ত বিপজ্জনক।’
তাঁর ভাষ্য, ভারতীয় পৃষ্ঠপোষকতায়, তাদের সহায়তায়, তাদের আধিপত্যের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে একটা ফ্যাসিস্ট শাসন চালিয়েছে, তার বিরুদ্ধে একটা ঐক্য গড়ে উঠেছে দেশে। সেই ঐক্য দেশে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে কাজ করবে। যেখানে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
দেশের সংস্কার ও অন্যান্য স্থিতিশীলতার জন্যই এখন নির্বাচনের রোডম্যাপ সুনির্দিষ্ট হওয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি। জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ, তারিখ সুনির্দিষ্ট হওয়া জরুরি। অর্থনীতিসহ দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতার জন্য এটা দরকার। এই কাজটা কেন করছেন না এটা বোধগম্য হচ্ছে না। এই বোধগম্য না হওয়ার মধ্যেই অনাস্থার জায়গা। সুতরাং সরকারের কর্তব্য দূরত্ব ও অনাস্থাকে জিইয়ে রাখা নয়। এটাকে কমিয়ে নিয়ে আসা। একটা সুস্পষ্ট জায়গায় দাঁড়ানো।’
তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চাইবে। এটাই তো স্বাভাবিক। এর মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা নেই। নির্বাচন চাওয়া কি অপরাধ?
সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আপনারা জুন মাসে নির্বাচনের কথা বলছেন। আপনারা কি ব্যাখ্যা করেছেন, ডিসেম্বরের বাইরে কেন এত সময় লাগবে? এখনো পর্যন্ত আপনারা পরিষ্কার কোনো কথা বলেননি। যদি আলাপ-আলোচনা করি, তাহলে সময় নিয়ে এই যে অচলাবস্থা দাঁড়িয়েছে, সেই সংকট সমাধান করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে বলব যে সমস্ত কারণে অন্তর্বর্তী সরকার বিতর্কিত হচ্ছেন। যেসব উপদেষ্টার কারণে; সরকারের উচিত হবে তার নিরপেক্ষ চরিত্রকে নিশ্চিত করার জন্য তারা তাদের প্রয়োজনবোধে বাদ দিয়ে উপদেষ্টামণ্ডলী পুনর্গঠন করবেন। এই উপদেষ্টামণ্ডলী নিয়ে আগামী নির্বাচনে যাওয়া যাবে কি না, এটা নিয়ে কারও কারও মনে আপত্তি আছে, সংশয় আছে।’
স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, নির্বাচন ভারতীয় অ্যাজেন্ডা—এই কথা বলে জনগণের ঐক্যে ফাটল ধরানো ভারতের পারপাসকে সার্ভ করবে। ভারতের আধিপত্য কিংবা তার সহযোগী আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট নেতৃত্ব যারা স্টিমরোলার চালিয়েছে, তাদের পুনর্বাসন করার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
আজ রোববার (১ জুন) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রথম নির্বাহী সমন্বয়কারী আবদুস সালামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ‘অবিলম্বে বিচার-সংস্কার-নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করো’ শীর্ষক আলোচনা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আরেকটি সমস্যা দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে তার নিজের প্রয়োজনে নির্বাচন দরকার। ভারতের কোনো মিডিয়া, কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বাংলাদেশের নির্বাচন চাইল। এ দেশের নির্বাচনের দাবি করা ভারতের ইচ্ছা অনুযায়ী হচ্ছে বলে অনেকের মনে করা, এই ধরনের প্রচার করা অত্যন্ত বিপজ্জনক।’
তাঁর ভাষ্য, ভারতীয় পৃষ্ঠপোষকতায়, তাদের সহায়তায়, তাদের আধিপত্যের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে একটা ফ্যাসিস্ট শাসন চালিয়েছে, তার বিরুদ্ধে একটা ঐক্য গড়ে উঠেছে দেশে। সেই ঐক্য দেশে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে কাজ করবে। যেখানে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
দেশের সংস্কার ও অন্যান্য স্থিতিশীলতার জন্যই এখন নির্বাচনের রোডম্যাপ সুনির্দিষ্ট হওয়া জরুরি বলে মনে করেন তিনি। জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ, তারিখ সুনির্দিষ্ট হওয়া জরুরি। অর্থনীতিসহ দেশের সামগ্রিক স্থিতিশীলতার জন্য এটা দরকার। এই কাজটা কেন করছেন না এটা বোধগম্য হচ্ছে না। এই বোধগম্য না হওয়ার মধ্যেই অনাস্থার জায়গা। সুতরাং সরকারের কর্তব্য দূরত্ব ও অনাস্থাকে জিইয়ে রাখা নয়। এটাকে কমিয়ে নিয়ে আসা। একটা সুস্পষ্ট জায়গায় দাঁড়ানো।’
তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চাইবে। এটাই তো স্বাভাবিক। এর মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা নেই। নির্বাচন চাওয়া কি অপরাধ?
সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আপনারা জুন মাসে নির্বাচনের কথা বলছেন। আপনারা কি ব্যাখ্যা করেছেন, ডিসেম্বরের বাইরে কেন এত সময় লাগবে? এখনো পর্যন্ত আপনারা পরিষ্কার কোনো কথা বলেননি। যদি আলাপ-আলোচনা করি, তাহলে সময় নিয়ে এই যে অচলাবস্থা দাঁড়িয়েছে, সেই সংকট সমাধান করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারকে বলব যে সমস্ত কারণে অন্তর্বর্তী সরকার বিতর্কিত হচ্ছেন। যেসব উপদেষ্টার কারণে; সরকারের উচিত হবে তার নিরপেক্ষ চরিত্রকে নিশ্চিত করার জন্য তারা তাদের প্রয়োজনবোধে বাদ দিয়ে উপদেষ্টামণ্ডলী পুনর্গঠন করবেন। এই উপদেষ্টামণ্ডলী নিয়ে আগামী নির্বাচনে যাওয়া যাবে কি না, এটা নিয়ে কারও কারও মনে আপত্তি আছে, সংশয় আছে।’
স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘অনেকে বলে, হুজুর, আওয়ামী লীগও চাঁদাবাজ, বিএনপিও চাঁদাবাজ—পার্থক্যটা কী? এই দুইটার মধ্যে পার্থক্য হলো, একটা ছ্যাঁচড়া চাঁদাবাজ, আরেকটা শাহি চাঁদাবাজ। আওয়ামী লীগ লুটপাট করেছে হাজার হাজার শত শত কোটি। এরা হলো শাহি চোর...
২৩ মিনিট আগেবিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে জামায়াতে ইসলামীর ‘জন্মদাতা’ আখ্যা দিয়েছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা। তাঁর এই বিস্ফোরক মন্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
৩১ মিনিট আগেনিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের ৪২১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও কয়েকটি দাবিতে প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার (২০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার বরাবর এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগে‘স্বাধীনতাযুদ্ধে যেমন আমাদের রক্ত রয়েছে, জীবনদান রয়েছে, শ্রম রয়েছে, তেমনি আন্দোলনেও আমাদের রক্তদান, শ্রম ও কষ্ট রয়েছে। এখন আওয়ামী লীগ নেই। এরপর বিএনপিও থাকবে না, তাহলে কি একাত্তরের রাজাকারেরা দেশ চালাবে। এটা আমরা বেঁচে থাকতে মেনে নেব না।’
৩ ঘণ্টা আগে