Ajker Patrika

ইউনূসকে নিয়ে বিশ্বনেতাদের চিঠি আইনের শাসনের জন্য হুমকি: ১৪ দল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২৩, ২৩: ০৩
ইউনূসকে নিয়ে বিশ্বনেতাদের চিঠি আইনের শাসনের জন্য হুমকি: ১৪ দল

ড. ইউনূসকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ১৬০ বিশ্বনেতার খোলা চিঠিকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হুমকিস্বরূপ বলে অভিহিত করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। তারা বলছে, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। এ দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন দ্বারা সব ধরনের বৈচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। যেকোনো বৈচারিক কার্যক্রমকে ব্যবহার করার এ ধরনের অপতৎপরতা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী। 

আজ বুধবার ১৪ দলীয় জোটের পক্ষে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দ্বারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আইনের অর্থ গ্রহণের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সেই সাংবিধানিক অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করে চলমান বৈচারিক কার্যক্রম বন্ধের প্রস্তাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের স্বেচ্ছাচারিতাপূর্ণ দাবি আদালত অবমাননার শামিল। 

কেন্দ্রীয় ১৪ দল বিশ্বাস করে, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত বা নির্যাতিত কোনো ব্যক্তির ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ রুদ্ধ করার দাবি উত্থাপন করতে পারে না। আর কোনো বিদেশি ব্যক্তিবর্গের পক্ষ থেকে বিচারাধীন কোনো মামলার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবি বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপই নয়, একই সঙ্গে একটি স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্বের ওপরও আঘাত বলে মনে করে ১৪ দল। 

১৪ দল বলছে, আইনের শাসনের নীতি অনুযায়ী আইনের চোখে সবাই সমান। সে ক্ষেত্রে কারও রাজনৈতিক বা সামাজিক পরিচয় বিবেচ্য বিষয় নয়। কেউ কোনো অপরাধ করলে তাকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। ফৌজদারি আইন দেশের সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নোবেল পুরস্কার পেলেই কেউ আইন-আদালতের ঊর্ধ্বে চলে যায় না। 

দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী ড. ইউনূস আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার ভোগ করছেন আইনজীবী নিয়োগ করে জামিন নিয়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছেন। এই মামলার সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগসূত্র নেই। 

১৪ দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়া গোষ্ঠীতন্ত্র ও ভূরাজনৈতিক স্বার্থে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বন্ধ করতে বিবৃতি প্রদান বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী, প্রগতিশীল, সচেতন নাগরিক সমাজকে গভীরভাবে হতাশ করেছে। প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিক বিশ্বাস করে, শুধু ড. ইউনূস নয় যে কোনো ব্যক্তি কর্তৃক ক্ষতির ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার লাভের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

শেখ হাসিনা এ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির পরিবর্তে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলে মনে করে ১৪ দল। তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, সংবিধান, আইন ও বিচারব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত বা প্রভাব বিস্তার করে এমন ধরনের বিবৃতি কিংবা তৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবির সিন্ডিকেটে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের চূড়ান্ত অনুমোদন

শ্বশুরকে জামাতার ফোন: ‘আপনার মেয়েকে মাইরা ফেলছি, লাশ নিয়ে যান’

টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ দিতে ব্যর্থ দুদক: আইনজীবী

স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে গেলেন ইমামতি করতে

ঐতিহাসিক শিমলা চুক্তি বাতিল করল পাকিস্তান, এর প্রভাব কী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত