নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক) বলেছেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক সরকার জনগণের সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল নয়। তারা আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের একটি শব্দ খুব পরিচিত তা হলো ইম্পোর্টেড সরকার। এখন আমাদের সরকার কি ইম্পোর্টেড নাকি স্পন্সার্ড তা আমরা জানি না। আমরা আমাদের সরকার চাই।’
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে যুব জাগপার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, ‘রাজনীতিতে আমরা গৃহপালিত বিরোধী দল ও জাতীয় বেইমান চাই না। আমরা কোনো প্রতিবেশী দেশের সিদ্ধান্ত মানতে চাই না। আমরা জনগণের সিদ্ধান্তে চলতে চাই।’
গত ১৪ বছর ধরে এই সরকার ভেবে কাজ করছে না বরং কাজ করে ভাবছে বলে মন্তব্য করেছেন সৈয়দ ইবরাহিম। যারা রাজনৈতিক অঙ্গনে সরকার হয়ে বসে আছে তাদের শিকড় গভীরে পতিত হয়েছে। তাদের ডালপালা সমাজের সর্ব অঙ্গনে প্রসারিত হয়েছে। এই গভীর শিকড়সম্পন্ন গাছটিকে উৎখাত করতে হলে সুচিন্তিত পরিকল্পনার প্রয়োজন। তার জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আগ্রহী সব দলের সঙ্গে মতবিনিময় করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কাউকে বাদ দিয়ে এ সংগ্রাম সফল হবে না উল্লেখ করে সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, এই মতবিনিময়টি চিন্তার অংশ, চিন্তার প্রকাশ হবে মতে। এই মতে মানুষের মধ্যে সহমত হতে পারে, দ্বিমত হতে পারে, কিন্তু সবার লক্ষ্যবস্তু অর্জনে সবার সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে।
সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, ‘যেই অনুভূতি নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলাম সেই অনুভূতি থেকে অনেক দূরে সরে আসছি আমরা। সেই লক্ষ্য আমাদের উদ্ধার করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে দলীয় স্বার্থ নয় বরং জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। জাতীয় স্বার্থ হলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার। বর্তমান সরকার আমদানি সরকার কি না, তা আমরা জানি না। জনগণের অধিকার আদায় ও বর্তমান রাজনৈতিক সরকারের অপসারণে আন্দোলন করতে বিরোধী দলগুলোর সবার সঙ্গে সমন্বয় করে এ আন্দোলন পরিচালনা করতে হবে।’
সৈয়দ ইবরাহিম আরও বলেন, সরকার তাদের প্রয়োজনে ক্ষমতার সব বাহনকে কুক্ষিগত ও সুসংহত করেছে। ২০১৪-এর চেয়ে ২০২২-এর রাজনৈতিক সরকার অনেক বেশি সুসংহত। কিন্তু বিরোধীরা তত বেশি সুসংগঠিত নয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যগুলো চরমভাবে প্রণিধানযোগ্য। দেশে আবার মামলার স্রোত শুরু হয়েছে গত ২০ আগস্ট থেকে।
জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের যা অবস্থা এই জালেম সরকারকে হটানোর কোনো বিকল্প নেই। তাই সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং সরকারকে যেকোনো মূল্যে রাজপথ থেকে বিতাড়িত করা হবে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ ঐক্যবদ্ধ হোন।’
আলোচনা সভায় যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিমা প্রধান, জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুল হালিম, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, রাশেদ প্রধানসহ আরও অনেকে।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক) বলেছেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক সরকার জনগণের সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল নয়। তারা আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশের একটি শব্দ খুব পরিচিত তা হলো ইম্পোর্টেড সরকার। এখন আমাদের সরকার কি ইম্পোর্টেড নাকি স্পন্সার্ড তা আমরা জানি না। আমরা আমাদের সরকার চাই।’
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে যুব জাগপার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, ‘রাজনীতিতে আমরা গৃহপালিত বিরোধী দল ও জাতীয় বেইমান চাই না। আমরা কোনো প্রতিবেশী দেশের সিদ্ধান্ত মানতে চাই না। আমরা জনগণের সিদ্ধান্তে চলতে চাই।’
গত ১৪ বছর ধরে এই সরকার ভেবে কাজ করছে না বরং কাজ করে ভাবছে বলে মন্তব্য করেছেন সৈয়দ ইবরাহিম। যারা রাজনৈতিক অঙ্গনে সরকার হয়ে বসে আছে তাদের শিকড় গভীরে পতিত হয়েছে। তাদের ডালপালা সমাজের সর্ব অঙ্গনে প্রসারিত হয়েছে। এই গভীর শিকড়সম্পন্ন গাছটিকে উৎখাত করতে হলে সুচিন্তিত পরিকল্পনার প্রয়োজন। তার জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আগ্রহী সব দলের সঙ্গে মতবিনিময় করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কাউকে বাদ দিয়ে এ সংগ্রাম সফল হবে না উল্লেখ করে সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, এই মতবিনিময়টি চিন্তার অংশ, চিন্তার প্রকাশ হবে মতে। এই মতে মানুষের মধ্যে সহমত হতে পারে, দ্বিমত হতে পারে, কিন্তু সবার লক্ষ্যবস্তু অর্জনে সবার সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে।
সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, ‘যেই অনুভূতি নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলাম সেই অনুভূতি থেকে অনেক দূরে সরে আসছি আমরা। সেই লক্ষ্য আমাদের উদ্ধার করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে দলীয় স্বার্থ নয় বরং জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। জাতীয় স্বার্থ হলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার। বর্তমান সরকার আমদানি সরকার কি না, তা আমরা জানি না। জনগণের অধিকার আদায় ও বর্তমান রাজনৈতিক সরকারের অপসারণে আন্দোলন করতে বিরোধী দলগুলোর সবার সঙ্গে সমন্বয় করে এ আন্দোলন পরিচালনা করতে হবে।’
সৈয়দ ইবরাহিম আরও বলেন, সরকার তাদের প্রয়োজনে ক্ষমতার সব বাহনকে কুক্ষিগত ও সুসংহত করেছে। ২০১৪-এর চেয়ে ২০২২-এর রাজনৈতিক সরকার অনেক বেশি সুসংহত। কিন্তু বিরোধীরা তত বেশি সুসংগঠিত নয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যগুলো চরমভাবে প্রণিধানযোগ্য। দেশে আবার মামলার স্রোত শুরু হয়েছে গত ২০ আগস্ট থেকে।
জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের যা অবস্থা এই জালেম সরকারকে হটানোর কোনো বিকল্প নেই। তাই সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং সরকারকে যেকোনো মূল্যে রাজপথ থেকে বিতাড়িত করা হবে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ ঐক্যবদ্ধ হোন।’
আলোচনা সভায় যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিমা প্রধান, জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুল হালিম, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, রাশেদ প্রধানসহ আরও অনেকে।
মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশ, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা তৈরি করে যুদ্ধ বাধানোর চক্রান্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার সহযোগী ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তায় জড়িত...
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজের অগ্রগতি এখনো স্পষ্ট নয় বলে দাবি করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে দলটির পক্ষ থেকে সম্পূরক সংস্কার প্রস্তাবনা হস্তান্তর শেষে এ মন্তব্য করেন দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
৬ ঘণ্টা আগেঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের কারণেই আজও বাংলাদেশ ভারত থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এই অভিযোগ করেন।
৬ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কিছু প্রস্তাব মানা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জিং মন্তব্য করে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, ‘প্রতিবেদনের কিছু বিষয় রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জিং। সেগুলোতে ঐকমত্য পৌঁছানো খুব দুরূহ ব্যাপার। সেগুলো বিরোধাত্মক অনেকটা রাজনৈতিক...
৭ ঘণ্টা আগে