নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘আজ বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নাই, এটা আমরা সবাই জানি। এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ‘কাগমারী সম্মেলন’ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন—জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল ইসলাম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের বাবুল বিশ্বাস, রাজু আহমেদ খান, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমানসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘কথার কারচুপি করে কোনো লাভ নেই। বাংলাদেশের প্রধান নির্মাতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। ভাসানী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন, বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন, বাংলাদেশ তৈরি করেছেন। যখন শেখ মুজিব ৬ দফার আন্দোলন নিয়ে অন্ধকার গলিতে পথ হেঁটে বেড়াচ্ছেন তখনই মওলানা ভাসানী বলেছেন রাস্তা একটাই আর সেটা হলো স্বাধীনতা। ৭ মার্চ নয় ৮ ফেব্রুয়ারি আমাদের জীবনের, আমাদের সংগ্রামের শুরু, মওলানা ভাসানী সে কথাটা আমাদের বলেছিলেন।
‘নকল নির্মাতা দেশকে ঘিরে ধরেছে। আমাদের সাবধান থাকতে হবে। ঐক্যের প্রয়োজনে সবাইকে একত্রিত হতে হবে। অবশ্যই আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে। সবাইকে সম্মিলিত আন্দোলন করতে হবে। মওলানা ভাসানীর দেখানো পথে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। মওলানা ভাসানী জাতিকে নির্মাণ করেছেন। তাই তাঁকে শ্রদ্ধা করতে হবে। তাঁকে সম্মান করা না হলে অন্যায় ও গুনাহ করা হবে। শাসনের সঙ্গে সুশাসন জড়িত, এটা ছাড়া হবে না। সরকার যে কায়দা কানুন করছে নির্বাচনের খেলার, এরই মধ্যে তা প্রমাণ হয়ে গেছে।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসক বেশি দিন টিকে নাই। পারভেজ মোশারফ মারা গেছেন। আমরা চাই আপনি বেঁচে থাকেন এবং বিচারের সম্মুখীন হন। রাস্তায় আপনার পাশেই থাকব। আপনার প্রতি কোনো অন্যায় হতে দেব না। আপনি আজকে খালেদা জিয়ার প্রতি অন্যায় করছেন। সেই অন্যায় যেন রিপিট না হয়।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘মওলানা ভাসানী ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মহামিলন করেছিলেন। বিভিন্ন নামে ৫০টি গেট করেছিলেন। সম্মেলনে একপাশে সোহরাওয়ার্দী আরেক পাশে শেখ মুজিব বসা ছিলেন। সেখান থেকে মওলনা ভাসানী পাকিস্তান সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘‘তোমার পূর্ব পাকিস্তানের ওপর যে জুলুম করেছো তার জন্য তোমাদেরকে অলাইকুম সালাম‘‘ সেদিনের মওলনার বক্তব্যে প্রথম সরাসরি পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের শব্দ বীজ স্থাপন করেন।’ তিনি আরও বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন বাংলাদেশসহ সারা বিশের মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের নেতা। তিনি পাকিস্তান সরকারের নিষিদ্ধ রবীন্দ্র সংগীত পরবর্তীতে জাতীয় সংগীত সে সময় সমাবেশে পরিবেশনের সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। মওলনা ভাসানী ভাষা আন্দোলনের মূল নেতৃত্ব দেন। অথচ বর্তমান সরকার ইতিহাস বিকৃতি করে পাঠ্য বইয়ে মিথ্যা মনগড়া ইতিহাস রচনা প্রকাশ করছে। শত বছর পরে হলেও মওলনা ভাসানীর বাংলাদেশ সৃষ্টির ও অবদানের সঠিক মূল্যায়ন ইতিহাস প্রকাশিত হবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘আজ বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নাই, এটা আমরা সবাই জানি। এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’
আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ‘কাগমারী সম্মেলন’ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন—জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল ইসলাম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের বাবুল বিশ্বাস, রাজু আহমেদ খান, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমানসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘কথার কারচুপি করে কোনো লাভ নেই। বাংলাদেশের প্রধান নির্মাতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। ভাসানী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন, বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন, বাংলাদেশ তৈরি করেছেন। যখন শেখ মুজিব ৬ দফার আন্দোলন নিয়ে অন্ধকার গলিতে পথ হেঁটে বেড়াচ্ছেন তখনই মওলানা ভাসানী বলেছেন রাস্তা একটাই আর সেটা হলো স্বাধীনতা। ৭ মার্চ নয় ৮ ফেব্রুয়ারি আমাদের জীবনের, আমাদের সংগ্রামের শুরু, মওলানা ভাসানী সে কথাটা আমাদের বলেছিলেন।
‘নকল নির্মাতা দেশকে ঘিরে ধরেছে। আমাদের সাবধান থাকতে হবে। ঐক্যের প্রয়োজনে সবাইকে একত্রিত হতে হবে। অবশ্যই আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে। সবাইকে সম্মিলিত আন্দোলন করতে হবে। মওলানা ভাসানীর দেখানো পথে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। মওলানা ভাসানী জাতিকে নির্মাণ করেছেন। তাই তাঁকে শ্রদ্ধা করতে হবে। তাঁকে সম্মান করা না হলে অন্যায় ও গুনাহ করা হবে। শাসনের সঙ্গে সুশাসন জড়িত, এটা ছাড়া হবে না। সরকার যে কায়দা কানুন করছে নির্বাচনের খেলার, এরই মধ্যে তা প্রমাণ হয়ে গেছে।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো স্বৈরশাসক বেশি দিন টিকে নাই। পারভেজ মোশারফ মারা গেছেন। আমরা চাই আপনি বেঁচে থাকেন এবং বিচারের সম্মুখীন হন। রাস্তায় আপনার পাশেই থাকব। আপনার প্রতি কোনো অন্যায় হতে দেব না। আপনি আজকে খালেদা জিয়ার প্রতি অন্যায় করছেন। সেই অন্যায় যেন রিপিট না হয়।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘মওলানা ভাসানী ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মহামিলন করেছিলেন। বিভিন্ন নামে ৫০টি গেট করেছিলেন। সম্মেলনে একপাশে সোহরাওয়ার্দী আরেক পাশে শেখ মুজিব বসা ছিলেন। সেখান থেকে মওলনা ভাসানী পাকিস্তান সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘‘তোমার পূর্ব পাকিস্তানের ওপর যে জুলুম করেছো তার জন্য তোমাদেরকে অলাইকুম সালাম‘‘ সেদিনের মওলনার বক্তব্যে প্রথম সরাসরি পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের শব্দ বীজ স্থাপন করেন।’ তিনি আরও বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন বাংলাদেশসহ সারা বিশের মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের নেতা। তিনি পাকিস্তান সরকারের নিষিদ্ধ রবীন্দ্র সংগীত পরবর্তীতে জাতীয় সংগীত সে সময় সমাবেশে পরিবেশনের সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। মওলনা ভাসানী ভাষা আন্দোলনের মূল নেতৃত্ব দেন। অথচ বর্তমান সরকার ইতিহাস বিকৃতি করে পাঠ্য বইয়ে মিথ্যা মনগড়া ইতিহাস রচনা প্রকাশ করছে। শত বছর পরে হলেও মওলনা ভাসানীর বাংলাদেশ সৃষ্টির ও অবদানের সঠিক মূল্যায়ন ইতিহাস প্রকাশিত হবে।
মনোনয়নপত্র সশরীরে জমা দেওয়া, দল নিবন্ধন নবায়ন, দল নিবন্ধনের সময় বাড়ানো, ঋণখেলাপি ও হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে সদস্যপদ বাতিলসহ অন্তত ১০টি দাবি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে তুলে ধরেছে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যে
৩ ঘণ্টা আগেবিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকের পক্ষে নয় এবং এই নীতিটি সংবিধানে সংযুক্ত করার পক্ষেও দলটি একমত। সংবিধান সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অসন্তুষ্ট নয় বিএনপি। বরং রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ও শক্তিশালী কাঠামো দাঁড় করানোর জন্য তাঁরা সর্বাত্মক...
৫ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গতকাল তাদের সুপারিশমালা জমা দেওয়ার পর কয়েকটি সুপারিশ নিয়ে তীব্র আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার এবং ভরণপোষণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার সুপারিশগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কারের বিষয়ে আর কোনো সংকট দেখছে না বিএনপি। এই অবস্থায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব বলে মনে করছে দলটি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে কোনো সংকট নেই। সবাই সবার মতামত দিয়েছে। ঐকমত্য কোথায় কোথায় হয়েছে, তা জানতে এক সপ্তাহের...
৬ ঘণ্টা আগে