সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের অন্যতম কেন্দ্র হলো গাজীপুর। কিন্তু এই শিল্পনগরীতে দেখা দিয়েছে একদিকে শ্রমিক অসন্তোষ, অন্যদিকে বন্ধ হয়ে গেছে অসংখ্য পোশাক কারখানা। ফলে শ্রমিকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম হাহাকার। মূলত গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখানে কারখানা বন্ধের হিড়িক পড়েছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ২৬ জানুয়ারি একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
আমাদের মনে থাকার কথা, গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ চলছে। আন্দোলন শুরুর দিকে কেউ কেউ বলেছেন, পতিত আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় এই শ্রমিক বিক্ষোভ চলছে। কিন্তু সেই ঘটনার সত্যতা পেতে আমাদের পাঁচ মাস অপেক্ষা করতে হলো। এখন জানা গেল, সেখানে শ্রমিক অসন্তোষের আসল কারণ। গত সাড়ে পাঁচ মাসে এখানকার ১ হাজার ১৫৪টি পোশাক কারখানার মধ্যে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে ৪১টি এবং অস্থায়ীভাবে বন্ধ রয়েছে ১০টি। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিক। পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এসব বন্ধ কারখানার শ্রমিকেরা। এ ছাড়া আগামী মে মাস থেকে বন্ধ হয়ে যাবে কেয়া গ্রুপের আরও ৬টি কারখানা। এত অল্প সময়ে অসংখ্য কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মূল কারণ হলো, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে খেলাপি ঋণ আদায়ে বাড়তি চাপ দেওয়ার ফলে খেলাপি কারখানাগুলো নিজেদের গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে। অপর দিকে বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ অনেক মালিক নিজেদের বাঁচাতে আত্মগোপনে চলে যান। এতে করে কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে পড়ে। হঠাৎ করে কারখানা বন্ধ করার কারণে বকেয়া বেতনের দাবিতে এবং কাজ ফিরে পেতে আন্দোলন করছেন কর্মহীন শ্রমিকেরা। একই সঙ্গে কিছু কারখানার শ্রমিকেরা বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করছেন। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এ সমস্যা সমাধানে কোনো জোরালো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ কারণে সেখানে শ্রমিক অসন্তোষ কমার চেয়ে ক্রমে বেড়েই চলছে।
জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি শ্রমিকদের অংশগ্রহণ ছিল। এই আন্দোলনে অনেক শ্রমিকও শহীদ হয়েছেন। তাঁরাও আশা করেছিলেন, পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর তাঁদের জীবনে বঞ্চনার অবসান ঘটবে। কিন্তু ক্ষমতার পরিবর্তনের পর শ্রমিকদের বঞ্চনা আরও বেড়ে গেছে।
কারখানা বন্ধের কারণে দেশের দুই দিকে ক্ষতি হবে। একদিকে যেমন পোশাকশিল্প থেকে রেমিট্যান্স আসা কমে যাবে, অন্যদিকে বেকার সমস্যা বৃদ্ধি পাবে। এতে দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে। তাই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকেই।
এখনই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হয়ে পড়েছে অবিলম্বে বন্ধ কারখানাগুলো চালু করা, যাতে বেকার শ্রমিকেরা কাজ ফিরে পান। আর যেসব কারখানা চালু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, সেখানকার শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত শ্রমিক অসন্তোষ যেকোনো সময় মারাত্মক রূপ নিতে পারে।
বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের অন্যতম কেন্দ্র হলো গাজীপুর। কিন্তু এই শিল্পনগরীতে দেখা দিয়েছে একদিকে শ্রমিক অসন্তোষ, অন্যদিকে বন্ধ হয়ে গেছে অসংখ্য পোশাক কারখানা। ফলে শ্রমিকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম হাহাকার। মূলত গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখানে কারখানা বন্ধের হিড়িক পড়েছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় ২৬ জানুয়ারি একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
আমাদের মনে থাকার কথা, গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ চলছে। আন্দোলন শুরুর দিকে কেউ কেউ বলেছেন, পতিত আওয়ামী লীগের পৃষ্ঠপোষকতায় এই শ্রমিক বিক্ষোভ চলছে। কিন্তু সেই ঘটনার সত্যতা পেতে আমাদের পাঁচ মাস অপেক্ষা করতে হলো। এখন জানা গেল, সেখানে শ্রমিক অসন্তোষের আসল কারণ। গত সাড়ে পাঁচ মাসে এখানকার ১ হাজার ১৫৪টি পোশাক কারখানার মধ্যে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে ৪১টি এবং অস্থায়ীভাবে বন্ধ রয়েছে ১০টি। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিক। পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এসব বন্ধ কারখানার শ্রমিকেরা। এ ছাড়া আগামী মে মাস থেকে বন্ধ হয়ে যাবে কেয়া গ্রুপের আরও ৬টি কারখানা। এত অল্প সময়ে অসংখ্য কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মূল কারণ হলো, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে খেলাপি ঋণ আদায়ে বাড়তি চাপ দেওয়ার ফলে খেলাপি কারখানাগুলো নিজেদের গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে। অপর দিকে বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ অনেক মালিক নিজেদের বাঁচাতে আত্মগোপনে চলে যান। এতে করে কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে পড়ে। হঠাৎ করে কারখানা বন্ধ করার কারণে বকেয়া বেতনের দাবিতে এবং কাজ ফিরে পেতে আন্দোলন করছেন কর্মহীন শ্রমিকেরা। একই সঙ্গে কিছু কারখানার শ্রমিকেরা বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করছেন। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এ সমস্যা সমাধানে কোনো জোরালো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ কারণে সেখানে শ্রমিক অসন্তোষ কমার চেয়ে ক্রমে বেড়েই চলছে।
জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি শ্রমিকদের অংশগ্রহণ ছিল। এই আন্দোলনে অনেক শ্রমিকও শহীদ হয়েছেন। তাঁরাও আশা করেছিলেন, পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর তাঁদের জীবনে বঞ্চনার অবসান ঘটবে। কিন্তু ক্ষমতার পরিবর্তনের পর শ্রমিকদের বঞ্চনা আরও বেড়ে গেছে।
কারখানা বন্ধের কারণে দেশের দুই দিকে ক্ষতি হবে। একদিকে যেমন পোশাকশিল্প থেকে রেমিট্যান্স আসা কমে যাবে, অন্যদিকে বেকার সমস্যা বৃদ্ধি পাবে। এতে দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে। তাই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকেই।
এখনই সরকারের প্রধান দায়িত্ব হয়ে পড়েছে অবিলম্বে বন্ধ কারখানাগুলো চালু করা, যাতে বেকার শ্রমিকেরা কাজ ফিরে পান। আর যেসব কারখানা চালু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, সেখানকার শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত শ্রমিক অসন্তোষ যেকোনো সময় মারাত্মক রূপ নিতে পারে।
রুমিন ফারহানা বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও রাজনীতি বিশ্লেষক। তিনি সংরক্ষিত নারী আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৫ ঘণ্টা আগেদেশে প্রতিবছর বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। বাস্তবায়নের সময় মাঝে মাঝে সংবাদ চোখে পড়ে যে প্রকল্পের ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে গাছ কাটা পড়ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, খাল ও জলাভূমি ভরাট হচ্ছে, নির্মাণস্থলে নির্মাণকাজের ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, এমনকি কোনো কোনো প্রকল্প গ্রহণের ফলে পরিবেশের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব...
৫ ঘণ্টা আগেপাহাড় রক্ষা করা যখন খুবই জরুরি, তখন সে পাহাড় কেটে গোটা অঞ্চলের জন্য বিপদ ডেকে আনছে একদল দুর্বৃত্ত। খাগড়াছড়ির পানছড়ি এলাকায় অবাধে পাহাড় কাটা হচ্ছে, অথচ সরকারি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে দায়সারা বক্তব্য দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকার চেষ্টা করছেন।
৫ ঘণ্টা আগে১৯৪৯ সালের ২৩ জুন মওলানা ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। তখন শেখ মুজিবুর রহমান জেলে ছিলেন, তাঁকে করা হয়েছিল দলের যুগ্ম সম্পাদক। পরবর্তী সময়ে শামসুল হক অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যাওয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানকে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
১ দিন আগে