সম্পাদকীয়
ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (এফবিএস) আয়োজিত ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ ডিসেম্বর ছিল এ সংলাপের শেষ দিন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হলেও তা কতটুকু অর্জিত হয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক সচেতন মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ, সংলাপে নানা মত-পথ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধির অনুপস্থিতি সে বিষয়টিকে স্পষ্ট করে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, শ্রমিক, কৃষক, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ ডান ও বাম দলগুলোর নেতাদের ডাকা হয়নি। তাহলে কাদের নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে?
দুই দিনের কয়েকটি অধিবেশনে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় রাজনৈতিক দলের নেতারা দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। বিপরীতে বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং উপদেষ্টারা সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছেন। কাঙ্ক্ষিত সংস্কার না হলে আগামী দিনের রাজনীতির সংস্কৃতি ঠিক হবে না। বিপরীতে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে পুরো সংস্কারের ব্যাপারগুলো ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
আমাদের দেশে কোনো রাজনৈতিক দল বিরোধী অবস্থানে থাকলে অনেক ভালো কথা বলে, কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পর জনগণের চাওয়াকে উপেক্ষা করে নিজ ধান্ধায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেটা আমরা ’৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে দেখে আসছি।
এখন বিএনপিসহ অন্যান্য দল নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু তারা ক্ষমতায় যাওয়ার পর যে একই অবস্থার পুনরাবৃত্তি হবে না তা কে বলতে পারে? ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বিরুদ্ধে দখল, চাঁদাবাজিসহ যেসব অপকর্মের অভিযোগ ছিল, তা এখনই বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে উঠছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলেও দেশ আওয়ামী ধারামুক্ত হওয়ার নিশ্চয়তা কোথায়?
বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা হলো গণতন্ত্র ও সুশাসন। এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যখন যারা ক্ষমতায় থেকেছে, তারাই জনগণকে সব সময়ের জন্য একটি বুঝ দিয়ে আসছে যে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং সুশাসন তাদের অন্যতম লক্ষ্য। কিন্তু গণতন্ত্র এমন একটি ব্যবস্থা, যা কেবল একটি সরকারকে নির্বাচিত করবে না, বরং নির্বাচিত সরকার হবে আইনের শাসনের রক্ষক, ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণের ধারক, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার রক্ষক প্রভৃতি। কিন্তু সেটা কি সম্ভব হবে?
কেবল সংলাপই দেশের গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক বনিয়াদ নিশ্চিত করে না। এ জন্য দেশের সর্বস্তরে রাজনৈতিক শিক্ষা ও অধিকারের শক্ত ভিত গড়তে হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হয়। প্রশাসন ও ক্ষমতাসীনদের সব সময় জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হয়। এসব করা না গেলে কোনো ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে না।
আর দলগুলোর ‘খাই খাই’ সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে কোনো সংস্কারই সুফল বয়ে আনবে না। জাতীয় ঐক্যও প্রতিষ্ঠা পাবে না। সেদিকে সবার নজর থাকা দরকার।
ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (এফবিএস) আয়োজিত ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ ডিসেম্বর ছিল এ সংলাপের শেষ দিন। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
জাতীয় ঐক্যের কথা বলা হলেও তা কতটুকু অর্জিত হয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক সচেতন মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ, সংলাপে নানা মত-পথ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধির অনুপস্থিতি সে বিষয়টিকে স্পষ্ট করে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, শ্রমিক, কৃষক, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ ডান ও বাম দলগুলোর নেতাদের ডাকা হয়নি। তাহলে কাদের নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে?
দুই দিনের কয়েকটি অধিবেশনে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনায় রাজনৈতিক দলের নেতারা দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। বিপরীতে বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং উপদেষ্টারা সংস্কারের ওপর জোর দিয়েছেন। কাঙ্ক্ষিত সংস্কার না হলে আগামী দিনের রাজনীতির সংস্কৃতি ঠিক হবে না। বিপরীতে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে পুরো সংস্কারের ব্যাপারগুলো ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
আমাদের দেশে কোনো রাজনৈতিক দল বিরোধী অবস্থানে থাকলে অনেক ভালো কথা বলে, কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পর জনগণের চাওয়াকে উপেক্ষা করে নিজ ধান্ধায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেটা আমরা ’৯০-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে দেখে আসছি।
এখন বিএনপিসহ অন্যান্য দল নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু তারা ক্ষমতায় যাওয়ার পর যে একই অবস্থার পুনরাবৃত্তি হবে না তা কে বলতে পারে? ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বিরুদ্ধে দখল, চাঁদাবাজিসহ যেসব অপকর্মের অভিযোগ ছিল, তা এখনই বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে উঠছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলেও দেশ আওয়ামী ধারামুক্ত হওয়ার নিশ্চয়তা কোথায়?
বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা হলো গণতন্ত্র ও সুশাসন। এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যখন যারা ক্ষমতায় থেকেছে, তারাই জনগণকে সব সময়ের জন্য একটি বুঝ দিয়ে আসছে যে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং সুশাসন তাদের অন্যতম লক্ষ্য। কিন্তু গণতন্ত্র এমন একটি ব্যবস্থা, যা কেবল একটি সরকারকে নির্বাচিত করবে না, বরং নির্বাচিত সরকার হবে আইনের শাসনের রক্ষক, ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণের ধারক, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার রক্ষক প্রভৃতি। কিন্তু সেটা কি সম্ভব হবে?
কেবল সংলাপই দেশের গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক বনিয়াদ নিশ্চিত করে না। এ জন্য দেশের সর্বস্তরে রাজনৈতিক শিক্ষা ও অধিকারের শক্ত ভিত গড়তে হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হয়। প্রশাসন ও ক্ষমতাসীনদের সব সময় জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হয়। এসব করা না গেলে কোনো ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে না।
আর দলগুলোর ‘খাই খাই’ সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে কোনো সংস্কারই সুফল বয়ে আনবে না। জাতীয় ঐক্যও প্রতিষ্ঠা পাবে না। সেদিকে সবার নজর থাকা দরকার।
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালার ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদনটি সমাজে নারী-পুরুষ সমতার বাস্তবায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে বিবেচিত হচ্ছে। কমিশন যে সুপারিশগুলো দিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কিছু সুস্পষ্টভাবে নারীর অধিকারে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম, আবার কিছু সুপারিশ কাঠামোগত ও প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের
১৫ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ সাড়ে পনেরো বছর পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কের সমীকরণ বদলে দিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের হাল ধরেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মূলত এর পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কে একধরনের শীতলতা সৃষ্টি হয়েছে। একসময়ের
১ দিন আগেবাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রচারণার মাধ্যমে বাস্তবতাকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে একধরনের ‘গণতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী’ শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে, যেখানে বিরোধীদের দুর্বল করা এবং আন্দোলন দমনের জন্য নানামুখী কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছিল।
১ দিন আগেগত বছরই এ দেশের সর্বস্তরের মানুষ বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে একটা রেজিমের পতন ঘটিয়েছিল। এ জন্য অসংখ্য তাজা প্রাণ বলি দিতে হয়েছে। কিন্তু আমলাতন্ত্রে যে কোনো পরিবর্তন হয়নি, সেটা বুঝতে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। আমলারা নিজের গামলা ভরার বিষয়টি ভালো বোঝেন। এ নিয়েই ২০ এপ্রিল আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত
১ দিন আগে