Ajker Patrika

সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে: উপদেষ্টা নাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

বাংলাদেশে ৫ আগস্টের যেসব সংখ্যালঘু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে ইউনেসকোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। 

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে দেশের কয়েকটি জায়গায় সংখ্যালঘু অত্যাচারের ঘটনা ঘটলেও সেগুলোকে বেশ বড় করে বহির্বিশ্বের মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেখানে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’ 

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের আন্দোলন এবং বর্তমান সরকার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সম্পূর্ণ আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এ অপপ্রচার।’ তিনি এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। 

ইউনেসকোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজ জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম প্রকল্প চলমান রাখার বিষয়ে তিনি উপদেষ্টার সম্মতি চান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের জনগণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগে কতটুকু সক্ষম তা যাচাই করা হবে। 

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে তা অপরিহার্য। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম প্রকল্পের কাজ চলমান রাখার পাশাপাশি এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।’ ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটি পর্যালোচনা করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। 

উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্দোলনে বেশ কিছু সাংবাদিক হতাহত হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি সাংবাদিকদের একটি অংশ ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ সংক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় মামলা করছে, সেসব মামলায় অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছে। তবে সবার আইনি অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছে। ফলে তারা আইনি সহায়তা পাবে।’ 

ইউনেসকোর তথ্য ও যোগাযোগ কর্মকর্তা নূরে জান্নাত প্রমা বলেন, মিডিয়া সংস্কার, বাংলাদেশে নারী সাংবাদিকের সুরক্ষা এবং সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। 

জাতিসংঘের এই সংস্থাটির যোগাযোগ বিভাগের প্রধান নুসরাত আমিন বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং নিউ মিডিয়ার বিভিন্ন তথ্যের উৎসের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে তারা বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সঙ্গেও কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। 

সাক্ষাৎকালে ইউনেসকোর নীতি বিশ্লেষক আফজাল হোসেন সরোয়ার, এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট শিলা তাসনিম হক উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত