নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সারা দেশে তীব্র গরমে নানা রোগবালাইয়ে দিশেহারা জনজীবন। এর মধ্যে হঠাৎ করে সারা দেশে লোডশেডিং বাড়ায় ঘরেও থাকা দায় হয়ে পড়েছে মানুষের। প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের বর্ধিত দাম পরিশোধের পরও অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তাঁরা বলছেন, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও ভুল নীতির কারণেই বর্তমান সংকট তৈরি হয়েছে।
বিদ্যুৎ খাত নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সাফল্যের বয়ানকে বর্তমান পরিস্থিতি মিথ্যা প্রমাণ করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। দেশজুড়ে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি প্রসঙ্গে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ঢাকা শহরে লোডশেডিং, গ্রামে-গঞ্জে প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। আর সরকারপ্রধান বলছেন, লোডশেডিংকে মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিয়েছেন!’
রেন্টাল বা ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর ভর করে উৎপাদন বাড়ানোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার শুধু একটি সিন্ডিকেটকে খুশি করতে রেন্টাল বিদ্যুৎ নিয়ে এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার কারণে আজ বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে, বারবার লোডশেডিং হচ্ছে।’
চলমান বিদ্যুৎবিভ্রাট নিয়ে কথা বলেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও। তিনি বর্তমান সংকটের জন্য দুর্নীতিকে সরাসরি দায়ী করেছেন। বুধবার দুপুরে এক ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডা. জাফরুল্লাহ। সেখানে লোডশেডিং নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সরকার এত দিন বলে এসেছে বিদ্যুতে আমাদের সারপ্রাইজিং উন্নতি হয়েছে। এখন বলছে, সাশ্রয় করতে হবে। দুর্নীতি করলে যা হয়, আমরা এখন সেই অবস্থায় আছি।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব অবশ্য বর্তমান পরিস্থিতির জন্য শুধু দুর্নীতি নয়, সঙ্গে অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা, অপচয় ইত্যাদিকেও দুষছেন। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের সাফল্য ও আত্মতৃপ্তির বয়ান ইতিমধ্যেই দুঃসংবাদে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় চিকিৎসা, শিক্ষা, শিল্প কারখানাসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। রাজধানীর বাইরে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের জন্য হাহাকার চলছে। বিদ্যুতের অভাবে সেচযন্ত্র বন্ধ থাকায় মৌসুমের আবাদসহ বিরূপ প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক উৎপাদনে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়লেও বিতরণ ও সরবরাহ সক্ষমতা বাড়েনি। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের এই দুর্গতি দ্রুত নিরসনের সম্ভাবনাও নেই।’
আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘গত এক দশকে বিদ্যুৎ খাতে সরকার ২ দশমিক ১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েও জনগণের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে পারেনি। দক্ষতার অভাব, দুর্নীতি ও অপচয় বন্ধ করতে না পারলে এ খাতে দেনার পরিমাণ আরও বাড়বে। সরকারি সকল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করতে হবে এবং অধিক ব্যয়বহুল রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে হবে।’
সারা দেশে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এক যুক্ত বিবৃতিতে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা অপচয় করেও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। জ্বালানি খাতকে আমদানিনির্ভর করে সংকট তৈরিসহ সরকারের এই ভুলনীতি ও দুর্নীতির দায় সাধারণ মানুষ নেবে না।’
বিবৃতিতে বিদ্যুৎসহ জ্বালানি খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশ, জ্বালানি অপরাধীদের চিহ্নিত ও বিচারের দাবি জানান সিপিবির শীর্ষ দুই নেতা। এ ছাড়া সরকারের ভুল নীতি, দুর্নীতি ও ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সচেতন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিপিবি।
সারা দেশে তীব্র গরমে নানা রোগবালাইয়ে দিশেহারা জনজীবন। এর মধ্যে হঠাৎ করে সারা দেশে লোডশেডিং বাড়ায় ঘরেও থাকা দায় হয়ে পড়েছে মানুষের। প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের বর্ধিত দাম পরিশোধের পরও অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তাঁরা বলছেন, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও ভুল নীতির কারণেই বর্তমান সংকট তৈরি হয়েছে।
বিদ্যুৎ খাত নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সাফল্যের বয়ানকে বর্তমান পরিস্থিতি মিথ্যা প্রমাণ করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। দেশজুড়ে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি প্রসঙ্গে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ঢাকা শহরে লোডশেডিং, গ্রামে-গঞ্জে প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। আর সরকারপ্রধান বলছেন, লোডশেডিংকে মিউজিয়ামে পাঠিয়ে দিয়েছেন!’
রেন্টাল বা ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর ভর করে উৎপাদন বাড়ানোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার শুধু একটি সিন্ডিকেটকে খুশি করতে রেন্টাল বিদ্যুৎ নিয়ে এসেছে।’ তিনি বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার কারণে আজ বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে, বারবার লোডশেডিং হচ্ছে।’
চলমান বিদ্যুৎবিভ্রাট নিয়ে কথা বলেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও। তিনি বর্তমান সংকটের জন্য দুর্নীতিকে সরাসরি দায়ী করেছেন। বুধবার দুপুরে এক ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডা. জাফরুল্লাহ। সেখানে লোডশেডিং নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সরকার এত দিন বলে এসেছে বিদ্যুতে আমাদের সারপ্রাইজিং উন্নতি হয়েছে। এখন বলছে, সাশ্রয় করতে হবে। দুর্নীতি করলে যা হয়, আমরা এখন সেই অবস্থায় আছি।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব অবশ্য বর্তমান পরিস্থিতির জন্য শুধু দুর্নীতি নয়, সঙ্গে অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা, অপচয় ইত্যাদিকেও দুষছেন। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের সাফল্য ও আত্মতৃপ্তির বয়ান ইতিমধ্যেই দুঃসংবাদে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় চিকিৎসা, শিক্ষা, শিল্প কারখানাসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। রাজধানীর বাইরে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের জন্য হাহাকার চলছে। বিদ্যুতের অভাবে সেচযন্ত্র বন্ধ থাকায় মৌসুমের আবাদসহ বিরূপ প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক উৎপাদনে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা বাড়লেও বিতরণ ও সরবরাহ সক্ষমতা বাড়েনি। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের এই দুর্গতি দ্রুত নিরসনের সম্ভাবনাও নেই।’
আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘গত এক দশকে বিদ্যুৎ খাতে সরকার ২ দশমিক ১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েও জনগণের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে পারেনি। দক্ষতার অভাব, দুর্নীতি ও অপচয় বন্ধ করতে না পারলে এ খাতে দেনার পরিমাণ আরও বাড়বে। সরকারি সকল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করতে হবে এবং অধিক ব্যয়বহুল রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে হবে।’
সারা দেশে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এক যুক্ত বিবৃতিতে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা অপচয় করেও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। জ্বালানি খাতকে আমদানিনির্ভর করে সংকট তৈরিসহ সরকারের এই ভুলনীতি ও দুর্নীতির দায় সাধারণ মানুষ নেবে না।’
বিবৃতিতে বিদ্যুৎসহ জ্বালানি খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশ, জ্বালানি অপরাধীদের চিহ্নিত ও বিচারের দাবি জানান সিপিবির শীর্ষ দুই নেতা। এ ছাড়া সরকারের ভুল নীতি, দুর্নীতি ও ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সচেতন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিপিবি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সেনাসদস্য, দেড় লাখ পুলিশ সদস্য ও সাড়ে পাঁচ-ছয় লাখ আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২০ মিনিট আগেত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদ নিয়ে ‘বিশেষ আদেশ’ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট এবং আগামী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ভূমিকা দেওয়ার সুপারিশের পরিকল্পনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিশেষ আদেশের ভিত্তি কী হবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগেআজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন এই নির্দেশ দেন।
১৭ ঘণ্টা আগে