নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।
কমিশন সূত্র বলেছে, তাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া সব দলের সঙ্গে এক বা একাধিকবার সংলাপ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে জুলাই সনদ ঘোষণা করবে সরকার। এর ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগে সংস্কার না নির্বাচন—এ নিয়ে কমিশন কোনো চাপে নেই। ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংলাপ শুরু করলাম। ঈদের আগে আরও দু-একটি দলের সঙ্গে বসার ইচ্ছা আছে। ঈদের পর ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করব। সেখানে প্রতিদিন অন্তত দুটি দলের সঙ্গে বৈঠক করব।’
এদিকে রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনে গতকাল মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে।
কমিশন সূত্র জানায়, শুরুতে ছোট দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হবে। শেষের দিকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বড় দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, দুদক ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল। এগুলোর মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে ১৬৬টি প্রশ্নের স্প্রেডশিট ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জামায়াতে ইসলামী, এলডিপিসহ ১৬টি দল মতামত জমা দিয়েছে। বিএনপি ও জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আগামী রোববার মতামত জমা দেবে। বিএনপি বেলা ১টায় ও এনসিপি বেলা ২টায় মতামত জমা দেবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সব দলের মতামত পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কমিশন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গতকাল বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তুলতে কমিশন যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেখানে সংস্কার হবে। আর যেখানে ঐকমত্য হবে না, সে বিষয়গুলো নিয়ে দলগুলো নির্বাচনের পর জনগণের কাছে যাবে, পরে সংসদে আলোচনা হবে।’
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এলডিপির সংলাপ শুরু হয় বেলা ৩টার পর, জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে। শুরুতে মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সূচনা বক্তব্য দেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এরপর কথা বলেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
মাঝে আসরের নামাজের জন্য ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে এই সংলাপ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সূত্র জানায়, বৈঠকে সংস্কার কমিশনের প্রায় প্রতিটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান আলাদা ব্যক্তি হওয়ার প্রস্তাবের পাশাপাশি দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না—এমন প্রস্তাবে এলডিপি সমর্থন জানিয়েছে।
বৈঠকের পর অলি আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মন খুলে আলোচনা করেছেন। তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা তাদের কাজে লাগাতে বলেছেন। সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংশোধন অধ্যাদেশের মাধ্যমেই এখন করা যেতে পারে। যেটা পরে করা যাবে, সেটা সংসদের জন্য রেখে দেবে।
অলি আহমদ বলেন, ‘সব সুপারিশের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ দুর্বল ছিল। যত কিছুই করেন না কেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবেন না, যদি না দুজন লোক কাজ না করেন, একজন ওসি, আরেকজন ইউএনও।’ তিনি জানান, ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে তাঁরা একমত প্রকাশ করেন ১২০টিতে। বাকি ৪২টিতে একমত নন। দুটিতে আংশিক একমত এবং দুটি অস্পষ্ট। সংবিধান সংস্কারসংক্রান্ত ৭০টি প্রস্তাবের মধ্যে ৫১টিতে এলডিপি একমত, ১৬টিতে একমত নয়, একটিতে আংশিক একমত এবং দুটি প্রস্তাব অস্পষ্ট বলে মনে করে।
সূত্র জানায়, এলডিপি সংসদের মেয়াদ চার বছর করার বিষয়েও একমত প্রকাশ করেছে।
বৈঠকের পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদের আগে তিনটি দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। এর মধ্যে আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় খেলাফত মজলিস ও বেলা দেড়টা থেকে লেবার পার্টি এবং রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপ হবে।
মতামত জমা দিল জামায়াত
রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে গতকাল ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া মতামতে জামায়াতে ইসলামী সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে। জামায়াতের পক্ষে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কমিশনের পক্ষে অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও মনির হায়দার ছিলেন।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রস্তাবের প্রসঙ্গে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এটি আধুনিক গণতান্ত্রিক বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে রয়েছে। এর অনেক ব্যাখ্যা আছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে জামায়াত একমত হলেও বিষয়টি নিয়ে কিছু বক্তব্য তাঁরা দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট স্থাপনের পক্ষে জামায়াত মত দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মামলা পেন্ডিং হয়ে আছে, জনগণ বিচার পাচ্ছে না, একেকটি মামলার বিচার পেতে ১০-২০-৩০ বছর পর্যন্ত মানুষ ঘুরছে।
জামায়াত অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় জানিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তাই সরকারের সংস্কার কাজে সহযোগিতা করছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে জামায়াত কোনো প্রস্তাব দেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, মতামতে সেই প্রসঙ্গ ছিল না।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, তাঁদের দল নির্বাচনের দিন, মাস, ঘণ্টা বেঁধে দেয়নি। সময়ের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন নিরপেক্ষ করা। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, অবাধ নির্বাচনের জন্য ১৫ বছর অপেক্ষা করতে পারি। নির্বাচনের জন্য মিনিমাম সংস্কার প্রয়োজন হলে সে জন্য যৌক্তিক সময় দিতে জামায়াত প্রস্তুত।’ জামায়াত বিদ্যমান সংসদেই সংবিধানের পরিবর্তন চায় বলে জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আলী রীয়াজ বলেন, আগে সংস্কার না নির্বাচন প্রশ্নে কোনো ধরনের চাপে নেই ঐকমত্য কমিশন। তাঁদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা তা-ই করছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্যই তাদের অবস্থান বলবে। কিন্তু কমিশন হিসেবে তাঁদের দায়িত্ব সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশগুলো তুলে ধরা এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের জন্য একটি জায়গায় যাওয়া। সুতরাং, কমিশন চাপে নেই।

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।
কমিশন সূত্র বলেছে, তাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া সব দলের সঙ্গে এক বা একাধিকবার সংলাপ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে জুলাই সনদ ঘোষণা করবে সরকার। এর ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগে সংস্কার না নির্বাচন—এ নিয়ে কমিশন কোনো চাপে নেই। ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংলাপ শুরু করলাম। ঈদের আগে আরও দু-একটি দলের সঙ্গে বসার ইচ্ছা আছে। ঈদের পর ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করব। সেখানে প্রতিদিন অন্তত দুটি দলের সঙ্গে বৈঠক করব।’
এদিকে রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনে গতকাল মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে।
কমিশন সূত্র জানায়, শুরুতে ছোট দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হবে। শেষের দিকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বড় দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, দুদক ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল। এগুলোর মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে ১৬৬টি প্রশ্নের স্প্রেডশিট ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জামায়াতে ইসলামী, এলডিপিসহ ১৬টি দল মতামত জমা দিয়েছে। বিএনপি ও জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আগামী রোববার মতামত জমা দেবে। বিএনপি বেলা ১টায় ও এনসিপি বেলা ২টায় মতামত জমা দেবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সব দলের মতামত পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কমিশন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গতকাল বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তুলতে কমিশন যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেখানে সংস্কার হবে। আর যেখানে ঐকমত্য হবে না, সে বিষয়গুলো নিয়ে দলগুলো নির্বাচনের পর জনগণের কাছে যাবে, পরে সংসদে আলোচনা হবে।’
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এলডিপির সংলাপ শুরু হয় বেলা ৩টার পর, জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে। শুরুতে মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সূচনা বক্তব্য দেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এরপর কথা বলেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
মাঝে আসরের নামাজের জন্য ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে এই সংলাপ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সূত্র জানায়, বৈঠকে সংস্কার কমিশনের প্রায় প্রতিটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান আলাদা ব্যক্তি হওয়ার প্রস্তাবের পাশাপাশি দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না—এমন প্রস্তাবে এলডিপি সমর্থন জানিয়েছে।
বৈঠকের পর অলি আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মন খুলে আলোচনা করেছেন। তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা তাদের কাজে লাগাতে বলেছেন। সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংশোধন অধ্যাদেশের মাধ্যমেই এখন করা যেতে পারে। যেটা পরে করা যাবে, সেটা সংসদের জন্য রেখে দেবে।
অলি আহমদ বলেন, ‘সব সুপারিশের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ দুর্বল ছিল। যত কিছুই করেন না কেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবেন না, যদি না দুজন লোক কাজ না করেন, একজন ওসি, আরেকজন ইউএনও।’ তিনি জানান, ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে তাঁরা একমত প্রকাশ করেন ১২০টিতে। বাকি ৪২টিতে একমত নন। দুটিতে আংশিক একমত এবং দুটি অস্পষ্ট। সংবিধান সংস্কারসংক্রান্ত ৭০টি প্রস্তাবের মধ্যে ৫১টিতে এলডিপি একমত, ১৬টিতে একমত নয়, একটিতে আংশিক একমত এবং দুটি প্রস্তাব অস্পষ্ট বলে মনে করে।
সূত্র জানায়, এলডিপি সংসদের মেয়াদ চার বছর করার বিষয়েও একমত প্রকাশ করেছে।
বৈঠকের পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদের আগে তিনটি দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। এর মধ্যে আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় খেলাফত মজলিস ও বেলা দেড়টা থেকে লেবার পার্টি এবং রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপ হবে।
মতামত জমা দিল জামায়াত
রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে গতকাল ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া মতামতে জামায়াতে ইসলামী সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে। জামায়াতের পক্ষে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কমিশনের পক্ষে অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও মনির হায়দার ছিলেন।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রস্তাবের প্রসঙ্গে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এটি আধুনিক গণতান্ত্রিক বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে রয়েছে। এর অনেক ব্যাখ্যা আছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে জামায়াত একমত হলেও বিষয়টি নিয়ে কিছু বক্তব্য তাঁরা দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট স্থাপনের পক্ষে জামায়াত মত দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মামলা পেন্ডিং হয়ে আছে, জনগণ বিচার পাচ্ছে না, একেকটি মামলার বিচার পেতে ১০-২০-৩০ বছর পর্যন্ত মানুষ ঘুরছে।
জামায়াত অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় জানিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তাই সরকারের সংস্কার কাজে সহযোগিতা করছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে জামায়াত কোনো প্রস্তাব দেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, মতামতে সেই প্রসঙ্গ ছিল না।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, তাঁদের দল নির্বাচনের দিন, মাস, ঘণ্টা বেঁধে দেয়নি। সময়ের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন নিরপেক্ষ করা। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, অবাধ নির্বাচনের জন্য ১৫ বছর অপেক্ষা করতে পারি। নির্বাচনের জন্য মিনিমাম সংস্কার প্রয়োজন হলে সে জন্য যৌক্তিক সময় দিতে জামায়াত প্রস্তুত।’ জামায়াত বিদ্যমান সংসদেই সংবিধানের পরিবর্তন চায় বলে জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আলী রীয়াজ বলেন, আগে সংস্কার না নির্বাচন প্রশ্নে কোনো ধরনের চাপে নেই ঐকমত্য কমিশন। তাঁদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা তা-ই করছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্যই তাদের অবস্থান বলবে। কিন্তু কমিশন হিসেবে তাঁদের দায়িত্ব সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশগুলো তুলে ধরা এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের জন্য একটি জায়গায় যাওয়া। সুতরাং, কমিশন চাপে নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।
কমিশন সূত্র বলেছে, তাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া সব দলের সঙ্গে এক বা একাধিকবার সংলাপ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে জুলাই সনদ ঘোষণা করবে সরকার। এর ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগে সংস্কার না নির্বাচন—এ নিয়ে কমিশন কোনো চাপে নেই। ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংলাপ শুরু করলাম। ঈদের আগে আরও দু-একটি দলের সঙ্গে বসার ইচ্ছা আছে। ঈদের পর ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করব। সেখানে প্রতিদিন অন্তত দুটি দলের সঙ্গে বৈঠক করব।’
এদিকে রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনে গতকাল মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে।
কমিশন সূত্র জানায়, শুরুতে ছোট দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হবে। শেষের দিকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বড় দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, দুদক ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল। এগুলোর মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে ১৬৬টি প্রশ্নের স্প্রেডশিট ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জামায়াতে ইসলামী, এলডিপিসহ ১৬টি দল মতামত জমা দিয়েছে। বিএনপি ও জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আগামী রোববার মতামত জমা দেবে। বিএনপি বেলা ১টায় ও এনসিপি বেলা ২টায় মতামত জমা দেবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সব দলের মতামত পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কমিশন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গতকাল বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তুলতে কমিশন যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেখানে সংস্কার হবে। আর যেখানে ঐকমত্য হবে না, সে বিষয়গুলো নিয়ে দলগুলো নির্বাচনের পর জনগণের কাছে যাবে, পরে সংসদে আলোচনা হবে।’
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এলডিপির সংলাপ শুরু হয় বেলা ৩টার পর, জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে। শুরুতে মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সূচনা বক্তব্য দেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এরপর কথা বলেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
মাঝে আসরের নামাজের জন্য ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে এই সংলাপ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সূত্র জানায়, বৈঠকে সংস্কার কমিশনের প্রায় প্রতিটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান আলাদা ব্যক্তি হওয়ার প্রস্তাবের পাশাপাশি দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না—এমন প্রস্তাবে এলডিপি সমর্থন জানিয়েছে।
বৈঠকের পর অলি আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মন খুলে আলোচনা করেছেন। তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা তাদের কাজে লাগাতে বলেছেন। সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংশোধন অধ্যাদেশের মাধ্যমেই এখন করা যেতে পারে। যেটা পরে করা যাবে, সেটা সংসদের জন্য রেখে দেবে।
অলি আহমদ বলেন, ‘সব সুপারিশের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ দুর্বল ছিল। যত কিছুই করেন না কেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবেন না, যদি না দুজন লোক কাজ না করেন, একজন ওসি, আরেকজন ইউএনও।’ তিনি জানান, ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে তাঁরা একমত প্রকাশ করেন ১২০টিতে। বাকি ৪২টিতে একমত নন। দুটিতে আংশিক একমত এবং দুটি অস্পষ্ট। সংবিধান সংস্কারসংক্রান্ত ৭০টি প্রস্তাবের মধ্যে ৫১টিতে এলডিপি একমত, ১৬টিতে একমত নয়, একটিতে আংশিক একমত এবং দুটি প্রস্তাব অস্পষ্ট বলে মনে করে।
সূত্র জানায়, এলডিপি সংসদের মেয়াদ চার বছর করার বিষয়েও একমত প্রকাশ করেছে।
বৈঠকের পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদের আগে তিনটি দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। এর মধ্যে আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় খেলাফত মজলিস ও বেলা দেড়টা থেকে লেবার পার্টি এবং রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপ হবে।
মতামত জমা দিল জামায়াত
রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে গতকাল ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া মতামতে জামায়াতে ইসলামী সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে। জামায়াতের পক্ষে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কমিশনের পক্ষে অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও মনির হায়দার ছিলেন।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রস্তাবের প্রসঙ্গে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এটি আধুনিক গণতান্ত্রিক বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে রয়েছে। এর অনেক ব্যাখ্যা আছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে জামায়াত একমত হলেও বিষয়টি নিয়ে কিছু বক্তব্য তাঁরা দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট স্থাপনের পক্ষে জামায়াত মত দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মামলা পেন্ডিং হয়ে আছে, জনগণ বিচার পাচ্ছে না, একেকটি মামলার বিচার পেতে ১০-২০-৩০ বছর পর্যন্ত মানুষ ঘুরছে।
জামায়াত অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় জানিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তাই সরকারের সংস্কার কাজে সহযোগিতা করছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে জামায়াত কোনো প্রস্তাব দেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, মতামতে সেই প্রসঙ্গ ছিল না।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, তাঁদের দল নির্বাচনের দিন, মাস, ঘণ্টা বেঁধে দেয়নি। সময়ের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন নিরপেক্ষ করা। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, অবাধ নির্বাচনের জন্য ১৫ বছর অপেক্ষা করতে পারি। নির্বাচনের জন্য মিনিমাম সংস্কার প্রয়োজন হলে সে জন্য যৌক্তিক সময় দিতে জামায়াত প্রস্তুত।’ জামায়াত বিদ্যমান সংসদেই সংবিধানের পরিবর্তন চায় বলে জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আলী রীয়াজ বলেন, আগে সংস্কার না নির্বাচন প্রশ্নে কোনো ধরনের চাপে নেই ঐকমত্য কমিশন। তাঁদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা তা-ই করছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্যই তাদের অবস্থান বলবে। কিন্তু কমিশন হিসেবে তাঁদের দায়িত্ব সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশগুলো তুলে ধরা এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের জন্য একটি জায়গায় যাওয়া। সুতরাং, কমিশন চাপে নেই।

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।
কমিশন সূত্র বলেছে, তাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়া সব দলের সঙ্গে এক বা একাধিকবার সংলাপ করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো নিয়ে জুলাই সনদ ঘোষণা করবে সরকার। এর ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগে সংস্কার না নির্বাচন—এ নিয়ে কমিশন কোনো চাপে নেই। ঐকমত্য কমিশনের প্রধান হলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংলাপ শুরু করলাম। ঈদের আগে আরও দু-একটি দলের সঙ্গে বসার ইচ্ছা আছে। ঈদের পর ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করব। সেখানে প্রতিদিন অন্তত দুটি দলের সঙ্গে বৈঠক করব।’
এদিকে রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনে গতকাল মতামত দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে।
কমিশন সূত্র জানায়, শুরুতে ছোট দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করা হবে। শেষের দিকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বড় দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, দুদক ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল। এগুলোর মধ্যে পুলিশ সংস্কার কমিশন বাদে বাকি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে ১৬৬টি প্রশ্নের স্প্রেডশিট ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। জামায়াতে ইসলামী, এলডিপিসহ ১৬টি দল মতামত জমা দিয়েছে। বিএনপি ও জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আগামী রোববার মতামত জমা দেবে। বিএনপি বেলা ১টায় ও এনসিপি বেলা ২টায় মতামত জমা দেবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সব দলের মতামত পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কমিশন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গতকাল বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তুলতে কমিশন যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি, যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে, সেখানে সংস্কার হবে। আর যেখানে ঐকমত্য হবে না, সে বিষয়গুলো নিয়ে দলগুলো নির্বাচনের পর জনগণের কাছে যাবে, পরে সংসদে আলোচনা হবে।’
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এলডিপির সংলাপ শুরু হয় বেলা ৩টার পর, জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে। শুরুতে মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সূচনা বক্তব্য দেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এরপর কথা বলেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
মাঝে আসরের নামাজের জন্য ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে এই সংলাপ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। সূত্র জানায়, বৈঠকে সংস্কার কমিশনের প্রায় প্রতিটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান আলাদা ব্যক্তি হওয়ার প্রস্তাবের পাশাপাশি দুবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না—এমন প্রস্তাবে এলডিপি সমর্থন জানিয়েছে।
বৈঠকের পর অলি আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মন খুলে আলোচনা করেছেন। তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা তাদের কাজে লাগাতে বলেছেন। সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংশোধন অধ্যাদেশের মাধ্যমেই এখন করা যেতে পারে। যেটা পরে করা যাবে, সেটা সংসদের জন্য রেখে দেবে।
অলি আহমদ বলেন, ‘সব সুপারিশের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ দুর্বল ছিল। যত কিছুই করেন না কেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবেন না, যদি না দুজন লোক কাজ না করেন, একজন ওসি, আরেকজন ইউএনও।’ তিনি জানান, ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে তাঁরা একমত প্রকাশ করেন ১২০টিতে। বাকি ৪২টিতে একমত নন। দুটিতে আংশিক একমত এবং দুটি অস্পষ্ট। সংবিধান সংস্কারসংক্রান্ত ৭০টি প্রস্তাবের মধ্যে ৫১টিতে এলডিপি একমত, ১৬টিতে একমত নয়, একটিতে আংশিক একমত এবং দুটি প্রস্তাব অস্পষ্ট বলে মনে করে।
সূত্র জানায়, এলডিপি সংসদের মেয়াদ চার বছর করার বিষয়েও একমত প্রকাশ করেছে।
বৈঠকের পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদের আগে তিনটি দলের সঙ্গে সংলাপ হবে। এর মধ্যে আগামীকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় খেলাফত মজলিস ও বেলা দেড়টা থেকে লেবার পার্টি এবং রোববার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সংলাপ হবে।
মতামত জমা দিল জামায়াত
রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে গতকাল ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া মতামতে জামায়াতে ইসলামী সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে। জামায়াতের পক্ষে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। কমিশনের পক্ষে অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও মনির হায়দার ছিলেন।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রস্তাবের প্রসঙ্গে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, এটি আধুনিক গণতান্ত্রিক বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে রয়েছে। এর অনেক ব্যাখ্যা আছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে জামায়াত একমত হলেও বিষয়টি নিয়ে কিছু বক্তব্য তাঁরা দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্ট স্থাপনের পক্ষে জামায়াত মত দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মামলা পেন্ডিং হয়ে আছে, জনগণ বিচার পাচ্ছে না, একেকটি মামলার বিচার পেতে ১০-২০-৩০ বছর পর্যন্ত মানুষ ঘুরছে।
জামায়াত অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় জানিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তাই সরকারের সংস্কার কাজে সহযোগিতা করছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে জামায়াত কোনো প্রস্তাব দেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, মতামতে সেই প্রসঙ্গ ছিল না।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, তাঁদের দল নির্বাচনের দিন, মাস, ঘণ্টা বেঁধে দেয়নি। সময়ের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন নিরপেক্ষ করা। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, অবাধ নির্বাচনের জন্য ১৫ বছর অপেক্ষা করতে পারি। নির্বাচনের জন্য মিনিমাম সংস্কার প্রয়োজন হলে সে জন্য যৌক্তিক সময় দিতে জামায়াত প্রস্তুত।’ জামায়াত বিদ্যমান সংসদেই সংবিধানের পরিবর্তন চায় বলে জানান মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আলী রীয়াজ বলেন, আগে সংস্কার না নির্বাচন প্রশ্নে কোনো ধরনের চাপে নেই ঐকমত্য কমিশন। তাঁদের যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা তা-ই করছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্যই তাদের অবস্থান বলবে। কিন্তু কমিশন হিসেবে তাঁদের দায়িত্ব সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশগুলো তুলে ধরা এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের জন্য একটি জায়গায় যাওয়া। সুতরাং, কমিশন চাপে নেই।

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
৩৮ মিনিট আগে
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৬ ঘণ্টা আগেকমিশনের বৈঠক
তানিম আহমেদ, ঢাকা

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। নতুন সংসদ নির্ধারিত ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়েও একটি বিকল্প ভাবা হচ্ছে।
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যে নতুন সংসদ সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে করণীয় কী হবে, তা গতকাল রাত বা আজ (সোমবার) সকালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। আজ সকালে কমিশনের আবার বৈঠকের মাধ্যমে সুপারিশ চূড়ান্ত করে দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে করা হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের এই পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিকভাবে এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তী সময়ে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের সর্বসম্মত ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের উল্লেখ থাকবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছি। কমিশন আশা করছে, আগামীকালের (আজ সোমবার) মধ্যে সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।’
দ্বিকক্ষের সংসদ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত আছে। বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দল পিআর ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের দাবি জানিয়েছে। আবার জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দল উভয় কক্ষেই পিআরের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপি পিআরে উচ্চকক্ষ মানলে নিম্নকক্ষের পিআরের দাবি থেকে দলগুলো সরে যাবে। বিষয়টি আদেশে আলাদা করে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, গণভোটে যদি সনদ বেশি ‘হ্যাঁ’ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়, তাহলে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন বাধ্যতামূলক হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আদেশে আলাদা করে লেখা থাকবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদেও সংস্কার প্রস্তাব পাস হলে এর পরের ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলো তাদের উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
আগামী সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়ে কমিশন নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। গতকাল বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, গণভোটে সংস্কার প্রস্তাবগুলো পাস হলে আগামী সংসদে সেগুলো বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক হবে। কমিশন এটিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এর বাইরে কোনো নিশ্চয়তা বিধান করা যায় কি না, তা-ও কমিশনের বিবেচনায় আছে।
সংসদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেহেতু রাজনৈতিক দলিল, তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। রাজনীতিকদের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।’
কমিশনের পক্ষ থেকে আদেশের সঙ্গে বিকল্প একটি প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। কমিশন সরকারকে গণভোট নিয়ে একটি আইন তৈরি করতে বলার কথা ভেবেছে। এতে সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো থাকবে। সে ক্ষেত্রে সব প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি আইন বানাতে হবে। গণভোটে এটা উঠবে। সমন্বিত আইনটি পাস হয়ে গেলে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান পরিষদ পুরো বাস্তবায়ন না করতে পারলেও আইনটি সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। তবে কমিশনের এই প্রস্তাবে বিশেষজ্ঞদের সায় নেই বলে জানা গেছে।
এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কমিশনের বিকল্প প্রস্তাবে বিষয়টি থাকবে। তবে আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আমরা এটা সমর্থন করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না’ এবং ‘সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চান কি না’—গণভোটে এ রকম প্রশ্ন রাখার কথা বিবেচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে। এখানে কোনো দলের ভিন্নমত গুরুত্ব পাবে না।
গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে মতবিরোধ আছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গণভোটের দিন-তারিখ কবে হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ রাষ্ট্রপতি, নাকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল তাদের সংসদ ভবনের কার্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। জাতীয় ঐকমত্য গঠনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। নতুন সংসদ নির্ধারিত ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়েও একটি বিকল্প ভাবা হচ্ছে।
সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশের খসড়া তৈরির কাজ গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। প্রস্তাবিত সময়ের মধ্যে নতুন সংসদ সংস্কার বাস্তবায়ন না করলে করণীয় কী হবে, তা গতকাল রাত বা আজ (সোমবার) সকালের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। আজ সকালে কমিশনের আবার বৈঠকের মাধ্যমে সুপারিশ চূড়ান্ত করে দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
সনদ বাস্তবায়নে কমিশন সুপারিশের যে রূপরেখা ঠিক করেছে, তাতে প্রথমে গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। তার অধীনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে করা হবে গণভোট। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) আগামী সংসদ কাজ করবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সংক্রান্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে।
কমিশন সূত্র জানায়, বাস্তবায়নের এই পুরো প্রক্রিয়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে উল্লেখ থাকবে। আদেশ জারির পর এর কিছু অংশ তাৎক্ষণিকভাবে এবং কিছু কিছু বিষয় পরবর্তী সময়ে কার্যকর হবে। আদেশের কোন ধারা কবে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ থাকবে। জুলাই সনদের সর্বসম্মত ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব আদেশের পরিশিষ্টে উল্লেখ থাকবে। সেখানে কোনো দলের ভিন্নমতের উল্লেখ থাকবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছি। কমিশন আশা করছে, আগামীকালের (আজ সোমবার) মধ্যে সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া সম্ভব হবে।’
দ্বিকক্ষের সংসদ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হলেও গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত আছে। বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল নিম্নকক্ষের আসনের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের পক্ষে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপিসহ সংলাপে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ দল পিআর ভোটের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষের দাবি জানিয়েছে। আবার জামায়াত, ইসলামী আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী কয়েকটি দল উভয় কক্ষেই পিআরের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছে। একাধিক সূত্র বলছে, বিএনপি পিআরে উচ্চকক্ষ মানলে নিম্নকক্ষের পিআরের দাবি থেকে দলগুলো সরে যাবে। বিষয়টি আদেশে আলাদা করে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৈঠক সূত্র জানায়, গণভোটে যদি সনদ বেশি ‘হ্যাঁ’ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়, তাহলে আগামী সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন বাধ্যতামূলক হবে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি আদেশে আলাদা করে লেখা থাকবে। সংবিধান সংস্কার পরিষদেও সংস্কার প্রস্তাব পাস হলে এর পরের ১৫ দিনের মধ্যে দলগুলো তাদের উচ্চকক্ষের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।
আগামী সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সনদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, সে বিষয়ে কমিশন নানা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। গতকাল বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, গণভোটে সংস্কার প্রস্তাবগুলো পাস হলে আগামী সংসদে সেগুলো বাস্তবায়ন করা বাধ্যতামূলক হবে। কমিশন এটিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এর বাইরে কোনো নিশ্চয়তা বিধান করা যায় কি না, তা-ও কমিশনের বিবেচনায় আছে।
সংসদ বাস্তবায়ন না করলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘জুলাই সনদ যেহেতু রাজনৈতিক দলিল, তাই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। রাজনীতিকদের ওপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে।’
কমিশনের পক্ষ থেকে আদেশের সঙ্গে বিকল্প একটি প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে। কমিশন সরকারকে গণভোট নিয়ে একটি আইন তৈরি করতে বলার কথা ভেবেছে। এতে সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো থাকবে। সে ক্ষেত্রে সব প্রস্তাবের সমন্বয়ে একটি আইন বানাতে হবে। গণভোটে এটা উঠবে। সমন্বিত আইনটি পাস হয়ে গেলে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান পরিষদ পুরো বাস্তবায়ন না করতে পারলেও আইনটি সংবিধানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে যাবে। তবে কমিশনের এই প্রস্তাবে বিশেষজ্ঞদের সায় নেই বলে জানা গেছে।
এক বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘কমিশনের বিকল্প প্রস্তাবে বিষয়টি থাকবে। তবে আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আমরা এটা সমর্থন করিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ অনুমোদন করেন কি না’ এবং ‘সংস্কার প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চান কি না’—গণভোটে এ রকম প্রশ্ন রাখার কথা বিবেচনা করছে ঐকমত্য কমিশন। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে। এখানে কোনো দলের ভিন্নমত গুরুত্ব পাবে না।
গণভোটের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলেও গণভোট কবে হবে, এর ভিত্তি কী হবে, ভিন্নমত থাকা প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে, এসব ক্ষেত্রে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে মতবিরোধ আছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানায়, গণভোটের দিন-তারিখ কবে হবে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ রাষ্ট্রপতি, নাকি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গতকাল তাদের সংসদ ভবনের কার্যালয় থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যুক্ত হন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন। আলোচনায় কমিশনের পক্ষে অংশ নেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। জাতীয় ঐকমত্য গঠনপ্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।
২১ মার্চ ২০২৫
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) উপজেলা বা থানা বা সমমান ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আশফাকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সভাপতি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শরীফ আল রায়হানকে মহাসচিব করা হয়েছে।
এ ছাড়া কমিটিতে আরও যাঁরা যাঁরা আছেন—

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।
২১ মার্চ ২০২৫
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
৩৮ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৬ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি মোবাইল সিম নিবন্ধন করতে পারেন। ৩০ অক্টোবরের পর একটি এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধনের সংখ্যা ১০টিতে নামিয়ে আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রাহকপ্রতি সিমের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর দেখা যায়, সিমটি সেই ব্যক্তির নামে নিবন্ধন করা নয়। একজনের নামের সিম কার্ড অন্যজন ব্যবহার করে অপরাধ করে। এতে প্রকৃত দোষী ব্যক্তি অনেক সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এ জন্য নির্বাচনের আগে ব্যক্তিপর্যায়ে নিবন্ধন করা সিম কার্ড কমিয়ে আনা হবে।
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির এ বৈঠকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠেছে। দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সংঘবদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কর্মকাণ্ড রোধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলার রেকর্ড, তদন্ত অগ্রগতি, দেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী উসকানিমূলক সাইবার প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইনগত ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া মাদকের অপব্যবহার রোধ, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিনপরবর্তী সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও প্রতিরোধ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনগুলোর অপতৎপরতা রোধ, পোশাক কারখানা–ওষুধশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির তৎপরতা রোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান, সীমান্ত ও পার্বত্যাঞ্চল পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ নিয়েও আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।
২১ মার্চ ২০২৫
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
৩৮ মিনিট আগে
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ মতবিনিময় ও প্রস্তুতিমূলক সভা ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো সভার চিঠি থেকে জানা যায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির চিঠি অনুযায়ী, অন্তত ৩১ জন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাকে সভায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—মন্ত্রিপরিষদসচিব; স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, নৌপরিবহন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব; পররাষ্ট্র, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ (সমন্বয় ও সংস্কার), অর্থ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবেরা। এর পাশাপাশি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকেও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর নির্বাহী পরিচালক বা উপযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে সভায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ডাক অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস), ঢাকাকেও সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০ অক্টোবর ইসি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
কমিশন গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ২৮ সেপ্টেম্বর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় এবং একই দিন শিক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা করে ইসি। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গেও আরও সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন।

রাষ্ট্র সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে এই সংলাপ শুরু হলো।
২১ মার্চ ২০২৫
রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গণভোটের পর সংবিধান সংস্কার পরিষদে বাস্তবায়ন আদেশ পাস হয়ে গেলে আগামী সংসদেই সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠনের সুপারিশ থাকতে পারে বলে একাধিক সূত্
৩৮ মিনিট আগে
সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহকারী উপজেলা ও থানা ইলেকশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার গ্রাহকপ্রতি মোবাইল সিম কার্ডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বৈঠকে ত্রয়োদশ
৫ ঘণ্টা আগে