অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুরের প্রথম ইউনিটের কমিশনিং প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ হিসেবে ‘হট টেস্টিং’ বা বাষ্প নির্গমন পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই পরীক্ষা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্ভরযোগ্যতা যাচাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের একটি অংশ এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) জানিয়েছে, এই পরীক্ষার সময় চুল্লি ইউনিটকে উত্তপ্ত করা হচ্ছে এবং বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতিতে পাম্প, পাইপলাইন, তাপ বিনিময় সরঞ্জামসহ প্রধান উপাদানগুলো কীভাবে কাজ করে তা ধাপে ধাপে পরীক্ষা করছেন। লোডের অধীনে সরঞ্জামের আচরণ রেকর্ড করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটিই পরবর্তীতে প্ল্যান্টের নির্ভরযোগ্য কার্যক্রম নিশ্চিত করবে।
‘হট টেস্টিং’ মূলত চুল্লি ইউনিটের নির্ভরযোগ্যতা পরীক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়। পরে আরও গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোতে যাওয়ার আগে এই পরীক্ষা করা হয়। সিস্টেমটি বাস্তব অপারেশনের কাছাকাছি পরিস্থিতিতে কাজ করার জন্য কতটা প্রস্তুত, সেটি এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়।
গত জুনে রূপপুর ইউনিট ১-এর কন্টেইনমেন্ট বিল্ডিংয়ের লিকেজ পরীক্ষাও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া, গত জুনের শেষের দিকে ইউনিটের জন্য স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমার এবং সহায়ক ট্রান্সফরমার চালু করা হয়েছে। এসব স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমার টার্বোজেনারেটর দ্বারা উৎপাদিত ২৪ কেভি ভোল্টেজকে ৪০০ কেভিতে রূপান্তর করে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এগুলোর মোট ১ হাজার ৫৯৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সক্ষমতা রয়েছে, যেখানে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট।
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার রোসাটম বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের জন্য রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে রূপপুরে দুটি চুল্লি নির্মাণের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। প্রকল্পের প্রাথমিক চুক্তিতে ব্যয় ধরা হয় ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ পরমাণু নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের জুনে রূপপুর প্ল্যান্টের জন্য প্রথম সাইট লাইসেন্স জারি করে।
প্রথম ইউনিটের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের নভেম্বরে। দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। এই ইউনিটগুলোর প্রাথমিক আয়ুষ্কাল ৬০ বছর। এটি আরও ২০ বছর বাড়ানো সম্ভব।
২০২৩ সালের অক্টোবরে পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম ব্যাচ সাইটে সরবরাহ করা হয়। এর মাধ্যমে রূপপুর একটি পারমাণবিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। গত মার্চে রূপপুর ইউনিট ১-এর টারবাইন স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রাথমিক সার্কিট সিস্টেম ও সরঞ্জাম পরীক্ষা করার জন্য হাইড্রোলিক পরীক্ষাও শেষ হয়েছে।
রূপপুর ইউনিট ১-এর গ্রিড সংযোগকে চলতি বছরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে রোসাটম। চলতি বছর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রূপপুরের প্রথম ইউনিটের কমিশনিং প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ হিসেবে ‘হট টেস্টিং’ বা বাষ্প নির্গমন পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এই পরীক্ষা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্ভরযোগ্যতা যাচাইয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের একটি অংশ এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট (এএসই) জানিয়েছে, এই পরীক্ষার সময় চুল্লি ইউনিটকে উত্তপ্ত করা হচ্ছে এবং বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতিতে পাম্প, পাইপলাইন, তাপ বিনিময় সরঞ্জামসহ প্রধান উপাদানগুলো কীভাবে কাজ করে তা ধাপে ধাপে পরীক্ষা করছেন। লোডের অধীনে সরঞ্জামের আচরণ রেকর্ড করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটিই পরবর্তীতে প্ল্যান্টের নির্ভরযোগ্য কার্যক্রম নিশ্চিত করবে।
‘হট টেস্টিং’ মূলত চুল্লি ইউনিটের নির্ভরযোগ্যতা পরীক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়। পরে আরও গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোতে যাওয়ার আগে এই পরীক্ষা করা হয়। সিস্টেমটি বাস্তব অপারেশনের কাছাকাছি পরিস্থিতিতে কাজ করার জন্য কতটা প্রস্তুত, সেটি এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়।
গত জুনে রূপপুর ইউনিট ১-এর কন্টেইনমেন্ট বিল্ডিংয়ের লিকেজ পরীক্ষাও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া, গত জুনের শেষের দিকে ইউনিটের জন্য স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমার এবং সহায়ক ট্রান্সফরমার চালু করা হয়েছে। এসব স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমার টার্বোজেনারেটর দ্বারা উৎপাদিত ২৪ কেভি ভোল্টেজকে ৪০০ কেভিতে রূপান্তর করে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এগুলোর মোট ১ হাজার ৫৯৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সক্ষমতা রয়েছে, যেখানে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট।
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার রোসাটম বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের জন্য রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে রূপপুরে দুটি চুল্লি নির্মাণের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। প্রকল্পের প্রাথমিক চুক্তিতে ব্যয় ধরা হয় ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ পরমাণু নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের জুনে রূপপুর প্ল্যান্টের জন্য প্রথম সাইট লাইসেন্স জারি করে।
প্রথম ইউনিটের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের নভেম্বরে। দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। এই ইউনিটগুলোর প্রাথমিক আয়ুষ্কাল ৬০ বছর। এটি আরও ২০ বছর বাড়ানো সম্ভব।
২০২৩ সালের অক্টোবরে পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম ব্যাচ সাইটে সরবরাহ করা হয়। এর মাধ্যমে রূপপুর একটি পারমাণবিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। গত মার্চে রূপপুর ইউনিট ১-এর টারবাইন স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রাথমিক সার্কিট সিস্টেম ও সরঞ্জাম পরীক্ষা করার জন্য হাইড্রোলিক পরীক্ষাও শেষ হয়েছে।
রূপপুর ইউনিট ১-এর গ্রিড সংযোগকে চলতি বছরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে রোসাটম। চলতি বছর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় সহায়তা করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) ও বাংলাদেশ সরকার সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার মিশন খোলা হবে।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংকের কার্যক্রম চালু করতে সরকার যে দক্ষতা ও সমন্বিত প্রচেষ্টা দেখিয়েছে, তা নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন স্পেসএক্স-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার।
২ ঘণ্টা আগেদুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং ৭৮৭ উড়োজাহাজের চাকা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রায় ৩২ ঘণ্টা ধরে যাত্রা বিঘ্নিত হয়।
৫ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রায় এক বছর হতে চললেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আওয়ামী লীগ আমলে বিতর্কিত আইনজীবী প্যানেল বদলাতে পারেনি। এসব আইনজীবীদের অনেকে শুনানিতে গাফিলতি এবং আদালতে অনুপস্থিত থাকছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে