Ajker Patrika

‘আমার হাতে আলাদিনের চেরাগ নেই যে, সুইচ দিলেই বাজার ঠিক হয়ে যাবে’: বাণিজ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯: ৫২
Thumbnail image
আজ বৃহস্পতিবার সফররত তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমর বোলাটের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষ যে কষ্ট পাচ্ছে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তবে এ সমস্যা সাময়িক দাবি করে তিনি বলেছেন, ‘আমার হাতে কোনো আলাদিনের চেরাগ নেই যে, তাতে সুইচ দিলেই আগামীকাল বাজার ঠিক হয়ে যাবে।’

ঢাকায় সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার সফররত তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী ওমর বোলাটের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে উপদেষ্টা বলেন, আমদানি উদার করা হয়েছে। শুল্ক ৬৩ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। আমদানি শুরু হলেই যদি কেউ অন্যভাবে মজুত করে থাকে, তাহলে তারাও ছাড়তে বাধ্য হবে। তখন বাজারও স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে। বাজার স্বাভাবিক রাখতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, চালের মজুতে কোনো সমস্যা নেই। তারপরও খাদ্য মন্ত্রোণালয় ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে কয়েক লাখ টন চাল আমদানি করছে। এ ছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে ওএমএস ও টিসিবির কার্যক্রম বাড়ানো হচ্ছে।

নতুন সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে কি না, জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা যদি সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে দেন, তাহলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে।’

দুর্নীতির কারণে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ৩৭ লাখ ফ্যামিলি কার্ড বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘১ কোটি বলা হলেও ৬৩ লাখ ফ্যামিলি স্মার্ট কার্ডের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে টিসিবি। ১ কোটি কার্ডের মধ্যে দুর্নীতি ছিল। একই পরিবারে একাধিক কার্ডও ছিল।’

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘যে ৩৭ লাখ কার্ড নেই তার মধ্যে প্রকৃত উপকারভোগী একজনও বাদ পড়েননি। যাঁরা সঠিক প্রাপক তাঁদের কাছেই পণ্য পাঠানো হচ্ছে। আমরা আরও ৩৭ লাখ কার্ড বাড়াতে চাই। ১ কোটি থেকে বাড়ানো গেলে সেটাও করব।’

তুরস্কের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, দুই দেশের মধ্যকার সামরিক বাণিজ্যে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশটি বাংলাদেশে অস্ত্র রপ্তানি করতে চায়। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ওষুধ, খাদ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিনিয়োগে আগ্রহী তারা। তাই তুরস্কের জন্য আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চলও করা যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত