সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনায় চীনের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের এবারের সফরে। তবে বিশ্লেষকেরা তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে এগোনোর তাগিদ দিয়েছেন।
ঢাকাভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান বলেন, তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে একটি প্রকল্পে চীনের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের আগে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। এবার সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে বিষয়টি আসায় প্রকল্পটি গুরুত্ব পাবে।
সিইজিআইএস কর্মকর্তা বলেন, ‘তিস্তায় সুনির্দিষ্ট প্রকল্প নিয়ে এগোনোর আগে তার কারিগরি দিকগুলো খতিয়ে দেখতে হবে—কী উদ্দেশে প্রকল্প নেওয়া হবে? কেন করা হবে? তিস্তায় ব্যারাজ আছে। এর ভাটিতে বাংলাদেশ কী করতে চায়—এসব বিষয় পরিষ্কার হতে হবে।’
এই নদী বিশেষজ্ঞ বলেন, তিস্তা ব্যারাজ মূলত একটি সেচ প্রকল্প। তাই এর উজানে বড় ধরনের কোনো প্রকল্প নেওয়ার সুযোগ নেই।
নদীর ওপর অবকাঠামো বেশি হলে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, এটা উল্লেখ করে মালিক ফিদা এ খান বলেন, নদীকে নদীর মতো চলতে দেওয়া উচিত; তা না হলে নদী বিগড়ে যেতে পারে। যেকোনো প্রকল্পই নেওয়া হোক না কেন, তা নদীর বৈশিষ্ট্যের ওপর দীর্ঘ মেয়াদে কী প্রভাব ফেলবে, তাও দেখতে হবে। ক্ষণস্থায়ী লাভের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনা যাবে না।
ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদী তিস্তার পানি ভাগাভাগির জন্য একটি চুক্তি করার বিষয়ে ১৯৬৫ সাল থেকে বর্তমান বাংলাদেশে আলোচনা চলছে। ২০১১ সালে চুক্তিটি সই হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
তিস্তা প্রকল্পে চীনকে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে ভারত বিষয়টি কীভাবে নিতে পারে, এমন প্রশ্নে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, ভারতের সঙ্গে এখন সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে, এ কারণে তারা কিছু মনে করলেও করতে পারে। তা না হলে বিষয়টি ‘নতুন না’।
ভারত পানি দেবে না—এটা ধরে নিয়েই এগোতে হবে; এমনটা উল্লেখ করে চীনে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, একই সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতাও থাকতে হবে। এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে ভারতের চিন্তিত হওয়ার সত্যি সত্যি কোনো কারণ থাকে।
মুন্সি ফয়েজ বলেন, এবারের সফরের একটি নেতিবাচক দিক হলো চীনের কাছে পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ৫০ বছরের মহাপরিকল্পনা চাওয়া। এটা ‘অবিবেচকের মতো’ কাজ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, মহাপরিকল্পনা বাংলাদেশেরই করা উচিত। অন্যরা সেখানে সহায়তা দিতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনায় চীনের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে দেশটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের এবারের সফরে। তবে বিশ্লেষকেরা তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে এগোনোর তাগিদ দিয়েছেন।
ঢাকাভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান বলেন, তিস্তা নদীকে কেন্দ্র করে একটি প্রকল্পে চীনের যুক্ত হওয়ার বিষয়ে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের আগে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। এবার সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে বিষয়টি আসায় প্রকল্পটি গুরুত্ব পাবে।
সিইজিআইএস কর্মকর্তা বলেন, ‘তিস্তায় সুনির্দিষ্ট প্রকল্প নিয়ে এগোনোর আগে তার কারিগরি দিকগুলো খতিয়ে দেখতে হবে—কী উদ্দেশে প্রকল্প নেওয়া হবে? কেন করা হবে? তিস্তায় ব্যারাজ আছে। এর ভাটিতে বাংলাদেশ কী করতে চায়—এসব বিষয় পরিষ্কার হতে হবে।’
এই নদী বিশেষজ্ঞ বলেন, তিস্তা ব্যারাজ মূলত একটি সেচ প্রকল্প। তাই এর উজানে বড় ধরনের কোনো প্রকল্প নেওয়ার সুযোগ নেই।
নদীর ওপর অবকাঠামো বেশি হলে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, এটা উল্লেখ করে মালিক ফিদা এ খান বলেন, নদীকে নদীর মতো চলতে দেওয়া উচিত; তা না হলে নদী বিগড়ে যেতে পারে। যেকোনো প্রকল্পই নেওয়া হোক না কেন, তা নদীর বৈশিষ্ট্যের ওপর দীর্ঘ মেয়াদে কী প্রভাব ফেলবে, তাও দেখতে হবে। ক্ষণস্থায়ী লাভের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনা যাবে না।
ভারতের সঙ্গে অভিন্ন নদী তিস্তার পানি ভাগাভাগির জন্য একটি চুক্তি করার বিষয়ে ১৯৬৫ সাল থেকে বর্তমান বাংলাদেশে আলোচনা চলছে। ২০১১ সালে চুক্তিটি সই হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
তিস্তা প্রকল্পে চীনকে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে ভারত বিষয়টি কীভাবে নিতে পারে, এমন প্রশ্নে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, ভারতের সঙ্গে এখন সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে, এ কারণে তারা কিছু মনে করলেও করতে পারে। তা না হলে বিষয়টি ‘নতুন না’।
ভারত পানি দেবে না—এটা ধরে নিয়েই এগোতে হবে; এমনটা উল্লেখ করে চীনে বাংলাদেশের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, একই সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতাও থাকতে হবে। এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে ভারতের চিন্তিত হওয়ার সত্যি সত্যি কোনো কারণ থাকে।
মুন্সি ফয়েজ বলেন, এবারের সফরের একটি নেতিবাচক দিক হলো চীনের কাছে পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ৫০ বছরের মহাপরিকল্পনা চাওয়া। এটা ‘অবিবেচকের মতো’ কাজ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, মহাপরিকল্পনা বাংলাদেশেরই করা উচিত। অন্যরা সেখানে সহায়তা দিতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:
মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যের একটি নির্মাণ সাইট থেকে ২৯৭ বাংলাদেশিকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। অভিযানের কোডনাম ছিল ‘অপ সাপু’। মঙ্গলবার (৪ জুন) বায়ান লেপাস শিল্প এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।
১৫ মিনিট আগেসৌদি আরবের ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) লাখো হাজির পদচারণায় মুখরিত এই ময়দানে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা, যাদের মধ্যে রয়েছেন বহু বাংলাদেশি হাজি।
৩ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন লাখো মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকেই সদরঘাট, কমলাপুর, মহাখালী, গাবতলী ও সায়েদাবাদসহ বিভিন্ন বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন এবং লঞ্চঘাটে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
১০ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার রায়পুর আনোয়ারা উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাসুদ মিয়া অবসরে গেছেন ২০২২ সালে। বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় অবসরকালীন আর্থিক সুবিধার আশায় চাকরিরত অবস্থায় নিয়মিত চাঁদা দিয়েছেন। অবসরের পর সেই সুবিধার জন্য আবেদন করে এখনো প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পাননি।
১ দিন আগে