Ajker Patrika

নোবেলের চেয়েও জুলিও কুরি পদক মর্যাদাপূর্ণ: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ মে ২০২৩, ১৫: ০৫
নোবেলের চেয়েও জুলিও কুরি পদক মর্যাদাপূর্ণ: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

নোবেল শান্তি পদকের চেয়েও জুলিও কুরি শান্তি পদক বড় ও মর্যাদাপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় এ মন্তব্য করেন তিনি। ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন এই আলোচনার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘নোবেল পুরস্কারের চেয়েও বড় জুলিও কুরি পুরস্কার। কারা এই পুরস্কার পেয়েছেন, সেটা দেখলেই এটা বোঝা যায়। ফিদেল কাস্ত্রো, পাবলো নেরুদা, নেলসন ম্যান্ডেলার মতো নেতারা এই পুরস্কার পেয়েছেন। অন্যদিকে নোবেল পুরস্কার কারা পান তাও আমরা জানি। বঙ্গবন্ধুর এত বড় সম্মান বা স্বীকৃতি আমরা ভুলতে বসেছি। নতুন প্রজন্ম জানেও না জুলিও কুরি পদক কী। গবেষক, লেখকদের দায়িত্ব এই পদকের তাৎপর্য  মানুষের সামনে নিয়ে আসা।’

সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কারের চেয়েও জুলিও কুরি পুরস্কার বেশি মর্যাদাপূর্ণ। কারণ নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় তাঁদের, যারা যুক্তরাষ্ট্রের তাঁবেদার। হেনরি কিসিঞ্জারকেও এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। শ্রমিক-কর্মীদের টাকা আত্মসাৎকারী ড. ইউনূসও এই পুরস্কার পেয়েছেন।

বিচারপতি মানিক মনে করেন, ভারত না এলে নয় মাসে দেশ স্বাধীন হতো না। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর বড় অবদান ছিল বলে জানান তিনি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তি বাঙালি জাতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ও  তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, একটি জাতির মুক্তি এবং বিশ্বশান্তিতে অবদানের জন্য তাঁকে এই পদক দেওয়া হয়েছিল। সারা জীবন তিনি গণতান্ত্রিক পন্থায় শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করেছেন। তিনি ছিলেন অত্যাচারিত, নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর। তিনি শুধু বাঙালি নেতা ছিলেন না,  সারা বিশ্বের রাজনীতি তাঁর নখদর্পণে ছিল।

বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো নেতাকে জুলিও কুরি পদক দিয়ে বিশ্বশান্তি পরিষদও সম্মানিত হয়েছে। জুলিও কুরি পদক কী, তা তরুণ প্রজন্মের অনেকেই বলতে পারবে না। এর দায়িত্ব লেখক গবেষকদের নিতে হবে। 

বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তির ঘটনাপ্রবাহ ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। সভা সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্যসচিব অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাদেকুল আরেফিন, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নাছিম আখতার প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত