নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কিন্তু দেশ একটা সংকটে আছে। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে আছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এখানে সকলকে সমভাবে দায়িত্বশীল হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে সিনিয়র সহকারী জজ ও যুগ্ম জেলা জজ নিয়ে গঠিত ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির কর্মশালা উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন সিইসি।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘একটা দেশ বা জাতি একটা জেনারেশনকে নিয়ে থেমে থাকে না। আমাদের গণতন্ত্রে মাঝে মাঝে ধাক্কা–সামরিক শাসন, গণ-অভ্যুত্থান ইত্যাদি হয়ে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় এখনো স্থিরভাবে ৫০ বছর আমরা এগোতে পারিনি, এটা সত্য। কিন্তু আমরা চাইব, শাসনতান্ত্রিক যে ধারাবাহিকতা যেখানে নির্বাচন আছে, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন আছে, গণতন্ত্র আছে, প্রজাতন্ত্রের কথা আছে, সেই সংবিধানকে সমুন্নত রাখার জন্য আমাদের সকলকে দায়িত্বশীল হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
নির্বাচনের দিনটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আমরা হয়তো সফল হব, নয়তো ব্যর্থ হব। কিন্তু ব্যর্থ হওয়ার চিন্তা আমরা করছি না। আমরা অবশ্যই সফল হব। আমরা দেখতে চাই, যাঁরা ভোটার তাঁরা ভোট দিতে আসতে পারছেন। তাঁদের পথে কেউ বাধা দিচ্ছে না। যদি বাধা দেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন প্রভাবিত হয়ে গেল, নির্বাচন অবাধ হলো না। আমরা দেখতে চাই তাঁরা সমস্ত কেন্দ্রে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। আরেকটা জিনিস দেখতে চাই—লাইনটা ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেমে নাই। যদি থেমে থাকে তাহলে মনে করা হবে ভেতরে এই কাজটি করা হচ্ছে। লাইনটা চলমান থাকতে হবে। লাইনটি গ্রাজুয়ালি ভেতরে প্রবেশ করছে কি না তা দৃশ্যমান হতে হবে। তারপর দেখতে হবে ওরা ভেতর থেকে নিরাপদে বেরিয়ে আসছে কি না।’
ভোটের দিন পোলিং এজেন্টদের সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘ইলেকশনটা কিন্তু দলে হবে না। প্রার্থী-প্রার্থী হবে। তখন দলটল বড় কথা নয়, ওরা ওখানে প্রার্থী। প্রত্যেকটা প্রার্থী তার পোলিং এজেন্ট দিয়েছে কি না, দিতেই হবে যে প্রার্থীর স্বার্থটা দেখবে। আমি এখান থেকে ৪২ হাজার কেন্দ্রে যেতে পারব না, আপনারাও পারবেন না। আপনারাও সমন্বয় করার চেষ্টা করবেন পোলিং এজেন্ট যেন দেওয়া হয়। যদি পোলিং এজেন্ট দেওয়া না হয়, সেটাও আমাদের কাছে রেকর্ড থাকবে। সেই প্রার্থী যদি অভিযোগ করে, সেটা খুব বেশি আমলে হয়তো নেওয়া হবে না। আপনার পোলিং এজেন্ট কোথায় ছিল? তখন প্রতিবাদ করেনি কেন?’
সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি দৃশ্যমানতা, সবাই চোখ রাখবেন। আমরা চাচ্ছি অবিতর্কিত ফলাফল। ফলাফলটা যেন অবিতর্কিত হয়। আমরা স্বচ্ছতায়, দৃশ্যমানতায় বিশ্বাস করি। ক্রেডিবিলিটি প্রমাণ করা যায় না। এটি আসে স্বচ্ছতা ও দৃশ্যমানতা থেকে। আমি যদি নির্বাচন প্রক্রিয়াটাকে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন করতে পারি জনগণের কাছে। যেটা ৫০ বছর আগে ছিল না, আজকে আছে। যদি ডাকাতি হয় তাহলে ডাকাতির প্রচারটা হোক, আর যদি সত্যিকারের অর্থের শুদ্ধ ভোট হয়, সেটাও প্রচারিত হোক। জনগণ সত্যটা জানুক। আমরা অসত্যটা প্রচার করতে চাই না।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কিন্তু দেশ একটা সংকটে আছে। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে আছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এখানে সকলকে সমভাবে দায়িত্বশীল হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে সিনিয়র সহকারী জজ ও যুগ্ম জেলা জজ নিয়ে গঠিত ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির কর্মশালা উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন সিইসি।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘একটা দেশ বা জাতি একটা জেনারেশনকে নিয়ে থেমে থাকে না। আমাদের গণতন্ত্রে মাঝে মাঝে ধাক্কা–সামরিক শাসন, গণ-অভ্যুত্থান ইত্যাদি হয়ে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় এখনো স্থিরভাবে ৫০ বছর আমরা এগোতে পারিনি, এটা সত্য। কিন্তু আমরা চাইব, শাসনতান্ত্রিক যে ধারাবাহিকতা যেখানে নির্বাচন আছে, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন আছে, গণতন্ত্র আছে, প্রজাতন্ত্রের কথা আছে, সেই সংবিধানকে সমুন্নত রাখার জন্য আমাদের সকলকে দায়িত্বশীল হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
নির্বাচনের দিনটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘আমরা হয়তো সফল হব, নয়তো ব্যর্থ হব। কিন্তু ব্যর্থ হওয়ার চিন্তা আমরা করছি না। আমরা অবশ্যই সফল হব। আমরা দেখতে চাই, যাঁরা ভোটার তাঁরা ভোট দিতে আসতে পারছেন। তাঁদের পথে কেউ বাধা দিচ্ছে না। যদি বাধা দেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন প্রভাবিত হয়ে গেল, নির্বাচন অবাধ হলো না। আমরা দেখতে চাই তাঁরা সমস্ত কেন্দ্রে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। আরেকটা জিনিস দেখতে চাই—লাইনটা ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেমে নাই। যদি থেমে থাকে তাহলে মনে করা হবে ভেতরে এই কাজটি করা হচ্ছে। লাইনটা চলমান থাকতে হবে। লাইনটি গ্রাজুয়ালি ভেতরে প্রবেশ করছে কি না তা দৃশ্যমান হতে হবে। তারপর দেখতে হবে ওরা ভেতর থেকে নিরাপদে বেরিয়ে আসছে কি না।’
ভোটের দিন পোলিং এজেন্টদের সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘ইলেকশনটা কিন্তু দলে হবে না। প্রার্থী-প্রার্থী হবে। তখন দলটল বড় কথা নয়, ওরা ওখানে প্রার্থী। প্রত্যেকটা প্রার্থী তার পোলিং এজেন্ট দিয়েছে কি না, দিতেই হবে যে প্রার্থীর স্বার্থটা দেখবে। আমি এখান থেকে ৪২ হাজার কেন্দ্রে যেতে পারব না, আপনারাও পারবেন না। আপনারাও সমন্বয় করার চেষ্টা করবেন পোলিং এজেন্ট যেন দেওয়া হয়। যদি পোলিং এজেন্ট দেওয়া না হয়, সেটাও আমাদের কাছে রেকর্ড থাকবে। সেই প্রার্থী যদি অভিযোগ করে, সেটা খুব বেশি আমলে হয়তো নেওয়া হবে না। আপনার পোলিং এজেন্ট কোথায় ছিল? তখন প্রতিবাদ করেনি কেন?’
সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি দৃশ্যমানতা, সবাই চোখ রাখবেন। আমরা চাচ্ছি অবিতর্কিত ফলাফল। ফলাফলটা যেন অবিতর্কিত হয়। আমরা স্বচ্ছতায়, দৃশ্যমানতায় বিশ্বাস করি। ক্রেডিবিলিটি প্রমাণ করা যায় না। এটি আসে স্বচ্ছতা ও দৃশ্যমানতা থেকে। আমি যদি নির্বাচন প্রক্রিয়াটাকে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন করতে পারি জনগণের কাছে। যেটা ৫০ বছর আগে ছিল না, আজকে আছে। যদি ডাকাতি হয় তাহলে ডাকাতির প্রচারটা হোক, আর যদি সত্যিকারের অর্থের শুদ্ধ ভোট হয়, সেটাও প্রচারিত হোক। জনগণ সত্যটা জানুক। আমরা অসত্যটা প্রচার করতে চাই না।’
সরকারপ্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর দপ্তর মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ধরন এবং সরকারপ্রধানের কাজের যে বৈচিত্র্য ও গতি, তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল-লয় ঠিক রেখে চলতে পারছে না...
৬ ঘণ্টা আগেসর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাকে আরও বাস্তবমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে একাধিক পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে কোনো চাঁদাদাতা ৬০ বছর বয়স পূর্ণ করলেই তাঁর জমাকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ এককালীন তোলার সুযোগ পাবেন; এটি প্রথমবারের মতো চালু হলো। পাশাপাশি প্রবাস ও প্রগতি স্কিমে মাসিক...
৬ ঘণ্টা আগেশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) চারটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে বুলেট গতিতে। সকালে ৩ হাজার ১০৫ জন চাকরি প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা নিয়ে রাতেই ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফল প্রকাশে এমন গতি, ডিআইএ কর্তৃপক্ষ প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করায় এবং খাতা মূল্যায়নের...
৬ ঘণ্টা আগেযমুনার সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। বুধবার (১৪ মে) যমুনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংলাপের পর তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এই আহ্বান জানান। উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, ‘আপনারা যেন আন্দোলন...
৮ ঘণ্টা আগে