কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন যেতে পারে, তা নিয়ে এখানকার নাগরিকদের মধ্যে নানামুখী কথাবার্তা চলছে। দুই দেশের বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক ঝামেলাহীন রাখতে হলে বাংলাদেশের ভেতরকার প্রস্তুতি ও পরিবেশ ভালো থাকতে হবে।
ট্রাম্পের সময় যুক্তরাষ্ট্র চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি, সমরাস্ত্র বেচাকেনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুস্তরের প্রতিযোগিতায় জড়াতে পারে—এমন আভাস দিয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলমেন বলেন, বাংলাদেশের এসব বিষয়ে নেওয়া মার্কিন পদক্ষেপগুলোর ওপর নজর রাখা দরকার হবে। বড় শক্তির প্রতিযোগিতায় অংশ হওয়া এড়িয়ে বাংলাদেশকে ভারসাম্য বজায় রাখায় নজর দিতে হবে।
গতকাল বুধবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় কুগেলমেন এমন মন্তব্য করেন। কসমস ফাউন্ডেশন আলোচনাটির আয়োজন করে।
কুগেলমেন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যঘাটতি কমাতে চাইবে। আমেরিকা থেকে পণ্য কেনা ও এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে কাজে লাগানো বাংলাদেশের জন্য সহায়ক হতে পারে।
কুগেলমেন মনে করেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রে উত্তরণ, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা, বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা এবং মিয়ানমার সীমান্তে টেকসই নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা গেলে বাইরের চাপ সামলানো সহজ হতে পারে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ইস্যুগুলো ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে গণ্য করতে পারে, এমনটা মনে করেন মার্কিন এই বিশ্লেষক।
আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নত করার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো, বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা দরকার হবে।
চীনের পাশাপাশি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা খাতে কেনাকাটায় বৈচিত্র্য আনছে, এটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও সামরিক সরঞ্জামের অন্যতম উৎস হতে পারে।
হুমায়ুন কবির বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিদেশে অবস্থানের সময় দেশের দলভিত্তিক [আওয়ামী লীগ ও বিএনপি] বিভক্তির রাজনীতি না করে তাঁরা যেখানে থাকেন, সেখানকার রাজনীতিতে সক্রিয় হলে দেশের জন্য ভূমিকা রাখা সহজ হবে। ভারতের প্রভাব এড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন এই কূটনীতিক।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শাহাব এনাম খান ট্রাম্প প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য বেসরকারি খাতকে কাজে লাগানোর ওপর জোর দেন।
প্রচলিত কূটনৈতিক তৎপরতা দিয়ে হবে না, এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পূর্ব সীমান্তে মিয়ানমারকে দক্ষতার সঙ্গে সামলাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
কসমস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন। বক্তব্য দেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম, ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খানসহ অন্যরা।
ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন যেতে পারে, তা নিয়ে এখানকার নাগরিকদের মধ্যে নানামুখী কথাবার্তা চলছে। দুই দেশের বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক ঝামেলাহীন রাখতে হলে বাংলাদেশের ভেতরকার প্রস্তুতি ও পরিবেশ ভালো থাকতে হবে।
ট্রাম্পের সময় যুক্তরাষ্ট্র চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি, সমরাস্ত্র বেচাকেনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুস্তরের প্রতিযোগিতায় জড়াতে পারে—এমন আভাস দিয়ে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলমেন বলেন, বাংলাদেশের এসব বিষয়ে নেওয়া মার্কিন পদক্ষেপগুলোর ওপর নজর রাখা দরকার হবে। বড় শক্তির প্রতিযোগিতায় অংশ হওয়া এড়িয়ে বাংলাদেশকে ভারসাম্য বজায় রাখায় নজর দিতে হবে।
গতকাল বুধবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক আলোচনায় কুগেলমেন এমন মন্তব্য করেন। কসমস ফাউন্ডেশন আলোচনাটির আয়োজন করে।
কুগেলমেন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যঘাটতি কমাতে চাইবে। আমেরিকা থেকে পণ্য কেনা ও এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে কাজে লাগানো বাংলাদেশের জন্য সহায়ক হতে পারে।
কুগেলমেন মনে করেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রে উত্তরণ, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা, বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা এবং মিয়ানমার সীমান্তে টেকসই নিরাপত্তাব্যবস্থা গড়ে তোলা গেলে বাইরের চাপ সামলানো সহজ হতে পারে।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ইস্যুগুলো ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে গণ্য করতে পারে, এমনটা মনে করেন মার্কিন এই বিশ্লেষক।
আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নত করার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো, বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা দরকার হবে।
চীনের পাশাপাশি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা খাতে কেনাকাটায় বৈচিত্র্য আনছে, এটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও সামরিক সরঞ্জামের অন্যতম উৎস হতে পারে।
হুমায়ুন কবির বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিদেশে অবস্থানের সময় দেশের দলভিত্তিক [আওয়ামী লীগ ও বিএনপি] বিভক্তির রাজনীতি না করে তাঁরা যেখানে থাকেন, সেখানকার রাজনীতিতে সক্রিয় হলে দেশের জন্য ভূমিকা রাখা সহজ হবে। ভারতের প্রভাব এড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন এই কূটনীতিক।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শাহাব এনাম খান ট্রাম্প প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য বেসরকারি খাতকে কাজে লাগানোর ওপর জোর দেন।
প্রচলিত কূটনৈতিক তৎপরতা দিয়ে হবে না, এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পূর্ব সীমান্তে মিয়ানমারকে দক্ষতার সঙ্গে সামলাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
কসমস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন। বক্তব্য দেন সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম, ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খানসহ অন্যরা।
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেশের জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ঈদের ছুটি চলাকালীন সময়ে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারকে করিডোর দিয়েছে বলে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা সর্বৈব মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৫ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে যে সময়সীমা ঘোষণা করেছেন, সে বিষয়ে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মিশন একটি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আজ শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিশন নিজের ফেসবুক পেজে এ প্রতিক্রিয়া জানায়।
৫ ঘণ্টা আগে‘চট্টগ্রাম বন্দর হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। এই হৃৎপিণ্ড বড় এবং সুঠাম করতে হলে বহু উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অভিজ্ঞদের সাহায্য লাগবে। আমরা যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারা বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিশ্বের সেরা, সবচেয়ে অভিজ্ঞ। তারা ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক,
৬ ঘণ্টা আগে