অনলাইন ডেস্ক
জমি কেনাবেচা থেকে শুরু করে কর বা খাজনা দিতে পারছেন না মানুষ। এক মাস ধরে দেশব্যাপী চলছে এই অচলাবস্থা। কবে এসব ঠিক হবে, তা-ও কেউ বলতে পারছেন না।
ভূমি মন্ত্রণালয় বলছে, ভূমি ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সফটওয়্যার আপডেট করার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ সফটওয়্যারের তথ্য এখনো জনগণ জানেন না বলে ভোগান্তিতে পড়ছেন।
তাহলে প্রশ্ন হলো, ভূমি ব্যবস্থাপনার মতো বড় ও গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যারের তথ্য কেন জানবেন না মানুষ? এ প্রশ্নের কোনো জবাব কর্তাব্যক্তিদের কেউই দিতে পারেননি।
রাজধানীর পাশে কেরানীগঞ্জ উপজেলার কাজিরগাঁও এলাকার বাসিন্দা বাবুল সরকার অভিযোগ করেন, চার ভাইয়ের ২০ শতাংশ ভূমি বিক্রির জন্য বায়না নিয়েছিলেন। বায়নার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও জমি রেজিস্ট্রেশন করে দিতে পারেননি। এক মাস ধরে ভূমি অফিসে দৌড়াদৌড়ি করে কোনো কাজ হচ্ছে না। ভূমি অফিসে গেলেই শোনেন সার্ভার নাই।’
একই উপজেলার মিরেরবাগ এলাকার বাসিন্দা পান্নু মিয়া বলেন, মিরেরবাগ মৌজায় ২ শতক ৯০ অযুতাংশ জমি কিনে গত নভেম্বর মাসের ১০ তারিখে অনলাইনে নামজারির জন্য আবেদন করেন। ওই মাসের ২১ তারিখে শুনানির দিন ধার্য হয়। দু-এক দিনের মধ্যে আবেদনটি মঞ্জুর হলে অনলাইনে ডিসিআর ফি জমা দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়। এরপর ২৬ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভূমিসেবা সার্ভার বন্ধ থাকে। পরে সার্ভার কোনো মতে চালু হলেও কার্যক্রম আর শুরু হয়নি। প্রায় দেড় মাসেও তাঁর কাজের কোনো সমাধান হয়নি। আবেদনটিও বাতিল হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কম্পিউটার দোকানি ওমর ফারুক বলেন, ভূমিসেবা সার্ভারে সমস্যা হওয়ায় প্রতিদিন লোকজন এসে ফিরে যাচ্ছেন। প্রোফাইল ও হোল্ডিংয়ের জন্য ভূমি অফিসে যেতে হতো। কিন্তু সফটওয়্যার পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলেও টাকা পরিশোধে সমস্যা হচ্ছে। সে কারণে কেউ কোনো কাজ করতে পারছেন না।
তবে ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য আগের সফটওয়্যারের উন্নতিকরণ চলছে। এখন নামজারির পরের দিনই যেকোনো ব্যক্তি খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন। আগে হোল্ডিং চালু করার জন্য সহকারী কমিশনারের দরবারে মাসের পর মাস ধরনা দিতে হতো। এখন সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন নামজারির পরই হোল্ডিং তৈরি হয়ে যাবে, খাজনাও দেওয়া যাবে।
ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভূমিসেবায় এখন আইডি ও পাসওয়ার্ড থাকবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ওই আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে তাঁর নিজের অ্যাকাউন্ট চালু করতে পারবেন। ভূমিসংক্রান্ত যেকোনো তথ্য তিনি নিজেই দেখতে পারবেন। নতুন সফটওয়্যারে সার্ভেয়ার ও অফিস সহকারীর অনুমোদন বা স্বাক্ষর তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে করে একজন ব্যক্তি খুব দ্রুত সময়ে জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন।
তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, নতুন সফটওয়্যারটি পুরোদমে চালু হলে ভূমি অফিসে কর্মচারীদের বাড়তি আয়ে ভাটা পড়বে। তাই অনেকেই নাখোশ। তবে লোকজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তখন সেবা আরও সহজতর হয়ে যাবে।
জমি কেনাবেচা থেকে শুরু করে কর বা খাজনা দিতে পারছেন না মানুষ। এক মাস ধরে দেশব্যাপী চলছে এই অচলাবস্থা। কবে এসব ঠিক হবে, তা-ও কেউ বলতে পারছেন না।
ভূমি মন্ত্রণালয় বলছে, ভূমি ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সফটওয়্যার আপডেট করার কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ সফটওয়্যারের তথ্য এখনো জনগণ জানেন না বলে ভোগান্তিতে পড়ছেন।
তাহলে প্রশ্ন হলো, ভূমি ব্যবস্থাপনার মতো বড় ও গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যারের তথ্য কেন জানবেন না মানুষ? এ প্রশ্নের কোনো জবাব কর্তাব্যক্তিদের কেউই দিতে পারেননি।
রাজধানীর পাশে কেরানীগঞ্জ উপজেলার কাজিরগাঁও এলাকার বাসিন্দা বাবুল সরকার অভিযোগ করেন, চার ভাইয়ের ২০ শতাংশ ভূমি বিক্রির জন্য বায়না নিয়েছিলেন। বায়নার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও জমি রেজিস্ট্রেশন করে দিতে পারেননি। এক মাস ধরে ভূমি অফিসে দৌড়াদৌড়ি করে কোনো কাজ হচ্ছে না। ভূমি অফিসে গেলেই শোনেন সার্ভার নাই।’
একই উপজেলার মিরেরবাগ এলাকার বাসিন্দা পান্নু মিয়া বলেন, মিরেরবাগ মৌজায় ২ শতক ৯০ অযুতাংশ জমি কিনে গত নভেম্বর মাসের ১০ তারিখে অনলাইনে নামজারির জন্য আবেদন করেন। ওই মাসের ২১ তারিখে শুনানির দিন ধার্য হয়। দু-এক দিনের মধ্যে আবেদনটি মঞ্জুর হলে অনলাইনে ডিসিআর ফি জমা দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়। এরপর ২৬ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভূমিসেবা সার্ভার বন্ধ থাকে। পরে সার্ভার কোনো মতে চালু হলেও কার্যক্রম আর শুরু হয়নি। প্রায় দেড় মাসেও তাঁর কাজের কোনো সমাধান হয়নি। আবেদনটিও বাতিল হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কম্পিউটার দোকানি ওমর ফারুক বলেন, ভূমিসেবা সার্ভারে সমস্যা হওয়ায় প্রতিদিন লোকজন এসে ফিরে যাচ্ছেন। প্রোফাইল ও হোল্ডিংয়ের জন্য ভূমি অফিসে যেতে হতো। কিন্তু সফটওয়্যার পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলেও টাকা পরিশোধে সমস্যা হচ্ছে। সে কারণে কেউ কোনো কাজ করতে পারছেন না।
তবে ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য আগের সফটওয়্যারের উন্নতিকরণ চলছে। এখন নামজারির পরের দিনই যেকোনো ব্যক্তি খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন। আগে হোল্ডিং চালু করার জন্য সহকারী কমিশনারের দরবারে মাসের পর মাস ধরনা দিতে হতো। এখন সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন নামজারির পরই হোল্ডিং তৈরি হয়ে যাবে, খাজনাও দেওয়া যাবে।
ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভূমিসেবায় এখন আইডি ও পাসওয়ার্ড থাকবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ওই আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে তাঁর নিজের অ্যাকাউন্ট চালু করতে পারবেন। ভূমিসংক্রান্ত যেকোনো তথ্য তিনি নিজেই দেখতে পারবেন। নতুন সফটওয়্যারে সার্ভেয়ার ও অফিস সহকারীর অনুমোদন বা স্বাক্ষর তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে করে একজন ব্যক্তি খুব দ্রুত সময়ে জমির খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন।
তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, নতুন সফটওয়্যারটি পুরোদমে চালু হলে ভূমি অফিসে কর্মচারীদের বাড়তি আয়ে ভাটা পড়বে। তাই অনেকেই নাখোশ। তবে লোকজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তখন সেবা আরও সহজতর হয়ে যাবে।
রাষ্ট্র সংস্কারে মতামত নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তত্ত্বাবধানে প্রথম ধাপে প্রায় দুই মাস ধরে ৩৩ দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে। এতে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য ও আংশিক ঐকমত্য হলেও কমিশনের মৌলিক কিছু প্রস্তাব এবং গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ইস্যুতে একমত
১০ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন করা হতে পারে বলে আন্দোলনরত কর্মচারী নেতাদের আভাস দিয়েছেন সরকারের দুজন উপদেষ্টা। চাকরি অধ্যাদেশ নিয়ে কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
১০ ঘণ্টা আগেশিল্প ও রেলপথ মন্ত্রণালয়কে সচিবালয়ের ভেতরে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সচিবালয়ের একটি ভবনের দুটি তলা এ দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় দুটির কর্মকর্তারা বলছেন, পুরো মন্ত্রণালয় এক স্থানে থাকলে কাজের গতি থাকবে। আংশিক গেলে কাজে বিঘ্ন ঘটবে।
১০ ঘণ্টা আগেকয়েক দিনের টানা বর্ষণ এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। সিলেট বিভাগের চার জেলা, তিন পার্বত্য জেলা, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লালমনিরহাটে পানি বাড়ছে।
১২ ঘণ্টা আগে