নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হাইকোর্ট বলেছেন, ‘সাংবাদিকেরা তাদের তথ্যের সোর্স (উৎস) প্রকাশ করতে বাধ্য নয়। তাদরকে সোর্স প্রকাশ না করার ক্ষেত্রে আইন সুরক্ষা দিয়েছে। আর দুর্নীতি বিষয়ক তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকেরা যেকোনো সরকারি-বেসরকারি অফিসে যেতে পারবেন। সংবাদের সোর্স জানাতে সাংবাদিকদের বাধ্য করা যাবে না। তবে কোনো সংবাদে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তিনি প্রেস কাউন্সিলে প্রতিকার চাইতে পারবেন।
স্বপ্রণোদিত হয়ে জারি করা এই সংক্রান্ত রুলের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এমন মতামত দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এই রায় দেন। আজ রোববার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।
হাইকোর্ট বলেন, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে মত প্রকাশের স্বাধীনতা তথা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলা আছে। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এটা গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
আদালত বলেন, আধুনিক বিশ্বে জানার অধিকার সবারই আছে। গণমাধ্যমের কাজ হলো জনগণকে সজাগ করা। বর্তমান সময়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে হলুদ সাংবাদিকতা গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে গণমাধ্যমের মনোযোগী হওয়া উচিত বলে মনে করেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২ মার্চ ‘২০ কোটিতে প্রকৌশলী আশরাফুলের দায়মুক্তি! দুর্নীতি দমনে দুদক স্টাইল’ শিরোনামে দৈনিক ইনকিলাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হলে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের নথিপত্র তলব করা হয়।
রুল শুনানিতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ইনকিলাবের ওই প্রতিবেদনকে ‘মাফিয়া জার্নালিজম’ উল্লেখ করে প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চান। আর ইনকিলাবের প্রতিবেদকের পক্ষে থাকা আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সোর্স প্রকাশ না করার নীতি তুলে ধরেন।
শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে দেন। একই সঙ্গে গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রীর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন বিষয় অনুসন্ধানের জন্য নতুন কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশ দেন।
হাইকোর্ট বলেছেন, ‘সাংবাদিকেরা তাদের তথ্যের সোর্স (উৎস) প্রকাশ করতে বাধ্য নয়। তাদরকে সোর্স প্রকাশ না করার ক্ষেত্রে আইন সুরক্ষা দিয়েছে। আর দুর্নীতি বিষয়ক তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকেরা যেকোনো সরকারি-বেসরকারি অফিসে যেতে পারবেন। সংবাদের সোর্স জানাতে সাংবাদিকদের বাধ্য করা যাবে না। তবে কোনো সংবাদে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তিনি প্রেস কাউন্সিলে প্রতিকার চাইতে পারবেন।
স্বপ্রণোদিত হয়ে জারি করা এই সংক্রান্ত রুলের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এমন মতামত দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এই রায় দেন। আজ রোববার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।
হাইকোর্ট বলেন, সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে মত প্রকাশের স্বাধীনতা তথা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলা আছে। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এটা গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন রক্ষায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
আদালত বলেন, আধুনিক বিশ্বে জানার অধিকার সবারই আছে। গণমাধ্যমের কাজ হলো জনগণকে সজাগ করা। বর্তমান সময়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে হলুদ সাংবাদিকতা গ্রহণযোগ্য নয়। সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে গণমাধ্যমের মনোযোগী হওয়া উচিত বলে মনে করেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২ মার্চ ‘২০ কোটিতে প্রকৌশলী আশরাফুলের দায়মুক্তি! দুর্নীতি দমনে দুদক স্টাইল’ শিরোনামে দৈনিক ইনকিলাবে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনা হলে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের নথিপত্র তলব করা হয়।
রুল শুনানিতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ইনকিলাবের ওই প্রতিবেদনকে ‘মাফিয়া জার্নালিজম’ উল্লেখ করে প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চান। আর ইনকিলাবের প্রতিবেদকের পক্ষে থাকা আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সোর্স প্রকাশ না করার নীতি তুলে ধরেন।
শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তি করে দেন। একই সঙ্গে গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রীর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন বিষয় অনুসন্ধানের জন্য নতুন কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশ দেন।
‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঐক্য ও শাসনব্যবস্থা সংস্কারের পথে এক বিশাল অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। তিনি মন্তব্য করেছেন, এই সনদ ২০২৬ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রক্রিয়াকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
৩৫ মিনিট আগেদীর্ঘ সাত মাসের আলোচনায় কোথাও মতৈক্য এসেছে, আবার কোথাও থেকে গেছে মতানৈক্য। এসব মত-দ্বিমত, দোলাচলের মধ্যেই তৈরি হয় জুলাই জাতীয় সনদ। রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্যের কারণে সনদে স্বাক্ষর সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল শেষ দিন পর্যন্ত।
১২ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্যের বহুল প্রতীক্ষিত ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে জাতীয় সংসদের এলডি হলে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
১৫ ঘণ্টা আগেসিপিবি-বাসদসহ চারটি বামপন্থী দলের আপত্তির পর জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫-এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর ফলে সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ পড়ছে না। স্বাক্ষর শেষে রাজনৈতিক দল ও আমন্ত্রিত অতিথিদের দেওয়া জুলাই সনদে বিষয়টি উল্লেখ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
১৬ ঘণ্টা আগে