কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক বসছে আগামী বুধবার (১৬ মার্চ)। ‘রাজনৈতিক পরামর্শ সভা’ শীর্ষক এ বৈঠকে যোগ দিতে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা আসছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। দুই দেশের চুক্তি ও সমঝোতা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তি বা সমঝোতার বিষয়ে নিশ্চিত কোনো কিছু হয়নি। দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত, বিনিয়োগ এবং সৌদিতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার শক্তিশালী করা নিয়ে আলোচনা করবে ঢাকা।
প্রসঙ্গত, প্রায় ছয় বছর পর সৌদি আরবের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন। এর আগে ২০১৬ সালের মার্চে সৌদি আরবের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর ঢাকা সফর করেন। তবে তা আনুষ্ঠানিক ছিল না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক সংলাপে যোগ দিতে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন। এখন থেকে এ পর্যায়ের বৈঠক দু দেশের মধ্যে নিয়মিত হবে। এবারের বৈঠকে বন্দী বিনিময়সহ আরও দু-তিনটি বিষয়ে সমঝোতা সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
আসন্ন বৈঠকের লক্ষ্য নিয়ে এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ওআইসির মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর আরও শক্তিশালী জোরালো অবস্থান ও নিজেদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে। সৌদি আরব বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন অংশীদার। একে অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। এসব দূর করে গত ১০-১২ বছরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক উন্নত হয়েছে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকে ‘সুখবর’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় বাংলাদেশ ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আরবি ভাষা কেন্দ্র স্থাপনের ভিত্তি স্থাপন করা হবে। এটি হবে সৌদি আরবের অর্থায়নে।’ সামরিক সহযোগিতা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে এ ধরনের কিছু নেই।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশকে শ্রমিক আমদানির বাজার হিসেবে দেখে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে চায় বাংলাদেশ। ফলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক গাঢ় করার দিকে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম রাজনৈতিক সংলাপে আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক, ভূরাজনীতি, ইউক্রেন সংকটসহ নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনা হবে।
সৌদি প্রতিষ্ঠান এসিডব্লিউএ পাওয়ার এরই মধ্যে ৭০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে মোট ৩৫০ কোটি বিনিয়োগের প্রস্তাব করেছে দেশটি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি আরবের বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে আসতে চায়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি এবং সরকারের কিছু নিয়মের জন্য দেরি হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে সৌদি আরবের ২৩টি বড় প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে বাংলাদেশে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত মাসে সৌদি শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়, যেখানে বড় বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়। সৌদি আরব বাংলাদেশে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে। কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলাসহ ঢাকা ও পায়রা বন্দরের মধ্যে রেল সংযোগ নির্মাণে বিনিয়োগের সুযোগ বিবেচনা করছে দেশটি।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক বসছে আগামী বুধবার (১৬ মার্চ)। ‘রাজনৈতিক পরামর্শ সভা’ শীর্ষক এ বৈঠকে যোগ দিতে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকা আসছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। দুই দেশের চুক্তি ও সমঝোতা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো চুক্তি বা সমঝোতার বিষয়ে নিশ্চিত কোনো কিছু হয়নি। দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত, বিনিয়োগ এবং সৌদিতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার শক্তিশালী করা নিয়ে আলোচনা করবে ঢাকা।
প্রসঙ্গত, প্রায় ছয় বছর পর সৌদি আরবের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন। এর আগে ২০১৬ সালের মার্চে সৌদি আরবের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর ঢাকা সফর করেন। তবে তা আনুষ্ঠানিক ছিল না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের আমন্ত্রণে দুই দেশের মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক সংলাপে যোগ দিতে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন। এখন থেকে এ পর্যায়ের বৈঠক দু দেশের মধ্যে নিয়মিত হবে। এবারের বৈঠকে বন্দী বিনিময়সহ আরও দু-তিনটি বিষয়ে সমঝোতা সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
আসন্ন বৈঠকের লক্ষ্য নিয়ে এম শাহরিয়ার আলম বলেন, ওআইসির মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর আরও শক্তিশালী জোরালো অবস্থান ও নিজেদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে। সৌদি আরব বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন অংশীদার। একে অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের কিছু ভুল বোঝাবুঝি ছিল। এসব দূর করে গত ১০-১২ বছরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক উন্নত হয়েছে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকে ‘সুখবর’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় বাংলাদেশ ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আরবি ভাষা কেন্দ্র স্থাপনের ভিত্তি স্থাপন করা হবে। এটি হবে সৌদি আরবের অর্থায়নে।’ সামরিক সহযোগিতা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে এ ধরনের কিছু নেই।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশকে শ্রমিক আমদানির বাজার হিসেবে দেখে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে চায় বাংলাদেশ। ফলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক গাঢ় করার দিকে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম রাজনৈতিক সংলাপে আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক, ভূরাজনীতি, ইউক্রেন সংকটসহ নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনা হবে।
সৌদি প্রতিষ্ঠান এসিডব্লিউএ পাওয়ার এরই মধ্যে ৭০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে মোট ৩৫০ কোটি বিনিয়োগের প্রস্তাব করেছে দেশটি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি আরবের বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে আসতে চায়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি এবং সরকারের কিছু নিয়মের জন্য দেরি হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে সৌদি আরবের ২৩টি বড় প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে বাংলাদেশে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত মাসে সৌদি শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়, যেখানে বড় বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়। সৌদি আরব বাংলাদেশে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে। কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলাসহ ঢাকা ও পায়রা বন্দরের মধ্যে রেল সংযোগ নির্মাণে বিনিয়োগের সুযোগ বিবেচনা করছে দেশটি।
স্বপ্ন দেখানো ‘বঙ্গবন্ধু মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র প্রকল্প’ নিজেই আলোর মুখ দেখছে না। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া প্রকল্পটি পরিকল্পনায় ঘাটতি ও অপ্রয়োজনীয় বিবেচনায় বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আড়াই বছরে প্রকল্পের ভৌতিক কাজ হয়েছে ১৫ শতাংশ, আর্থিক কাজ মাত্র ৪ শতাংশ।
৩ ঘণ্টা আগেনির্বাচিত সরকারের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দিতে অগ্রসর হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ কথা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমরা এবার একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করব। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাব, যেন নির্বাচন কমিশন...
৪ ঘণ্টা আগেমেঘে ঢাকা আকাশ। থেমে থেমে বৃষ্টি। দিনভর এমন অস্বস্তিকর আবহাওয়ায়ও আটকে থাকেনি ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উদ্যাপন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’য় গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের ঢল নামে।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করবে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এলিসন হুকার এ কথা বলেন।
৫ ঘণ্টা আগে