নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচিত সরকারের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দিতে অগ্রসর হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ কথা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমরা এবার একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করব। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাব, যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।’
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের বর্ষপূর্তির দিনে তিনি এই ভাষণ দেন।
সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের জন্য সরকার সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবারের নির্বাচন যেন আনন্দ-উৎসবের দিক থেকে, শান্তি-শৃঙ্খলার দিক থেকে, ভোটার উপস্থিতির দিক থেকে, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকে, সে জন্য মানসিক প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরু করব।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবদানের কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস জানান, সরকার প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায়। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেননি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের দিনকে আমরা ঈদের উৎসবের মতো করতে চাই। এবারের ভোটের আনন্দ থাকবে সবার মধ্যে। আপনারা সবাই বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজের ভিত্তি রচিত হবে এবারের নির্বাচনে।
দেশের বড় সংঘাত-সহিংসতার নেপথ্যে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কোনো দল যদি গায়ের জোরে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসে, তার চূড়ান্ত পরিণতি কী, তা জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা ইতিহাসের কলঙ্কিত কোনো অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি আর করতে চাই না।’
একটি গোষ্ঠী নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে উন্মুখ হয়ে আছে দাবি করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে দেশের বাইরে বসে এবং ভেতরে থেকে নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, তারা যেন নির্বাচনকে সংঘাতময় করে তোলার কোনো রকমের সুযোগ না পায়।’
দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, আপনাদের নির্বাচনী ইশতেহারে, আপনাদের প্রতিশ্রুতি-প্রতিজ্ঞা-পরিকল্পনায়– কোনো কিছুতেই যেন তরুণেরা বাদ না পড়ে। নারীরা বাদ না পড়ে। মনে রাখবেন, যে তরুণ-তরুণীরা বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছে, তারা বিশ্বকেও বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। আপনার দল থেকে তাদের সেই সুযোগ দেবার উদ্যোগ নিন।
ফেব্রুয়ারি বেশি দূরে নয় মন্তব্য করে ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি নিতে নিতেই ভোটের দিন এসে পড়বে। বহু বছর আমরা কেউ ভোট দিতে পারিনি। এবার আমরা সবাই ভোট দেব। কেউ বাদ যাবে না। সবাই যেন বলতে পারি, নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশকে রওনা করার জন্য আমি আমার ভোটটা দিয়েছিলাম। আমার ভোটেই দেশটা সেই পথে রওনা হতে পেরেছিল।
জুলাই অভ্যুত্থানের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, অর্থনীতিতে গতিশীলতা এসেছে, সংকট দূর হয়েছে। মাত্র কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা সফলতার সঙ্গে শুল্ক আলোচনা সমাপ্ত করেছি। এর ফলে আমাদের অর্থনীতির সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে গেছে।
রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশের আশু বাস্তবায়নযোগ্য বহু সংস্কার করা হয়েছে বলে দাবি করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সংস্কারগুলোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক খাত, বিচারব্যবস্থা ও জনপ্রশাসনে গতিশীলতা আসবে; স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বহুলাংশে বাড়বে। দুর্নীতি, অনিয়ম ও হয়রানি কমবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, প্রতিনিয়ত আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত হওয়ার পর্যায়ে এসেছে। আশা করছি, এই ঐকমত্যের ভিত্তিতে অচিরেই রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে এবং এর বাস্তবায়নেও ঐকমত্যে পৌঁছাবে।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই সনদ বাংলাদেশে সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা ও সক্ষমতা, নাগরিক অধিকারের সত্যিকারের বাস্তবায়ন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও সামর্থ্যের ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে ভবিষ্যতের কোনো সরকারই যেন আর ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে। রাষ্ট্রকে এমনভাবে মেরামত করতে হবে, যাতে কখনো কোথাও ফ্যাসিবাদের লক্ষণ পাওয়া গেলে সেটিকে যেন তাৎক্ষণিকভাবে সেখানেই নির্মূল করা যায়।
জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় বিচারকাজ এগিয়ে চলছে বলেও জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের নির্মম হত্যাযজ্ঞে যারা জড়িত, তাদের বিচার এ দেশের মাটিতে হবেই।’ তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্বারা কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন যাতে না ঘটে, সে জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে একটি ‘সেল’ কার্যকর করা হয়েছে, যেখানে মানবাধিকারসহ পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে সংঘটিত যেকোনো অপরাধের বিষয়ে অভিযোগ করা যায়। এসব ‘সেল’ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধান কার্যালয়েও স্থাপন করা হচ্ছে।
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই আইনের অধীনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা বাতিল করা হয়েছে। নতুন এই আইন প্রণয়নের পর সাংবাদিকদের আইনি হয়রানি বন্ধ হবে। অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার সুরক্ষা আইন সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
সরকার সবাইকে নিয়ে জুলাইয়ের দাবি পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই জাতিকে আমরা আর কখনো বিভক্ত হতে দেব না। আমরা সকল নাগরিকের প্রতি মর্যাদাশীল থাকব—তিনি যেই পরিচয়েরই হোন না কেন।’
নির্বাচিত সরকারের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দিতে অগ্রসর হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ কথা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমরা এবার একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করব। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাব, যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।’
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকার পতনের বর্ষপূর্তির দিনে তিনি এই ভাষণ দেন।
সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের জন্য সরকার সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবারের নির্বাচন যেন আনন্দ-উৎসবের দিক থেকে, শান্তি-শৃঙ্খলার দিক থেকে, ভোটার উপস্থিতির দিক থেকে, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতার দিক থেকে দেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকে, সে জন্য মানসিক প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরু করব।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবদানের কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস জানান, সরকার প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায়। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেননি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের দিনকে আমরা ঈদের উৎসবের মতো করতে চাই। এবারের ভোটের আনন্দ থাকবে সবার মধ্যে। আপনারা সবাই বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজের ভিত্তি রচিত হবে এবারের নির্বাচনে।
দেশের বড় সংঘাত-সহিংসতার নেপথ্যে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কোনো দল যদি গায়ের জোরে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসে, তার চূড়ান্ত পরিণতি কী, তা জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা ইতিহাসের কলঙ্কিত কোনো অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি আর করতে চাই না।’
একটি গোষ্ঠী নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে উন্মুখ হয়ে আছে দাবি করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে দেশের বাইরে বসে এবং ভেতরে থেকে নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, তারা যেন নির্বাচনকে সংঘাতময় করে তোলার কোনো রকমের সুযোগ না পায়।’
দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, আপনাদের নির্বাচনী ইশতেহারে, আপনাদের প্রতিশ্রুতি-প্রতিজ্ঞা-পরিকল্পনায়– কোনো কিছুতেই যেন তরুণেরা বাদ না পড়ে। নারীরা বাদ না পড়ে। মনে রাখবেন, যে তরুণ-তরুণীরা বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছে, তারা বিশ্বকেও বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। আপনার দল থেকে তাদের সেই সুযোগ দেবার উদ্যোগ নিন।
ফেব্রুয়ারি বেশি দূরে নয় মন্তব্য করে ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি নিতে নিতেই ভোটের দিন এসে পড়বে। বহু বছর আমরা কেউ ভোট দিতে পারিনি। এবার আমরা সবাই ভোট দেব। কেউ বাদ যাবে না। সবাই যেন বলতে পারি, নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশকে রওনা করার জন্য আমি আমার ভোটটা দিয়েছিলাম। আমার ভোটেই দেশটা সেই পথে রওনা হতে পেরেছিল।
জুলাই অভ্যুত্থানের পরে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, অর্থনীতিতে গতিশীলতা এসেছে, সংকট দূর হয়েছে। মাত্র কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা সফলতার সঙ্গে শুল্ক আলোচনা সমাপ্ত করেছি। এর ফলে আমাদের অর্থনীতির সম্ভাবনা বহুগুণ বেড়ে গেছে।
রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশের আশু বাস্তবায়নযোগ্য বহু সংস্কার করা হয়েছে বলে দাবি করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সংস্কারগুলোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক খাত, বিচারব্যবস্থা ও জনপ্রশাসনে গতিশীলতা আসবে; স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বহুলাংশে বাড়বে। দুর্নীতি, অনিয়ম ও হয়রানি কমবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, প্রতিনিয়ত আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ চূড়ান্ত হওয়ার পর্যায়ে এসেছে। আশা করছি, এই ঐকমত্যের ভিত্তিতে অচিরেই রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে এবং এর বাস্তবায়নেও ঐকমত্যে পৌঁছাবে।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই সনদ বাংলাদেশে সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা ও সক্ষমতা, নাগরিক অধিকারের সত্যিকারের বাস্তবায়ন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও সামর্থ্যের ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে ভবিষ্যতের কোনো সরকারই যেন আর ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে। রাষ্ট্রকে এমনভাবে মেরামত করতে হবে, যাতে কখনো কোথাও ফ্যাসিবাদের লক্ষণ পাওয়া গেলে সেটিকে যেন তাৎক্ষণিকভাবে সেখানেই নির্মূল করা যায়।
জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় বিচারকাজ এগিয়ে চলছে বলেও জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের নির্মম হত্যাযজ্ঞে যারা জড়িত, তাদের বিচার এ দেশের মাটিতে হবেই।’ তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্বারা কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন যাতে না ঘটে, সে জন্য পুলিশ সদর দপ্তরে একটি ‘সেল’ কার্যকর করা হয়েছে, যেখানে মানবাধিকারসহ পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে সংঘটিত যেকোনো অপরাধের বিষয়ে অভিযোগ করা যায়। এসব ‘সেল’ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধান কার্যালয়েও স্থাপন করা হচ্ছে।
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই আইনের অধীনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা বাতিল করা হয়েছে। নতুন এই আইন প্রণয়নের পর সাংবাদিকদের আইনি হয়রানি বন্ধ হবে। অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার সুরক্ষা আইন সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
সরকার সবাইকে নিয়ে জুলাইয়ের দাবি পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই জাতিকে আমরা আর কখনো বিভক্ত হতে দেব না। আমরা সকল নাগরিকের প্রতি মর্যাদাশীল থাকব—তিনি যেই পরিচয়েরই হোন না কেন।’
স্বপ্ন দেখানো ‘বঙ্গবন্ধু মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র প্রকল্প’ নিজেই আলোর মুখ দেখছে না। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নেওয়া প্রকল্পটি পরিকল্পনায় ঘাটতি ও অপ্রয়োজনীয় বিবেচনায় বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আড়াই বছরে প্রকল্পের ভৌতিক কাজ হয়েছে ১৫ শতাংশ, আর্থিক কাজ মাত্র ৪ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগেমেঘে ঢাকা আকাশ। থেমে থেমে বৃষ্টি। দিনভর এমন অস্বস্তিকর আবহাওয়ায়ও আটকে থাকেনি ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উদ্যাপন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা’য় গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের ঢল নামে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করবে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এলিসন হুকার এ কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ভাষণে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। গত বছরের ৮ আগস্ট তাঁর নেতৃত্বে এই সরকার দায়িত্ব নিয়েছিল।
৩ ঘণ্টা আগে