Ajker Patrika

বাংলাদেশে পুরোদমেই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে আদানি

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮: ০৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আদানি পাওয়ার আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের ভারতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের জন্য পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। গত তিন মাস ধরে এই সরবরাহ আংশিকভাবে বন্ধ ছিল। তবে কোম্পানিটি ঢাকার ছাড় ও কর সুবিধার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন দুটি সূত্র।

শুক্রবার রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতীয় বিলিয়নিয়ার গৌতম আদানির কোম্পানি আদানি পাওয়ার গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছিল। কারণ সেই সময়টিতে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ছিল বাংলাদেশ এবং বিল পরিশোধে দেরি হচ্ছিল। এর ফলে গত ১ নভেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি সমান ইউনিটের মধ্যে একটি বন্ধ হয়ে যায়। তবে বাংলাদেশের অনুরোধে শীতকালীন নিম্ন চাহিদার কারণে শুধু অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছিল কোম্পানিটি।

সামনেই গ্রীষ্মকাল। বছরের এই সময়টিতে বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। গ্রীষ্মকালীন এই চাহিদার আগে এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) অনুরোধে আদানি পাওয়ার আগামী সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ, অর্থাৎ ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে রাজি হয়েছে বলে রয়টার্স সূত্র জানিয়েছে।

তবে বিপিডিবি-এর আরও কিছু চাওয়া, যেমন—ছাড় ও কর সুবিধা, যা কোটি কোটি ডলারের সমতুল্য হতে পারে, তা মানতে রাজি হয়নি আদানি পাওয়ার। মঙ্গলবার উভয় পক্ষের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে এবং আলোচনাগুলো আরও চলবে বলে জানা গেছে।

আদানি পাওয়ারকে ইঙ্গিত করে বাংলাদেশি একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছেন, ‘তারা এক ডলারও ছাড় দিতে চায় না। আমরা কোনো ছাড় পাইনি। আমরা পারস্পরিক বোঝাপড়া চাই। কিন্তু তারা পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট অনুসরণ করছে।’

বিপিডিবি-এর চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে কয়েক দিন আগেই রয়টার্সকে তিনি জানিয়েছিলেন, আদানির সঙ্গে এখন আর বড় কোনো সমস্যা নেই এবং পুরোদমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শিগগিরই শুরু হবে। বর্তমানে আদানি পাওয়ারকে বিদ্যুৎ কেনা বাবদ প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি পরিশোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।

আদানি পাওয়ারের এক মুখপাত্র রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি। তবে গত মঙ্গলবার রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনের পর কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহ বিদ্যুৎ ক্রেতার চাহিদার ওপর নির্ভরশীল, যা পরিবর্তনশীল।’

এর আগে গত ডিসেম্বরে আদানি পাওয়ারের একটি সূত্র জানিয়েছিল, বাংলাদেশের কাছে তাদের প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া জমেছে। তবে সেই সময়টিতে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেছিলেন, প্রকৃত ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলার। মূল সমস্যা বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে।

উল্লেখ্য, বিপিডিবি আগে আদানি পাওয়ারকে কোটি কোটি ডলারের কর সুবিধা এবং গত মে পর্যন্ত চলমান এক বছরের ছাড় কর্মসূচি আবারও চালুর জন্য অনুরোধ করেছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পশ্চিমবঙ্গে আটক দুই আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশ কর্মকর্তা, পরে মুক্তি

সভা শেষে সরকারি গাড়িতেই গরু নিয়ে গেলেন ইউএনও

১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা

যশোরে বিএনপি ও যুবদল নেতার বাড়িতে কাফনের কাপড়, দা, চিরকুট পাঠিয়ে হুমকি

আওয়ামী লীগের পথে হাঁটলে আপনারাও হারিয়ে যাবেন: অ্যাটর্নি জেনারেল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত