নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ নিবেদিত প্রাণ কর্মী হারাল বলে জানান দলটির সভাপতি ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের ক্ষতি, জাতির ক্ষতি, আর আমার নিজেরও। যাদের সঙ্গে ছিলাম, একে একে সবাই চলে যাচ্ছে। বয়স হয়ে গেছে, যেতেই হবে। হয়তো আমিও একদিন ঠিক যাব। তবে, যে যেটা করেছে, সেটা আমাদের স্মরণ করতেই হবে।’
আজ রোববার জাতীয় সংসদে উপনেতা প্রয়াত সাজেদা চৌধুরী ও সংসদ সদস্য প্রয়াত শেখ এ্যানি রহমানের মৃত্যুতে আনা শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
চলার পথে সব সময় সাজেদা চৌধুরী পাশে ছিল বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফুফু বলে ডাকতাম, তিনি ঠিক আমার ফুফুই ছিলেন। দিনের পর দিন যখন সফরে যেতাম, অনেক সময় জ্বর এসে যেত। অসুস্থ হয়ে পড়তাম। মাইক্রোবাসে করে যাচ্ছি, তখনতো গাড়ি তেমন ছিল না। আমাকে তিনি তার কোলে রেখে মাথায় জলপট্টি দিতেন। আবার আমরা নামতাম, বক্তব্য দিতাম। এইভাবে স্নেহ দিয়ে তিনি রেখেছিলেন।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু আমরা কেন? এখানে বিরোধী দলের যেসব নেতা-কর্মী আছেন। বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জেনারেল এরশাদ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ যারাই আছেন, তারাই কিন্তু কম নির্যাতনের শিকার হয়নি।’
সাজেদা চৌধুরী ও মতিয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে জিয়াউর রহমান ডিভিশন না দিয়ে ফেলে রেখেছিল, ঠিক খালেদাও একই কাজ করেছিল বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রওশন এরশাদ মাস্টার্স, ডিগ্রি পাস। জেল কোডে আছে, মাস্টার্স, ডিগ্রি পাস হলেই তাকে ডিভিশন দিতে হয়। খালেদা জিয়া কিন্তু তাকে ডিভিশন দেয়নি। এরশাদকেও না। সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে তাকে ফেলে রেখেছিল। একদম সাধারণ কয়েদির সঙ্গে।’
খালেদা জিয়া অসুস্থ হওয়ায় নির্বাহী আদেশে সাজা প্রাপ্তি স্থগিত রেখে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছি বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বয়োবৃদ্ধ মানুষ হওয়ায় মানবিক দিক বিবেচনা করে এটা করা হয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া সেটা করেনি। এমনকি আমাদের সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান জামালউদ্দিন সাহেবকে গ্রেপ্তার করে, তাঁর নামে ঘড়ি চুরির মামলা দিয়ে, কোনো ডিভিশন না দিয়ে, মাত্র দুটো কম্বল দিয়ে জেলখানায় ফেলে রেখেছিল। এইভাবে মানুষকে তারা অত্যাচার করেছে। এইভাবে মানুষকে নির্যাতন করেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি না জাতীয় পার্টি সেই নির্যাতনের কথা ভুলেই গেছে এখন। ভুলে গেছে অনেকেই সেটা। আওয়ামী লীগতো সবার হাতে নির্যাতিত। জিয়াউর রহমান, তারপর খালেদা জিয়া, তারপরে জেনারেল এরশাদ। দফায় দফায় গ্রেপ্তার, দফায় দফায়… এগুলোতো অনবরত আমরা ভুক্তভোগী।’
আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন এবং সাজেদা চৌধুরীর মত অসংখ্য নিবেদিতপ্রাণ নেতা–কর্মীরা এই সংগঠনের হাল ধরেছে বলেই চরম দুঃসময়ে দিক হারায়নি জানান দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি আমাদের নেতা–কর্মীরা প্রয়াত নেতাদের আদর্শটা মাথায় রেখে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, আমি যেটা চাই।’
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর জন্য ব্রিটেনের রানি প্রয়াত দ্বিতীয় এলিজাবেথের আলাদা আন্তরিকতা ছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। কমনওয়েলথ সম্মেলনে গিয়ে তার সঙ্গে কথা হতো বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, উনি বলতেন আমাদের কমনওয়েলথ দেশগুলোতে নারী নেতৃত্ব খুব কম ছিল। এটা ওনার একটা আফসোস ছিল। পরিবেশ নিয়েই সচেতন ছিলেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘একদিন তিনি আমাকে বাকিংহাম প্যালেসের বারান্দায় নিয়ে গেলেন। পুরো দেখালেন। বললেন, দেখ কি আশ্চর্য সবাই এ রকম বোতলগুলো ফেলে। সাগরেরও এখন পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটার কিছু একটা করার দরকার। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। কমনওয়েলথের মানুষের ভালোমন্দ নিয়ে চিন্তা করতেন।’
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সব সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খোঁজখবর নিতেন বলে জানান তিনি। বলেন, আমি, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী, উনি আমাদের তিনজনকে দেখে। প্রথমে আমাকে ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ওনার দেওয়া পার্টিতে গেছি। পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বললেন তোমরা দুজনতো দ্বিতীয় প্রজন্ম। এরপর সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীকে যখন দেখলেন। তখন বলল তোমরা তিনজনই দ্বিতীয় প্রজন্ম। ওনার স্মরণ শক্তি অসাধারণ।
প্রয়াত সংসদ শেখ এ্যানি রহমানের স্মৃতি চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ নিবেদিত প্রাণ কর্মী হারাল বলে জানান দলটির সভাপতি ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের ক্ষতি, জাতির ক্ষতি, আর আমার নিজেরও। যাদের সঙ্গে ছিলাম, একে একে সবাই চলে যাচ্ছে। বয়স হয়ে গেছে, যেতেই হবে। হয়তো আমিও একদিন ঠিক যাব। তবে, যে যেটা করেছে, সেটা আমাদের স্মরণ করতেই হবে।’
আজ রোববার জাতীয় সংসদে উপনেতা প্রয়াত সাজেদা চৌধুরী ও সংসদ সদস্য প্রয়াত শেখ এ্যানি রহমানের মৃত্যুতে আনা শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
চলার পথে সব সময় সাজেদা চৌধুরী পাশে ছিল বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফুফু বলে ডাকতাম, তিনি ঠিক আমার ফুফুই ছিলেন। দিনের পর দিন যখন সফরে যেতাম, অনেক সময় জ্বর এসে যেত। অসুস্থ হয়ে পড়তাম। মাইক্রোবাসে করে যাচ্ছি, তখনতো গাড়ি তেমন ছিল না। আমাকে তিনি তার কোলে রেখে মাথায় জলপট্টি দিতেন। আবার আমরা নামতাম, বক্তব্য দিতাম। এইভাবে স্নেহ দিয়ে তিনি রেখেছিলেন।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুধু আমরা কেন? এখানে বিরোধী দলের যেসব নেতা-কর্মী আছেন। বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জেনারেল এরশাদ, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ যারাই আছেন, তারাই কিন্তু কম নির্যাতনের শিকার হয়নি।’
সাজেদা চৌধুরী ও মতিয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে জিয়াউর রহমান ডিভিশন না দিয়ে ফেলে রেখেছিল, ঠিক খালেদাও একই কাজ করেছিল বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রওশন এরশাদ মাস্টার্স, ডিগ্রি পাস। জেল কোডে আছে, মাস্টার্স, ডিগ্রি পাস হলেই তাকে ডিভিশন দিতে হয়। খালেদা জিয়া কিন্তু তাকে ডিভিশন দেয়নি। এরশাদকেও না। সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে তাকে ফেলে রেখেছিল। একদম সাধারণ কয়েদির সঙ্গে।’
খালেদা জিয়া অসুস্থ হওয়ায় নির্বাহী আদেশে সাজা প্রাপ্তি স্থগিত রেখে বাসায় থাকার সুযোগ করে দিয়েছি বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বয়োবৃদ্ধ মানুষ হওয়ায় মানবিক দিক বিবেচনা করে এটা করা হয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া সেটা করেনি। এমনকি আমাদের সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান জামালউদ্দিন সাহেবকে গ্রেপ্তার করে, তাঁর নামে ঘড়ি চুরির মামলা দিয়ে, কোনো ডিভিশন না দিয়ে, মাত্র দুটো কম্বল দিয়ে জেলখানায় ফেলে রেখেছিল। এইভাবে মানুষকে তারা অত্যাচার করেছে। এইভাবে মানুষকে নির্যাতন করেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি না জাতীয় পার্টি সেই নির্যাতনের কথা ভুলেই গেছে এখন। ভুলে গেছে অনেকেই সেটা। আওয়ামী লীগতো সবার হাতে নির্যাতিত। জিয়াউর রহমান, তারপর খালেদা জিয়া, তারপরে জেনারেল এরশাদ। দফায় দফায় গ্রেপ্তার, দফায় দফায়… এগুলোতো অনবরত আমরা ভুক্তভোগী।’
আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন এবং সাজেদা চৌধুরীর মত অসংখ্য নিবেদিতপ্রাণ নেতা–কর্মীরা এই সংগঠনের হাল ধরেছে বলেই চরম দুঃসময়ে দিক হারায়নি জানান দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি আমাদের নেতা–কর্মীরা প্রয়াত নেতাদের আদর্শটা মাথায় রেখে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, আমি যেটা চাই।’
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর জন্য ব্রিটেনের রানি প্রয়াত দ্বিতীয় এলিজাবেথের আলাদা আন্তরিকতা ছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। কমনওয়েলথ সম্মেলনে গিয়ে তার সঙ্গে কথা হতো বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, উনি বলতেন আমাদের কমনওয়েলথ দেশগুলোতে নারী নেতৃত্ব খুব কম ছিল। এটা ওনার একটা আফসোস ছিল। পরিবেশ নিয়েই সচেতন ছিলেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘একদিন তিনি আমাকে বাকিংহাম প্যালেসের বারান্দায় নিয়ে গেলেন। পুরো দেখালেন। বললেন, দেখ কি আশ্চর্য সবাই এ রকম বোতলগুলো ফেলে। সাগরেরও এখন পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটার কিছু একটা করার দরকার। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। কমনওয়েলথের মানুষের ভালোমন্দ নিয়ে চিন্তা করতেন।’
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সব সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খোঁজখবর নিতেন বলে জানান তিনি। বলেন, আমি, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী, উনি আমাদের তিনজনকে দেখে। প্রথমে আমাকে ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ওনার দেওয়া পার্টিতে গেছি। পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বললেন তোমরা দুজনতো দ্বিতীয় প্রজন্ম। এরপর সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীকে যখন দেখলেন। তখন বলল তোমরা তিনজনই দ্বিতীয় প্রজন্ম। ওনার স্মরণ শক্তি অসাধারণ।
প্রয়াত সংসদ শেখ এ্যানি রহমানের স্মৃতি চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে গিয়ে অনেক মানুষ দরিদ্রতার মধ্যে পড়ছে। বিষয়টি বিবেচনায় ব্যয়বহুল চিকিৎসায় স্বাস্থ্যবিমা চালুর পক্ষে স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার কমিশন। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ প্রস্তাব দিয়ে শুরুতে চার থেকে পাঁচটি ব্যয়বহুল চিকিৎসার জন্য বিমা-সুবিধা দিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ...
৮ ঘণ্টা আগেদুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আইন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা ও ১৪ বিচারকের ব্যক্তিগত নথিসহ সম্পদের বিবরণী তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দেওয়া অনুসন্ধান টিমের পাঠানো চিঠি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
১০ ঘণ্টা আগেছয় দফা দাবিতে আগামীকাল শুক্রবার থেকে ফের আন্দোলন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা নতুন করে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন।
১০ ঘণ্টা আগেঅবৈধ অভিবাসন ও মানব পাচার প্রতিরোধ এবং বাংলাদেশ পুলিশের সামর্থ্য বাড়াতে ইতালি সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। উপদেষ্টার সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্
১৩ ঘণ্টা আগে