Ajker Patrika

অর্থনীতিতে চাপ বাড়লেও বাংলাদেশের বড় বিপদের ঝুঁকি কম

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
অর্থনীতিতে চাপ বাড়লেও বাংলাদেশের বড় বিপদের ঝুঁকি কম

রিজার্ভ কমে যাওয়ার বিপরীতে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, আবার একই সঙ্গে রেমিট্যান্সের প্রবাহ কমায় চাপে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। তারপরও সরকার কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায় বড় কোনো বিপদে পড়বে না বাংলাদেশ।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বন্ড ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি ‘মুডিস ইনভেস্টরস সার্ভিস’ দেশের অর্থনীতি নিয়ে এমন অভয় দিয়েছে। মুডিসের সিঙ্গাপুর কার্যালয়ের সার্বভৌম বন্ড বিশ্লেষক ক্যামিল চৌটার্ড বলেছেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। তবে এর কারণে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে দেশটির দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকি কম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ জুলাই পর্যন্ত পূর্ববর্তী ১২ মাসে ১৩ শতাংশ কমে ৩ হাজার ৯৬৭ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এক বছর আগে তা ছিল ৪ হাজার ৫৫১ কোটি ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এত দ্রুত কমে যাওয়া দেশের অর্থনীতি চাপে পড়ার ইঙ্গিত দেয়।

দেশের অর্থনীতির আকার প্রায় ৪১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগপর্যন্ত এটা ছিল বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বাড়ন্ত অর্থনীতিগুলোর একটি। যুদ্ধ শুরুর পর উন্নত বিশ্বের মতো দেশেও জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা ধরনের সংকট বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় সরকার। এসব পদক্ষেপের মধ্যে আমদানিতে কড়াকড়ি, এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং অন্যতম। তবে এতে করে চলমান সংকটের প্রকৃত সমাধান সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এই প্রেক্ষাপটে গত রোববার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে সরকার। অর্থনৈতিক সংকটে ধুঁকতে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানও সম্প্রতি সংস্থাটির কাছে ঋণ চেয়েছে। বাড়ন্ত অর্থনৈতিক চাপ ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আইএমএফের কাছে ঋণ চাওয়া হয়েছে বলে গত বুধবার মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত