নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যেসব শিল্প খাতের শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি কাঠামোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সেগুলোর মজুরি পুনর্নির্ধারণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়ে।
বৈঠক শেষে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কমিটির সদস্য শাজাহান খান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্রমিকদের মজুরির বিষয়ে যেসব সেক্টরে সর্বনিম্ন মজুরি কাঠামো নির্ধারণের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সেগুলোর মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে নৌযান শ্রমিকদের মজুরির বিষয়টিও আছে।’
নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, ৪৪টি শিল্প খাতের সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। প্রতি ৫ বছর পরপর এসব শিল্প খাতের সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ১৯টি শিল্প খাতের সর্বনিম্ন বেতন কাঠামোর পাঁচ বছরের মধ্যে নির্ধারিত হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালে গার্মেন্টসশিল্পের শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণ করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ খাতের মধ্যে আছে অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ, কটন টেক্সটাইল, ট্যানারি, জাহাজ ভাঙা শিল্প অন্যতম।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নৌযান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির সুপারিশসহ শ্রমিকদের জন্য সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ প্রচারের জন্য বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কমিটির আরেক সদস্য মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, নৌযান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরে নৌযান মালিক, শ্রমিক, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে খুব তাড়াতাড়ি।
দেশে নারী চালকদের শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার সুপারিশ কমিটি করেছে বলে জানান শাজাহান খান। তিনি বলেন, ‘দেশে এখন প্রচুর নারী চালক রয়েছে। আইন অনুযায়ী এখন নারী চালকেরা ইউনিয়ন করতে পারে। আমরা সেটা গঠনের বিষয়ে সুপারিশ করেছি।’
এদিকে মঙ্গলবারের বৈঠকে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রমের বিষয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। সেখানে বলা হয়, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে শ্রম আদালতে মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তি দুটোই বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে মামলা দায়েরের তুলনায় নিষ্পত্তি প্রায় দেড় গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ও ১৩টি শ্রম আদালতের মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ হাজার ৫২টি মামলা দায়ের করা হয় এবং ৮ হাজার ৪৯৯টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ৮ হাজার ৮৫৪টি মামলা দায়ের ও ১১ হাজার ২৫৬টি নিষ্পত্তি করা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসেই মামলা দায়েরের ও নিষ্পত্তির সংখ্যা বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে নিষ্পত্তি বেড়েছে ৩৩ শতাংশের মতো। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত শ্রম আদালত ও আপিল ট্রাইব্যুনালে ২০ হাজার ৯৩৩টি মামলা অনিষ্পন্ন রয়েছ বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত (১ মাসে) ৩৭ হাজার ৭৯২টি পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে গার্মেন্টস ২ হাজার ২৯৩টি, দোকান ১১ হাজার ২১০টি, প্রতিষ্ঠান আট হাজার ৯৪টি ও অন্যান্য কারখানা ১৬ হাজার ১৯৫টি। পরিদর্শনকালে প্রাপ্ত অনিয়ম/ত্রুটি সংশোধন করতে কারখানা কর্তৃপক্ষ অনীহা প্রকাশ করে বলে উল্লেখ করা হয়।
শাজাহান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালিকেরা সরকারের সব সিদ্ধান্ত মানেন না। সেই ব্যাপারে আমরা বলেছি, মালিকদের নিয়ে একটি সেমিনার করে তাঁদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য আমরা সেমিনার করার সুপারিশ করেছি। আর যেসব এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিক বেশি সেখানে বহুতলবিশিষ্ট ডরমিটরি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছি।’
কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, শাজাহান খান, মন্নুজান সুফিয়ান, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, এস. এম. ব্রহানী সুলতান মামুদ ও মো. আব্দুল্লাহ।
যেসব শিল্প খাতের শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি কাঠামোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সেগুলোর মজুরি পুনর্নির্ধারণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়ে।
বৈঠক শেষে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কমিটির সদস্য শাজাহান খান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্রমিকদের মজুরির বিষয়ে যেসব সেক্টরে সর্বনিম্ন মজুরি কাঠামো নির্ধারণের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সেগুলোর মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে নৌযান শ্রমিকদের মজুরির বিষয়টিও আছে।’
নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, ৪৪টি শিল্প খাতের সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। প্রতি ৫ বছর পরপর এসব শিল্প খাতের সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে ১৯টি শিল্প খাতের সর্বনিম্ন বেতন কাঠামোর পাঁচ বছরের মধ্যে নির্ধারিত হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালে গার্মেন্টসশিল্পের শ্রমিকদের বেতন নির্ধারণ করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ খাতের মধ্যে আছে অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ, কটন টেক্সটাইল, ট্যানারি, জাহাজ ভাঙা শিল্প অন্যতম।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নৌযান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির সুপারিশসহ শ্রমিকদের জন্য সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ প্রচারের জন্য বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কমিটির আরেক সদস্য মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, নৌযান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরে নৌযান মালিক, শ্রমিক, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে খুব তাড়াতাড়ি।
দেশে নারী চালকদের শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার সুপারিশ কমিটি করেছে বলে জানান শাজাহান খান। তিনি বলেন, ‘দেশে এখন প্রচুর নারী চালক রয়েছে। আইন অনুযায়ী এখন নারী চালকেরা ইউনিয়ন করতে পারে। আমরা সেটা গঠনের বিষয়ে সুপারিশ করেছি।’
এদিকে মঙ্গলবারের বৈঠকে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রমের বিষয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। সেখানে বলা হয়, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে শ্রম আদালতে মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তি দুটোই বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে মামলা দায়েরের তুলনায় নিষ্পত্তি প্রায় দেড় গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ও ১৩টি শ্রম আদালতের মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ হাজার ৫২টি মামলা দায়ের করা হয় এবং ৮ হাজার ৪৯৯টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ৮ হাজার ৮৫৪টি মামলা দায়ের ও ১১ হাজার ২৫৬টি নিষ্পত্তি করা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসেই মামলা দায়েরের ও নিষ্পত্তির সংখ্যা বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে নিষ্পত্তি বেড়েছে ৩৩ শতাংশের মতো। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত শ্রম আদালত ও আপিল ট্রাইব্যুনালে ২০ হাজার ৯৩৩টি মামলা অনিষ্পন্ন রয়েছ বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত (১ মাসে) ৩৭ হাজার ৭৯২টি পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে গার্মেন্টস ২ হাজার ২৯৩টি, দোকান ১১ হাজার ২১০টি, প্রতিষ্ঠান আট হাজার ৯৪টি ও অন্যান্য কারখানা ১৬ হাজার ১৯৫টি। পরিদর্শনকালে প্রাপ্ত অনিয়ম/ত্রুটি সংশোধন করতে কারখানা কর্তৃপক্ষ অনীহা প্রকাশ করে বলে উল্লেখ করা হয়।
শাজাহান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালিকেরা সরকারের সব সিদ্ধান্ত মানেন না। সেই ব্যাপারে আমরা বলেছি, মালিকদের নিয়ে একটি সেমিনার করে তাঁদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য আমরা সেমিনার করার সুপারিশ করেছি। আর যেসব এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিক বেশি সেখানে বহুতলবিশিষ্ট ডরমিটরি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছি।’
কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, শাজাহান খান, মন্নুজান সুফিয়ান, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, এস. এম. ব্রহানী সুলতান মামুদ ও মো. আব্দুল্লাহ।
সমালোচনার মুখে নিয়োগ দেওয়ার দুই দিন পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র (গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া) হিসেবে মুহাম্মদ আবু আবিদের নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য ১৫ এপ্রিল তাঁকে খণ্ডকালীন নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। যদিও জনপ্রশাসন
১ মিনিট আগেবাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়েছে। আজ শনিবার বিকেলে বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্বে কমিশনের প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদনটি তুলে দেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস
৩৭ মিনিট আগেপ্রকৃত মৎস্যচাষিদের স্বার্থে হাওরে ইজারা বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, কোনো হাওরে ইজারা থাকা উচিত নয়। হাওরে ইজারা বন্ধ করতে হবে। হাওর সেখানকার মানুষের অধিকারের জায়গা, আর তা রক্ষা করাই আমাদের কাজ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে
১ ঘণ্টা আগেপুলিশ সদস্যদের আবাসন ও খাদ্য ব্যবস্থার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগে