নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্টারলিংকের কারণে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
স্টারলিংকের মাধ্যমে জাতীয় সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হবে কি না—বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ফয়েজ আহমদ বলেন, স্টারলিংকের একটি লোকাল গেটওয়ে থাকবে। এর কমার্শিয়াল টেস্ট রান ও গ্রাউন্ড টেস্ট চলমান। এসব কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য স্টারলিংক কোম্পানিকে ৯০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে দশ দিন গত হয়েছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, (এই সময়) অতিবাহিত হলেই তাদের লোকাল গেটওয়ে বাধ্যতামূলক হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পাশাপাশি ডিভাইসের ক্ষেত্রে রেট, ভ্যাট ও ট্যাক্স আছে, তাই ডিভাইসের বিষয়ে এনওসি নেবে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্টারলিংক বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে, যা সাফল্যের নির্দেশনা তুলে ধরে। প্রথমত, ৯০ দিন আগে বাংলাদেশে কোনো এনজিএসও (নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) লাইসেন্স ছিল না। এই ৯০ দিনের মধ্যে রেকর্ড দ্রুততার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এনজিএসও গাইডলাইন তৈরি করেছে এবং সেটির অনুকূলে একটা স্যাটেলাইট ইন্টারনেট অপারেটর আবেদন করেছে এবং সেই আবেদন প্রক্রিয়া করে চার মাস সময়ের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করতে পেরেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের টেলিকমিউনিকেশন লাইসেন্স প্রদান ইতিহাসে প্রথম ও অনন্য ঘটনা।
চলমান চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য দ্বন্দ্বের মধ্যে স্টারলিংক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ায় কোনো প্রভাব পড়বে কি না—এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, বাংলাদেশ যোগাযোগ প্রযুক্তির বিচারে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায়। বাংলাদেশে ৪-৫জি টেকনোলজিতে সর্বাধুনিক নেটওয়ার্ক ও ব্যাকবোন স্থাপনে চীনা প্রযুক্তিই ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফয়েজ আহমদ আরও জানান, এ ছাড়া বিটিসিএল, টেলিটকের অধীন চীনা অর্থায়নে ও প্রকৌশলীদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান। বাংলাদেশের মোবাইল কোম্পানির ভেন্ডর হিসেবেও অনেক চীনা কোম্পানি কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, চীন কিংবা মার্কিন ব্যবসায়ীরা যেন স্বাধীনভাবে এখানে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে উন্মুক্তভাবে ব্যবসা করতে পারেন। চীনা কোম্পানি জিডব্লিউ যদি আসতে চায়, তারাও একই সুবিধাপ্রাপ্ত হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্টারলিংকের মতো আমাজন কুইপার, টেলিস্যাট, স্যাটেলাইট ও ওয়ানওয়েব বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। এই কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ব্যবসা করলে তাদেরও স্টারলিংকের মতো পলিসি সুবিধা দিতে প্রস্তুত সরকার।
স্টারলিংকের মূল্যের বিষয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আমরা রিজিওনাল প্রাইস (এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে স্টারলিংক ইন্টারনেটের সেবার মূল্য) অ্যানালাইসিস করেছি, সেখানে দেখেছি যে, রিজিওনাল প্রাইসের তুলনায় বাংলাদেশে স্টারলিংকের দাম সবচেয়ে কম। এমনকি শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের চেয়েও কম। আমরা এটা রেখেছি যাতে তারা মানুষের সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, ‘যেহেতু বিষয়টা শেয়ার্ড (ভাগাভাগি করা সম্ভব হবে) হবে, একক ব্যক্তি যিনি কিনবেন, যিনি ব্যয় নির্বাহ করবেন, তাঁর জন্য দাম বেশি হলেও শেয়ারিংয়ে কোনো সীমা না থাকায় একাধিক শেয়ারিংয়ে দাম কমে আসবে।’
প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার থেকে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। একটি হলো স্টারলিংক রেসিডেন্স, অপরটি রেসিডেন্স লাইট। প্রথমটির মাসিক খরচ ৬০০০ টাকা, অপরটি ৪২০০ টাকা। তবে সেটাপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে। এখানে কোনো স্পিড ও ডেটা লিমিট নেই। ব্যবহারকারী ৩০০ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড) পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।
আরও খবর পড়ুন:
স্টারলিংকের কারণে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বাংলাদেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
স্টারলিংকের মাধ্যমে জাতীয় সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হবে কি না—বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ফয়েজ আহমদ বলেন, স্টারলিংকের একটি লোকাল গেটওয়ে থাকবে। এর কমার্শিয়াল টেস্ট রান ও গ্রাউন্ড টেস্ট চলমান। এসব কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য স্টারলিংক কোম্পানিকে ৯০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে দশ দিন গত হয়েছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, (এই সময়) অতিবাহিত হলেই তাদের লোকাল গেটওয়ে বাধ্যতামূলক হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পাশাপাশি ডিভাইসের ক্ষেত্রে রেট, ভ্যাট ও ট্যাক্স আছে, তাই ডিভাইসের বিষয়ে এনওসি নেবে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্টারলিংক বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে, যা সাফল্যের নির্দেশনা তুলে ধরে। প্রথমত, ৯০ দিন আগে বাংলাদেশে কোনো এনজিএসও (নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) লাইসেন্স ছিল না। এই ৯০ দিনের মধ্যে রেকর্ড দ্রুততার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এনজিএসও গাইডলাইন তৈরি করেছে এবং সেটির অনুকূলে একটা স্যাটেলাইট ইন্টারনেট অপারেটর আবেদন করেছে এবং সেই আবেদন প্রক্রিয়া করে চার মাস সময়ের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করতে পেরেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের টেলিকমিউনিকেশন লাইসেন্স প্রদান ইতিহাসে প্রথম ও অনন্য ঘটনা।
চলমান চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য দ্বন্দ্বের মধ্যে স্টারলিংক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ায় কোনো প্রভাব পড়বে কি না—এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, বাংলাদেশ যোগাযোগ প্রযুক্তির বিচারে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায়। বাংলাদেশে ৪-৫জি টেকনোলজিতে সর্বাধুনিক নেটওয়ার্ক ও ব্যাকবোন স্থাপনে চীনা প্রযুক্তিই ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফয়েজ আহমদ আরও জানান, এ ছাড়া বিটিসিএল, টেলিটকের অধীন চীনা অর্থায়নে ও প্রকৌশলীদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান। বাংলাদেশের মোবাইল কোম্পানির ভেন্ডর হিসেবেও অনেক চীনা কোম্পানি কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, চীন কিংবা মার্কিন ব্যবসায়ীরা যেন স্বাধীনভাবে এখানে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে উন্মুক্তভাবে ব্যবসা করতে পারেন। চীনা কোম্পানি জিডব্লিউ যদি আসতে চায়, তারাও একই সুবিধাপ্রাপ্ত হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্টারলিংকের মতো আমাজন কুইপার, টেলিস্যাট, স্যাটেলাইট ও ওয়ানওয়েব বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। এই কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ব্যবসা করলে তাদেরও স্টারলিংকের মতো পলিসি সুবিধা দিতে প্রস্তুত সরকার।
স্টারলিংকের মূল্যের বিষয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আমরা রিজিওনাল প্রাইস (এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে স্টারলিংক ইন্টারনেটের সেবার মূল্য) অ্যানালাইসিস করেছি, সেখানে দেখেছি যে, রিজিওনাল প্রাইসের তুলনায় বাংলাদেশে স্টারলিংকের দাম সবচেয়ে কম। এমনকি শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের চেয়েও কম। আমরা এটা রেখেছি যাতে তারা মানুষের সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, ‘যেহেতু বিষয়টা শেয়ার্ড (ভাগাভাগি করা সম্ভব হবে) হবে, একক ব্যক্তি যিনি কিনবেন, যিনি ব্যয় নির্বাহ করবেন, তাঁর জন্য দাম বেশি হলেও শেয়ারিংয়ে কোনো সীমা না থাকায় একাধিক শেয়ারিংয়ে দাম কমে আসবে।’
প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার থেকে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। একটি হলো স্টারলিংক রেসিডেন্স, অপরটি রেসিডেন্স লাইট। প্রথমটির মাসিক খরচ ৬০০০ টাকা, অপরটি ৪২০০ টাকা। তবে সেটাপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে। এখানে কোনো স্পিড ও ডেটা লিমিট নেই। ব্যবহারকারী ৩০০ এমবিপিএস (মেগাবাইট পার সেকেন্ড) পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।
আরও খবর পড়ুন:
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচি ঘিরে হতাহতের ঘটনায় নিন্দা এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন শিক্ষক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মীসহ ২১ বিশিষ্ট নাগরিক। আজ শনিবার (১৯ জুলাই) গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের কর্মসূচির জন্য বাস সরবরাহ করেছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
৫ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর), বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান সংস্থা হিসেবে কাজ করে। ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা জাতিসংঘ সচিবালয়ের একটি বিভাগ হিসেবে পরিচালিত হয়। এ সংস্থার ম্যান্ডেট জাতিসংঘের সনদ...
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) মিশন শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩ বছরের জন্য একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগে