Ajker Patrika

মোংলা বন্দরের নতুন বিল পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

মোংলা বন্দরের পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়ার বিধান রেখে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল-২০২১ সংসদে পাস হয়েছে। তবে বিলে সরল বিশ্বাসের কর্মকাণ্ডে মাফ দেওয়া হয়েছে। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ সোমবার বিলটি সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়। 

গত বছরের ৩ এপ্রিল বিলটি সংসদে ওঠানোর পর দুই মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ওই বছরের জুনে কমিটি বিলের প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করে। পরে সেপ্টেম্বর মাসে বিলটি আবারও সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। 

উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৮ সালে প্রণীত আইনগুলো বাতিল করা হচ্ছে। এ জন্য মোংলা পোর্ট অথোরিটি অরডিন্যান্স-১৯৭৬ এর পরিবর্তে নতুন এই আইন করা হচ্ছে। 

বিলে বলা হয়েছে, বন্দরের কোনো স্থাপনা নির্মাণ, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সরকারি বিধি অনুসারে ঠিকাদার হিসাবে নিয়োগ করা যাবে। আগের আইনে এটা ছিল না। 

বিলে সরল বিশ্বাসে কৃতকার্য রক্ষণ করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে—এই আইনের অধীনে সরল বিশ্বাসে কৃত কোনো কাজের ফলে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তার জন্য কর্তৃপক্ষ, বা এর চেয়ারম্যান, কোনো সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা রুজু করা যাবে না বা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারাও গ্রহণ করা যাবে না। 

এর ব্যাখ্যায় বলা হয়—এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণে ‘সরল বিশ্বাস’ বলতে অবহেলার সঙ্গে করা হোক বা না হোক প্রকৃতপক্ষে সততার সঙ্গে করা হলে কোনো কিছু ‘সরল বিশ্বাস’ এ করা হয়েছে বলে গণ্য হবে। 

বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা জাহাজ বন্দর সীমানা দূষিত করলে, প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন এক বছর, অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ড বা অন্যূন ৫০ হাজার টাকা, অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড; পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন দুই বছর, অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন দুই লাখ টাকা, অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। 

বিলে আরও বলা হয়েছে, প্রয়োজনে দেশের যে কোনো স্থানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যালয় স্থাপন করা যাবে। বিলে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। বন্দরের বিভিন্ন এলাকা ও স্থানকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা যাবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। 

বন্দরে পণ্যবোঝাই, সংরক্ষণ, খালাস ও সরবরাহের জন্য প্রয়োজনে প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করে অপারেটর নিয়োগের বিধান সংযোজন করা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, টোল, রেট, মাশুল ইত্যাদি ফাঁকি দিলে ছয় মাসের জেল অথবা এক লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। 

এই আইনের অধীন যে অপরাধ হবে সেগুলো ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বিচার হবে, মোবাইল কোর্টেরও বিধান রাখা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, বন্দর কর্তৃপক্ষ এক লাখ টাকা পর্যন্ত আদায়যোগ্য টোল, রেট, ফি ও মাশুল সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া সম্পূর্ণ বা আংশিক মওকুফ করতে পারবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত