আয়নাল হোসেন, ঢাকা

সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জমা পড়েনি ৯৯৭টি লাইসেন্সকৃত অস্ত্র। যেসব ব্যক্তি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী সরকারের আহ্বানে নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জমা না হওয়া ব্যক্তি পর্যায়ে লাইসেন্সকৃত এসব অস্ত্রের প্রায় ৭৯ শতাংশই ঢাকা মহানগর ও রেঞ্জের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অস্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী আমলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইস্যু করা অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তখন জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দিলে লাইসেন্সকৃত অস্ত্রও অবৈধ বলে গণ্য হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গত ৪-২৮ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৬৩৭টি থানায় সর্বমোট অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয় ১৮ হাজার ৭৬টি। এর মধ্যে জমা পড়েছে ১৩ হাজার ৪৭৮টি। এর মধ্যে ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অস্ত্র রয়েছে ১ হাজার ৩১টি। কর্মরত সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের ১ হাজার ৫৮২টি। ব্যক্তি পর্যায়ে অস্ত্র জমা পড়েনি ৯৯৭টি। আর ৯৯৮টি লাইসেন্সের বিপরীতে অস্ত্র কেনা হয়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ব্যক্তি পর্যায়ে যেসব অস্ত্র জমা পড়েনি, সেগুলোর বিষয়ে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সে নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তথ্য জমা হচ্ছে। এখন নির্দেশনা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা দেয়নি, তাঁদের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে ব্যাংক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কর্মরত সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের নামে লাইসেন্স বাতিল হবে না। রাজনৈতিক পরিচয়ে যেসব ব্যক্তিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্ধারিত সময়ে যেসব অস্ত্র জমা পড়েনি, সেগুলোর লাইসেন্স বাতিল করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। তবে কয়েকজন ব্যক্তি বিদেশে অবস্থান করায় ও অসুস্থ থাকায় তাঁদের লাইসেন্স বহাল রাখার নির্দেশ রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরের ৫০টি থানায় মোট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা ৪ হাজার ৬৮৩টি অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েনি ৫৯১টি। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরে ব্যক্তি পর্যায়ে ৫৯১টি, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জে ১৯৪টি, চট্টগ্রামে ৭০টি, চট্টগ্রাম মহানগরে ৪০টি, রাজশাহীতে ৫৯টি, সিলেটে ১৬টি, বরিশালে ৭টি, খুলনায় ৬টি, বরিশাল, সিলেট ও গাজীপুর মহানগরে ৩টি করে মোট ৯টি এবং ময়মনসিংহে ৫টি অস্ত্র জমা পড়েনি।
জমা না পড়া এসব অস্ত্র উদ্ধারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া ও পাবলিকেশন) তালেবুর রহমান বলেন, যেসব অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, সেগুলো এখন অবৈধ হিসেবেই গণ্য হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। সেগুলো উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক ব্যক্তিদের দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। পরে এসব অস্ত্র ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়।
জানা গেছে, দেশে এখন বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা কমবেশি ৫০ হাজার। এর মধ্যে বেশ কিছু অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নামে। বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের।

সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জমা পড়েনি ৯৯৭টি লাইসেন্সকৃত অস্ত্র। যেসব ব্যক্তি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী সরকারের আহ্বানে নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জমা না হওয়া ব্যক্তি পর্যায়ে লাইসেন্সকৃত এসব অস্ত্রের প্রায় ৭৯ শতাংশই ঢাকা মহানগর ও রেঞ্জের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অস্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী আমলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইস্যু করা অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তখন জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দিলে লাইসেন্সকৃত অস্ত্রও অবৈধ বলে গণ্য হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গত ৪-২৮ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৬৩৭টি থানায় সর্বমোট অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয় ১৮ হাজার ৭৬টি। এর মধ্যে জমা পড়েছে ১৩ হাজার ৪৭৮টি। এর মধ্যে ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অস্ত্র রয়েছে ১ হাজার ৩১টি। কর্মরত সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের ১ হাজার ৫৮২টি। ব্যক্তি পর্যায়ে অস্ত্র জমা পড়েনি ৯৯৭টি। আর ৯৯৮টি লাইসেন্সের বিপরীতে অস্ত্র কেনা হয়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ব্যক্তি পর্যায়ে যেসব অস্ত্র জমা পড়েনি, সেগুলোর বিষয়ে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সে নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তথ্য জমা হচ্ছে। এখন নির্দেশনা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা দেয়নি, তাঁদের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে ব্যাংক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কর্মরত সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের নামে লাইসেন্স বাতিল হবে না। রাজনৈতিক পরিচয়ে যেসব ব্যক্তিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্ধারিত সময়ে যেসব অস্ত্র জমা পড়েনি, সেগুলোর লাইসেন্স বাতিল করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। তবে কয়েকজন ব্যক্তি বিদেশে অবস্থান করায় ও অসুস্থ থাকায় তাঁদের লাইসেন্স বহাল রাখার নির্দেশ রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরের ৫০টি থানায় মোট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা ৪ হাজার ৬৮৩টি অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েনি ৫৯১টি। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরে ব্যক্তি পর্যায়ে ৫৯১টি, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জে ১৯৪টি, চট্টগ্রামে ৭০টি, চট্টগ্রাম মহানগরে ৪০টি, রাজশাহীতে ৫৯টি, সিলেটে ১৬টি, বরিশালে ৭টি, খুলনায় ৬টি, বরিশাল, সিলেট ও গাজীপুর মহানগরে ৩টি করে মোট ৯টি এবং ময়মনসিংহে ৫টি অস্ত্র জমা পড়েনি।
জমা না পড়া এসব অস্ত্র উদ্ধারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া ও পাবলিকেশন) তালেবুর রহমান বলেন, যেসব অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, সেগুলো এখন অবৈধ হিসেবেই গণ্য হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। সেগুলো উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক ব্যক্তিদের দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। পরে এসব অস্ত্র ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়।
জানা গেছে, দেশে এখন বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা কমবেশি ৫০ হাজার। এর মধ্যে বেশ কিছু অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নামে। বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের।
আয়নাল হোসেন, ঢাকা

সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জমা পড়েনি ৯৯৭টি লাইসেন্সকৃত অস্ত্র। যেসব ব্যক্তি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী সরকারের আহ্বানে নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জমা না হওয়া ব্যক্তি পর্যায়ে লাইসেন্সকৃত এসব অস্ত্রের প্রায় ৭৯ শতাংশই ঢাকা মহানগর ও রেঞ্জের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অস্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী আমলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইস্যু করা অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তখন জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দিলে লাইসেন্সকৃত অস্ত্রও অবৈধ বলে গণ্য হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গত ৪-২৮ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৬৩৭টি থানায় সর্বমোট অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয় ১৮ হাজার ৭৬টি। এর মধ্যে জমা পড়েছে ১৩ হাজার ৪৭৮টি। এর মধ্যে ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অস্ত্র রয়েছে ১ হাজার ৩১টি। কর্মরত সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের ১ হাজার ৫৮২টি। ব্যক্তি পর্যায়ে অস্ত্র জমা পড়েনি ৯৯৭টি। আর ৯৯৮টি লাইসেন্সের বিপরীতে অস্ত্র কেনা হয়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ব্যক্তি পর্যায়ে যেসব অস্ত্র জমা পড়েনি, সেগুলোর বিষয়ে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সে নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তথ্য জমা হচ্ছে। এখন নির্দেশনা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা দেয়নি, তাঁদের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে ব্যাংক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কর্মরত সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের নামে লাইসেন্স বাতিল হবে না। রাজনৈতিক পরিচয়ে যেসব ব্যক্তিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্ধারিত সময়ে যেসব অস্ত্র জমা পড়েনি, সেগুলোর লাইসেন্স বাতিল করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। তবে কয়েকজন ব্যক্তি বিদেশে অবস্থান করায় ও অসুস্থ থাকায় তাঁদের লাইসেন্স বহাল রাখার নির্দেশ রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরের ৫০টি থানায় মোট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা ৪ হাজার ৬৮৩টি অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েনি ৫৯১টি। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরে ব্যক্তি পর্যায়ে ৫৯১টি, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জে ১৯৪টি, চট্টগ্রামে ৭০টি, চট্টগ্রাম মহানগরে ৪০টি, রাজশাহীতে ৫৯টি, সিলেটে ১৬টি, বরিশালে ৭টি, খুলনায় ৬টি, বরিশাল, সিলেট ও গাজীপুর মহানগরে ৩টি করে মোট ৯টি এবং ময়মনসিংহে ৫টি অস্ত্র জমা পড়েনি।
জমা না পড়া এসব অস্ত্র উদ্ধারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া ও পাবলিকেশন) তালেবুর রহমান বলেন, যেসব অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, সেগুলো এখন অবৈধ হিসেবেই গণ্য হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। সেগুলো উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক ব্যক্তিদের দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। পরে এসব অস্ত্র ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়।
জানা গেছে, দেশে এখন বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা কমবেশি ৫০ হাজার। এর মধ্যে বেশ কিছু অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নামে। বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের।

সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জমা পড়েনি ৯৯৭টি লাইসেন্সকৃত অস্ত্র। যেসব ব্যক্তি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী সরকারের আহ্বানে নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জমা না হওয়া ব্যক্তি পর্যায়ে লাইসেন্সকৃত এসব অস্ত্রের প্রায় ৭৯ শতাংশই ঢাকা মহানগর ও রেঞ্জের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অস্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী আমলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইস্যু করা অস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তখন জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দিলে লাইসেন্সকৃত অস্ত্রও অবৈধ বলে গণ্য হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গত ৪-২৮ সেপ্টেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৬৩৭টি থানায় সর্বমোট অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয় ১৮ হাজার ৭৬টি। এর মধ্যে জমা পড়েছে ১৩ হাজার ৪৭৮টি। এর মধ্যে ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অস্ত্র রয়েছে ১ হাজার ৩১টি। কর্মরত সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের ১ হাজার ৫৮২টি। ব্যক্তি পর্যায়ে অস্ত্র জমা পড়েনি ৯৯৭টি। আর ৯৯৮টি লাইসেন্সের বিপরীতে অস্ত্র কেনা হয়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ব্যক্তি পর্যায়ে যেসব অস্ত্র জমা পড়েনি, সেগুলোর বিষয়ে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সে নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তথ্য জমা হচ্ছে। এখন নির্দেশনা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা দেয়নি, তাঁদের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে ব্যাংক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, কর্মরত সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের নামে লাইসেন্স বাতিল হবে না। রাজনৈতিক পরিচয়ে যেসব ব্যক্তিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাতিল করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলা করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্ধারিত সময়ে যেসব অস্ত্র জমা পড়েনি, সেগুলোর লাইসেন্স বাতিল করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। তবে কয়েকজন ব্যক্তি বিদেশে অবস্থান করায় ও অসুস্থ থাকায় তাঁদের লাইসেন্স বহাল রাখার নির্দেশ রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরের ৫০টি থানায় মোট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকা ৪ হাজার ৬৮৩টি অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েনি ৫৯১টি। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরে ব্যক্তি পর্যায়ে ৫৯১টি, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জে ১৯৪টি, চট্টগ্রামে ৭০টি, চট্টগ্রাম মহানগরে ৪০টি, রাজশাহীতে ৫৯টি, সিলেটে ১৬টি, বরিশালে ৭টি, খুলনায় ৬টি, বরিশাল, সিলেট ও গাজীপুর মহানগরে ৩টি করে মোট ৯টি এবং ময়মনসিংহে ৫টি অস্ত্র জমা পড়েনি।
জমা না পড়া এসব অস্ত্র উদ্ধারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া ও পাবলিকেশন) তালেবুর রহমান বলেন, যেসব অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, সেগুলো এখন অবৈধ হিসেবেই গণ্য হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। সেগুলো উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক ব্যক্তিদের দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। পরে এসব অস্ত্র ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়।
জানা গেছে, দেশে এখন বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা কমবেশি ৫০ হাজার। এর মধ্যে বেশ কিছু অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নামে। বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের।

বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
১ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৮ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, গুম হত্যার চেয়েও নিকৃষ্টতম অপরাধ। গুম প্রতিরোধে শুধু আইনগত সংস্কার নয়, প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারও।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে অনুষ্ঠিত ‘Ensuring Justice: The Role of the Judiciary in Addressing Enforced Disappearances’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির উদ্যোগে এবং ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সহযোগিতায় এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘অনেক প্রাণ ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ একটি পরিবর্তিত পরিবেশে অবস্থান করছি। এই পরিবর্তন স্থায়ী করতে হলে গুমের বিচার নিশ্চিত করা অপরিহার্য।’
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে কমিশনের সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রায় লেখা একটি সৃজনশীল শিল্প। তাই বিচারকেরা হলেন সৃজনশীল শিল্পী। তাঁদের শিল্পকর্মই তাঁদের রায়।
তিনি বলেন, গুম প্রতিরোধে বিচার বিভাগ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও মানবাধিকার কাঠামোর মধ্যে সমন্বিত সহযোগিতা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন, সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ও তদন্ত সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি গুমের বিচার নিশ্চিতের মূল চাবিকাঠি।
কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী বলেন, গুম-সংক্রান্ত মামলাগুলোর কার্যকর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কমিশন এরই মধ্যে বিদ্যমান আইনি কাঠামো পর্যালোচনা করে গুম-সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, সাক্ষী সুরক্ষা ও ভুক্তভোগী পরিবারের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকার-বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান।

সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জমা পড়েনি ৯৯৭টি লাইসেন্সকৃত অস্ত্র। যেসব ব্যক্তি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী সরকারের আহ্বানে নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
২১ অক্টোবর ২০২৪
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
১ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৮ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেসিনেটে শুনানিতে ট্রাম্প–মনোনীত রাষ্ট্রদূত
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে প্রশ্নোত্তর পর্বে একথা বলেন ক্রিস্টেনসেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মমোনীত এই কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে সামরিক সহযোগিতা, সামুদ্রিক কর্মকাণ্ড এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে সম্পৃক্ততাসহ চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবনে। পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারত্ব ঘনিষ্ঠ করার জন্য কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দেন ক্রিস্টেনসেন।
গত ২ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন। সিনেট কমিটির অনুমোদনের পরই তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে। এই মনোনয়ন নিয়ে শুনানিতে চার রাষ্ট্রদূত প্রার্থী লিখিত বিবৃতি তুলে ধরেন। পরে তাঁরা সিনেট সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরে নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর জন পিটার রিকেটস শুনানিতে বলেন, ‘আমরা এখন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে। বাংলাদেশ ও চীনের সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রাখার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি কৌশলগত সাবমেরিন ঘাঁটি আধুনিকায়ন করেছে চীন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নতুন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও দূরপাল্লার রাডার কেনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে চীনা সামরিক সরঞ্জামের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কমাতে বাংলাদেশের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রিস্টেনসেন কীভাবে কাজ করবেন, তা জানতে চান সিনেটর রিকেটস।

জবাবে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব নিয়ে আপনাদের মতো উদ্বেগ আমারও। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ আমি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে চীনের কার্যক্রমের ঝুঁকি ব্যাখ্যা করব। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গভীর অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা তুলে ধরব, যা দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’
এ সময় সিনেটর রিকেটস বলেন, ‘এই শুনানির আগের দিনই সিনেট পররাষ্ট্র কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট’ পাস করেছে। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রকে পূর্ণাঙ্গ কৌশল নিতে বাধ্য করবে, যাতে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে চীনা অস্ত্র কেনা থেকে বিরত রাখা যায়। আমরা আশা করি, আপনিও এই আইনের সহায়তা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।’
তাঁর এই মন্তব্যের সূত্র ধরে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘সামরিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চমূল্যের সামরিক সরঞ্জামের বিকল্প হিসেবে মিত্রদেশগুলোর তৈরি সাশ্রয়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশকে জানাতে পারি। পাশাপাশি যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলোকে অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সঙ্গে আরও সমন্বিত ও কার্যকর করতে পারি।’
শুনানির শুরুতে লিখিত বিবৃতিতে ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে যে গণআন্দোলন হয়েছিল, তা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারকে পতন ঘটায়। আগামী বছর বাংলাদেশের জনগণ ভোটে যাবে, যা দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের যাত্রায় পাশে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ অনেক সময় তাঁর প্রাপ্য মনোযোগ পায় না, বড় প্রতিবেশীদের আড়ালে গুরুত্ব হারিয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রসেবায় আমার দুই দশকের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে ঢাকার কর্মকালও রয়েছে। তাই, আমি বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কে গভীরভাবে অবগত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থান বাংলাদেশকে উন্মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে।’

সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জমা পড়েনি ৯৯৭টি লাইসেন্সকৃত অস্ত্র। যেসব ব্যক্তি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী সরকারের আহ্বানে নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
২১ অক্টোবর ২০২৪
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
১ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৮ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত কার্গো ভিলেজ ও ই-গেট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অব্যবস্থাপনার বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা চারটি দেশকে ইনভাইট করেছি। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্ককে আসতে বলেছি। তাদের স্পেশালিস্ট আমরা আনতে চাচ্ছি। তারা তদন্ত করে কারণটা কী এবং কে দায়ী বের করবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দরের ভেতরে চারটি ইউনিট আছে। চারটি ইউনিটই কাজ করছে। আমরা আশা করছিলাম তাড়াতাড়ি কন্ট্রোলে আসবে। কন্ট্রোলে আসতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করতে হয়। যেহেতু দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। অনেক সময় বাতাস থাকলে নেভাতে সময় লাগে।’
কার্গো ভিলেজে বিশেষায়িত ফায়ার সার্ভিস ইউনিট কেন ছিল না—এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য বিমানে যে ইউনিট থাকে, সেটা কার্গো ভিলেজেও কাজ করতে পারে। এটিতে কোনো অসুবিধা নাই।’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে কেউ ফেল করেনি। কিন্তু সময় লাগছে। ফেল করলে সব জ্বলে যেত। ওই দিন রাত ৯টার সময় বিমানবন্দর চালু করে দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমানবন্দর অথরিটির চারটি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। সেগুলো ৩০ সেকেন্ডের ভেতরে চলে আসছিল। ফায়ার সার্ভিসের যে ইউনিটগুলো আছে, তার একটি দিয়াবাড়ির মেট্রোরেলের ওখানে, আরেকটি কুর্মিটোলায়। সেগুলো ২০ মিনিটের ভেতরে চলে আসছে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেখানে আগুন ধরেছে, সেখানে কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস ম্যাটেরিয়াল ছিল। দাহ্য পদার্থ খুব বেশি ছিল। যার কারণে আগুনটা ছড়িয়ে গেছে তাড়াতাড়ি। কন্ট্রোল করতে সময় নিয়েছে।’
১৮ অক্টোবর বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিটের চেষ্টায় রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু পুরোপুরি নির্বাপণ হয় ২৬ ঘণ্টা পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে।
আরও খবর পড়ুন:

সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জমা পড়েনি ৯৯৭টি লাইসেন্সকৃত অস্ত্র। যেসব ব্যক্তি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী সরকারের আহ্বানে নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
২১ অক্টোবর ২০২৪
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
১ ঘণ্টা আগে
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১ দিন আগেঅষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) ও রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় খেলা করার সময় পানিতে পড়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়ন ও রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নে ঘটনা দুটি ঘটে। এতে ওইসব এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ বিকেলে অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পশ্চিম আলীনগর এলাকায় বাড়িসংলগ্ন বিলের পাশে খেলা করছিল মিশকাত (৫), মাহিন (৬) ও সাত্তার তানিল মিয়া (৫)। হঠাৎ সবার অজান্তে তিন শিশু বিলে পড়ে ডুবে যায়।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিল থেকে মিশকাত ও মাহিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে খবর পেয়ে অষ্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপর শিশু তানিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মাহিনের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো তিন শিশু খেলাধুলা করছিল। কিন্তু কখন যে বিলের পানিতে ডুবে গেল, কেউ বোঝেনি। পরে তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে প্রথমে দুজন, পরে অন্যজনকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দেওঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুঃখজনক খবর, একই বাড়ির তিনটা শিশুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপর দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নে একই দিন বিকেলে উত্তর পারুয়া গ্রামের একটি পুকুরে পড়ে মারা যায় তিন শিশু। তারা হলো সুমাইয়া আক্তার (৫), হাবীবা আক্তার (৬) ও জান্নাত আক্তার (৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে খেলার ছলে তারা তিনজনই বাড়ির পাশে পুকুরে যায়। কিছুক্ষণ পর না পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে পারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একতেহার হোসেন বলেন, ‘তিনটি নিষ্পাপ শিশুর এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জমা পড়েনি ৯৯৭টি লাইসেন্সকৃত অস্ত্র। যেসব ব্যক্তি লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী সরকারের আহ্বানে নির্ধারিত সময়ে অস্ত্র জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
২১ অক্টোবর ২০২৪
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গুমের বিচার বাস্তবায়নে বিচারকদের সাহসী ও ন্যায্য ভূমিকা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও দৃঢ় অবস্থানই একদিন বাংলাদেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি নির্মূল করবে।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন বলেছেন, নিয়োগ পেলে চীনা কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে তিনি বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে তাঁর
১ ঘণ্টা আগে
বিমানবন্দরের ভয়াবহ আগুন লাগার কারণ ও দায়ীদের খুঁজে বের করতে চারটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৮ ঘণ্টা আগে