Ajker Patrika

বিপুল কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে না পারায় এবার মানবাধিকার কমিশনের পদক্ষেপ

আপডেট : ০৩ জুন ২০২৪, ১৯: ৫৬
বিপুল কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে না পারায় এবার মানবাধিকার কমিশনের পদক্ষেপ

মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু বিপুলসংখ্যক কর্মী শেষ মুহূর্তে ফ্লাইটের টিকিট না পাওয়ার ঘটনা তদন্ত করে দায়ী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

আজ সোমবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমোটো) গ্রহণ করেছে।

তিন বিষয়ে আদেশ দিয়েছে মানবাধিকার কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় প্রবেশের শেষ সময়সীমাকে কেন্দ্র করে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মে মাসের শেষ ১০ দিনে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের কাছ থেকে বিমানের টিকিটের অজুহাতে মাথাপিছু অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা করে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে দায়ী প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে নামসর্বস্ব কোম্পানিতে শ্রমিকদের পাঠানো এবং মালয়েশিয়া যাওয়ার পর কাজ না পাওয়ার বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করার জন্য সচিব, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১০ জুলাই প্রতিবেদন দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

এ ছাড়া ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও যথাসময়ে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে না পারার পেছনে দায়ী প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ভিসাপ্রাপ্ত শ্রমিকদের মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদন মতে, ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও উড়োজাহাজের টিকিট সংকটে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে প্রায় ৩১ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর। অবশ্য সরকারি হিসাবে এ সংখ্যা ১৭ হাজারের কিছু বেশি।

গত ৩১ মে শেষ মুহূর্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো উড়োজাহাজে আসনসংখ্যা বাড়িয়ে এবং বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা এ জন্য দায়ী করেছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি ও উদাসীনতাকে। মন্ত্রণালয় দুষছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠনের কথাও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

এদিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধানও গতকাল রোববার জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় যেতে ব্যর্থ হয়ে সংক্ষুব্ধ কোনো ব্যক্তি মামলা করলে সিআইডি সে ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

মানবাধিকার কমিশন মনে করে, এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে অনতিবিলম্বে তদন্ত করে প্রভাবশালী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ অভিযোগে উল্লিখিত শ্রমিকদের হয়রানির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত