নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রবাসী ভোট নিশ্চিতে প্রক্সি ভোটিংয়ের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। আজ
সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ওআইসিভুক্ত মিশন প্রধানদের মধ্যে ১০টি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, উন্নয়ন সহযোগী দেশ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করা হচ্ছে, মতবিনিময় হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ওআইসিভুক্ত দেশের মিশন প্রধানদের দেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমাদের বর্তমান কার্যক্রম, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব কাজ হাতে নিয়েছি, সেসব অবহিত করেছি। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা আশা করেছি।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘প্রবাসী ভোট নিয়ে তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে কোনো কোনো রাষ্ট্রদূত সহযোগিতার বিষয়ে এবং অবজারভার টিম পাঠানোর জন্য তাদের আগ্রহ দেখিয়েছেন। আমরা স্বাগত জানিয়েছি এবং যথাসময়ে এগুলো ফরমালাইজ করব।’
নির্বাচন কমিশনার জানান, ইসির বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে সবাই আগ্রহী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রবাসীদের ভোটে প্রক্সি ভোটিং নিয়ে অনেকের সংশয়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘তিন ধরনের মেথডে আমরা কোনোটাকেই প্রায়োরিটিতে আনিনি। তিনটি মেথডকে (অনলাইন, পোস্টাল ব্যালট ও প্রক্সি ভোটিং) শর্ট লিস্ট করেছি।’
পোস্টাল ও অনলাইন বিষয়ে তিনি জানান, পোস্টাল ব্যালটটা বর্তমানে অকার্যকরী। অনলাইন পদ্ধতি নিয়ে আজও তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মিশরের রাষ্ট্রদূত জানালেন তাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়, তারা চালু করে অনলাইন ভোট বন্ধ করে দিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রতিনিধি বলেছেন, তাদের প্রাথমিক অভিজ্ঞতা ভালো, তারা পূর্ণাঙ্গভাবে অনলাইনে চালুর অবস্থানে নেই।
প্রক্সি ভোটিংয়ের বিষয়ে কয়েকটি দেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের দেশে শারীরিক প্রতিবন্ধীরা আরেকজনের সহায়তা নিয়ে ভোট দিয়ে থাকেন। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে চাই, তাহলে কোনো না কোনো একটা অপশন বা সব অপশনের কম্বিনেশন আমাদের নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বড় পরিসরে আমাদের প্রবাসীদের ভোট দেওয়াতে চাইলে প্রক্সি ভোটিং ছাড়া আর কোনো বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। কারণ, বাকি যে দুটো বিকল্প রয়েছে এগুলো পাইলটিং পর্যায়ে যাওয়া যাবে, লার্জ স্কেলে ডেপ্লয় হয়ত করা যাবে না।’
তিনি জানান, আগামী এপ্রিলের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করার পর চূড়ান্ত পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে ইসি।
বৈঠক শেষে ওআইসি প্রতিনিধিদের পক্ষে বাংলাদেশস্থ মালয়েশিয়ান হাই কমিশনার মোহাম্মদ সুহাদা ওথমান কথা বলেন। তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে সরকারের নির্বাচনী সংস্কার সব সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করছে মালয়েশিয়া। আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ারে আগ্রহী, বিশেষ করে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বিদেশি কর্মীদের বিষয়ে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিন নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন। ওআইসিভুক্ত দেশের ১৯ দেশের মিশন প্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এরমধ্যে আলজেরিয়া, ব্রুনাই, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মরক্কো, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানালেও ফিলিস্তিন, কাতার, সৌদি আরব, তুরস্ক, আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, মালদ্বীপ ও ওমান অংশ নেয়নি।
প্রবাসী ভোট নিশ্চিতে প্রক্সি ভোটিংয়ের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। আজ
সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ওআইসিভুক্ত মিশন প্রধানদের মধ্যে ১০টি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, উন্নয়ন সহযোগী দেশ বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করা হচ্ছে, মতবিনিময় হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ওআইসিভুক্ত দেশের মিশন প্রধানদের দেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমাদের বর্তমান কার্যক্রম, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব কাজ হাতে নিয়েছি, সেসব অবহিত করেছি। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা আশা করেছি।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘প্রবাসী ভোট নিয়ে তারা নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে কোনো কোনো রাষ্ট্রদূত সহযোগিতার বিষয়ে এবং অবজারভার টিম পাঠানোর জন্য তাদের আগ্রহ দেখিয়েছেন। আমরা স্বাগত জানিয়েছি এবং যথাসময়ে এগুলো ফরমালাইজ করব।’
নির্বাচন কমিশনার জানান, ইসির বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে সবাই আগ্রহী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রবাসীদের ভোটে প্রক্সি ভোটিং নিয়ে অনেকের সংশয়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘তিন ধরনের মেথডে আমরা কোনোটাকেই প্রায়োরিটিতে আনিনি। তিনটি মেথডকে (অনলাইন, পোস্টাল ব্যালট ও প্রক্সি ভোটিং) শর্ট লিস্ট করেছি।’
পোস্টাল ও অনলাইন বিষয়ে তিনি জানান, পোস্টাল ব্যালটটা বর্তমানে অকার্যকরী। অনলাইন পদ্ধতি নিয়ে আজও তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মিশরের রাষ্ট্রদূত জানালেন তাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়, তারা চালু করে অনলাইন ভোট বন্ধ করে দিয়েছেন। পাকিস্তানের প্রতিনিধি বলেছেন, তাদের প্রাথমিক অভিজ্ঞতা ভালো, তারা পূর্ণাঙ্গভাবে অনলাইনে চালুর অবস্থানে নেই।
প্রক্সি ভোটিংয়ের বিষয়ে কয়েকটি দেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের দেশে শারীরিক প্রতিবন্ধীরা আরেকজনের সহায়তা নিয়ে ভোট দিয়ে থাকেন। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে চাই, তাহলে কোনো না কোনো একটা অপশন বা সব অপশনের কম্বিনেশন আমাদের নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বড় পরিসরে আমাদের প্রবাসীদের ভোট দেওয়াতে চাইলে প্রক্সি ভোটিং ছাড়া আর কোনো বিকল্প আছে বলে মনে হয় না। কারণ, বাকি যে দুটো বিকল্প রয়েছে এগুলো পাইলটিং পর্যায়ে যাওয়া যাবে, লার্জ স্কেলে ডেপ্লয় হয়ত করা যাবে না।’
তিনি জানান, আগামী এপ্রিলের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করার পর চূড়ান্ত পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে ইসি।
বৈঠক শেষে ওআইসি প্রতিনিধিদের পক্ষে বাংলাদেশস্থ মালয়েশিয়ান হাই কমিশনার মোহাম্মদ সুহাদা ওথমান কথা বলেন। তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে সরকারের নির্বাচনী সংস্কার সব সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করছে মালয়েশিয়া। আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ারে আগ্রহী, বিশেষ করে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বিদেশি কর্মীদের বিষয়ে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিন নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন। ওআইসিভুক্ত দেশের ১৯ দেশের মিশন প্রধানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এরমধ্যে আলজেরিয়া, ব্রুনাই, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মরক্কো, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানালেও ফিলিস্তিন, কাতার, সৌদি আরব, তুরস্ক, আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, মালদ্বীপ ও ওমান অংশ নেয়নি।
দাবিদাওয়া আদায়ে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীরা। গত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তন হলে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিলেন তাঁরা। সরকারি কর্মচারীদের এমন দলবদ্ধ আন্দোলনের পথ বন্ধ করতে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
৪ ঘণ্টা আগেনিরাপদ দেশের তালিকায় নতুন করে সাতটি দেশের নাম ঢুকিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই তালিকায় বাংলাদেশের নামও রয়েছে। এতে করে ইউরোপের দেশগুলোয় বাংলাদেশিদের রাজনৈতিক আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) নেওয়ার সুযোগ কঠিন হলো।
৪ ঘণ্টা আগেঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। দিবসটি উপলক্ষে মেহেরপুরে যাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকার গুলশানে শিগগির প্রবাসীদের জন্য একটি আধুনিক হাসপাতাল স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এই হাসপাতাল বিদেশফেরত প্রবাসীদের উদ্যোগে পরিচালিত হবে এবং শেয়ার কেনার মাধ্যমে প্রবাসীরা এর মালিকানাও লাভ করবেন।
৯ ঘণ্টা আগে