Ajker Patrika

তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় ভারতের বেঙ্গালুরুতে গ্রেপ্তার ৬ বাংলাদেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২৮ মে ২০২১, ১৯: ১৯
তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় ভারতের বেঙ্গালুরুতে গ্রেপ্তার ৬ বাংলাদেশি

ঢাকা: ভারতের কেরালায় বাংলাদেশি এক তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়া পর অভিযুক্ত ঘটনার মূল হোতা রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়সহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভাইরাল হওয়া ভারতে নারী নির্যাতনের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বাংলাদেশি আসামিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

পুলিশ জানায়, কিছুদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, প্রায় ২০-২২ বছর বয়সী একটি মেয়েকে বিবস্ত্র করে ৩-৪ জন যুবক অমানবিক নির্যাতন করছে। সাইবার পেট্রোলিং এর অংশ হিসেবে ভিডিওটি নজরে আসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের।

এই ঘটনায় ভিডিও দেখে নিজের মেয়েকে শনাক্ত করে বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মানবপাচারের মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগীর বাবা জানান, তিনি মগবাজার এলাকার ফুটপাতে ব্যবসা করেন। তার মেয়ের ৬-৭ বছর আগে বিয়ে হয়। স্বামী ৩ বছর ধরে কুয়েতে থাকেন। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকে তিনি (ভুক্তভোগী) বাবা ও শ্বশুরবাড়ি উভয় জায়গায় থাকতেন। ১৫ মাস আগে বাবাকে জানান, তিনি (ভুক্তভোগী) দুবাই যাবেন। বাবা তাকে বারণ করেন। তবে ১ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে তিনি জানতে পারেন, মগবাজারের রিফাদুল ইসলাম ওরফে টিকটক হৃদয় তাকে (মেয়েকে) ফুসলিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করেন।

এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তা ভারতে সংঘটিত হয়েছে। তবে, ভিকটিম বাংলাদেশি। আর যে ৩-৪ জন যুবক ভিকটিমকে নির্যাতন করেছে তার একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম রিফাতুল ইসলাম হৃদয় যিনি স্থানীয়ভাবে ‘টিকটক হৃদয় বাবু’ নামে পরিচিত। নির্যাতনকারী হৃদয় হাতিরঝিলের মগবাজার এলাকায় বসবাস করতেন। হৃদয়ের মা ও মামার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায় উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের কারণে গত চার মাস আগে তারা তাকে বাসা থেকে বের করে দেন।

তিনি আরও বলেন, কৌশলে হৃদয়ের মামার হোয়াটস অ্যাপ নম্বর থেকে যোগাযোগ করা হলে হৃদয় জানায় সে তিন মাস আগে ভারতে চলে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ১৫-১৬ দিন আগের এবং ভুক্তভোগী বাংলাদেশি। ভুক্তভোগীর বাসাও হাতিরঝিল এলাকায়। হৃদয়ের দেওয়া তথ্যমতে, আমরা নির্যাতিতার পরিবারের খোঁজ পাই। তার পরিবার নির্যাতিত মেয়েকে চিনতে পারে।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত