নিজস্ব প্রতিবেদক
খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট হৃদ্রোগজনিত মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। আশঙ্কার কথা হচ্ছে, ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাই বিশেষজ্ঞরা সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ করে নীতি প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছেন।
সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল বা পিএইচও, যা বাংলাদেশে ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। পিএইচও বা ডালডা সাধারণত ভাজা পোড়া স্ন্যাক্স ও বেকারিপণ্য তৈরি এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সড়কসংলগ্ন দোকানে খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সম্প্রতি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় ঢাকার পিএইচও নমুনার ৯২ শতাংশে ডব্লিউএইচও সুপারিশকৃত দুই শতাংশ মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্স ফ্যাট (ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড) পেয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পিএইচও নমুনায় সর্বোচ্চ ২০.৯ গ্রাম পর্যন্ত ট্রান্স ফ্যাট এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, যা ডব্লিউএইচও’র সুপারিশকৃত মাত্রার তুলনায় ১০ গুণেরও বেশি। ট্রান্সফ্যাটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো আইন বা নীতি হয়নি। তবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) অতিসম্প্রতি সকল ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ট্রান্সফ্যাটমুক্ত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে অবিলম্বে ডব্লিউএইচও’র পরামর্শ অনুযায়ী সবধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ করে আইন প্রণয়ন এবং কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)।
প্রজ্ঞা ‘র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে বাংলাদেশে হৃদ্রোগজনিত মৃত্যুর ৪.৪১ শতাংশের জন্য দায়ী ট্রান্সফ্যাট। খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের সীমা নির্ধারণ করার মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব। তাই আমাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন করতে হবে।’
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রান্সফ্যাট আসলে এক ধরনের বিষ। এটা বিশেষ ধরনের চর্বি। তেল প্রক্রিয়াজাত করেও ট্রান্সফ্যাট তৈরি করা যায়, সেটা পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল বা পিএইচও, যা বাংলাদেশে ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। বেকারি প্রোডাক্ট তৈরিতে ডালডার ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত করা খাবার, ভাজাপোড়া খাবারে প্রচুর ট্রান্সফ্যাট থাকে।’
তিনি বলেন, খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের ব্যবহার বেশি হলে রক্তে কোলেস্টেরল লেভেল বেড়ে যায়। কোলেস্টেরল বাড়লে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। হৃদরোগ এড়াতে যেসব খাবারে ট্রান্সফ্যাট রয়েছে, সেসব খাবার পরিহার করতে হবে।’
খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট হৃদ্রোগজনিত মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। আশঙ্কার কথা হচ্ছে, ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাই বিশেষজ্ঞরা সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ করে নীতি প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছেন।
সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল বা পিএইচও, যা বাংলাদেশে ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। পিএইচও বা ডালডা সাধারণত ভাজা পোড়া স্ন্যাক্স ও বেকারিপণ্য তৈরি এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সড়কসংলগ্ন দোকানে খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সম্প্রতি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় ঢাকার পিএইচও নমুনার ৯২ শতাংশে ডব্লিউএইচও সুপারিশকৃত দুই শতাংশ মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্স ফ্যাট (ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড) পেয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পিএইচও নমুনায় সর্বোচ্চ ২০.৯ গ্রাম পর্যন্ত ট্রান্স ফ্যাট এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, যা ডব্লিউএইচও’র সুপারিশকৃত মাত্রার তুলনায় ১০ গুণেরও বেশি। ট্রান্সফ্যাটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো আইন বা নীতি হয়নি। তবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) অতিসম্প্রতি সকল ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ট্রান্সফ্যাটমুক্ত নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে অবিলম্বে ডব্লিউএইচও’র পরামর্শ অনুযায়ী সবধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ করে আইন প্রণয়ন এবং কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)।
প্রজ্ঞা ‘র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে বাংলাদেশে হৃদ্রোগজনিত মৃত্যুর ৪.৪১ শতাংশের জন্য দায়ী ট্রান্সফ্যাট। খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের সীমা নির্ধারণ করার মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব। তাই আমাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন করতে হবে।’
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রান্সফ্যাট আসলে এক ধরনের বিষ। এটা বিশেষ ধরনের চর্বি। তেল প্রক্রিয়াজাত করেও ট্রান্সফ্যাট তৈরি করা যায়, সেটা পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল বা পিএইচও, যা বাংলাদেশে ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত। বেকারি প্রোডাক্ট তৈরিতে ডালডার ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত করা খাবার, ভাজাপোড়া খাবারে প্রচুর ট্রান্সফ্যাট থাকে।’
তিনি বলেন, খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের ব্যবহার বেশি হলে রক্তে কোলেস্টেরল লেভেল বেড়ে যায়। কোলেস্টেরল বাড়লে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। হৃদরোগ এড়াতে যেসব খাবারে ট্রান্সফ্যাট রয়েছে, সেসব খাবার পরিহার করতে হবে।’
চলতি জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘জুলাই মাসের মধ্যে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে চাই। এটা আপনারাও (রাজনৈতিক দল) নিঃসন্দেহে চান। তাই আমাদের পক্ষে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হচ্ছে।
২৬ মিনিট আগেক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বা বিনা ভোটে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের আগেই তাঁদের বিজয় নিশ্চিত করেছিল আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় বহাল থাকা। বিনা ভোটে এমপি হওয়ার সুযোগ আর রাখতে চায় না বর্তমান...
১০ ঘণ্টা আগেদেশের থানাগুলোতে ৫ মাস ধরে প্রতি মাসে ১ হাজার ৮০০-এর বেশি নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা হয়েছে। সেই হিসাবে দিনে ৬০টি এবং প্রতি ২৪ মিনিটে একটি মামলা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতনের অনেক ঘটনায়ই মামলা হয় না—এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিলে অপরাধের প্রকৃত মাত্রা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।
১০ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচি ঘিরে হতাহতের ঘটনায় নিন্দা এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন শিক্ষক, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মীসহ ২১ বিশিষ্ট নাগরিক। আজ শনিবার (১৯ জুলাই) গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠানো হয়।
১৫ ঘণ্টা আগে