Ajker Patrika

বিবিসির প্রতিবেদন /ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০১ মে ২০২৫, ২০: ৩৭
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির প্রচারের আলোয় আসতে খুব একটা আগ্রহী নন। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পাদপ্রদীপের আলো যেন কেবলই তাঁর দিকে পড়েছে। শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ও দূরের কূটনৈতিক রাজধানীগুলোতেও আলোচিত হচ্ছেন তিনি।

সর্বশেষ কাশ্মীর নিয়ে জেনারেল মুনিরের মন্তব্য ভারতে পাকিস্তানের সামরিক অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধিতে দেশটির ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু করেছে। জেনারেল মুনির ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে এই মন্তব্য করেন।

কাশ্মীর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার এক বিবদমান অঞ্চল। দুই দেশই এই অঞ্চলের পুরোটাই দাবি করে, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করে আংশিকভাবে। এই অঞ্চল ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যকার সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু। সহিংসতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না হলেও জেনারেল মুনিরের কথাগুলোকে ব্যাপকভাবে ব্যবচ্ছেদ করা হয়েছে এবং সেগুলোকে তাঁর ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও আক্রমণাত্মক মনোভাব হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানে সামরিক বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকার প্রতিষ্ঠা ও অপসারণের জন্য সমালোচিত। ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা আবারও বাড়ার প্রেক্ষাপটে এই অস্থির পারমাণবিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে তাঁকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাঁকে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়।

গত শতকের পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে জন্ম নেন জেনারেল মুনির। তাঁর পিতা একটি স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন এবং ধর্মীয় বিষয়ে তাঁর সুগভীর জ্ঞান ছিল। তিনি ১৯৮৬ সালে মাংলায় অফিসার্স ট্রেনিং স্কুলের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সেখানে তিনি সেরা ক্যাডেট হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ সোর্ড অব অনার অর্জন করেন। এরপর তিনি ২৩ ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন।

প্রায় চার দশক ধরে জেনারেল মুনির কাশ্মীরের কাছাকাছি পাকিস্তানের সংবেদনশীল উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে সেনা পরিচালনা করেছেন। তিনি দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করতে সৌদি আরবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ইসলামাবাদে ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি থেকে জনপ্রশাসন ও কৌশলগত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তিনি জাপান ও মালয়েশিয়ার সামরিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও পড়ালেখা করেছেন।

২০২৩ সালে ইসলামাবাদের একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেনারেল মুনিরকে প্রথম দেখেন এই প্রতিবেদনের লেখক। মন্ত্রী, কূটনীতিক, জেনারেল ও সাংবাদিকভর্তি বিশাল হলরুমে তিনি এসেছিলেন বেসামরিক পোশাকে। ধীরস্থির ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভঙ্গিতে হেঁটে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় পুরো হলরুম পর্যবেক্ষণ করছিলেন তিনি। হাফেজ হওয়ায় তিনি পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে বক্তৃতা শুরু করেন। এটি পাকিস্তানের সামরিক অভিজাতদের মধ্যে তাঁর বিরল মর্যাদার প্রতিফলন।

ব্যক্তিগতভাবে, জেনারেল মুনিরকে শান্ত স্বভাবের ও বিনয়ী মনে হয়েছে। তবে মঞ্চে তিনি ছিলেন কঠোর এবং সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান হিসেবে তিনি সবকিছু খুটিয়ে দেখছিলেন। একজন প্রশিক্ষিত মানুষ হিসেবে তিনি পর্যবেক্ষণ করতে, শুনতে ও অপেক্ষা করতে জানেন। এখন তাঁর কথাগুলো পাকিস্তানের বাইরেও প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।

জেনারেল মুনির ২০২২ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হন। রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক সংকট ও শাসনকার্যে সামরিক বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জনগণের মোহভঙ্গের এক চরম সংকটের মুহূর্তে তিনি এই দায়িত্ব নেন। মাসব্যাপী জল্পনা-কল্পনার পর তাঁর নিয়োগ হয়েছিল। এর পেছনে অন্যতম কারণ ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি।

জেনারেল মুনির পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআইয়ের প্রধান হিসেবে আট মাস দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ইমরান খান তাঁকে সরিয়ে দেন। অনেকে মনে করেন, এটি ছিল সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, যদিও উভয় পক্ষই তা অস্বীকার করে। সেই মুহূর্তটি তাঁদের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে রয়ে গেছে। আজ ইমরান খান কারাগারে বন্দী এবং জেনারেল মুনির দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি।

অনেক বিশ্লেষক জেনারেল মুনিরকে তাঁর পূর্বসূরি জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়ার চেয়ে স্বভাব ও দৃষ্টিভঙ্গিতে ভিন্ন মনে করেন। জেনারেল বাজওয়া ছিলেন আরও বেশি জনমুখী। তিনি ভারতের সঙ্গে গোপন কূটনীতিকে সমর্থন করতেন এবং ২০১৯ সালে দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন। ‘বাজওয়া ডকট্রিন’ নামে পরিচিত তাঁর নীতির আওতায় তিনি ঐতিহ্যবাহী নিরাপত্তা অগ্রাধিকারের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমানভাবে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও ভূ-অর্থনীতির ওপর জোর দিয়েছিলেন।

২০১৯ সালে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সৈন্যদের ওপর আত্মঘাতী বোমা হামলার পর জেনারেল বাজওয়া ভারতীয় বিমান হামলার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক প্রতিক্রিয়া তদারকি করেছিলেন। কিন্তু তিনি পরিস্থিতি উসকে দেননি। তিনি পাকিস্তানে ধরা পড়া ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ফেরত পাঠিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়াতে সাহায্য করেছিলেন।

সিঙ্গাপুরের এস রাজারত্নম স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো আব্দুল বাসিত বলেন, ‘বাজওয়া ছিলেন স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির।’ তিনি বলেন, ‘তাঁর কূটনৈতিক চ্যানেল খোলা ছিল এবং কাশ্মীর, আফগানিস্তান, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারসহ একাধিক ফ্রন্ট তিনি বাস্তববাদিতার সঙ্গে সামাল দিচ্ছিলেন। তবে জেনারেল মুনির তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছেন এখন।’

আব্দুল বাসিত বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার অসমাপ্ত কাজ নিয়ে তিনি এসেছেন...তিনি যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হচ্ছেন (ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক সংকট, আঞ্চলিক উত্তেজনা) সেগুলো জরুরি ও পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। তাঁর পূর্বসূরি বাজওয়ার মতো দীর্ঘ, সুদূরপ্রসারী কৌশল অবলম্বনের সুযোগ তাঁর নেই। তাঁর দ্রুত, দৃঢ় প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন—দেশে ও বিদেশে উভয় ক্ষেত্রে।

পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, কাশ্মীর নিয়ে বিরোধ এমন একটি বিষয় যেখানে পাকিস্তানের কোনো সামরিক নেতাকে দুর্বলতা দেখালে চলবে না। রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক আমির জিয়া বিবিসিকে বলেন, ‘কাশ্মীর পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ—পাকিস্তানের স্কুলে প্রতিটি শিশুকে এটি শেখানো হয়। এখানে একটি মৌলিক ধারণা হলো যে আমরা ভারতকে কোনো সুবিধা দিতে পারি না।’

গত সপ্তাহের হামলা ছিল গত দুই দশকের মধ্যে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। এর ফলে ভারত পাকিস্তানকে হামলাকারীদের সমর্থনের অভিযোগ এনেছে। ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ভারতের পক্ষ থেকে সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা রয়েছে।

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জেনারেল মুনির বেশির ভাগ সময় জনসম্মুখে কথা বলেননি। তবে তাঁর একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। গত ১৭ এপ্রিল ইসলামাবাদে প্রবাসী পাকিস্তানিদের এক সভায় তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা হিন্দুদের থেকে ভিন্ন’ সম্ভাব্য প্রতিটি দিক থেকে। কাশ্মীর নিয়ে তিনি তাঁর অবস্থান দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করেন। একে পাকিস্তানের জুগুলার ভেইন বা ‘গলার শিরা’ বলে অভিহিত করেন। তিনি অঙ্গীকার করেন, পাকিস্তান ভারতীয় দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম থেকে কখনও মুখ ফিরিয়ে নেবে না।

এই বক্তৃতা হয়তো গত কয়েক বছরে পাকিস্তানি নেতাদের দেওয়া অনেক আদর্শগত বিবৃতির মতোই থেকে যেত, যদি এরপর যা ঘটেছিল তা না ঘটত। তাঁর বক্তব্যের ঠিক পাঁচ দিন পর, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গিরা পর্যটকদের ওপর গুলি চালায়।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক বিশেষজ্ঞ জোশুয়া টি হোয়াইট বলেন, এটি প্রথাগত বাগাড়ম্বর ছিল না। তিনি বলেন, যদিও মূল বিষয়বস্তু পাকিস্তানের আদর্শিক বর্ণনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তবে এর সুর—বিশেষ করে হিন্দু-মুসলিম পার্থক্যের সরাসরি উল্লেখ—এটিকে বিশেষভাবে উসকানিমূলক করে তুলেছে।

জোশুয়া হোয়াইট আরও বলেন, পেহেলগাম হামলার ঠিক আগে এমন মন্তব্য পাকিস্তানের সংযম দাবি করা বা গোপন কূটনীতি অনুসরণ করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে মারাত্মকভাবে জটিল করে তুলেছে। আব্দুল বাসিতও এই বিষয়ে একমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, জেনারেল মুনিরের ভাষণের বাহ্যিক রূপ ছিল ক্ষতিকর। তিনি বলেন, মুনির হয়তো সেই মুহূর্তে নিজেকে সামলাতে পারেননি। তিনি এমন কিছু কথা বলেছেন, যা হয়তো ব্যক্তিগত পর্যায়ে বললে কারও ভ্রু কুঁচকাত না, কিন্তু জনসমক্ষে, সেনাপ্রধান হিসেবে বলায় সেগুলো অত্যন্ত আক্রমণাত্মক হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে।

আব্দুল বাসিত আরও বলেন, কিছু লোক এটিকে ক্ষমতার প্রদর্শন হিসেবে দেখেছে। তিনি আরও বলেন, এটি ছিল তাঁর আগমনের মুহূর্তের মতো। এই সেই ঘোষণার মতো যে, এখন তিনিই সবকিছু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং পাকিস্তানের দিকনির্দেশনা আবার সেনাবাহিনীর হাতেই।

জেনারেল মুনির চলতি বছরের শুরুতে আরেকটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তাঁর সেই ভাষণের পর অনেকে মনে করেন, তিনি তাঁর পূর্বসূরির চেয়ে কঠোর মনোভাব গ্রহণ করছেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীর সংহতি দিবসে মুজাফফারাবাদে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি ঘোষণা করেন, পাকিস্তান ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের জন্য তিনটি যুদ্ধ করেছে, প্রয়োজন হলে আরও ১০টি করবে।

কিন্তু সময় বিবেচনায় তাঁর সর্বশেষ বক্তৃতাই পেহেলগাম হামলার পর জল্পনা বাড়িয়েছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা একটি যোগসূত্রের ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি, তবে এই বাগাড়ম্বর অবিশ্বাসকে আরও গভীর করেছে। দেশে জেনারেল মুনিরের পদক্ষেপগুলোকে অনেকে এমন এক নেতার পদক্ষেপ হিসেবে দেখেন, যিনি হিসাবী, আপসহীন ও সামরিক কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।

গত বছরের ৯ মে ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর সৃষ্ট দাঙ্গার পর জেনারেল মুনির তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন দমন-পীড়ন চালান। বেসামরিক নাগরিকদের সামরিক আইনে বিচার করা হয়েছে, একজন শীর্ষ জেনারেলকে অকাল অবসরে পাঠানো হয়েছে এবং ইমরান খানের একসময়ের ঘনিষ্ঠ সাবেক আইএসআইয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফয়েজ হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সমালোচকেরা এটিকে খানপন্থীদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান বলে অভিহিত করেছেন, আর সমর্থকেরা পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হিসেবে দেখছেন। কারণ, বাজওয়া ও মুনিরের কর্তৃত্ব প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। প্রকাশ্যে এই দুই ব্যক্তির তীব্র সমালোচনা করা হচ্ছিল।

জেনারেল মুনিরের পাঁচ বছর মেয়াদের দুই বছরের বেশি সময় সবেমাত্র পেরিয়েছে, তবে তাঁর ঐতিহ্যের রূপরেখা এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে। ভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সংকট বড় সামরিক সংঘাতের দিকে গড়াবে নাকি কূটনীতির মাধ্যমে মোকাবিলা করা হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে জেনারেল মুনির এটিকে কোন দিকে চালিত করেন তাঁর ওপর।

আব্দুল বাসিত সতর্ক করে বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহই পরিস্থিতি কীভাবে এগোবে তা নির্ধারণ করবে। তিনি বলেন, জেনারেল মুনির কীভাবে এই সংকট মোকাবিলা করেন, তা তাঁকে একজন সৈনিক হিসেবে, একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ও পাকিস্তান কী ধরনের আঞ্চলিক অভিনেতা হতে চায়—তা সংজ্ঞায়িত করবে এবং এই মুহূর্তে সেই পছন্দটি মূলত তাঁর হাতেই।

অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত