Ajker Patrika

দেশে সারের কোনো সংকট হতে দেব না: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে সারের কোনো সংকট হতে দেব না: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সার নিয়ে কোনো সংকট সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না। সার নিয়ে যাতে কৃষকদের ভোগান্তি পোহাতে না হয়, তা দেখা হবে। কারণ সার নিয়ে কৃষকদের ভোগান্তি হলে উৎপাদন কমে যাবে। গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারের দাম এক টাকাও বাড়াননি। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা’ শেষে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ বছরও সারের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সারের দাম বাড়বে না। কৃষক যাতে পর্যাপ্ত সার পান, সে জন্য আমরা চাহিদা নির্ধারণ করেছি। মার্চে ইউরিয়া সারের চাহিদা বেশি ছিল, তবু আমরা একটু কমিয়ে চাহিদা নির্ধারণ করেছি। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৭ লাখ টন। ডিএপি লাগে ৫ থেকে ৬ লাখ টন, এটির দাম কমানোর জন্য চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ লাখ টন। টিএসপি সাড়ে সাত লাখ টন ও এমওপির চাহিদা ধরা হয়েছে ৯ লাখ টন।

দেশে বর্তমানে কি পরিমাণ সার মজুত আছে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ৪ লাখ টন ইউরিয়া মজুত আছে। টিএসপি ২ লাখ টন, ডিএপি আড়াই লাখ টন, এমওপি সোয়া ২ লাখ টন মজুত আছে। গত বছরের তুলনায় সবগুলোই কিছু কম আছে।

করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্ববাজারে সার পরিস্থিতি তুলে ধরতে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আগে ২৫০ ডলার প্রতি টনে আমরা পটাশিয়াম সার কিনতাম। সেই সার আমরা এক হাজার ২০০ ডলারেও কিনেছি। এখনো তা ৭০০ থেকে ৮০০ ডলারে কিনতে হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম কমে আসছে। কিন্তু যেভাবে কমছে, তাতে আগের অবস্থায় যাচ্ছে না।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত থাকলে খুবই কম পরিমাণ সার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত