Ajker Patrika

বর্ধিত বিধিনিষেধে খোলা শপিংমল, বন্ধ গণপরিবহন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২১, ১৬: ৩২
বর্ধিত বিধিনিষেধে খোলা শপিংমল, বন্ধ গণপরিবহন

ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না কমায় পঞ্চম দফায় আরও সাত দিনের বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। বিধিনিষেধের মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে কিন্তু খোলা থাকবে শপিংমল। আজ বুধবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে লকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংশল খোলা রাখা যাবে।

শপিংমলে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট বাজার ও সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে হবে।

লকডাউনের আগের বিধিনিষেধ ও শর্ত ঠিক রেখে এবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। আগের বিধিনিষেধের মধ্যে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল, এখনও সে নির্দেশনা বহাল থাকবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকলে প্রথম দফায় ৫ থেকে ১১ এপ্রিল এবং পরে তা বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

পরে গত ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে। পরে তার মেয়াদ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করে সরকার।

নতুন করে লকডাউনের মেয়াদ সাতদিন বাড়ায় টানা ৩১ দিন সারা দেশে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ থাকছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে গত বছর টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। সংক্রমণের হার অনুযায়ী বিভিন্ন অঞ্চলকে চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়।

বিশেষ বিবেচনায় ভারত থেকে ফেরা যাবে

ভারতের সাথে সব সীমান্ত বন্ধ করেছে বাংলাদেশ। এ অবস্থা থাকবে আগামী ১০ দিন। যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে তাঁরা এর মধ্যেই দেশে ফিরতে পারবেন। তবে তাদেরকে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশন থেকে থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। সেক্ষেত্রে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন পালন করতে হবে।

লকডাউনের মেয়াদ ২৯ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনভাবে বেড়ে যাওয়ায় ২৬ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে আগামী ৯ মে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশটির সঙ্গে সব স্থলবন্দর বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশে। সীমান্ত বন্ধ থাকায় অনেক বাংলাদেশি ভারতে আটকা পড়েছেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পণ্য পরিবহন ছাড়া ভারত থেকে স্থল, নৌ ও বিমানযোগে বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

‘তবে শুধু ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ বাংলাদেশিরা ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের অনুমতি বা অনাপত্তি ছাড়পত্র গ্রহণ করে বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন।’

হাইকমিশনের ছাড়পত্র নিয়ে সীমান্ত বন্ধের মধ্যে যারা দেশে ফিরবেন তাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রণীত বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরণ করে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।

কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

সরকার বলছে, মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও চীন থেকে আগত যাত্রীদের ভ্যাকসিন গ্রহণের সনদসহ করোনা নেগেটিভ সনদধারী যাত্রীরা নিজ বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। সেক্ষেত্রে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানাকে আগমন ও কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি অবহিত করতে হবে।

মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও চীন থেকে আগত শুধু করোনা নেগেটিভ সনদধারীরা সরকার নির্ধারিত কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থায় থাকবেন। তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে চিকিৎসকরা তাদের পরীক্ষা করে সম্মতি দিলে নিজ বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন, যা নিজ নিজ থানাকে অবহিত করতে হবে।

মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও চীন বাদে অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত