সজল জাহিদ
অসহ্য গরমে প্রায় সবারই নিদারুণ সময় কাটছে। তারপরও জীবন যেহেতু থেমে থাকে না, তাই সাধ্যের মধ্যে শখ, আহ্লাদ, স্বপ্নপূরণ, ভ্রমণ—এসবও থেমে থাকে না। শুধু সময়, পরিবেশ আর পরিস্থিতির সঙ্গে সেগুলোর ধরন বদলে যায় মাত্র। তাই গরম যতই অসহ্য হয়ে উঠুক না কেন, ভ্রমণপ্রেমী মানুষজন ঠিকই তাঁদের গন্তব্য ঠিক করে ফেলতে পারেন। এই যেমন আমিও আর কয়েকটা দিন পরে, এত গরমেও অনেক কিছু উপেক্ষা করে বেরিয়ে পড়ব ভারতের কয়েকটি শীতল এবং পাহাড়ি শহরের উদ্দেশে।
উত্তরাখন্ড ভারতের অন্যতম শীতল প্রদেশ। এখানে রয়েছে বেশ কিছু দুর্দান্ত ট্যুরিস্ট স্পট, ট্রেকিং রুট, ধর্মীয় স্থাপনা। এগুলোর জন্য পুরো ভারত তো বটেই, বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর অগণিত ভ্রমণপিয়াসী মানুষ ভিড় করে এই অঞ্চলে।
মুন্সিয়ারি
উত্তরাখন্ডের কুমায়ুন অংশের একদম শেষ পাহাড়ি জনপদ এটি। মুন্সিয়ারি হিমালয় ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে পাঁচ-পাঁচটি পাহাড় চূড়াকে সঙ্গে করে, যাকে সবাই পঞ্চচুল্লি নামে জানে। এখানে এক পাহাড়ের চূড়া থেকে পাশেই, প্রায় হাতছোঁয়া দূরত্বে হিমালয় রেঞ্জ দেখার আনন্দই অন্য রকম। খুবই শান্ত, নিরিবিলি আর একান্ত সময় কাটানো যায় ইচ্ছেমতো। কলকাতা বা দিল্লি থেকে ট্রেনে এই অঞ্চলের শেষ রেলওয়ে স্টেশন কাঠগোদাম। সেখানে নেমে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে হবে মুন্সিয়ারিতে।
কৌশানী
কৌশানীকে অনায়াসে হিমালয়ের বেলকনি নামে ডাকা যায়। প্রথম দেখায় কৌশানীকে অনেকের কাছে তা-ই মনে হবে। সামনে বিশাল হিমালয় রেঞ্জ, তার একটু নিচে এই শৈল শহরের অবস্থান। এখান থেকে সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা এমনকি রাতে নানা রঙে রূপে ধরা দেয় বর্ণিল হিমালয়। চুপচাপ বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে যেকোনোভাবে এখানে কাটানো যায় কয়েকটি দিন। মুন্সিয়ারি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার আগে এর অবস্থান। পাহাড়ের উপত্যকায় এখানে একাধিক চা-বাগানও রয়েছে।
মুক্তেশ্বর
একেবারেই পাহাড়ের শেষ সীমান্তে লোকালয়হীন ছোট্ট শহর এই মুক্তেশ্বর। শহর, ছোট ছোট পাহাড়ি গ্রাম, ঢেউখেলানো আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে, আরেক শৈল শহর নৈনিতাল থেকে ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এখানে পৌঁছাতে হয় ব্যক্তিগত কিংবা রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে। এখানে আছে চমৎকার এক বাংলো। নির্ধারিত ফি দিয়ে এখানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।
একদম পাহাড়ের ঝুলবারান্দায় কাটানো যায় দু-একটি দিন, অলস এবং অনায়াসে।
এ ছাড়া উত্তরাখন্ডের বাইরে হিমাচলে রয়েছে দারুণ সব অফ বিট লোকেশন। এই গরম থেকে কয়েকটি দিন শীতল অনুভূতি বুলিয়ে দেওয়ার জন্য আদর্শ। এগুলোর মধ্যে ক্যাসল, ধর্মশালা, খাজিয়ার, বিলাসপুর, মানডিসহ আরও নাম না জানা অগণিত জায়গা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পুরো হিমাচলের কোলজুড়ে। এই গরমে আর আসছে ঈদে, কয়েকটি দিন ছুটি জোগাড় করতে পারলে অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন এই শৈল শহরগুলোর কোনো একটি থেকে।
অসহ্য গরমে প্রায় সবারই নিদারুণ সময় কাটছে। তারপরও জীবন যেহেতু থেমে থাকে না, তাই সাধ্যের মধ্যে শখ, আহ্লাদ, স্বপ্নপূরণ, ভ্রমণ—এসবও থেমে থাকে না। শুধু সময়, পরিবেশ আর পরিস্থিতির সঙ্গে সেগুলোর ধরন বদলে যায় মাত্র। তাই গরম যতই অসহ্য হয়ে উঠুক না কেন, ভ্রমণপ্রেমী মানুষজন ঠিকই তাঁদের গন্তব্য ঠিক করে ফেলতে পারেন। এই যেমন আমিও আর কয়েকটা দিন পরে, এত গরমেও অনেক কিছু উপেক্ষা করে বেরিয়ে পড়ব ভারতের কয়েকটি শীতল এবং পাহাড়ি শহরের উদ্দেশে।
উত্তরাখন্ড ভারতের অন্যতম শীতল প্রদেশ। এখানে রয়েছে বেশ কিছু দুর্দান্ত ট্যুরিস্ট স্পট, ট্রেকিং রুট, ধর্মীয় স্থাপনা। এগুলোর জন্য পুরো ভারত তো বটেই, বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর অগণিত ভ্রমণপিয়াসী মানুষ ভিড় করে এই অঞ্চলে।
মুন্সিয়ারি
উত্তরাখন্ডের কুমায়ুন অংশের একদম শেষ পাহাড়ি জনপদ এটি। মুন্সিয়ারি হিমালয় ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে পাঁচ-পাঁচটি পাহাড় চূড়াকে সঙ্গে করে, যাকে সবাই পঞ্চচুল্লি নামে জানে। এখানে এক পাহাড়ের চূড়া থেকে পাশেই, প্রায় হাতছোঁয়া দূরত্বে হিমালয় রেঞ্জ দেখার আনন্দই অন্য রকম। খুবই শান্ত, নিরিবিলি আর একান্ত সময় কাটানো যায় ইচ্ছেমতো। কলকাতা বা দিল্লি থেকে ট্রেনে এই অঞ্চলের শেষ রেলওয়ে স্টেশন কাঠগোদাম। সেখানে নেমে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে হবে মুন্সিয়ারিতে।
কৌশানী
কৌশানীকে অনায়াসে হিমালয়ের বেলকনি নামে ডাকা যায়। প্রথম দেখায় কৌশানীকে অনেকের কাছে তা-ই মনে হবে। সামনে বিশাল হিমালয় রেঞ্জ, তার একটু নিচে এই শৈল শহরের অবস্থান। এখান থেকে সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা এমনকি রাতে নানা রঙে রূপে ধরা দেয় বর্ণিল হিমালয়। চুপচাপ বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে যেকোনোভাবে এখানে কাটানো যায় কয়েকটি দিন। মুন্সিয়ারি থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার আগে এর অবস্থান। পাহাড়ের উপত্যকায় এখানে একাধিক চা-বাগানও রয়েছে।
মুক্তেশ্বর
একেবারেই পাহাড়ের শেষ সীমান্তে লোকালয়হীন ছোট্ট শহর এই মুক্তেশ্বর। শহর, ছোট ছোট পাহাড়ি গ্রাম, ঢেউখেলানো আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে, আরেক শৈল শহর নৈনিতাল থেকে ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এখানে পৌঁছাতে হয় ব্যক্তিগত কিংবা রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে। এখানে আছে চমৎকার এক বাংলো। নির্ধারিত ফি দিয়ে এখানে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আছে।
একদম পাহাড়ের ঝুলবারান্দায় কাটানো যায় দু-একটি দিন, অলস এবং অনায়াসে।
এ ছাড়া উত্তরাখন্ডের বাইরে হিমাচলে রয়েছে দারুণ সব অফ বিট লোকেশন। এই গরম থেকে কয়েকটি দিন শীতল অনুভূতি বুলিয়ে দেওয়ার জন্য আদর্শ। এগুলোর মধ্যে ক্যাসল, ধর্মশালা, খাজিয়ার, বিলাসপুর, মানডিসহ আরও নাম না জানা অগণিত জায়গা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পুরো হিমাচলের কোলজুড়ে। এই গরমে আর আসছে ঈদে, কয়েকটি দিন ছুটি জোগাড় করতে পারলে অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন এই শৈল শহরগুলোর কোনো একটি থেকে।
এই গরমে আবার লেয়ারিং? এই প্রশ্ন মনে নিয়েই যাঁরা লেখাটি পড়তে শুরু করেছেন, তাঁদের বলছি, হ্যাঁ, ভুল কিছু বলা হচ্ছে না। সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে যদি ওড়না গায়ে জড়ানো যায়, তাহলে ওড়নার পরিবর্তে সহজে সামলে নিয়ে স্টাইলিংয়ের কাজ করা যায় এমন একটি বিকল্প হচ্ছে কটি। একটি কটি দিয়েই নানাভাবে লেয়ারিং ও স্টাইলিং করা...
১ ঘণ্টা আগেবিশ্বের মোটামুটি সব দেশেই খাওয়া হয় এমন একটি খাবার মিটবল। মাংস কিমা করে ছোট ছোট বল বানিয়ে ভেজে খাওয়ার বুদ্ধিটা কোথা থেকে এসেছিল, সেটা বলা সম্ভব নয়। তবে এতে খাবারের জন্য মাংস কেনার ব্যয় যে খানিক কমেছিল, সেটা ঠিক। মিটবল তৈরিতে মাংসের কিমার সঙ্গে অনেক সময় বাসি পাউরুটিও দেওয়া হতো। এতে অল্প পরিমাণে...
১ ঘণ্টা আগেগয়না পরলেই ত্বক হয়ে উঠছে লালচে অথবা দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট ফুসকুড়ি। কিংবা কখনো আবার ফোসকাই পড়ে যাচ্ছে! এসব লক্ষণ থাকলে ধরে নেওয়া যেতে পারে, যে ধাতু দিয়ে গয়না তৈরি করা হয়েছে, তাতে আপনার অ্যালার্জি আছে।
১ ঘণ্টা আগেসপ্তাহে পাঁচ থেকে ছয় দিনই যাঁরা বাড়ির বাইরে বের হন, তাঁদের পক্ষে প্রতিদিন সময় নিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়াটা প্রায় অসম্ভব বলা চলে। সে ক্ষেত্রে ছুটির দিনই ভরসা। এই একটি দিনেই অন্তত ত্বক গভীরভাবে পরিষ্কার করার কাজটি সেরে ফেলুন। তাতে পুরো সপ্তাহ জেল্লা ছড়ানো খুব একটা কঠিন ব্যাপার হবে না। সপ্তাহে এক দিন করে..
২ ঘণ্টা আগে