সানজিদা সামরিন, ঢাকা
বলিউড নায়িকারা মা হওয়ার পরও কী করে ফিট থাকেন, এটা নিয়ে সবারই প্রশ্ন। এরপরের প্রশ্নটি হলো, মা হওয়ার পরও কীভাবে তাঁরা ক্যারিয়ার সামলাচ্ছেন। ভোগ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি ফিচারে জানা গেছে, বলিউড তারকা মায়েদের প্যারেন্টিং বিষয়ে। এতে নতুন ও কর্মজীবী মায়েদেরও কিছু টিপস দিয়েছেন তাঁরা।
ঐশ্বরিয়া রাই
২০১১ সালে সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর মেয়ে আরাধ্যর জন্ম হয়। এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান কিংবা লাল গালিচা; প্রায় সবখানেই মেয়েকে নিয়ে হাজির হতে দেখা যায় এ তারকাকে। মায়ের সঙ্গে মেয়ের হৃদ্য়তা বরাবরই নজর কেড়েছে ভক্তদের। ভুবন-ভোলানো এই সুন্দরী কী করে ক্যারিয়ার ও সন্তান দুটোই সফলভাবে সামলান—তা নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে। তবে এ নিয়ে ঐশ্বরিয়ার সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘কন্যাসন্তানকে বড় করা খুব কঠিন কোনো কাজ না। তা ছাড়া ওর জীবনটা কেমন হবে, তা নির্ধারণ বা বেছে দেওয়ার জন্য তো আমি কেউ না। আমি তার মা, আর প্রতিটি দিনই আমি নিজেকে ও আমার সন্তানকে নতুন করে আবিষ্কার করছি। আমি শুধু চাই সে হাসিখুশি ও সুস্থ থাকুক এবং নিরাপদভাবে বেড়ে উঠুক।’ তিনি আরও বলেন, ‘মা হিসেবে আমি কেবল এতটুকুই চাই, আরাধ্য যেন নিজের মতো বেড়ে উঠতে পারে এবং নিজের ব্যক্তিত্ব নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য়বোধ করে।’
কারিনা কাপুর খান
দুই সন্তানের মা কারিনা কাপুর খান গর্ভকালেও কাজের শিডিউল ও কর্মঘণ্টায় কোনো বত্য়য় ঘটনাননি। তাঁর কাছে সন্তান জন্মদান পৃথিবীর সব স্বাভাবিক ঘটনাগুলোর মতোই একটি। ফলে গর্ভকালীন শুট ও ডাবিংয়ে নিয়মিত থাকার প্রসঙ্গে কোনো প্রশ্ন এলেও তিনি তার কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি। তবে সন্তান জন্মদানের পরই যখন আশপাশ থেকে কর্মজীবী মায়ের ভুলভ্রান্তি, সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া নিয়ে যারা কথা বলতে থাকেন, তাঁদের একটা কথাই তিনি বলেছেন, ‘একজন কর্মজীবী মা কিন্তু তার সন্তানের কাছে সঠিক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারেন। সন্তান তার মাকে স্বয়ংসম্পন্ন ও সুখী দেখছে, এটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। ফলে কর্মজীবী মায়েদের উচিত নিজের ওপর ভরসা রাখা।’
টুইঙ্কেল খান্না
অভিনেত্রী ও প্রযোজক টুইঙ্কেল খান্না প্যারেন্টিংয়ের ব্যাপারে খানিকটা ভিন্নভাবে ভাবেন। তিনি মনে করেন, সন্তানদের ভুল করতে ও সে ভুল থেকে শিখতে দেওয়াটাও জরুরি। সমস্যায় পড়লে কখন কার কাছে সাহায্য় চাইতে হবে, সেটাও যেন সন্তান নির্ধারণ করতে শেখে সেই সুযোগ দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় সন্তানদের পড়াশোনা করে সফল হতে উৎসাহ দিই। কিন্তু তাদের কি আমরা কখনো বলি যে, সফল না হতে পারাটাও স্বাভাবিক; এটাও জীবনেরই অংশ?’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতিতে মা-বাবাকে ভক্তি করা, মেনে চলাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভালো সন্তান মানেই সে হবে মা-বাবার একান্ত বাধ্য়গত। কিন্তু সন্তানের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, তাদের দিকে বন্ধুর হাত বাড়ানোকেও কি সমান গুরুত্ব দিতে পারি না আমরা?’
মালাইকা অরোরা
মায়েরা সাধারণত সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের দিকেই বেশি মনোযোগ দেন। এর ওপর বাইরে কাজ করলে তো কথাই নেই। কিন্তু মানুষ হিসেবে তারও তো প্রয়োজন নিজের যত্ন নেওয়া, ভালোলাগার কাজটি করা। ঠিক এমনভাবেই ভাবেন মালাইকা অরোরা। ‘আমি মনে করি প্রত্য়েক মায়েরই উচিত নিজের জন্য একটু সময় বের করা। করার মতো সংসারে হাজারো কাজ থাকবে, তবে তারপরও নিজের জন্য দিনের একটা ভাগে একটু সময় রাখা উচিত। এই সময়টায় নিজের যা ভালোলাগে তা করতে হবে; তা হতে পারে শপিং কিংবা স্পা। এককথায় যেটা করলে আনন্দ পাওয়া যাবে একটু হলেও! আর মা ভালো থাকলে সন্তানও ভালো থাকবে।’
নেহা ধুপিয়া
নেহা ধুপিয়া স্পষ্ট বলেছেন, নতুন মায়েদের অবশ্যই সবার সঙ্গে নিজের অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘পোস্ট-পার্টাম ডিপ্রেশন একটি কঠিন বাস্তবতা। পুরো গর্ভকালে আশপাশে অনেক মানুষ পাওয়া যায় সাহায্য়ের জন্য, কিন্তু সন্তান জন্মের পর অনেক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়ে অবসাদ তৈরি করে; যা মাকে একাই সামাল দিতে হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি অনেক সৌভাগ্য়বান যে আমার সময়ে আমি আমার স্বামী ও পরিবারকে পাশে পেয়েছি। কিন্তু অন্যদের জন্য আমার পরামর্শ, নিজের অনুভূতি, ভালো লাগা, খারাপ লাগা নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলুন।
বলিউড নায়িকারা মা হওয়ার পরও কী করে ফিট থাকেন, এটা নিয়ে সবারই প্রশ্ন। এরপরের প্রশ্নটি হলো, মা হওয়ার পরও কীভাবে তাঁরা ক্যারিয়ার সামলাচ্ছেন। ভোগ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি ফিচারে জানা গেছে, বলিউড তারকা মায়েদের প্যারেন্টিং বিষয়ে। এতে নতুন ও কর্মজীবী মায়েদেরও কিছু টিপস দিয়েছেন তাঁরা।
ঐশ্বরিয়া রাই
২০১১ সালে সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর মেয়ে আরাধ্যর জন্ম হয়। এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান কিংবা লাল গালিচা; প্রায় সবখানেই মেয়েকে নিয়ে হাজির হতে দেখা যায় এ তারকাকে। মায়ের সঙ্গে মেয়ের হৃদ্য়তা বরাবরই নজর কেড়েছে ভক্তদের। ভুবন-ভোলানো এই সুন্দরী কী করে ক্যারিয়ার ও সন্তান দুটোই সফলভাবে সামলান—তা নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে। তবে এ নিয়ে ঐশ্বরিয়ার সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘কন্যাসন্তানকে বড় করা খুব কঠিন কোনো কাজ না। তা ছাড়া ওর জীবনটা কেমন হবে, তা নির্ধারণ বা বেছে দেওয়ার জন্য তো আমি কেউ না। আমি তার মা, আর প্রতিটি দিনই আমি নিজেকে ও আমার সন্তানকে নতুন করে আবিষ্কার করছি। আমি শুধু চাই সে হাসিখুশি ও সুস্থ থাকুক এবং নিরাপদভাবে বেড়ে উঠুক।’ তিনি আরও বলেন, ‘মা হিসেবে আমি কেবল এতটুকুই চাই, আরাধ্য যেন নিজের মতো বেড়ে উঠতে পারে এবং নিজের ব্যক্তিত্ব নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য়বোধ করে।’
কারিনা কাপুর খান
দুই সন্তানের মা কারিনা কাপুর খান গর্ভকালেও কাজের শিডিউল ও কর্মঘণ্টায় কোনো বত্য়য় ঘটনাননি। তাঁর কাছে সন্তান জন্মদান পৃথিবীর সব স্বাভাবিক ঘটনাগুলোর মতোই একটি। ফলে গর্ভকালীন শুট ও ডাবিংয়ে নিয়মিত থাকার প্রসঙ্গে কোনো প্রশ্ন এলেও তিনি তার কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি। তবে সন্তান জন্মদানের পরই যখন আশপাশ থেকে কর্মজীবী মায়ের ভুলভ্রান্তি, সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া নিয়ে যারা কথা বলতে থাকেন, তাঁদের একটা কথাই তিনি বলেছেন, ‘একজন কর্মজীবী মা কিন্তু তার সন্তানের কাছে সঠিক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারেন। সন্তান তার মাকে স্বয়ংসম্পন্ন ও সুখী দেখছে, এটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। ফলে কর্মজীবী মায়েদের উচিত নিজের ওপর ভরসা রাখা।’
টুইঙ্কেল খান্না
অভিনেত্রী ও প্রযোজক টুইঙ্কেল খান্না প্যারেন্টিংয়ের ব্যাপারে খানিকটা ভিন্নভাবে ভাবেন। তিনি মনে করেন, সন্তানদের ভুল করতে ও সে ভুল থেকে শিখতে দেওয়াটাও জরুরি। সমস্যায় পড়লে কখন কার কাছে সাহায্য় চাইতে হবে, সেটাও যেন সন্তান নির্ধারণ করতে শেখে সেই সুযোগ দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় সন্তানদের পড়াশোনা করে সফল হতে উৎসাহ দিই। কিন্তু তাদের কি আমরা কখনো বলি যে, সফল না হতে পারাটাও স্বাভাবিক; এটাও জীবনেরই অংশ?’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতিতে মা-বাবাকে ভক্তি করা, মেনে চলাকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভালো সন্তান মানেই সে হবে মা-বাবার একান্ত বাধ্য়গত। কিন্তু সন্তানের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, তাদের দিকে বন্ধুর হাত বাড়ানোকেও কি সমান গুরুত্ব দিতে পারি না আমরা?’
মালাইকা অরোরা
মায়েরা সাধারণত সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের দিকেই বেশি মনোযোগ দেন। এর ওপর বাইরে কাজ করলে তো কথাই নেই। কিন্তু মানুষ হিসেবে তারও তো প্রয়োজন নিজের যত্ন নেওয়া, ভালোলাগার কাজটি করা। ঠিক এমনভাবেই ভাবেন মালাইকা অরোরা। ‘আমি মনে করি প্রত্য়েক মায়েরই উচিত নিজের জন্য একটু সময় বের করা। করার মতো সংসারে হাজারো কাজ থাকবে, তবে তারপরও নিজের জন্য দিনের একটা ভাগে একটু সময় রাখা উচিত। এই সময়টায় নিজের যা ভালোলাগে তা করতে হবে; তা হতে পারে শপিং কিংবা স্পা। এককথায় যেটা করলে আনন্দ পাওয়া যাবে একটু হলেও! আর মা ভালো থাকলে সন্তানও ভালো থাকবে।’
নেহা ধুপিয়া
নেহা ধুপিয়া স্পষ্ট বলেছেন, নতুন মায়েদের অবশ্যই সবার সঙ্গে নিজের অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘পোস্ট-পার্টাম ডিপ্রেশন একটি কঠিন বাস্তবতা। পুরো গর্ভকালে আশপাশে অনেক মানুষ পাওয়া যায় সাহায্য়ের জন্য, কিন্তু সন্তান জন্মের পর অনেক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়ে অবসাদ তৈরি করে; যা মাকে একাই সামাল দিতে হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি অনেক সৌভাগ্য়বান যে আমার সময়ে আমি আমার স্বামী ও পরিবারকে পাশে পেয়েছি। কিন্তু অন্যদের জন্য আমার পরামর্শ, নিজের অনুভূতি, ভালো লাগা, খারাপ লাগা নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলুন।
টক দইয়ে চিনি, নাকি লবণ মেশাবেন, সেটা নির্ভর করছে দই খাওয়ার কারণের ওপর। অর্থাৎ কেন দই খাচ্ছেন, তার ওপর। দুটির স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন। টক দইয়ে উপস্থিত প্রচুর পুষ্টি উপাদান এবং প্রোবায়োটিকসের কারণে নিয়মিত টাটকা দই খাওয়া কিছু রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেকচি লাউ দিয়ে মজাদার ডেজার্ট তৈরি করা যায়। রাতে খাওয়ার পর মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা হওয়াটা দোষের কিছু নয়। লাউ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন মজাদার বরফি। আপনাদের জন্য লাউয়ের বরফির রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী সানিয়া সোমা।
১ দিন আগেবলা হয়, ফ্যাশন উইকগুলোয় র্যাম্পে মডেলরা যেসব পোশাক পরে হেঁটে বেড়ান, সেগুলো আদৌ সাধারণ মানুষের আলমারিতে তোলার উপযোগী নয়। তাহলে অত দামি ফ্যাব্রিক গায়ে তোলেন কারা? হ্যাঁ, বলিউডের সোনম বা আলিয়াদের গায়ে কখনো কখনো রানওয়ে পোশাকের নকশা বা প্রিন্ট দেখা যায়; তবে সেখানেও প্রশ্ন যে উদ্ভট নকশাওয়ালা পোশাকগুলো..
১ দিন আগেতারুণ্যের পোশাক ডেনিম। একটা সময় মূলত পুরুষের পোশাক হয়ে থাকলেও এটি ক্রমেই ‘ইউনিসেক্স’ হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ নারী-পুরুষনির্বিশেষে এখন ডেনিমের পোশাক পরে। আর সে জন্যই সম্ভবত ডেনিম দিয়ে তৈরি পোশাকে বৈচিত্র্য এসেছে। এখন প্যান্ট, জ্যাকেট, কটি ও শার্টের বাইরে বানানো হচ্ছে নানা ডিজাইনের স্কার্ট, ড্রেস, ব্লাউজ...
২ দিন আগে