রজত কান্তি রায়, ঢাকা
অথচ তিনি একজন সফল প্রকৌশলী কিংবা একজন ডুবুরিও হতে পারতেন। তাঁর জন্ম হয়েছিল জলের কাছাকাছি, চলনবিল এলাকায়। তিনি এখন পুরোদস্তুর পর্বতারোহী এবং পর্যটক—দুটোই এখন তাঁর নেশা ও পেশা। সম্ভবত তিনিই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি পেশা হিসেবে এক্সপেডিশন লিডারের পদ বেছে নিয়েছেন কোনো প্রতিষ্ঠানে।
পাবনার পুরোনো জনপদ চাটমোহর। এখনো এখানকার ভিটেমাটি থেকে পুরোনো গন্ধ পাওয়া যায়। সেই গন্ধ গিয়ে মেশে চলনবিলে। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ছাইকোলা এলাকায় নেমে ভ্যানে চলনবিলের ঠিক মাঝ দিয়ে যাওয়া যায় চাটমোহর। দুপাশে দিগন্তবিস্তৃত বিল। বর্ষায় সেই বিলে থইথই করে পানি আর শীতে পুরো বিল হয় সবুজ-হলুদের সমুদ্র। চলনের এই রূপ দেখে বড় হয়েছেন আহসানুজ্জামান তৌকির। তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা চাটমোহরের বালুচর গ্রামে। বাবা মো. আকরাম হোসেন ও মা সুলতানা সামিয়া পারভিন।
শিক্ষাজীবনের প্রথম পর্ব শেষ করে ঢাকায় আসেন উচ্চশিক্ষার জন্য। অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি শেষ করেন তৌকির। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করেই ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসা জন্মে তাঁর। সেভাবেই ভ্রমণের শুরুটা হয় ২০১৭ সালে। এরপর ধীরে ধীরে দেশের প্রায় সব জেলা ঘোরেন তিনি। কখনো বন্ধুদের সঙ্গে, কখনো একা। এর মধ্যেই ভ্রমণ করেন ভারতের ছয়টি প্রদেশ। এই ভ্রমণগুলো একসময় তাঁকে টেনে নিয়ে যায় পাহাড়ের দিকে। পেয়ে যান পাহাড়ের স্বাদ। দেশের কঠিন ট্রেকগুলোতে হাঁটার পর তিনি হিমালয়ের অনেক ট্রেকে ট্রেকিং করেছেন। এগুলোর মধ্যে আছে এভারেস্ট বেসক্যাম্প ট্রেক, অন্নপূর্ণা বেসক্যাম্প, অন্নপূর্ণা সার্কিট, সান্দাকফু ও গোচেলা ট্রেক।
প্রকৌশলীর নিশ্চিত জীবন ছেড়ে তৌকির বেছে নিয়েছিলেন এক্সপেডিশন লিডারের অনিশ্চিত জীবন।
তবে তৌকিরের পর্বতারোহী হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় রোপ ফোর আয়োজিত মিশন হিমালয় ২০২২ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। সে বছর তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়ে এভারেস্ট বেসক্যাম্পে ভ্রমণের সুযোগ পান। সেই ভ্রমণের সময় তাঁর শারীরিক সক্ষমতা বিবেচনা করে রোপ ফোর থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয় ৬ হাজার মিটার পর্বত সামিট করার জন্য। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তৌকিরকে। সেই সূত্রে তিনি ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে হিমালয়ের খুম্বু রিজিওনের ৬ হাজার ১৬৫ মিটার উচ্চতার আইল্যান্ড পিক অভিযান করে সফল হন। এই অভিযানে যাওয়ার আগে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।
আইল্যান্ড পিকে সফল অভিযান করে ফেরার পর তিনি রোপ ফোর-এ এক্সপেডিশন লিডার হিসেবে যোগ দেন। সেই কাজের সূত্র ধরে ২০২৩ সালে ৬ হাজার ১১৯ মিটারের লবুচে ইস্টসহ নাগার্জুন ও কালাপাথর পর্বত আরোহণ করেন। আহসানুজ্জামান তৌকির প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৬ হাজার মিটারের কোনো পর্বতে বাণিজ্যিকভাবে সফল অভিযান পরিচালনা করেন। সে চূড়াটি ছিল নেপালের ৬ হাজার ১৬৫ মিটার উচ্চতার আইল্যান্ড পিক।
অথচ তিনি একজন সফল প্রকৌশলী কিংবা একজন ডুবুরিও হতে পারতেন। তাঁর জন্ম হয়েছিল জলের কাছাকাছি, চলনবিল এলাকায়। তিনি এখন পুরোদস্তুর পর্বতারোহী এবং পর্যটক—দুটোই এখন তাঁর নেশা ও পেশা। সম্ভবত তিনিই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি পেশা হিসেবে এক্সপেডিশন লিডারের পদ বেছে নিয়েছেন কোনো প্রতিষ্ঠানে।
পাবনার পুরোনো জনপদ চাটমোহর। এখনো এখানকার ভিটেমাটি থেকে পুরোনো গন্ধ পাওয়া যায়। সেই গন্ধ গিয়ে মেশে চলনবিলে। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ছাইকোলা এলাকায় নেমে ভ্যানে চলনবিলের ঠিক মাঝ দিয়ে যাওয়া যায় চাটমোহর। দুপাশে দিগন্তবিস্তৃত বিল। বর্ষায় সেই বিলে থইথই করে পানি আর শীতে পুরো বিল হয় সবুজ-হলুদের সমুদ্র। চলনের এই রূপ দেখে বড় হয়েছেন আহসানুজ্জামান তৌকির। তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা চাটমোহরের বালুচর গ্রামে। বাবা মো. আকরাম হোসেন ও মা সুলতানা সামিয়া পারভিন।
শিক্ষাজীবনের প্রথম পর্ব শেষ করে ঢাকায় আসেন উচ্চশিক্ষার জন্য। অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি শেষ করেন তৌকির। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করেই ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসা জন্মে তাঁর। সেভাবেই ভ্রমণের শুরুটা হয় ২০১৭ সালে। এরপর ধীরে ধীরে দেশের প্রায় সব জেলা ঘোরেন তিনি। কখনো বন্ধুদের সঙ্গে, কখনো একা। এর মধ্যেই ভ্রমণ করেন ভারতের ছয়টি প্রদেশ। এই ভ্রমণগুলো একসময় তাঁকে টেনে নিয়ে যায় পাহাড়ের দিকে। পেয়ে যান পাহাড়ের স্বাদ। দেশের কঠিন ট্রেকগুলোতে হাঁটার পর তিনি হিমালয়ের অনেক ট্রেকে ট্রেকিং করেছেন। এগুলোর মধ্যে আছে এভারেস্ট বেসক্যাম্প ট্রেক, অন্নপূর্ণা বেসক্যাম্প, অন্নপূর্ণা সার্কিট, সান্দাকফু ও গোচেলা ট্রেক।
প্রকৌশলীর নিশ্চিত জীবন ছেড়ে তৌকির বেছে নিয়েছিলেন এক্সপেডিশন লিডারের অনিশ্চিত জীবন।
তবে তৌকিরের পর্বতারোহী হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় রোপ ফোর আয়োজিত মিশন হিমালয় ২০২২ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। সে বছর তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়ে এভারেস্ট বেসক্যাম্পে ভ্রমণের সুযোগ পান। সেই ভ্রমণের সময় তাঁর শারীরিক সক্ষমতা বিবেচনা করে রোপ ফোর থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয় ৬ হাজার মিটার পর্বত সামিট করার জন্য। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তৌকিরকে। সেই সূত্রে তিনি ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে হিমালয়ের খুম্বু রিজিওনের ৬ হাজার ১৬৫ মিটার উচ্চতার আইল্যান্ড পিক অভিযান করে সফল হন। এই অভিযানে যাওয়ার আগে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।
আইল্যান্ড পিকে সফল অভিযান করে ফেরার পর তিনি রোপ ফোর-এ এক্সপেডিশন লিডার হিসেবে যোগ দেন। সেই কাজের সূত্র ধরে ২০২৩ সালে ৬ হাজার ১১৯ মিটারের লবুচে ইস্টসহ নাগার্জুন ও কালাপাথর পর্বত আরোহণ করেন। আহসানুজ্জামান তৌকির প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৬ হাজার মিটারের কোনো পর্বতে বাণিজ্যিকভাবে সফল অভিযান পরিচালনা করেন। সে চূড়াটি ছিল নেপালের ৬ হাজার ১৬৫ মিটার উচ্চতার আইল্যান্ড পিক।
প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত রাখতে আর ভবিষ্যৎ পর্যটকদের নিরাপদ পর্যটনকেন্দ্র উপহার দিতে অনেক দেশ কাজ শুরু করেছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ওয়ান টাইম প্ল্যাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করেছে ২০টি দেশ। দেশগুলো পর্যটন স্থানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য, যেমন বোতল, ব্যাগ, স্ট্র, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ
২ দিন আগেটেসলা, স্পেসএক্স, নিউরালিংক, এক্সএআই ও দ্য বোরিং কোম্পানির প্রধান নির্বাহী মাস্ককে ঘিরে রহস্যের কমতি নেই। এই বিশাল কর্মভারের মাঝেও তিনি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি চালু করছেন, সামাজিক মাধ্যমে আলোড়ন তুলছেন, আবার কখনো হয়ে উঠছেন রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। তবে সবকিছু তিনি সামলান কীভাবে তা নিয়ে মনে প্রশ্ন
৩ দিন আগেএবার বেশিরভাগ মানুষের ছুটির কোনো সমস্যা নেই। ঈদ শেষেও ছুটি হাতে থেকে যাবে। সেই থেকে যাওয়া ছুটিকে কাজে লাগাতে পারেন। এই ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন মৌলভীবাজার।
৩ দিন আগেঈদে দাওয়াত রক্ষা করতে যাওয়া কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে বারবিকিউ পার্টি হবে না, সেটা ভাবা কষ্টকর। সেসব বিশেষ অনুষ্ঠানে খাবারের লিস্টে অনেকেই স্টেক রাখার কথা ভাবেন। স্টেকের স্বাদ তখনই সঠিকভাবে উপভোগ্য হয়ে ওঠে যখন এর সাইড ডিশগুলোও ঠিক তেমনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর সঙ্গে মিলিয়ে এমন সাইড ডিশ বাছাই করত
৪ দিন আগে