সজল জাহিদ, ঢাকা
এ রকম একটা ঠিকানা হতেই পারে, লাভারস মিট পয়েন্ট, মুম্বাই। রাত ১২টায় আমাদের কলকাতার ফ্লাইট। তাই সারা দিন পুরো মুম্বাই চষে বেড়িয়েছি। আমি তো পুরো শহরটিরই প্রেমে পড়ে গেলাম! মুম্বাইয়ের পুরোনো দোকানপাট, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, বস্তি, নানান মানুষের ভিড়ে এক ভিন্ন রকম ভিনটেজ শহর মুম্বাই। কখনো পুরোনো হয় না। রূপ বদলায় মাত্র।
তবে আমার কাছে যে জায়গাটা দারুণ লেগেছে, সেটা হলো মুম্বাইয়ের মধ্যে হয়েও একেবারে নিজস্ব নামে খ্যাত দ্য কুইন্স নেকলেস! অদ্ভুত একটা জায়গা এটি। তবে এই নাম রাতের জন্যই প্রযোজ্য। এই একই জায়গার আরও দুটি নাম আছে। একটি প্রাচীন বা আসল নাম, অন্যটি পরিবেশের কারণে মানুষের মুখে মুখে তৈরি। সন্ধ্যা বা রাতে যার নাম দ্য কুইন্স নেকলেস, বিকেলে বা সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার পর এর নাম হয়ে যায় লাভারস মিট পয়েন্ট! সেই একই জায়গা সকাল থেকে সন্ধ্যার আগপর্যন্ত পরিচিত মেরিন ড্রাইভ নামে!
একটা আধুনিক শহরের চারপাশে দিগন্তছোঁয়া সমুদ্রের নীল জলরাশি, আকাশছোঁয়া শত শত অট্টালিকা, কত তার রংঢং, আকার আর আকাশ ছুঁতে চাওয়ার অদম্য প্রয়াস! নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না কত রঙের, বর্ণের, প্রয়োজনের আর পেশার মানুষের শহর মুম্বাই।
সেই শহরের এক প্রাকৃতিক আভিজাত্য নীল সমুদ্রে ঘেরা চারপাশ আর এর রোমান্টিক মেরিন ড্রাইভ। প্রখর রোদেও এখানে গরম লাগে না সামুদ্রিক বাতাসের তোড়ে, বিস্তৃত ওয়াকওয়ের নানান জায়গায় আছে গাছের ছায়ার আচ্ছাদন, বসার জন্য অসংখ্য বেঞ্চ। আর ওয়াকওয়ের পরে ঠিক সমুদ্রের তীর ঘেঁষে আছে বসার নিরাপদ জায়গা।
সকালে মুম্বাইয়ের সমুদ্রতীরে গড়ে ওঠা অভিজাত পাড়ার মানুষেরা মর্নিং ওয়াক করে মেরিন ড্রাইভে। দুপুরের খাঁ খাঁ রোদে পুরো এলাকাই বলতে গেলে ফাঁকা হয়ে যায়। আমাদের মতো অনাহূত দু-একজন হয়তো চোখে পড়ে। দুপুরের পর থেকে এখানে শুরু হয় নিজের, বন্ধুর বা প্রেমিক-প্রেমিকার অথবা ভালো লাগার মানুষের জন্য জায়গা রেখে অনন্ত অপেক্ষার প্রহর গোনা। মানুষে মানুষে একটা সময় এখানে আর বসে চুপচাপ উপভোগ করা যায় না সমুদ্র, এর ঢেউ, উচ্ছ্বাস, বাতাস ও গাছের ছায়া।
বিকেল গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা নামে, এ শহরের আনাচকানাচে, শতসহস্র অট্টালিকায় জ্বলে ওঠে নিয়ন আলো, নানা রঙের আলোর রোশনাই যখন ছড়িয়ে পড়ে অট্টালিকার বাইরে সমুদ্রের স্বচ্ছ আর নীল জলরাশিতে, এর যে প্রতিফলন দেখা যায় পুরো মেরিন ড্রাইভের বাঁক ধরে, তা দেখতে অবিকল বহুমূল্যের জ্বলজ্বলে নেকলেসের মতো। সকালের চুপচাপ মেরিন ড্রাইভ, বিকেলের ভালোবাসায় মুখর লাভারস মিট পয়েন্ট সন্ধ্যায় হয়ে ওঠে এক অন্য ভুবন। হেসে ওঠে এক স্বর্গীয় রূপে, সে এক অপরূপ অলংকার যেন। সে কারণেই বোধ হয় রাতের মুম্বাই শহরের এই অভিজাত ও দুর্লভ সমুদ্রপাড়ের নাম হয়েছে দ্য কুইন্স নেকলেস!
তিন সময়ের তিন রূপের এই সমুদ্রতীর ধরে যেতে যেতে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম, কতশত ভালো লাগা-ভালোবাসা, প্রেম-বিরহ, আবেগ-অনুভূতি, আশা-নিরাশা, চাওয়া-পাওয়া এখানে ভেসে চলে, উড়ে যায়, আকাশে মিলায়, জলরাশিতে হারিয়ে যায়, হাহাকার তোলে! শতসহস্র মানুষের কত স্বপ্নের, গল্পের, কল্পনার সূচনা হয় এখানে, এর কোনো হিসাব নেই, থাকে না, রাখা সম্ভব হয় না। শুধু সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকে এই মেরিন ড্রাইভ, লাভারস মিট পয়েন্ট আর রাতের দ্য কুইন্স নেকলেস।
এ রকম একটা ঠিকানা হতেই পারে, লাভারস মিট পয়েন্ট, মুম্বাই। রাত ১২টায় আমাদের কলকাতার ফ্লাইট। তাই সারা দিন পুরো মুম্বাই চষে বেড়িয়েছি। আমি তো পুরো শহরটিরই প্রেমে পড়ে গেলাম! মুম্বাইয়ের পুরোনো দোকানপাট, বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, বস্তি, নানান মানুষের ভিড়ে এক ভিন্ন রকম ভিনটেজ শহর মুম্বাই। কখনো পুরোনো হয় না। রূপ বদলায় মাত্র।
তবে আমার কাছে যে জায়গাটা দারুণ লেগেছে, সেটা হলো মুম্বাইয়ের মধ্যে হয়েও একেবারে নিজস্ব নামে খ্যাত দ্য কুইন্স নেকলেস! অদ্ভুত একটা জায়গা এটি। তবে এই নাম রাতের জন্যই প্রযোজ্য। এই একই জায়গার আরও দুটি নাম আছে। একটি প্রাচীন বা আসল নাম, অন্যটি পরিবেশের কারণে মানুষের মুখে মুখে তৈরি। সন্ধ্যা বা রাতে যার নাম দ্য কুইন্স নেকলেস, বিকেলে বা সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার পর এর নাম হয়ে যায় লাভারস মিট পয়েন্ট! সেই একই জায়গা সকাল থেকে সন্ধ্যার আগপর্যন্ত পরিচিত মেরিন ড্রাইভ নামে!
একটা আধুনিক শহরের চারপাশে দিগন্তছোঁয়া সমুদ্রের নীল জলরাশি, আকাশছোঁয়া শত শত অট্টালিকা, কত তার রংঢং, আকার আর আকাশ ছুঁতে চাওয়ার অদম্য প্রয়াস! নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না কত রঙের, বর্ণের, প্রয়োজনের আর পেশার মানুষের শহর মুম্বাই।
সেই শহরের এক প্রাকৃতিক আভিজাত্য নীল সমুদ্রে ঘেরা চারপাশ আর এর রোমান্টিক মেরিন ড্রাইভ। প্রখর রোদেও এখানে গরম লাগে না সামুদ্রিক বাতাসের তোড়ে, বিস্তৃত ওয়াকওয়ের নানান জায়গায় আছে গাছের ছায়ার আচ্ছাদন, বসার জন্য অসংখ্য বেঞ্চ। আর ওয়াকওয়ের পরে ঠিক সমুদ্রের তীর ঘেঁষে আছে বসার নিরাপদ জায়গা।
সকালে মুম্বাইয়ের সমুদ্রতীরে গড়ে ওঠা অভিজাত পাড়ার মানুষেরা মর্নিং ওয়াক করে মেরিন ড্রাইভে। দুপুরের খাঁ খাঁ রোদে পুরো এলাকাই বলতে গেলে ফাঁকা হয়ে যায়। আমাদের মতো অনাহূত দু-একজন হয়তো চোখে পড়ে। দুপুরের পর থেকে এখানে শুরু হয় নিজের, বন্ধুর বা প্রেমিক-প্রেমিকার অথবা ভালো লাগার মানুষের জন্য জায়গা রেখে অনন্ত অপেক্ষার প্রহর গোনা। মানুষে মানুষে একটা সময় এখানে আর বসে চুপচাপ উপভোগ করা যায় না সমুদ্র, এর ঢেউ, উচ্ছ্বাস, বাতাস ও গাছের ছায়া।
বিকেল গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা নামে, এ শহরের আনাচকানাচে, শতসহস্র অট্টালিকায় জ্বলে ওঠে নিয়ন আলো, নানা রঙের আলোর রোশনাই যখন ছড়িয়ে পড়ে অট্টালিকার বাইরে সমুদ্রের স্বচ্ছ আর নীল জলরাশিতে, এর যে প্রতিফলন দেখা যায় পুরো মেরিন ড্রাইভের বাঁক ধরে, তা দেখতে অবিকল বহুমূল্যের জ্বলজ্বলে নেকলেসের মতো। সকালের চুপচাপ মেরিন ড্রাইভ, বিকেলের ভালোবাসায় মুখর লাভারস মিট পয়েন্ট সন্ধ্যায় হয়ে ওঠে এক অন্য ভুবন। হেসে ওঠে এক স্বর্গীয় রূপে, সে এক অপরূপ অলংকার যেন। সে কারণেই বোধ হয় রাতের মুম্বাই শহরের এই অভিজাত ও দুর্লভ সমুদ্রপাড়ের নাম হয়েছে দ্য কুইন্স নেকলেস!
তিন সময়ের তিন রূপের এই সমুদ্রতীর ধরে যেতে যেতে দেখছিলাম আর ভাবছিলাম, কতশত ভালো লাগা-ভালোবাসা, প্রেম-বিরহ, আবেগ-অনুভূতি, আশা-নিরাশা, চাওয়া-পাওয়া এখানে ভেসে চলে, উড়ে যায়, আকাশে মিলায়, জলরাশিতে হারিয়ে যায়, হাহাকার তোলে! শতসহস্র মানুষের কত স্বপ্নের, গল্পের, কল্পনার সূচনা হয় এখানে, এর কোনো হিসাব নেই, থাকে না, রাখা সম্ভব হয় না। শুধু সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকে এই মেরিন ড্রাইভ, লাভারস মিট পয়েন্ট আর রাতের দ্য কুইন্স নেকলেস।
টক দইয়ে চিনি, নাকি লবণ মেশাবেন, সেটা নির্ভর করছে দই খাওয়ার কারণের ওপর। অর্থাৎ কেন দই খাচ্ছেন, তার ওপর। দুটির স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ভিন্ন ভিন্ন। টক দইয়ে উপস্থিত প্রচুর পুষ্টি উপাদান এবং প্রোবায়োটিকসের কারণে নিয়মিত টাটকা দই খাওয়া কিছু রোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগেবলিউড নায়িকারা মা হওয়ার পরও কী করে ফিট থাকেন, এটা নিয়ে সবারই প্রশ্ন। এরপরের প্রশ্নটি হলো, মা হওয়ার পরও কীভাবে তাঁরা ক্যারিয়ার সামলাচ্ছেন। ভোগ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি ফিচারে জানা গেছে, বলিউড তারকা মায়েদের প্যারেন্টিং বিষয়ে। এতে নতুন ও কর্মজীবী মায়েদেরও কিছু টিপস দিয়েছেন তাঁরা।
১৭ ঘণ্টা আগেকচি লাউ দিয়ে মজাদার ডেজার্ট তৈরি করা যায়। রাতে খাওয়ার পর মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা হওয়াটা দোষের কিছু নয়। লাউ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন মজাদার বরফি। আপনাদের জন্য লাউয়ের বরফির রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী সানিয়া সোমা।
২ দিন আগেবলা হয়, ফ্যাশন উইকগুলোয় র্যাম্পে মডেলরা যেসব পোশাক পরে হেঁটে বেড়ান, সেগুলো আদৌ সাধারণ মানুষের আলমারিতে তোলার উপযোগী নয়। তাহলে অত দামি ফ্যাব্রিক গায়ে তোলেন কারা? হ্যাঁ, বলিউডের সোনম বা আলিয়াদের গায়ে কখনো কখনো রানওয়ে পোশাকের নকশা বা প্রিন্ট দেখা যায়; তবে সেখানেও প্রশ্ন যে উদ্ভট নকশাওয়ালা পোশাকগুলো..
২ দিন আগে