মীর মহিবুল্লাহ, পটুয়াখালী
কত নামে ডাকবেন তাকে। গুগলে সন্ধান করলে চমকে উঠতে হবে। এর নাম দেখাবে হেয়ার আইল্যান্ড। মনে হবে, আটলান্টিক মহাসাগর কিংবা ক্যারিবীয় কোনো নির্জন দ্বীপের নাম দেখছেন। কিন্তু আপনার ভুল ভাঙবে স্থানীয়দের ডাকা নামটি শুনলে। বুঝবেন, আপনি আছেন কলাগাছিয়ার চরে। মানে এটা বাংলাদেশেই! কলাগাছিয়ার চর নামটি বাংলা ছাড়া আর কোন ভাষায় পাওয়া যাবে? তবে বইপত্রে খুঁজলে এর নাম পাবেন চর হেয়ার।
চর হেয়ারের ভূগোল
চর হেয়ার নামের এই দ্বীপের পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তরে আছে সাগর সঙ্গমে আসা নদী। আর দক্ষিণে সাগর। দুহাত মেলে প্রকৃতি এখানে সৌন্দর্য ছড়িয়ে রেখেছে। দ্বীপটি পটুয়াখালী জেলার দক্ষিণের শেষ ভূখণ্ড। সাগরতীরে রাঙ্গাবালী উপজেলায় এর অবস্থান। জেগে ওঠা এই চরের পূর্ব দিকে রয়েছে বন বিভাগের সংরক্ষিত সোনারচর বন। পশ্চিমে চর তুফানিয়া, উত্তরে টাইগার দ্বীপ এবং এর পাশে আছে চর কাশেম। কুয়াকাটা থেকে সাগরপথে চর হেয়ারের দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটারের কিছু বেশি। আর রাঙ্গাবালী উপজেলা থেকে এর দূরত্ব ১০ কিলোমিটার।
দেখার আছে কী
চর হেয়ারের বালুময় সৈকতের দৈর্ঘ্য মোট চার কিলোমিটার। দ্বীপের বুকে আছে ঝাউ আর পেয়ারাগাছের বন। এসব গাছের ডালে ডালে সারা দিন গেয়ে বেড়ায় নানা প্রজাতির পাখি। মুক্ত বন ডুবে থাকে তাদের কলকাকলিতে। দ্বীপের পাড়ে সবুজ ছায়ায় বসে সাগরের গর্জন আন্দোলিত করে তোলে মন। এখান থেকে দেখা যায় জেলেদের কাজকর্ম। দেখা মেলে তাজা মাছের লাফঝাঁপ।
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায় দ্বীপটি থেকে। বালুকাময় সৈকত এর চারদিকে। দেখা যাবে লাল কাঁকড়া। দ্বীপটি ঝাউসহ প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা নানা গাছপালায় পরিপূর্ণ। আছে নানা আকারের ছইলা, কেওড়া, গেওয়া, বাইন, গোলপাতা, হারগুজি, তাম্বুরা কাঁটার ঝোপঝাড়। বক, সারস, শামুকখোল, মদনটাকেরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এসে আশ্রয় নেয় গাছের মগডালে। আর ঝোপগুলো ডাহুক, কোড়াসহ নাম না জানা পাখিদের অভয়ারণ্য।
যাবেন কখন
প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সবুজ বনের ভেতরে পড়ে থাকা ঝাউপাতা আপনাকে মনে করিয়ে দেবে, শীতকাল সেখানে যাওয়ার আদর্শ সময়। এ সময় সাগর থাকে শান্ত।
যেভাবে যাবেন
কুয়াকাটা থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার কিংবা স্পিডবোটে সহজে যাওয়া যায় চর হেয়ার। সেখান থেকে সোনারচর কিংবা চর মন্তাজের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে আবার চর মন্তাজ থেকে লঞ্চযোগে ঢাকায় ফেরার সুযোগ রয়েছে। একইভাবে ঢাকা থেকে সরাসরি দোতলা লঞ্চে চর মন্তাজে নেমে চর হেয়ার ঘুরে কুয়াকাটা থেকে ঢাকায় ফেরা যায়।
কোথায় থাকবেন
চর হেয়ারে থাকার একমাত্র ব্যবস্থা তাঁবু। স্থানীয় সোনারচর ট্যুরিজম ট্রাভেলস তাঁবু ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। প্রতি রাত তাঁবুপ্রতি ভাড়া ৪০০ টাকা। তাজা মাছ, দেশি মুরগিসহ খাওয়ার বিভিন্ন প্যাকেজ পাওয়া যায়। এ ছাড়া কুয়াকাটায় নোনাজলের ভেলা তাঁবু ক্যাম্পিং রয়েছে। কুয়াকাটা থেকে চর হেয়ার যাওয়া-আসা মিলিয়ে দুই দিন এক রাত জনপ্রতি পড়বে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি প্যাকেজে সর্বনিম্ন ২০ জন পর্যটক নিয়ে যায় তারা। কেউ তাঁবুতে থাকতে না চাইলে সকালে এসে বিকেলে চর মন্তাজে ফিরে হোটেলে থাকতে পারবেন।
ভ্রমণ পরামর্শ
কত নামে ডাকবেন তাকে। গুগলে সন্ধান করলে চমকে উঠতে হবে। এর নাম দেখাবে হেয়ার আইল্যান্ড। মনে হবে, আটলান্টিক মহাসাগর কিংবা ক্যারিবীয় কোনো নির্জন দ্বীপের নাম দেখছেন। কিন্তু আপনার ভুল ভাঙবে স্থানীয়দের ডাকা নামটি শুনলে। বুঝবেন, আপনি আছেন কলাগাছিয়ার চরে। মানে এটা বাংলাদেশেই! কলাগাছিয়ার চর নামটি বাংলা ছাড়া আর কোন ভাষায় পাওয়া যাবে? তবে বইপত্রে খুঁজলে এর নাম পাবেন চর হেয়ার।
চর হেয়ারের ভূগোল
চর হেয়ার নামের এই দ্বীপের পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তরে আছে সাগর সঙ্গমে আসা নদী। আর দক্ষিণে সাগর। দুহাত মেলে প্রকৃতি এখানে সৌন্দর্য ছড়িয়ে রেখেছে। দ্বীপটি পটুয়াখালী জেলার দক্ষিণের শেষ ভূখণ্ড। সাগরতীরে রাঙ্গাবালী উপজেলায় এর অবস্থান। জেগে ওঠা এই চরের পূর্ব দিকে রয়েছে বন বিভাগের সংরক্ষিত সোনারচর বন। পশ্চিমে চর তুফানিয়া, উত্তরে টাইগার দ্বীপ এবং এর পাশে আছে চর কাশেম। কুয়াকাটা থেকে সাগরপথে চর হেয়ারের দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটারের কিছু বেশি। আর রাঙ্গাবালী উপজেলা থেকে এর দূরত্ব ১০ কিলোমিটার।
দেখার আছে কী
চর হেয়ারের বালুময় সৈকতের দৈর্ঘ্য মোট চার কিলোমিটার। দ্বীপের বুকে আছে ঝাউ আর পেয়ারাগাছের বন। এসব গাছের ডালে ডালে সারা দিন গেয়ে বেড়ায় নানা প্রজাতির পাখি। মুক্ত বন ডুবে থাকে তাদের কলকাকলিতে। দ্বীপের পাড়ে সবুজ ছায়ায় বসে সাগরের গর্জন আন্দোলিত করে তোলে মন। এখান থেকে দেখা যায় জেলেদের কাজকর্ম। দেখা মেলে তাজা মাছের লাফঝাঁপ।
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায় দ্বীপটি থেকে। বালুকাময় সৈকত এর চারদিকে। দেখা যাবে লাল কাঁকড়া। দ্বীপটি ঝাউসহ প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা নানা গাছপালায় পরিপূর্ণ। আছে নানা আকারের ছইলা, কেওড়া, গেওয়া, বাইন, গোলপাতা, হারগুজি, তাম্বুরা কাঁটার ঝোপঝাড়। বক, সারস, শামুকখোল, মদনটাকেরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এসে আশ্রয় নেয় গাছের মগডালে। আর ঝোপগুলো ডাহুক, কোড়াসহ নাম না জানা পাখিদের অভয়ারণ্য।
যাবেন কখন
প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা সবুজ বনের ভেতরে পড়ে থাকা ঝাউপাতা আপনাকে মনে করিয়ে দেবে, শীতকাল সেখানে যাওয়ার আদর্শ সময়। এ সময় সাগর থাকে শান্ত।
যেভাবে যাবেন
কুয়াকাটা থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার কিংবা স্পিডবোটে সহজে যাওয়া যায় চর হেয়ার। সেখান থেকে সোনারচর কিংবা চর মন্তাজের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে আবার চর মন্তাজ থেকে লঞ্চযোগে ঢাকায় ফেরার সুযোগ রয়েছে। একইভাবে ঢাকা থেকে সরাসরি দোতলা লঞ্চে চর মন্তাজে নেমে চর হেয়ার ঘুরে কুয়াকাটা থেকে ঢাকায় ফেরা যায়।
কোথায় থাকবেন
চর হেয়ারে থাকার একমাত্র ব্যবস্থা তাঁবু। স্থানীয় সোনারচর ট্যুরিজম ট্রাভেলস তাঁবু ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। প্রতি রাত তাঁবুপ্রতি ভাড়া ৪০০ টাকা। তাজা মাছ, দেশি মুরগিসহ খাওয়ার বিভিন্ন প্যাকেজ পাওয়া যায়। এ ছাড়া কুয়াকাটায় নোনাজলের ভেলা তাঁবু ক্যাম্পিং রয়েছে। কুয়াকাটা থেকে চর হেয়ার যাওয়া-আসা মিলিয়ে দুই দিন এক রাত জনপ্রতি পড়বে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি প্যাকেজে সর্বনিম্ন ২০ জন পর্যটক নিয়ে যায় তারা। কেউ তাঁবুতে থাকতে না চাইলে সকালে এসে বিকেলে চর মন্তাজে ফিরে হোটেলে থাকতে পারবেন।
ভ্রমণ পরামর্শ
শরতের আবহাওয়ায় ভীষণ শুষ্ক। বাতাসে প্রচুর ধুলাবালু ও কাশফুলের রেণু উড়ে বেড়ায়। এগুলো ত্বকে ময়লার আবরণ সৃষ্টি করে। এ ছাড়া ত্বকে চুলকানিসহ নানান সমস্যার জন্ম দেয়। তার ওপর আছে পিছু না ছাড়া সানট্যান। সাবান, বডিওয়াশ, ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করাই যথেষ্ট নয়। ত্বক ভেতর থেকে ধুলাবালু মুক্ত রাখতে হবে।
১২ ঘণ্টা আগেকাশফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেছে পূজার আয়োজন। পূজা মানে উৎসব। আর আমাদের যেকোনো উৎসবের অন্যতম অনুষঙ্গ রঙিন পোশাক। বাজারে আসতে শুরু করেছে সেসব। আর চলছে জোর বিজ্ঞাপন।
১৫ ঘণ্টা আগেএখন তালের মৌসুম। বছরের এই একটি সময় রসিয়ে রসিয়ে তাল খাওয়ার সময়। মৌসুম বলে বাজারে প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে এই ফল। কিনে এনে তৈরি করে ফেলতে পারেন মনের মতো কোনো খাবার।
১৬ ঘণ্টা আগেবাড়িভাড়া নেওয়ার সময় বসা এবং শোয়ার ঘর যাচাই করার মতো রান্নাঘরটাও বেশির ভাগ মানুষ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। একটু বড় রান্নাঘর হলে সেটা খুশির বিষয়। আবার তাতে যদি মডিউলার কিচেন ক্যাবিনেট থাকে, তাহলে তো আনন্দের শেষ নেই। এতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহজে সাজিয়ে রাখা যায়। পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ জিনিস
১৮ ঘণ্টা আগে