ফিচার ডেস্ক
মানুষ কেন রেগে যায়? কিংবা বলা যায়, আপনার রাগের কারণগুলো কি আপনি জানেন?
আমরা সবাই কখনো না কখনো রেগে যাই। কারও ওপর, নিজের ওপর, পরিস্থিতির ওপর, কিংবা কখনো এমনকি অজানা এক শূন্যতার ওপরও। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মানুষ কেন রেগে যায়? রাগ কি কেবলই একটি আবেগ, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে থাকে বহুস্তর বিশ্লেষণ, অতীত অভিজ্ঞতা, অসহায়ত্ব, অপূর্ণতা এবং একধরনের মানসিক প্রতিক্রিয়া?
যদি একে বুঝে না ওঠা যায়, চাপা দেওয়া হয় কিংবা ভুল পথে প্রকাশ করা হয়, তখন রাগ নিজেকে ও অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের দরকার রাগের উৎস বোঝা, তা নিয়ন্ত্রণ করা এবং উপযুক্ত উপায়ে সেটি প্রকাশ করা। তবেই সম্ভব সম্পর্ক বাঁচানো, নিজেকে জানা এবং একটি সংবেদনশীল সমাজ গড়ে তোলা।
রাগ একধরনের সংকেত, যা বুঝিয়ে দেয় কোথাও কিছু একটা ঠিক নেই। হয় আপনি নিজে অসন্তুষ্ট, অথবা আপনার চারপাশের কেউ আপনাকে আঘাত করেছে। রাগ হচ্ছে একধরনের অভ্যন্তরীণ সংকেত, যা বলে, ‘দয়া করে আমাকে বুঝুন, আমি ব্যথিত।’ তবে রাগ দুর্বলতার চিহ্ন নয়; বরং এটি আমাদের মানসিক সংকটের সবচেয়ে জোরালো বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই রাগ আমরা কীভাবে ব্যবহার করি? একে আমরা যেভাবে ব্যবহার করি, সেটাই আমাদের মানুষ হিসেবে বুদ্ধিমত্তা ও সংবেদনশীলতার আসল পরিমাপ।
মানুষ কেন রেগে যায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে মনের অন্দরমহলে। যেখানে মিথ্যা, প্রতারণা, প্রত্যাখ্যান, অনিশ্চয়তা আর অসম্পূর্ণতা একে অপরের সঙ্গে গেঁথে তৈরি করে মানসিক চাপের কাঁচা মাটি। রাগ সেখানে যেন একপ্রকার আত্মরক্ষার ঢাল, যা দিয়ে মানুষ তার অস্বস্তি ঢাকতে চায়।
আত্মরক্ষা থেকে জন্ম নেয় রাগ
অনেক সময় মানুষ বিপন্ন বোধ করে বলে রেগে যায়। এটি শারীরিক বিপদ নয়, বরং মানসিকভাবে অপমানিত, হুমকিপূর্ণ বা ভয় পাওয়া অবস্থার প্রতিক্রিয়া। কেউ যদি মিথ্যা বলে বা সত্য গোপন করে, তখন সেই মিথ্যার ফাঁদে পড়ে মানুষ নিজেকে প্রতারিত মনে করে। এমন অবস্থায় রাগ জন্ম নেয় একটি প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া হিসেবে।
অবমূল্যায়ন আর অপূর্ণতা
যখন কেউ নিজের চাওয়া-পাওয়া, স্বপ্ন বা অর্জনকে তুচ্ছ করে দেখায়, তখন আমাদের ভেতরের আত্মপরিচয়টা যেন হোঁচট খায়। একধরনের অপূর্ণতা থেকে জন্ম নেয় ক্ষোভ। ‘আমাকে গুরুত্ব দেয়নি’, ‘আমার কথা শুনল না’, ‘আমি যথেষ্ট নই’—এসব ধারণা থেকে রাগ ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দেয়। রাগ তখন আর বাহ্যিক নয়, হয়ে ওঠে একান্তই নিজের মধ্যে বন্দী এক যুদ্ধ।
প্রতারণা এবং তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা
মানুষ তখনো রেগে যায়, যখন তারা উপলব্ধি করে যে কেউ তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে, বা তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। মিথ্যা বলা, তথ্য লুকানো, বা অন্যকে দোষ চাপানো—এসব ব্যবহারে মানুষ নিজেকে খেলনার মতো ব্যবহৃত মনে করে। এই অনুভূতি অত্যন্ত তীব্র ও অপমানজনক। ফলে রাগ এসে পড়ে গা ঝাড়া দিয়ে।
ব্যর্থতা, লজ্জা ও দায় এড়ানোর প্রবণতা
রাগ অনেক সময় জন্ম নেয় নিজের ওপর। আমরা যখন জানি কিছু করিনি, অথচ করা উচিত ছিল, তখন নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে আমরা রেগে উঠি। কখনো দোষ স্বীকার না করে, রাগ দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করি সেই ব্যর্থতাকে। মিথ্যার আশ্রয়, দায়িত্ব এড়ানো, বা কাজ ফেলে রাখা—এসব আত্মপ্রতারণা আমাদের মধ্যে জমতে থাকা রাগের এক-একটি স্তর।
প্রত্যাখ্যান ও অবহেলার প্রতিক্রিয়া
ভালোবাসা না পেয়ে বা অবহেলার অনুভূতি থেকে মানুষ রেগে যায়। এমনকি খুব সাধারণ ভুল-বোঝাবুঝিও গভীর ক্ষোভে রূপ নিতে পারে, যদি কারও অনুভূতি গুরুত্ব না পায়। তখন রাগ হয়ে ওঠে একটি আর্তনাদ—‘আমাকে বোঝো’, ‘আমাকে দেখো’।
আকাঙ্ক্ষা ও ঈর্ষা
কারও সাফল্য, অন্যের জনপ্রিয়তা বা ভালোবাসা—এসব যখন কারও মধ্যে গভীর কামনা বা ঈর্ষা তৈরি করে, তখনো মানুষ রেগে যায়। এই রাগ বাইরের নয়, ভেতরের। যেমন কেউ যদি মিথ্যা বলে নিজেকে ওপরে তুলতে চায়, বা অন্যের থেকে ভালো দেখাতে চায়, তাহলে রাগ জন্ম নেয় গভীর হীনম্মন্যতা থেকে। এই রাগে থাকে ঈর্ষা, অপূর্ণতা ও অপরাধবোধ।
অভ্যাসগত প্রতিক্রিয়া
সবশেষে, রাগ অনেক সময় আসে অভ্যাসবশত। অনেক মানুষ এমন পরিবেশে বেড়ে ওঠেন, যেখানে রাগ ছিল সমস্যার একমাত্র প্রতিক্রিয়া। মিথ্যা, ধোঁকা, অবহেলা—সবকিছুতে রাগই তাদের ‘স্বাভাবিক’ প্রতিক্রিয়া হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে তারা উপলব্ধি করতে পারে না যে কোথা থেকে রাগটা আসছে, কেন আসছে।
সূত্র: এভরিডে হেলথ, হেলথ ডটকম, সাইকো সেন্ট্রাল
মানুষ কেন রেগে যায়? কিংবা বলা যায়, আপনার রাগের কারণগুলো কি আপনি জানেন?
আমরা সবাই কখনো না কখনো রেগে যাই। কারও ওপর, নিজের ওপর, পরিস্থিতির ওপর, কিংবা কখনো এমনকি অজানা এক শূন্যতার ওপরও। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মানুষ কেন রেগে যায়? রাগ কি কেবলই একটি আবেগ, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে থাকে বহুস্তর বিশ্লেষণ, অতীত অভিজ্ঞতা, অসহায়ত্ব, অপূর্ণতা এবং একধরনের মানসিক প্রতিক্রিয়া?
যদি একে বুঝে না ওঠা যায়, চাপা দেওয়া হয় কিংবা ভুল পথে প্রকাশ করা হয়, তখন রাগ নিজেকে ও অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের দরকার রাগের উৎস বোঝা, তা নিয়ন্ত্রণ করা এবং উপযুক্ত উপায়ে সেটি প্রকাশ করা। তবেই সম্ভব সম্পর্ক বাঁচানো, নিজেকে জানা এবং একটি সংবেদনশীল সমাজ গড়ে তোলা।
রাগ একধরনের সংকেত, যা বুঝিয়ে দেয় কোথাও কিছু একটা ঠিক নেই। হয় আপনি নিজে অসন্তুষ্ট, অথবা আপনার চারপাশের কেউ আপনাকে আঘাত করেছে। রাগ হচ্ছে একধরনের অভ্যন্তরীণ সংকেত, যা বলে, ‘দয়া করে আমাকে বুঝুন, আমি ব্যথিত।’ তবে রাগ দুর্বলতার চিহ্ন নয়; বরং এটি আমাদের মানসিক সংকটের সবচেয়ে জোরালো বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই রাগ আমরা কীভাবে ব্যবহার করি? একে আমরা যেভাবে ব্যবহার করি, সেটাই আমাদের মানুষ হিসেবে বুদ্ধিমত্তা ও সংবেদনশীলতার আসল পরিমাপ।
মানুষ কেন রেগে যায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে মনের অন্দরমহলে। যেখানে মিথ্যা, প্রতারণা, প্রত্যাখ্যান, অনিশ্চয়তা আর অসম্পূর্ণতা একে অপরের সঙ্গে গেঁথে তৈরি করে মানসিক চাপের কাঁচা মাটি। রাগ সেখানে যেন একপ্রকার আত্মরক্ষার ঢাল, যা দিয়ে মানুষ তার অস্বস্তি ঢাকতে চায়।
আত্মরক্ষা থেকে জন্ম নেয় রাগ
অনেক সময় মানুষ বিপন্ন বোধ করে বলে রেগে যায়। এটি শারীরিক বিপদ নয়, বরং মানসিকভাবে অপমানিত, হুমকিপূর্ণ বা ভয় পাওয়া অবস্থার প্রতিক্রিয়া। কেউ যদি মিথ্যা বলে বা সত্য গোপন করে, তখন সেই মিথ্যার ফাঁদে পড়ে মানুষ নিজেকে প্রতারিত মনে করে। এমন অবস্থায় রাগ জন্ম নেয় একটি প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া হিসেবে।
অবমূল্যায়ন আর অপূর্ণতা
যখন কেউ নিজের চাওয়া-পাওয়া, স্বপ্ন বা অর্জনকে তুচ্ছ করে দেখায়, তখন আমাদের ভেতরের আত্মপরিচয়টা যেন হোঁচট খায়। একধরনের অপূর্ণতা থেকে জন্ম নেয় ক্ষোভ। ‘আমাকে গুরুত্ব দেয়নি’, ‘আমার কথা শুনল না’, ‘আমি যথেষ্ট নই’—এসব ধারণা থেকে রাগ ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দেয়। রাগ তখন আর বাহ্যিক নয়, হয়ে ওঠে একান্তই নিজের মধ্যে বন্দী এক যুদ্ধ।
প্রতারণা এবং তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা
মানুষ তখনো রেগে যায়, যখন তারা উপলব্ধি করে যে কেউ তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে, বা তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। মিথ্যা বলা, তথ্য লুকানো, বা অন্যকে দোষ চাপানো—এসব ব্যবহারে মানুষ নিজেকে খেলনার মতো ব্যবহৃত মনে করে। এই অনুভূতি অত্যন্ত তীব্র ও অপমানজনক। ফলে রাগ এসে পড়ে গা ঝাড়া দিয়ে।
ব্যর্থতা, লজ্জা ও দায় এড়ানোর প্রবণতা
রাগ অনেক সময় জন্ম নেয় নিজের ওপর। আমরা যখন জানি কিছু করিনি, অথচ করা উচিত ছিল, তখন নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে আমরা রেগে উঠি। কখনো দোষ স্বীকার না করে, রাগ দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করি সেই ব্যর্থতাকে। মিথ্যার আশ্রয়, দায়িত্ব এড়ানো, বা কাজ ফেলে রাখা—এসব আত্মপ্রতারণা আমাদের মধ্যে জমতে থাকা রাগের এক-একটি স্তর।
প্রত্যাখ্যান ও অবহেলার প্রতিক্রিয়া
ভালোবাসা না পেয়ে বা অবহেলার অনুভূতি থেকে মানুষ রেগে যায়। এমনকি খুব সাধারণ ভুল-বোঝাবুঝিও গভীর ক্ষোভে রূপ নিতে পারে, যদি কারও অনুভূতি গুরুত্ব না পায়। তখন রাগ হয়ে ওঠে একটি আর্তনাদ—‘আমাকে বোঝো’, ‘আমাকে দেখো’।
আকাঙ্ক্ষা ও ঈর্ষা
কারও সাফল্য, অন্যের জনপ্রিয়তা বা ভালোবাসা—এসব যখন কারও মধ্যে গভীর কামনা বা ঈর্ষা তৈরি করে, তখনো মানুষ রেগে যায়। এই রাগ বাইরের নয়, ভেতরের। যেমন কেউ যদি মিথ্যা বলে নিজেকে ওপরে তুলতে চায়, বা অন্যের থেকে ভালো দেখাতে চায়, তাহলে রাগ জন্ম নেয় গভীর হীনম্মন্যতা থেকে। এই রাগে থাকে ঈর্ষা, অপূর্ণতা ও অপরাধবোধ।
অভ্যাসগত প্রতিক্রিয়া
সবশেষে, রাগ অনেক সময় আসে অভ্যাসবশত। অনেক মানুষ এমন পরিবেশে বেড়ে ওঠেন, যেখানে রাগ ছিল সমস্যার একমাত্র প্রতিক্রিয়া। মিথ্যা, ধোঁকা, অবহেলা—সবকিছুতে রাগই তাদের ‘স্বাভাবিক’ প্রতিক্রিয়া হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে তারা উপলব্ধি করতে পারে না যে কোথা থেকে রাগটা আসছে, কেন আসছে।
সূত্র: এভরিডে হেলথ, হেলথ ডটকম, সাইকো সেন্ট্রাল
অনেকে কাঁকড়া খেতে ভালোবাসেন। তবে যাঁরা এই প্রথম বাজার থেকে কাঁকড়া কিনে এনেছেন রাঁধবেন বলে, তাঁদের জন্য কাঁকড়া ভুনার রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী ওমাম রায়হান।
১ দিন আগেশহরটির বয়স প্রায় ১১০ বছর। ‘ম্যাড ম্যাক্স বিয়ন্ড থান্ডারডোম’, ‘প্রিসিলা’, ‘ডেজার্ট কুইন’ ও ‘রেড প্ল্যানেট’ চলচ্চিত্র যাঁরা দেখেছেন, বিস্তারিত না জানলেও তাঁরা এই শহর এবং তার পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত। কারণ, এই চলচ্চিত্রগুলো শতবর্ষী শহরটিতেই চিত্রায়িত হয়েছিল।
১ দিন আগেপৃথিবীতে কেউই নিজেদের মিথ্যাবাদী ভাবতে চায় না। কিন্তু সত্যি বলতে, সবাইকে কখনো না কখনো মিথ্যা বলতে হয়। ছোট ছোট সাদা মিথ্যা থেকে শুরু করে অনিয়ন্ত্রিত মিথ্যা। এ ধরনের কথা বলার ধরন অনেক রকম। শিশুরাও বুঝে না বুঝে মিথ্যা বলে। তাই মিথ্যা বলা হয়তো একটি প্রাকৃতিক প্রবৃত্তি।
১ দিন আগেআপনার সন্তান কি কথা শুনতে চায় না? অল্পতেই রেগে গিয়ে চিৎকার বা ভাঙচুর করে? এমনটা হলে, তার স্ক্রিন টাইম বা মোবাইল-টেলিভিশন দেখার সময় নিয়ে আপনাকে হয়তো নতুন করে ভাবতে হবে। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নাল ‘সাইকোলজিক্যাল বুলেটিন’-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
১ দিন আগে