আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের আইপিএস অফিসার ওয়াই পুরাণ কুমারের (৫২) কথিত আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনীতিতে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর এই কর্মকর্তা মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। মৃত্যুর আগে লেখা সুইসাইড নোটে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক (ডিজিপি)-সহ মোট আটজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানি ও বর্ণ বৈষম্যের অভিযোগ এনেছেন তিনি। এ নিয়ে সরকার তীব্র চাপের মুখে পড়েছে।
গতকাল সোমবার গভীর রাতে প্রশাসন বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবে বর্তমান ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুরকে ছুটিতে পাঠিয়েছে। এর আগে রোহতকের তৎকালীন পুলিশ সুপার নরেন্দ্র বিজারনিয়াকেও বদলি করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা রাজীব জেটলি এই সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইপিএস অফিসার ওয়াই পুরাণ কুমার একটি আট পাতার ‘ফাইনাল নোট’ বা ‘মৃত্যুকালীন জবানবন্দি’ রেখে গেছেন। সেই নোটে তিনি ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুর এবং নরেন্দ্র বিজারনিয়াসহ আটজন জ্যেষ্ঠ আইপিএস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘প্রকাশ্য অপমান, বর্ণভিত্তিক বৈষম্য এবং মানসিকভাবে হয়রানি করার’ মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।
নিহত কর্মকর্তার স্ত্রী, সিনিয়র আইএএস অফিসার অম্রিত পি কুমার-এর দাবি, তাঁর স্বামীর আত্মহত্যার প্ররোচনাদানকারী হিসেবে কাপুর ও বিজারনিয়ার নাম এফআইআর-এ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। পরিবারের সদস্যরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ময়নাতদন্ত ও শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে দিতে অস্বীকার করেছেন।
এই ঘটনা নিয়ে হরিয়ানার বিজেপি সরকারের ওপর বিরোধীরা জোরালো আক্রমণ শুরু করেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আজ মঙ্গলবার পুরাণ কুমারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া তেলেঙ্গানার উপ-মুখ্যমন্ত্রী মল্লু ভাট্টি বিক্রমরকা, রোহতকের কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র সিং হুদা, আইএনএলডি প্রধান অভয় সিং চৌতালা এবং পাঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী হরপাল সিং চিমাসহ একাধিক বিরোধী দলের নেতা গতকাল পরিবারটির সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছেন।
মল্লু ভাট্টি বিক্রমরকা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, কুমারের ‘মৃত্যুকালীন জবানবন্দি’ অনুযায়ী অবিলম্বে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুর এবং তৎকালীন এসপি নরেন্দ্র বিজারনিয়া কুমারকে অপমান ও লাঞ্ছিত করেছেন এবং তাঁরাই এই আত্মহত্যার মূল কারণ।
এদিকে, নিহত কর্মকর্তার পরিবারের জন্য ‘ন্যায়বিচার’ চাইতে গঠিত একটি ৩১ সদস্যের কমিটি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে।
তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আথাওয়ালে পরিবারটির সঙ্গে দেখা করার পর জানান, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়া সিঙ্ঘ সাইনি তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চণ্ডীগড় পুলিশ ইতিমধ্যে মামলাটি তদন্তের জন্য ছয় সদস্যের একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের আইপিএস অফিসার ওয়াই পুরাণ কুমারের (৫২) কথিত আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনীতিতে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর এই কর্মকর্তা মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। মৃত্যুর আগে লেখা সুইসাইড নোটে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক (ডিজিপি)-সহ মোট আটজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানি ও বর্ণ বৈষম্যের অভিযোগ এনেছেন তিনি। এ নিয়ে সরকার তীব্র চাপের মুখে পড়েছে।
গতকাল সোমবার গভীর রাতে প্রশাসন বিশেষ পদক্ষেপ হিসেবে বর্তমান ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুরকে ছুটিতে পাঠিয়েছে। এর আগে রোহতকের তৎকালীন পুলিশ সুপার নরেন্দ্র বিজারনিয়াকেও বদলি করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা রাজীব জেটলি এই সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইপিএস অফিসার ওয়াই পুরাণ কুমার একটি আট পাতার ‘ফাইনাল নোট’ বা ‘মৃত্যুকালীন জবানবন্দি’ রেখে গেছেন। সেই নোটে তিনি ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুর এবং নরেন্দ্র বিজারনিয়াসহ আটজন জ্যেষ্ঠ আইপিএস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘প্রকাশ্য অপমান, বর্ণভিত্তিক বৈষম্য এবং মানসিকভাবে হয়রানি করার’ মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।
নিহত কর্মকর্তার স্ত্রী, সিনিয়র আইএএস অফিসার অম্রিত পি কুমার-এর দাবি, তাঁর স্বামীর আত্মহত্যার প্ররোচনাদানকারী হিসেবে কাপুর ও বিজারনিয়ার নাম এফআইআর-এ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। পরিবারের সদস্যরা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ময়নাতদন্ত ও শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে দিতে অস্বীকার করেছেন।
এই ঘটনা নিয়ে হরিয়ানার বিজেপি সরকারের ওপর বিরোধীরা জোরালো আক্রমণ শুরু করেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আজ মঙ্গলবার পুরাণ কুমারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া তেলেঙ্গানার উপ-মুখ্যমন্ত্রী মল্লু ভাট্টি বিক্রমরকা, রোহতকের কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র সিং হুদা, আইএনএলডি প্রধান অভয় সিং চৌতালা এবং পাঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী হরপাল সিং চিমাসহ একাধিক বিরোধী দলের নেতা গতকাল পরিবারটির সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছেন।
মল্লু ভাট্টি বিক্রমরকা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, কুমারের ‘মৃত্যুকালীন জবানবন্দি’ অনুযায়ী অবিলম্বে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, ডিজিপি শত্রুজিৎ কাপুর এবং তৎকালীন এসপি নরেন্দ্র বিজারনিয়া কুমারকে অপমান ও লাঞ্ছিত করেছেন এবং তাঁরাই এই আত্মহত্যার মূল কারণ।
এদিকে, নিহত কর্মকর্তার পরিবারের জন্য ‘ন্যায়বিচার’ চাইতে গঠিত একটি ৩১ সদস্যের কমিটি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে।
তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আথাওয়ালে পরিবারটির সঙ্গে দেখা করার পর জানান, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়া সিঙ্ঘ সাইনি তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চণ্ডীগড় পুলিশ ইতিমধ্যে মামলাটি তদন্তের জন্য ছয় সদস্যের একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
মাদাগাস্কারের সামরিক বাহিনী দেশটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে বলে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় রেডিওতে ঘোষণা দিয়েছেন সেনা কর্নেল মাইকেল র্যান্ড্রিয়ানিরিনা। জেন-জি আন্দোলনের জের ধরে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রি রজুয়েলিনা দেশ ত্যাগ করার পর এই ঘোষণা এসেছে।
৪২ মিনিট আগেগাজা ও মিসরের মধ্যে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়েই মূলত গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হয়। কিন্তু এই ক্রসিং এখনো খুলে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এর ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তার প্রবাহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেমিসরে অনুষ্ঠিত গাজা সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে দেখে ‘বিউটিফুল’ বা ‘সুন্দরী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার (১৩ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনের মঞ্চে একমাত্র নারী নেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলোনি।
৩ ঘণ্টা আগেভারতের পুনে শহরে পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার হলেন দুই বাংলাদেশি তরুণী। উদ্ধারের আগে এদের মধ্যে একজন সরাসরি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানিয়েছিলেন, শহরের কাত্রজ এলাকায় তাঁকে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে